গল্পঃগরীবের ভালবাসা
পর্বঃ০১
এক বন্ধুর বিয়েতে আসছি।আমরা সব বন্ধুরা মিলে।
বরপক্ষ আমরা। আসা মাত্রই খাওয়ার পর্ব শুরু হলো। খেতে বসলাম।
যাইহোক খাওয়ার সাথে আমার পরিচয়টা দেওয়া যাক
আমি আকাশ। ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। আজ আমার এক কলেজের বন্ধুর বিয়ে সেখানে আসছি। আমি বাবা মার একমাত্র সন্তান।
বাবা দিনমজুর। মা গৃহিনী।
যাইহোক মুল গল্পে আসা যাক। খাওয়ার পর্ব শেষে বরকে নিয়ে গেলো ভিতরে আমরা বাহিরে আছি। কয়েকজন বন্ধু মিলে আড্ডা দিতেছি।
এক বন্ধু বললো দোস্ত অসিম কিন্তু বেশ সুন্দর মেয়ে পাইছে।
ভালো মেয়ে পাইছে তো খুব ভালো কথা (আমি)
কিছুক্ষণ পরেই বর আর বধুকে নিয়ে বের হলো। এখন বাড়ি রওনা হবে।
বর আর বধুকে এক গাড়িতে দেওয়া হলো।আর বধুর বাড়ি থেকে ৪/৫ জন মেয়ে আসছে যাবে বরের বাড়ি কিন্তু ঐ গাড়িতে গেলোনা। আমাদের গাড়িতে উঠলো।
শালার বন্ধুরা ও আমাকে পেছনে ওদের সাথে বসিয়ে দিলো।
মেয়েদের মধ্যে থেকে একজন বললো.. ভাইয়া আপনি বরের কি হন
আমি বরের বন্ধু (আমি)
আরেকজন কি করেন আপনি ভাইয়া...
আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি(আমি)
আরেকজন বললো আপনার নামবার টা দিবেন...
জি নেন ০১৭৩৯*****৮(আমি)
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে (মেয়েরা)
এভাবে কিছু কথা হলো। বাড়িতে চলে আসছি। সবাই বর বৌকে নামাতে ব্যস্ত আমি অসিমকে বলে চলে আসবো কিন্তু
কিরে দোস্ত আমার বৌ না দেখে চলে যাবি (অসিম)
নারে দোস্ত তুই তো জানিস আমি কারোর বৌ দেখিনা প্লিজ জোর করিস না (আমি)
তারপর চলে এলাম। বাড়ি এসে সবকিছু চেন্জ করে বিশ্রাম নিলাম।
বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে গেছি। সকালে অসিমের ফোন
হ্যালো বল (আমি)
নে আম্মু কথা বলবে(অসিম)
আসসালামু আলাইকুম আন্টি কেমন আছেন(আমি)
ওয়ালাইকুম আসসালম। ভালো আছি। তুমি কেমন আছো বাবা(আন্টি)
জি আন্টি ভালো আছি (আমি)
কালকে আমাকে না বলে চলে গেলে কেন। তুমাকে ১০মিনিটের ভিতরে যেন আমাদের বাড়িতে পাই (আন্টি)
বলেই কেটে দিলো।
কি আর করা যাবে। আসলে আন্টি আমাকে নিজের ছেলের চেয়েও অনেক বেশি ভালবাসে।
তাই রেডি হয়ে আন্টিদের বাসায় গেলাম। গিয়ে দেখি সবাই খাবার নিয়ে বসে আছে।
তারাতারি আয় তোর জন্যই বসে আছি। (আন্টি)
আন্টি নতুন মেহমানদের এভাবে বসিয়ে রাখার কি দরকার ছিলো আপনারা শুরু করলেই তো হতো(আমি)
তুই এই পরিবারের একজন তাই তোকে ছারা কে খাবে (আন্টি)
তুমরা শুরু করো এখন (আন্টি)
তারপর সবাই খাওয়া শুরু করলো। আর আমাকে আন্টি নিজে এসে সবকিছু উঠিয়ে দিলো। খাওয়া শেষে।...
দোস্ত তোর ভাবি তোকে ডাকছে (অসিম)
আমাকে কি করতে ডাকছে (আমি)
আমি জানিনা (অসিম)
তারপর গেলাম। গিয়ে
আসবো (আমি)
জি আসুন(ভাবি)
কেমন আছেন ভাবি(আমি)
আলহামদুলিল্লাহ। আপনি কেমন আছেন(ভাবি)
জি ভালো আছি (আমি)
আমাকে ডাকছেন কেন (আমি)
এমনি একটু কথা ছিলো সেজন্য(ভাবি)
তাকিয়ে দেখলাম ভাবির বোনরা সবাই আছে তাই দারিয়ে থাকলাম।
আরে আকাশ বসো (ভাবি)
আপনি আমার নাম জানলেন কি করে (আমি)
তুমার বন্ধু সব বলছে (ভাবি)
তারপর
তোরা বাহিরে যা আমার আকাশের সাথে কথা আছে। (তার বোনদের চলে যেতে বললো ভাবি)
আকাশ তুমি যেমন অসিমের বন্ধু আমিও তুমার বন্ধু। কখনো আমায় পর ভেবোনা। আমি শুনেছি তুমি এবাড়ির একজন বা তার থেকেও বেশি। (ভাবি)
এসবই আমার বন্ধু আর আন্টির দোয়া (আমি)
তোমার মা বাবা কেমন আছে (ভাবি)
জি ভালো আছে (আমি)
ওনেক কথা হলো। এরপর চলে এলাম আন্টির কাছে।
আন্টি আমার কাজ আছে বাড়ি যেতে হবে (আমি)
কই যাবি কি কাজ (আন্টি)
বাবাকে খাবার দিতে যাবো জমিতে (আমি)
আচ্ছা যা বিকালে যেন ফোন দেওয়া না লাগে (আন্টি)
জি আন্টি আসি (আমি)
তারপর চলে এলাম। এসে মা খাবার দিলো বাবাকে দিতে গেলাম।
বাবা তুমার খাবার (আমি)
ওখানে রেখে যা (বাবা)
রেখে চলে এলাম।
এসে বাড়ির একটু কাজ করলাম। দুপুরে গোসল করে খাবার খেয়ে ঘুমালাম।
হঠাত আন্টির কল
আন্টি ঘুমিয়েছিলাম আসতেছি (আমি)
তারাতারি আয় একটু বাজারে যাবো (আন্টি)
তারাতারি গেলাম।
সবাই রেডি মার্কেটে যাবে।
গাড়িতে বসলাম। আমার পাশে নীলা বসছে। নীলা হচ্ছে অসিমের ছোট বোন।
মার্কেটে এসে সবাই জামাকাপড় কিনলো আন্টি আমাকে ও নিজে কিনে দিলো। তারপর আবার বাড়িতে চলে এলাম।
সন্ধার পরে...
আমি একটা টিউশনি করাই। সেখানে গেলাম। একটা মেয়েকে পড়াই। পড়ানো শেষে বাড়িতে আসতেছি তখনই অচেনা নামবার এর কল।
আসসালামু আলাইকুম কে বলছেন(আমি)
আমি মেঘা। আপনার ভাবি কথা বলবে (মেঘা ভাবির বোন)
আকাশ তুমাকে একটু দরকার (ভাবি)
আসতেছি ভাবি(আমি)
তারপর কেটে দিয়ে তারাতারি যাচ্ছি।
কাছে টাকা নাই তাই হেটেই যাচ্ছি।
প্রায় ১২ টা বেজে আসছে
আমিতো ঘরে ঢুকেই পুরো অবাক....
চলবে..........
waiting for next part..
(কেমন হলো জানাবেন)
0
5