গল্পঃ Hacking Then Girlfriend🥰
***
😍😍
**
*
অনেকদিন পর একটা লাভ স্টোরি পড়ে হৃদয়টা যেন ছুয়ে গেলো কেউ এতো সুন্দর করে গল্প লিখতে পারে জানা ছিল না। কৌতহল বসতো প্রোফাইল ঘুরে দেখতে লাগলাম। ফেসবুক আইডিটা একটা মেয়ের, অনেক সুন্দর করে আইডিটা সাজানো আরও অনেক গল্প পোস্ট করা হয়েছে। আইডিটাতে মেয়েটির কোন পিক দেয়া ছিল না। ফ্রেন্ড রেকুয়েস্ট না দিয়ে আর থাকতে পারলাম না।
Cyber CommandOS গ্রুপে কাজ করার কারণে অনেক ব্যাস্ত থাকি। তাই ভুলেই গেলাম আইডিটার কথা, আজকে আবার মেয়েটি গল্প পোস্ট করেছেন তা দেখে মনে পরলো কিন্তু আমার ফ্রেন্ড রেকুয়েস্ট এখনও একসেপ্ট করেনি তাই একটা এসএমএস দিলাম Plzzzzz! Accept my friend request । কিন্তু তাতেও কোন লাভ হলোনা। ঠিক করলাম যে আইডি হ্যাক করলে তো কন্টাক্ট নাম্বার পাওয়া যাবে তখন কথা বলবো। কিন্তু এটা করাকি ঠিক হবে? জীবনে অনেক আইডি হ্যাক করেছি পাবলিক কে হেল্প করার জন্য কিন্তু কখনো এই উদ্দেশ্য নিয়ে কারো আইডি হ্যাক করিনি। আইপি কোড ব্যবহার করে আইডি টা হ্যাক করলাম।
মেয়েটির আইডিটাতে মোট ফ্রেন্ড ৭৩ টা তার মধ্যে ৬১ টা মেয়ে ফ্রেন্ড ও ১২ টা ছেলে ফ্রেন্ড। ফলোয়ার ৯৮২৮৯ জন। ৪৯৫৬ ফ্রেন্ড রেকুয়েস্ট ঝুলে আছে তার মদ্ধে আমি ও একজন। এসএমএস চেক করতে গিয়ে থ হয়ে গেলাম। মেয়েটিকে তার এক বান্ধুবি অনেক পিক দিয়েছে দেখে মনে হল তারা কোন পিকনিকে গিয়ে তুলেছে। ঐ সময় মেয়েটি আর একটি পিক দিয়ে বলল দোস্ত তোর এই পিকটা অনেক কিউট হয়েছে রে। বুঝতে আর বাকি রইল না পিকটা মেয়েটির কিন্তু এটা কি মানুষের পিক। কেমনে সম্ভব এতো দেখি আমার সাদা পরীকে ও হার মানাবে। কেমন জানি একটা অন্যরকম ফিলিংস অনুভুত হতে লাগলো। মেয়েটির নাম খুশি। এসএমএস গুলা দেখে যা বুঝলাম মেয়েটি রিলেশন করে না। একে তো পিক দেখে ক্রাশ খাইছি তার উপর আবার খাইলাম।
আইডি পাওয়া নাম্বারে কল করলাম.........
৩ বার রিং দিলাম কিন্তু রিসিভ করলো না...মনে হয় অচেনা নাম্বার তাই রিসিভ করছে না। একটা ম্যাসেজ দিলাম “khushi kmn acis? Phn rcv koris na kn? সাথে সাথে একটা এসএমএস এলো Who are you?
ফোন দিলাম...রিসিভ করেই সালাম দিলাম
- অলাইকুম আসসালাম (একটি মেয়ে সুন্দর কণ্ঠে বলে উঠলো)
- কে বলছেন?(মেয়েটি লিথি কি না জানিনা)
- আমার কণ্ঠ শুনে ও চিনতে পারলি না আমি কে?
- নাহ কে আপনি? আর আমার নাম জানলেন কিভাবে?(বুঝতে বাকি রইল না খুশি কথা বলছে)
- হাহাহাহাহাহাহাহিহি 😄😁😄 করে একটু হাসলাম চিনতে পারলে না তাহলে?
- নাহ চিনতে পারিনি,আপনি কে বলুন প্লীজ!
- তুমি আমাকে ভাল করেই চিনো একটু মাথা খাটাও ঠিকি চিনতে পাড়বে?
- হিমেল নাকি, শয়তান তোর আজ বারোটা বাজাবো কিন্তু!!!!!
- আবার একটু হেসে আমি হিমেল নই। ৪৮ ঘণ্টা সময় দিলাম ভেবে দেখো যদি না পারো আমি নিজেই বলে দিবো।
ফোনটা কেটে দিলাম...। মনে মনে আজ অনেক খুশি মনের মানুষটির সাথে কথা বলতে পেরে। তাই ভাবছি খুশির একটা পেইন্টিং আর্ট করবো, আর্ট প্রায় শেষ এমন সময় ফোনটা বেজে উঠলো। Hridoy…Khushi calling for you.Plzzz take up the phone.
- হ্যালো, কে আপনি প্লীজ বলুন? আমি আপনাকে চিনতে পাড়তেছি না (খুশি)
- বললাম তো একটু মাথা খাটাও চিনতে পারবে? (আমি)
- প্লীজ প্লীজ প্লীজ বলুন আপনি কে?(খুশি)
- ৪৮ ঘণ্টা পরে বলবো (আমি)
- অন্তত একটা ক্লু দাও(খুশি)
- ওকে ফেসবুকে আসো একটা ক্লু দিচ্ছি? (আমি)
- ওকে
ফোনটা কেটে দিয়ে একটা নতুন আইডি খুললাম ও পেইন্টিংটার একটা পিক তুলে এসএমএস করে দিলাম। এসএমএস টি সিন করলো ও একটু পর এসএমএস আসলো...
- Oh my god (খুশি)
- অবিকল আমার পেইন্টিং...একদম নিখুঁত আমাকে এঁকেছেন। কে ভাই আপনি? (খুশি)
- তোমার অতি পরিচিত একজন (আমি)
- তা তো বুঝতেই পাড়ছি কিন্তু নাম কি?(খুশি)
- তোমার পরিচিত কোনো ফ্রেন্ড (আমি)
- একবার জানি আগে তুই কে? তারপর দেখ তোর কি অবস্তা করি?(লিথি)
#লিথি ফোন কাটার পরে এক এক করে সব ফ্রেন্ডদের ফোন দিলো আর এই কল রেকর্ডটার ভয়েস মিলালো কিন্তু কারো ভয়েস এর সাথে মিললো না। এখন খুশি শুধু ভাবছে কে হতে পারে। খুশির এমন সময় মনে পরে গেলে গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ারে জব করা মামার কথা। মামার কাছ থেকে নাম্বারটির সব ইনফরমেশন নিলো? কিন্তু আমার তো হৃদয় নামে কোন ফ্রেন্ড ছিল না। তাহলে ওনি কে??? খুশি নাম্বারটিতে ফোন দিলো.........
- হ্যালো, আপনার নাম হৃদয় তাই না?
- কিছুটা অবাক হয়ে...হুম। এরপর খুশি আমার বাবা মায়ের নাম, গ্রামের নাম, জন্মতারিখ ঝরঝর করে বলে দিলো। কি যে বলবো বুঝতেছিনা (আমি)
- আচ্ছা হৃদয় নামে তো আমার কোন ফ্রেন্ড নাই কিন্তু আপনি আমাকে চিনেন কিভাবে????(খুশি)
এমন সময় ফোনে চার্জ না থাকায় সুইচ অফ হয়ে গেল। এদিকে খুশি ভাবলো আমি ফোনটা কেটে দিছি। তাই আবার ফোন দিলো কিন্তু সুইচ অফ পেলো ভেবে নিলো পরিচয় দেওয়ার ভয়ে ফোন সুইচ অফ করছি। একটু চার্জ হওয়ার পর ফোনটা অন করলাম......১৩ টা এসএমএস লাস্ট এসএমএস দেখলাম Plzzz! Phn on korun?
অন তো করেছি তাহলে একটা এসএমএস দেই কিন্তু বা লিখবো আমার সব প্লান শেষ করে দিলো। আমিও কম না। ভেবে চিন্তে একটা প্লান বের করতে হবে তোমাকে পটাবোই। একটা এসএমএস দিলাম......
- - Ami aj rat 12 tar por amar somporke sobkichu bolbo
- - Okkkkkk…but akhn bolte ki problem????(খুশি)
- - Problem nei but ratre bolbo (আমি)
- - Okkk(খুশি)
কালকে খুশির জন্মদিন। তাই আমি চাই ফাস্ট উইস আমি করবো। খুশিকে একটা সব থেকে বেস্ট একটা গিফট দিতে চাই। খুশির ফোন নাম্বার লোকেশন ট্রেস করে জানলাম খুশি ঢাকায় থাকে তাহলে খুশিকে গিফট কিভাবে দিবো। এমন সময় রাজের ফোন...
- - হ্যালো, হৃদয় কেমন আছিস? (রাজ)
- - ভাল, কিন্তু একটু মন খারাপ রে। তুই কেমন আছিস? (আমি)
- - খালার বাসায় আসছি না ভাল থেকে পারি... তোর মন খারাপ কেন রে দোস্ত (রাজ)
- - ওহ তাই নাকি...ফাস্ট টাইম কারো প্রেমে পরেছি কিন্তু (আমি)
- - তাই ট্রিট দিবি কবে?(রাজ)
- - আগে শোন কাহিনীটা কি (আমি)
- - আমি যাকে ভালবাসি মেয়েটি আজ জন্মদিন। কিন্তু খুশির বাসা তো ঢাকায়। গিফট কিভাবে দিবো???(আমি)
- - কিহহহহ...ভাবির বাসা ঢাকায়? আমিও তো এখন ঢাকায় (রাজ)
- - তাই...দোস্ত একটা হেল্প করবি?(আমি)
- - হুম... বল(রাজ)
- - আমি তোকে খুশি যেখানে থাকে তার অ্যাড্রেস এসএমএস করে পাঠিয়ে দিচ্ছি তুই ঠিক রাত ১২ টায় ১০০ ফানুশ ও ২০০ লাভ বেলুন এবং বেলুন দিয়ে খুশি নাম লিখে আকাশে উড়িয়ে দিবি । প্লীজ দোস্ত এই হেল্পটা কর(আমি)
- - নিশ্চয় করবো দোস্ত...তুই কোনো প্যারা নিসনা আমি আছি তো। আর ভাবীর জন্য এটুকু তো করতেই পারি। (রাজ)
- - আই লাভ উই দোস্ত(আমি)
একটু পরেই রাজকে খুশির অ্যাড্রেস এসএমএস করে দিলাম। রাজও সব কিছু অ্যারেঞ্জ করে রাখছে। এখন রাত 11:30 টা বাজে রাজকে ফোন দিয়ে জেনে নিলাম ওদিকে সব ঠিক আছে আমি নেক্সট ফোন দিলেই কাজ শুরু হবে।
আমার ফেসবুক আইডি থেকে খুশিকে ঠিক রাত ১২ টায়...
💘Many Many Happy returns of the day💘
🎂🎂Happy Birthday to you🎂🎂
লিখে ম্যাসেজ সেন্ট করলাম ও লিথিকে ফোন দিলাম...
- - হ্যালো, আসসালামু অলাইকুম(আমি)
- - অলাইকুম আসসালাম............ (খুশি)
- - হ্যাপি বার্থডে টু ইউ... ম্যানি ম্যানি রিটান্স অফ দ্যা ডে (আমি)
- - ওহ মাই গড... আজকে আমার জন্মদিন আপনি কিভাবে জানলেন??? থাঙ্কস!!!!!! (খুশি)
- - জেনেছি কোন এক ভাবে......প্লীজ একটু বাসা থেকে বাহিরে আসবেন?(আমি)
- - এতো রাতে??? কেন???(খুশি)
- - প্লীজ একটু বাহিরে আসুন? (আমি)
- - সরি...এতো রাতে বাহিরে যেতে পারবো না। গেটে তালা লাগানো আছে। (খুশি)
- - তাহলে বাসার ছাঁদে একটু আসুন প্লীজ(আমি)
- - ওকে...২ মিনিট ওয়েট (খুশি)
আমি রাজকে মিসকল দিলাম । রাজ কাজ শুরু করলো
- - আমি ছাঁদে এসে গেছি। (খুশি)
- - এবার আকাশটার দিকে একটু ভালো করে তাকাও (আমি)
খুশি আকাশের দিকে তাকিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেল। একসাথে আকাশে এতো গুলা বেলুন ও ফানুশ উড়ছে। বেলুন দিয়ে HAPPY BIRTHDAY KHUSHI উড়ে যাচ্ছে খুশির মনে এখন এতটা আনন্দ বিরাজ করছে যা বলে বুঝানো জানে না। খুশি এরকম সারপ্রাইজ পাবে কখনো আশা করেনি। ৫ মিনিট পর খুশি আমাকে ফোন দিলো......
- - থাঙ্কস, আপনি কে প্লীজ বলুন অনেক রেকুয়েস্ট করেছি (খুশি)
- - হুম, বলছি কিন্তু ২ মিনিট আপনি কিছু বলবেন না আমি যা বলবো শুধু শুনেই যাবেন তারপর বলবেন (আমি)
- - সত্যি বলতে আপনার গল্প পরে আমার অনেক ভালো লেগেছে তাই আপনার আইডি হ্যাক করি আর ফেসবুক থেকে আপনার কন্টাক্ট নাম্বার নিয়ে ফোন করি(আমি)
- - কিহহহহহহহহহহহহহহহহহ (খুশি)
- হুম, আপনার পিক দেখে আমি সেদিন ক্রাস খাই। আপনাকে আমি আমার জীবনের থেকেও অনেক বেশি ভালবাসি। হয়তো আপনার বিশ্বাস হবে নাহ কিন্তু এটাই সত্যি (আমি)
- তাই শুনুন, আমি আপনাকে চিনি না। আর আপনি ও আমাকে চিনেন না। আর কাউকে না চিনে না জেনে ভালোবাসা হয় এটা আমি বিশ্বাস করিনা। (খুশি)
- সত্যি আমি আপনাকে মন থেকে ভালবাসি। যা কাউকে কউকে কখনো বাসিনি আর হয়তো কাউকে বাসতেও পারবো না।(আমি)
- ওয়েট ওয়েট...এসব আমাকে না বলে অন্য কাউকে ট্রাই করেন কাজে দিবে প্লীজ (খুশি)
- জানিনা আপনাকে ভালবেসে পাব কিনা? কিন্তু আজীবন ভালোবেসে যাবো (আমি)
- সেটা আপনার ব্যাপার? (খুশি)
- হুম...ভাল থাকবেন
এর পর আমার আর খুশির সাথে ৬ দিন কথা হয়নি। ওকে কোন ভাবেই ভুলতে পারছিলাম না। আমার নাম্বার থেকে কল করতে গেলাম কিন্তু আমার এই নাম্বারটা ব্লকলিস্ট করে রাখছে। আমার অন্য একটা সিম থেকে কল করলাম...
- হ্যালো কেমন আছেন? (আমি)
- ভাল...কিন্তু আপনি কে?(খুশি)
- হৃদয়...জানি আপনি এখন ফোনটা কেটে দিবেন । তার কোন প্রয়োজন নেই আমিই কেটে দিচ্ছি। কেমন আছেন জানতেই ফোন দিয়েছিলাম।
বলেই ফোন কেটে দিলাম। খুব খারাপ লাগছে খুশির কথা ভেবে। কেন খুশি আমায় ভালবাসে না। আমি কি এমন করলে সে আমায় ভালোবাসবে। ওকে কি আমি কখনই পাবো না। ফেসবুক চালাচ্ছি এমন সময় খুশির আবার একটা গল্প দেখলাম। খুশি আমার Real আইডি টা চিনে না তাই একটা ম্যাসেজ দিলাম...
- হাই (আমি)
- হ্যালো(ম্যাসেজ সিন করে কিন্তু reply নাই)(আমি)
- একটা Help করবেন প্লীজ (আমি)
- জি, বলুন কি help ??? (খুশি)
- থ্যাংকস। 🙂
- থ্যাংকস কেন?🙄
- Help করার জন্য 😃
- কি help করলাম? 😧😱😱
- Reply দিলেন এটাই তো অনেক বড় হেল্প😆😃😂😂
- পাগল 😯
- হুম...জানি তো। আপমি বলাতে আরও সিওর হলাম 😋
- আজব
- এখন আবার কনফিউশনে পরে গেলাম আমি পাগল নাকি আজব।😇
- আপনি দুটোই 😂😄
- আচ্ছা, আপনি কি করেন? আই মিন এডুকেশন । 🙂
- হুম, পড়ালেখা করি । আপনি?
- কলেজে যাই, কিন্তু পড়ালেখা করি না 😂😄😁
- হিহিহি,😂 আমিও
- তো কলেজে জান নাকি স্কুল?
- কলেজ, ইন্টার ফাস্ট ইয়ার
- মনে হচ্ছে দুই জনের মধ্যে অনেক মিল আছে। কিন্তু আমি পলিটেকনিকে, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পরতেছি।
- গুড...কিন্তু এখানে মিল কোথায় খুজে পাইলেন?
- ব্যাপার নাহ, মিল করাই নিবো ভবিষ্যেৎ
- মানে ?
- কিছুনা, শুধু দেখতে থাকুন
- বাই দ্যা ওয়ে, ম্যামের বাসা কোথায়??
- কেন?
- আপনারে মাডার করবো তাই কিলার কে অ্যাড্রেস দিতে হবে
- হাহাহা😂 তাহলে তো দেয়া যাবে না।
ইস শখ কত ।
- তাইলে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাই। তাইলে তো দেয়া যাবে ?
- হাহাহাহি......আপনি ফ্লাট ভাল করতে পারেন।
- জানি তো... বায় নেক্সট টাইম কথা হবে এখন একটু ব্যাস্ত তো।
বাস্ত থাকার কারণে সেদিন আর খুশির সাথে ফেসবুকে কথা হয়নি। কিন্তু রাতে খুশিকে ফোন দেই। কিন্তু ফোনে তেমন কথা হয়না শুধু এটা জানতেই ফোন দেই খুশি কেমন আছে। এদিকে খুশি আমার বিষয়টা ওর বেস্টফ্রেন্ড রিয়াকে শেয়ার করে। খুশির সব শোনার পরে বলে...
- দোস্তো শোন একটা কথা বলি (রিয়া)
- কি? (খুশি)
- ছেলেটা মনে হয় তোকে সত্যি সত্যি লাভ করে। এমন একটা ছেলে যদি আমার লাইফে পাইতাম। কখনো দূরে ঠেলে দিতাম না। লাইফ পাটনার বানাই নিতাম। (রিয়া)
- তাই দোস্তো...কিন্তু আমি এসব বিশ্বাস করি না রে। না জেনে না চিনে কিভাবে লাভ হয়। একটু ইমপ্রেস করেছে বলে ওনাকে চিনিনা জানিনা ভালোবাসবো। (খুশি)
- দোস্তো বিয়ের পর কিন্তু অচেনা একজন কেই আপন করে নিতে হয় তুই ভেবে দেখতে পারিস।(আমি)
- হুম...কিন্তু আমার এসব ভাল লাগে না রে (খুশি)
খুশি আর হৃদয়ের নাম্বার ব্লকলিস্ট করে না কিন্তু হৃদয় প্রতি রাত ৯ টায় কল করে শুধু এটা জানতে খুশি ভালো আছে কি না এটুকু জেনেই ফোনটা কেটে দেয়। খুশির হৃদয়ের সাথে এখন কথা বলতে ইচ্ছা হয় কিন্তু বলতে পারে না। মাঝে মাঝে হৃদয়ের কথা ভেবে খুশি মন খারাপ করে থাকে। হৃদয় এখন ঢাকায় থাকে আর সেটা খুশির বাসার পাশেই। খুশি তা জানে না। খুশিকে দেখার জন্যই হৃদয় ঢাকায় আসে। খুশি কোথায় যায় কি করে সব সময় খেয়াল রাখে।
এদিকে হৃদয় ফেসবুকে খুশির সাথে ফ্রেন্ডশিপ গড়ে তুলেছে। তাদের মধ্যে প্রায় প্রতিদিনি কথা হয়। আজকেও কথা হচ্ছে...
- আচ্ছা ফ্রেন্ড একটা কথা বলি?
- হুম বল, কিন্তু আমার পিক আর ফোন নাম্বার বাদে
- আরে আরে এসবের কিছুই বলবো না। তোমার bf কি করে??
- আমার তো bf নাই।
- আমার বিশ্বাস হয়না।
- বিশ্বাস না হলে আমার কিছু করার নেই। তবে একজন কে ভালো লাগে কিন্তু এখনও আমার মনের কথা বলিনি।
- ওহ তাই, বলেননি কেন?
কে সে ভাগ্যবান?
তাকে কি আমি একবার দেখতে পারি??
- আছে এক পাগল, ঝালিয়ে নিচ্ছি আমাকে কতটুকু ভালবাসে। পিক দেয়া যাবে না তো।
- ওহ গুড
এখন আর হৃদয় খুশিকে ফোন দেয়না। ৩ দিন হয়ে গেল কেমন আছে জানতেও চায় না। আজ খুশি হৃদয়কে মিস করতেছে। ভাবতেছে আমাকে কেন ফোন দিচ্ছে না। আজকেও ফেসবুকে কথা বলার সময় হৃদয় জিজ্ঞেস করলো...
- কেমন আছো ফ্রেন্ড?( আমি)
- ভালো না...ইউ?? (খুশি)
- আলহামদুলিল্লাহ্ ...কিন্তু ফ্রেন্ড ভাল নেই কেন?
- কিছুনা... এমনি একটু মন খারাপ?
- ওহ তাই। মন খারাপ কেন বলা যাবে কি?
- নাহ
- ওকে...মনে হচ্ছে ফ্রেন্ডের ঐ মনের মানুষটা বুঝি মন খারাপ করে দিছে তাই না?
- হুম, সে আমায় কয়েকদিন থেকে ফোন দেয়না
- ফ্রেন্ড তুমি ফোন দিলেই তো পারো?
- দেখি আজকে হয়তো ফোন দিবো
- তাই করো...বায়
কিছুক্ষণ পর খুশি আমায় ফোন দিলো নাম্বার দেখে চমকেই উঠলাম কিছুটা। ফোন রিসিভ করতেই
- আপনি কেন জানি এখন আমায় আর ফোন দেন না?
- আমি ফোন দিলে তো আপনার বিরক্ত লাগে, তাই এখন আর দেই না
- আমি ভাবলাম আপনি মনে হয় অসুস্থ তাই হয়তো ফোন দেন না... তাই খোঁজ নিতে দিলাম
- সত্যি কি শুধু এজন্য ফোন দিছেন?
- তা নয়তো কি?
- ভালোবাসো আমাকে
- নাহ...ভাল থাকবেন বায়
আজকে লক্ষ্য করলাম খুশিদের বাসার সামনে অ্যাম্বুলেন্স। পরে ওদের বাসার দারোয়ানের কাছ থেকে জানতে পারলাম। খুশি অসুস্থ হয়ে সেন্স হারিয়ে গেছে তাই হসপিটালে নিয়ে গেল। কথাটা শুনে মাথায় মনে হয় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। কিছু না ভেবে হসপিটালের দিকে দৌড় দিতে লাগলাম। হসপিটালে এসে ডাক্তারের কাছ থেকে জানতে পারলাম। খুশির ২টা কিডনি ই নষ্ট হয়ে গেছে। ১ ঘণ্টার মধ্যে ১টা কিডনি না পাওয়া গেলে খুশি মারা যাবে। খুশির বাবা প্রাণপণ চেষ্টা করে ও কিডনি ম্যানেজ করতে পারছে না।
- ডাক্তার সাহেব অপোরেশন থিয়েটারের মেয়েটিকে আমি কিডনি দিয়ে বাঁচাতে চাই। (আমি)
- আপনাদের মিটমাট হয়ে গেছে (ডাক্তার)
- নাহ... আর কাউকে প্লীজ বলবেন না আমি কিডনি দিয়েছি। প্লীজ বাবস্তা করুন(আমি)
- ওকে...নার্স সব বাবস্তা করুন (ডাক্তার)
আজ ৩ দিনপর খুশি এখন সুস্থ। কেউ জানেনা কিডনি কে দিয়েছে। খুশির বেস্টফ্রেন্ড রিয়া অনেক কষ্টে নার্সের কাছ থেকে জানতে পারে হৃদয় নামের কেউ একজন কিডনি দিয়েছে।
- খুশি তুই আসলেই অনেক ভাগ্যবতি রে। এমন ভাগ্য কয়জনের হয় বল (রিয়া)
- কি বলছিস? বুঝতে পারছি না(খুশি)
- আজকাল নিজের রক্তের সম্পর্ক থাকলেও কেউ কাউকে কিডনি দেয় না। আর তোকে ভালবাসে বলে তোকে বাঁচাতে নিজের কিডনি দিলো। তুই ই বল হৃদয়ের থেকে তোকে কেউ বেশি ভালোবাসতে পারে। আসলে কি জানিস তুই হয়তো হৃদয়ের ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যই নস(রিয়া)
- খুশির চোখ বয়ে টপটপ করে পানি পরতেছে। কিছুক্ষণ পর খুশি হৃদয়কে ফোন দেয়। একটু হসপিটালে আসতে পারবে প্লীজ কাঁদতে কাঁদতে বলল (খুশি)
- হৃদয় হসপিটালেই ছিল তাই ৫ মিনিট পর কেবিনের ভিতরে আসলো । খুশি এখনও কাঁদছে । কাঁদবেন না প্লীজ। তবুও খুশি কেঁদেই চলেছে । আপনি কাঁদুন আমি পরে আসি (হৃদয়)
- ঐ পাগল কই যাস আমাকে ছেড়ে । আমাকে ছেড়ে কোথাও গেলে খুন করে ফেলবো (খুশি)
- কোথাও যাবোনা পাগলী, কান্না বন্ধ করো (আমি)
- আমাকে ছেড়ে যাবে না তো কখনো? (খুশি)
- না , কখনো ছেড়ে যাবো না (আমি)
- আবার ১০০ বার কান ধরে উঠবস করো (খুশি)
- কেন?(আমি)
- আমাকে ৩ দিন ফোন দাওনি কেন এ জন্য (খুশি)
হৃদয় কান ধরে উঠবস করতেছে আর খুশির আব্বু আম্মু দরজায় দাড়িয়ে মুছকি হাসতেছে। তারপর হৃদয়ের আব্বু আম্মু ও খুশির আব্বু আম্মুর সম্মতিতে খুশি ও হৃদয়ের বিয়ে হয়। এরপর থেকে শুরু হলো তাদের একসাথে পথচলা। দোয়া করি তাদের ভালোবাসা আজীবন বেঁচে থাকুক।
........সমাপ্ত.......
বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ 😍