#গল্পঃজোর_করে_বিয়ে
#পর্বঃ০৫
🌹
(৪র্থ পর্বের পর থেকে)
তারপর আমি ফ্রেশ হয়ে বের হলাম,টেবিলে গিয়ে দেখি ঐশী টেবিলে খাবার নিয়ে বসে আছে। ও আমাকে খাবার বেড়ে দিলো,খাওয়ার সময় ও বলল আজকে কিন্তু আমাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে।
আমি বললাম ঠিক আছে যাব,একটা শর্তে। ঐশী:কি??
আমি:তোমাকে তাড়াতাড়ি রেডী হতে হবে। বলা দেরী আমার দিকে চোখ পাকিয়ে তাকাই বলে,ঐ আমি রেডী হতে দেরী করি??
আমি:না,তোমরা মেয়েরাতো রেডী হতে হতে ঘন্টা খানেক লাগিয়ে দাও,,এরকম করলে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে,মানে আর যাওয়া হবেনা বুঝলা।
হয়েছে হয়েছে তুমি তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও এখন,আমার রেডী হতে বেশিক্ষন লাগবেনা। আমি:হুম,,
তারপর আমি খেয়ে নেওয়ার পর ঐশী বলল যাও কিছুক্ষন রেস্ট নাও,এর মধ্যে আমি সবকিছু রেখে আসসি আর রেডী হয়ে নিচ্ছি।
তারপর আমি গিয়ে প্রথমে রেডী হয়ে নিলাম। একটা সাদার মধ্যে চেক ফুল শার্ট পড়লাম,শার্টের সাথে ম্যাচিং করে প্যান্ট পড়লাম,শার্টের হাতাগুলা কনুইয়ের একটু সামনে পর্যন্ত ফোল্ড করে নিলাম,চুলকে আমার স্টাইলে রাখলাম,শার্টকে বেল্টের ভিতরে গুঁজে দিয়ে ফিট করে দিলাম। হালকা একটু পারফিউম মেরে বের হয়ে আসলাম।
আমি বের হওয়ার সময় আমার পরী ডুকছিলো রুমে,ও রুমে এসে আমাকে দেখেই হা হয়ে গেল।
তারপর একটু রাগ দেখিয়ে বলল,,এই তুমি এত সেজেছো কেন যাতে মেয়েরা তাকিয়ে থাকে এর জন্য??আমি বললাম: আরে আমি কই এত সাজলাম,আমিতো ব্যাস রেডী হয়ে নিলাম।
ও বলে উঠল যদি কোনো মেয়ে আজ তোমার দিকে তাকাইছে তো তোমার খবর আছে।
আরে আজব তো কোনো মেয়ে আমার দিকে তাকালে এতে আমার কি দোষ।
🌹
তোমারই দোষ তোমাকে এত সুন্দর লাগতে হবে কেন,কথাটা বলে ও একটু মুচকি হাসলো।
আমি:এই কি বললা আমাকে সুন্দর লাগছে(একটু হেসে),,দেখোতো কত ভাগ্য তোমার,আমার মতো এতো স্মার্ট একটা ছেলেকে তুমি জামাই হিসেবে পাইছ(দুষ্টুমি হাসি দিয়ে)
-
ঐশী:হুম,আইছে আমার স্মার্ট জামাই(মুখ বাকিয়ে)
তারপর ও রেডী হতে গেল,আর আমি রুম থেকে বের হয়ে এসে টিভি দেখতে বসলাম।
একটু পর ঐশী রেডী হয়ে বেরিয়ে আসল। টিভি দেখছিলাম হঠাৎ করে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে তাকাতেই খুব বড়সড় একটা টাস্কি খেলাম,,আমার সামনে একটা নীল পরী দাঁড়িয়ে আছে😮
আমার পরীটা আজ একটা গাঢ় নীল শাড়ি পড়েছে,হাতে নীল কালারের চুড়ি,চোখে হালকা কাজল,চুল ছেড়ে দেওয়া। সব মিলিয়ে ওকে একটা নীল পরীর মতো লাগছে,,আমার পরীটাকে এত সুন্দর লাগছিলো যে বলে বুঝাতে পারবোনা😍। আমিতো ওর উপর থেকে চোখ সরাতেই পারছিলামনা।
কিছুক্ষন এভাবে থাকার পর,ঐশীর ডাকে আমার হুশ ফিরে এলো......
ঐশী:এমন করে কি দেখছো??(নিচু স্বরে)
-
আমি:আমার পরীকে দেখছি(মুচকি হেসে)
-
ঐশী:ইশশ,,আমার বুঝি লজ্জ্যা করেনা☺☺
তারপর আম্মুকে বলে আমরা দুজন বের হলাম।
🌹
একটা রিক্সা নিলাম,উদ্দেশ্য হলো নদীর পাড়ে যাব।
রিক্সা করে যাচ্ছি,ঐশী আমার একটা হাত জড়িয়ে ধরে বসে আছে,,খুব ভালো লাগছিলো। বাতাসে ওর চুলগুলো উড়িয়ে মুখের উপর নিয়ে আসছিল,,আর ও বারবার সেগুলোকে সামলিয়ে কানের দুই পাশে গুঁজে দিচ্ছিল।
ও জানতনা এতে করে হাওয়ায় চুল উড়াতে ওকে আরো বেশি সুন্দর দেখাচ্ছিলো। তাই এবার চুল ঠিক করার সময়, আমি আর ওকে ঠিক করতে দিলাম না,,ও আমার দিকে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকালে, বললাম থাক আমার কাছে খুব সুন্দর লাগছে।
তারপর আর কি,,আবার তার অবাধ্য চুলগুলো মুখের সামনে উড়ছিলো,আর আমি বারবার ওর দিকে তাকাচ্ছিলাম,,তাকাবোনা কেন, আমার পরীটাকে যে এভাবে খুব সু্ন্দর দেখাচ্ছিলো😍😍।
তারপর আমরা নদীর পাড়ে এসে পড়লাম,রিক্সা থেকে নেমে আমরা দুজনে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম।
বিকাল বেলা,সূর্য ডোবার কিছুক্ষন আগ মুহূর্তে আসলাম আমরা। এই পরিবেশে এই সময়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটা সবচাইতে বেশি সুন্দর লাগে।
আমরা পাড়ে কিছুক্ষন হাঁটাহাঁটি করলাম,ঐশী আমার হাত ধরে হাটছিলো,,তারপর একটা জায়গায় গিয়ে বসলাম।
কিছুক্ষন গল্প করার পর,দেখলাম সন্ধ্যা হতে আর বেশি দেরী নাই,,তাই বাড়িতে উঠে পড়লাম। ঐখান থেকে উঠে ঐশীর প্রিয় ফুসকা খেলাম,আর আম্মুর জন্যও ফুসকা নিলাম। তারপর আর একটা রিক্সা নিয়ে,সূর্য ডুবার পাঁচ মিনিট আগে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
🌹
বাড়িতে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেল,এসে ফ্রেশ হয়ে, আমরা সবাই একসাথে নাস্তা করে নিলাম।
নাস্তা শেষ করে, আমি মোবাইল নিয়ে বসলাম,, ফেবুতে ডুকলাম,তারপর আমার পেজ এ ডুকে গল্প লিখা শুরু করলাম। ঐশী এসে আমার পাশে বসল...
ঐশী:কি কর??
-
আমি:গল্প লিখছি,,
-
ঐশী:ও,,
-
আমি:জানো আমার না আর গল্প লিখতে ইচ্ছা করেনা,,
-
ঐশী:কেন??(অবাক হয়ে)
-
আমি:আর বলোনা আমার ব্যস্ততার কারনে, প্রায় দেড়মাস থেকে বেশি সময় আমি গল্প লিখতে পারি নাই,,কিন্তু এখন টাইম পাওয়ার পরও লিখতে মন চাচ্ছেনা
-
ঐশী:সেটা আবার কেন??
-
আমি:কারন এত বেশী সময় ধরে গল্প না লিখতে পারার কারনে হয়ত পাঠকরা আমাকে আর আমার গল্পকে ভুলে গেছে। আমার মনে হয় যেন আমার গল্পই এখন কেউ পড়েনা। কারন গল্পে যা লাইক কমেন্ট আসে, তা আগের চারভাগের একভাগ থেকেও অনেক কম হয়।যানো গত পর্ব লেখার পর, আমার গল্প লেখার ইচ্ছাটাই যেন মরে গেল।
-
ঐশী:আরে দূর বোকা তুমি অনেকদিন না লিখাতে এমন হইছে, তাই বলে কি তোমাকে কেউ মনে রাখে নাই,,এইযে গত পার্ট দেওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত বেশ কয়েক জনে তোমাকে নেক্সট পার্টের জন্য মেসেজ দিছে দেখলাম ওরাতো তোমাকে ঠিকই মনে রাখছে।
-
আমি:হুম,তাদের জন্যইতো আজ প্রায় সাত দিন পর আবার লিখছি,,
-
ঐশী:হুম,আর শুনো তুমি গল্প লেখা স্টপ করবানা,, তাহলে কিন্তু যারা তোমার গল্প পড়ে ওরা মনে কষ্ট পাবে।
-
আমি:হুম,,
-
ঐশী:আর তুমি নিয়মিত গল্প লেখার ট্রাই কর তাহলে ঠিকই গল্পে সাড়া পাবা।
-
আমি:হুম,তাই যেন হয়,, সাড়া পেলেতো অবশ্যই নিয়মিত গল্প লেখার জন্য চেষ্টা করবো।
-
ঐশী:হুম,,
🌹
চলবে......
0
3