গল্পঃবাবার_বিয়ে

0 1
Avatar for soyed
Written by
3 years ago

#গল্পঃবাবার_বিয়ে

#পর্বঃ০৩+৪ একসাথে

ক'দিন থেকে মায়ের শরীরটা ভালো না কিছু খাতে পারেনা বমি করে, মাঝে মঝে বুকে ব্যথা উঠে। বিকালে ডাক্তার চাচা মাকে দেখতে আসবে।

ওদিকে বড় আপু আমাদের চিন্তায় কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে গেছে।

মায়ের হৃদরোগের সমস্যা হইছে। ডাক্তার চাচা মাকে শহরে নিয়ে ভালো ডাক্তার দেখাতে বলেছে।

বাবা ব্যবসায় কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত মাকে নয়ে ডাক্তার দেখানোর সময় নাই অথচ আগে মায়ের সামান্য জ্বর হলেও চিৎকার চেঁচামেচি করে বাড়ি মাথার তুলতো মাকে জোড় করে ডাক্তার কাছে নিয়ে যেতে।

বাবা মায়ের প্রতি তোমার শেই ভালোবাস গেলো কোথায়..?

স্ত্রী প্রতি, সন্তানের প্রতি তোমার ভালোবাস এত তাড়াতাড়ি ভাগ গেলো।

ছোট আপু আর বড় মামাকে খবর দেওয়া হয়েছে আগামিকাল এসে মাকে ঢাকা নিয়ে যাবে।

আমারা চার বোন ভালো রেজাল্ট করলে বাবা খুসিতে এলাকা সবাইকে মিষ্টি খাওয়াতো । ছোট আপু কুয়েটে চান্স পেয়েছে বাবা হয়তো ভুলে গেছে সেই খুশিরর দিনগুলোর কথা।

আমার বার্ষিক পরীক্ষা চলছে আর দুইটা পরীক্ষা বাকি আছে তাই মায়ের সাথে ঢাকা যেতে পারবোনা।

মা বাসায় নেই এই সুজগে ছোট মা আমাকে দিয়ে বাড়ির সব কাজ করিয়েছে। বাড়িতে তিন জন কাজের লোক থাকা সত্বেও মশলা বাটা, কাপোড় ধোয়া, থালাবাটি ধোয়া, সমস্ত বাড়ির উঠান ঝাড়ু দেওয়াইছে।

বাবা তুমি তো একবার ও খোঁজ নিলেনা আমি কেমন আছি?? তুমি কি কিছু দেখোন আগেতো এক গ্লাস পানিও নিজের খেতে দিতে না।

শুনেছি মা মরলে বাপ হয় তালোই আর আমার মা থাকতে বাপ হইছে তালোই।

হাতের ঠোসকা পোরে গেছে ব্যথ্যায় জ্বর উঠছে। সারাদিন তেমন কিছু খাইনি শুধু দুপুরে কলা আর এক পিচ রুটি খেয়েছিলাম। অনেক রাত খুব খিদা পায়েছে খেতে গিয়ে দেখি আমার জন্য গুরা মাছের চরচোরি আর ডাল রাখা যা আমি খাই না রুমে এসে শুয়ে পড়লাম কিন্তু খিদায় ঘুম আসছে না।

আজ বুঝালাম খুদার জ্বালা কি কোন দিন না খেয়ে থাকিনি মা জোড় করে খায়িয়ে দিত। আগে রাতে মাঝে মাঝে ঘুমিয়ে পরতাম বাবা প্লেটে করে খাবার এনে ঘুম থাকে উঠিয়ে খায়িয়ে দিত। ঐ সব দিন গুলো এখন শুধু দীর্ঘশ্বাস আর স্মৃতি।

বার বার শুধু সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতাটা মনে পরছে।

হে মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়।

এবার কঠিন, কঠোর গদ্যে আনো।

পদ- ললত্য ঝাঙ্কার মুছে যাক।

প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধত।

কবিতা তোমায় দিলাম ছুটি

ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্নিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।

জমিলা খালা বুঝতে পেরেছিল আমার খুব খুধা লাকছে। উনি এসে আমাকে জিঙ্গেস করলো কি গো মা খিদা লাকছে।

--আমি মাথা নাড়ালাম।

-- বেডি একটা হারামি এত কোইরা কইলাম ছোট মনি গুরামাছ খায় না ওর জন্য ইলিশ মাছের বড় দুইডা টুকরা রাইখা দাও অসুস্থ সারাদিন ভাত খায়নায়। হারামি বেডি শুনলো না ইচ্ছা কইরা তোমার ঐ কুটনি ফুফুগো সব মাছ দিয়া ভাত খাওয়াইয়া দিল। আম্মাগো তুমি একটু অপেক্ষা কর আমি তোমার লইগা ভাত নিয়া আইতাছি।

জমিলা খালা ডিম ভাজি, বেগুন ভাজি করে আনছে নিজে হাতে আমাকে খায়িয়ে দিল। উনিতো আমার রক্তের কেউ না চারটা ছয়টা বছর আমাদের বাড়ি কাজ করে তার ও আমার প্রতি এত ভালোবাসা।

আমার হাতে রক্তপড়া দেখে কাঁদে দিছে দুই হাত ধরে অসখ্য চুমু খাইছে। শুধু একটা কথা বলতে ছিল আম্মাগো তোমারে দিয়া কাজ করতে মানা করছিলাম। মাগীর জি মাগী আমাগো সবাইরে ভয় দেহাইছে আমারা তোমার কাজ কইরা দিলে বাড়ি থেকে তাড়াইয়া দেবে। খিদার জ্বালা বড় জ্বালা অভাবের কাছে আমাগো হাত পা বাঁধা এই বুড়া বয়সে কোই জামু।

বাবা তোমার সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক আমার জন্মদাতা পিতা।

তোমার কি আমার জন্য একটুও মায়া লাগেনা...?

ভাইটা আমারে দেখলে খিল খিল করে হেসেদেয় দু'হাত বারিয়ে কোলে নিতে বলে।

সকালে আমাকে দেখে চাচির কোল থাকবে না । আমার কোলে আসছে কি যে খুশি ছোট মা দেখেই আমার কোল থেকে জোড় করে ভাইটাকে টেনে নিয়ে গেলো। মা আলাদা তাতে কি বাবা তো একি ও আমার রক্তের ভাই। আমাদের কি কোন অধিকার নেই ভাইটাকে কোলে নেবার।

ছোট মা ভোররাতে এসে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেছে কাজ করানোর জন্য। প্রতিবছর শিতের দিন খেজুরের রস দিয়ে গুড় বানায়। আজ গুর বানাবে বড় পাতিলে করে রস জালাচ্ছে। আমি দাঁড়িয়ে আছি ছোট মা এক জগ গরম রস এনে ইচ্ছা করে আমার পায়ের উপর ফেলে দিয়েছে।

আমি শুধু মাগো করে একটা চিৎকার দিছি তারপর আর কিছু মনে নেই।

আমার ডান পায়ের হাটু থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত চামড়া উঠে মাংস বেরিয়ে গেছে ব্যথায় কাতরাচ্ছি। কবিরাজ চাচা এসে কিসব ছাল বাকল দিয়ে পা বেঁধে দিয়ে গেছে।

মাগো তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসো দেখো তোমার ছোট মনিটার কি হাল করেছে। ওরা মেরে ফেলবে আমাকে।

মুক্তা আপা ছোট বেলা থেকে আমাদের বাসায় আছে ওনাকে কখন বাসার কাজের লোক হিসাবে দেখিনি। খুব ভালোবাসে আমাকে গত দুদিন ধরে এক গ্লাস পানি ও মুখে দেইনি আমি অসুস্থ তাই। আপুর একটা রেডিও আছে প্রতিদিন নয়টার সময়ে ঢাকা বেতারে ছায়াছবির গান হয় আমি বাসায় থাকলে মুক্তা আপুর সাথে বসে গান শুনু। শুয়ে থেকে ভালো লাকছে না আপুকে রেডিও ছাড়তে বলছি। আমি গান শুনতেছি আপু আমার পা পরিস্কার করে দিচ্ছে। রেডিও তে একটা গান হচ্ছে...

মন্দ হোকা আর ভালো হোক বাবা আমার বাবা পৃথিবীতে বাবা মত আর আছে কেবা।

স্বর্গের মত ছিল আমাদের ঘর যেখানে ছিল শুধু সোহাগ আর আদর।

সেই ঘর থেকে বাবা হারিয়ে গেলো আমার কপালে তাই দুঃখ এলো।

আজ বুঝেছি আমি বাবা কি ছিলো....

আমার খুব কষ্ট হচ্ছে বুক ফেটে কান্না আসছে চিৎকার করে কেঁদে আমার ও বলতে ইচ্ছা করছে..

ভালো হোক আর মন্দ হোক বাবা আমার বাবা পৃথিবীতে বাবার মত আর আছে কেবা।

চলবে

#গল্পঃবাবার বিয়ে

#পর্বঃ০৪

#লেখাঃনুসরাত মাহিন

মাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে তিন দিন ধরে সদর হাসপাতালে ভর্তি আছি।পায়ে পোড়া স্থানে ওসব ছাল বাকোল দেবার কারনে ইনফেক্সন হয়েছে। মাকে জানানো হয়নি আমি অসুস্থ। আমার পা পুড়ে গেছে খবর পেয়ে ছোট মামা এসে হাসপাতালে নিয়ে আসছে সাথে মুক্তা আপু আছে। মেঝো আপু নাইটের গাড়িতে চরেছে সকালের মধ্যে এখানে পৌছিয়ে যাবে।

বাবা শুধু মামাকে দশ হাজার টাকা দিয়ে কর্তব্য পালোন করতে চেয়েছিলো। মামা বাবার কাছ থেকে এক টাকাও নেয়নি। বাবা একটা বারের জন্য আমাকে দেখতেও আসেনি অথচ রায়হান স্যার এসে আমাকে দেখে গেছে।

খুব কষ্ট পেয়েছিলাম যখন বাবাকে বলেছি ছোট মা ইচ্ছা করে আমার পা পুড়িয়ে দিয়েছে বাবা আমার কথা বিশ্বাস করেনি ছোট মা যা বলেছে তাই বিশ্বাস করেছে। সংসারে অশান্তি লাগানোর জন্য নাকি এই কাজ করেছি বাবার সুখ দেখে আমাদের সহ্য হচ্ছে না।

একদিনে ডাক্তার, নার্সদের সাথে ভালো সম্পর্ক হয়ে গেছে সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে বিশেষ করে সাহেদ ভাই।

বড় আপু অনেক প্রকার খাবার রান্না করে পাঠিয়ে দিয়েছে জ্বর, শরীরে ব্যথার কারনে কিছুই খেতে পারিনা।

মেঝো আপুটার কষ্ট হচ্ছে আমার জন্য একটুও ঘুমাতে পারেনা দিন-রাত জেগে থাকে সেবা যত্ন করে ।

সাহেদ ভাইয়ের আপুকে অনেক পছন্দ হয়েছে মামার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। আপুর ও মনে হয় সাহেদ ভাইকে পছন্দ হয়েছে দেখলে মুচকি মুচকি হাসে।

আগামিকাল সকালে বাড়িতে যাবো। মা ঢাকাতে আছে এখনো বাড়ি আসেনি।

আপুর সাথে সাহেদ ভাইয়ের বিয়েটা ঠিক হয়ে গেছে। ছোট মা, চাচা ফুফুদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ওনারা কেউ খুসি হয়নি। উল্টা গ্রামে সবার কাছে বলে বেড়াচ্ছে কি মাইয়া দেখছো শহরে ডাক্তার দেখাইতে যাইয়া বেডা ধইরা আনছে। মিয়া ভাইরে বিয়া করাইয়া ভালো করছি। এই মাইয়ারা ভায়ের মানসম্মান কিছুই রাখবে না।

পায়ের ঘা কোমছে কিন্তু ঠিক মত হাটতে পারিনা। মা আমার এই অবস্থা দেখে চিৎকার করে কাঁদছে এর আগে মাকে এভাবে কাঁদতে দেখিনি। মা আমাকে চোখের আড়াল হতে দেয়না আমার রেজাল্ট দিয়েছে স্কুলে যেতে দেয়নি। মেঝো আপু আর মুক্তা গেছে রেজাল্ট আনতে। রেজাল্ট দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেছে তৃতীয় হয়েছি। আমি ক্লাসে কখন দ্বিতীয় হয়নি। আপু সাথে বাবার কথা কাটাকাটি হয়েছে কেন আমার প্রাইভেট টিচার রাখা বন্ধ করে দিয়েছিল। বাবা সাফ জানিয়ে দিয়েছে সে আমাদের পড়ালেখার পিছনে এক টাকাও খরচ করবে না ।

জেবা আপু (মেঝ আপা) বিয়ে উপলক্ষে আপুরা সবাই বাড়িতে এসেছে।

বড় দুলাভাই স্কুলে গিয়ে রায়হান স্যারকে ঠিক করে এসেছে আমাকে বাসায় এসে পড়ানোর জন্য।

আপুর বিয়েতে বাবা কোন খরচ দিতে পারবে না বাবার হাতে টাকা পয়সা নাই। অথচ দু'দিন আগে ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ভাইয়ের নামে তিন বিঘা জমি কিনে দিয়েছে। মামারাই আপুর বিয়ের সব ব্যবস্থা করেছে।

গতরাতে বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে নগদ তিন লাক্ষ টাকা আর আপুর বিয়ের গহনা ডাকাতেরা নিয়ে গেছে।

এত পাহারাদার থাকার পরেও ডাকাতরা কিভাবে ঘরে ঢুকলো আর দরজা খুললো কিভাবে..?

ঘরে ডাকাতি হবার সময় ছোট মার ভাই ঘরে ছিলোনা ওই সময় উনি কোথায় ছিলো। ডাকাতরা শুধু আপুর বিয়ের গহনা নিয়ে গেলো বাসায় তো ছোট মার স্বর্নের জিনিসপত্র ছিল তা নিলো না কেনো।

বাবার বিশ্বাস মা নাকি মামাদের দিয়ে লোক ভাড়া করে বাড়িতে ডাকাতি করিয়েছে। ৩৭ বছর সংসার করার বিনিময়ে মা পেলো মিথ্যা অপবাদ।

ফুপাতো ভাইয়েরা গিয়ে আপুর বিয়েটা ভেঙে দিয়ে এসেছে। এখন সাহেদ ভাইয়ের বাসার লোকেরা এ বিয়েতে রাজি না।

সাহেদ ভাই একাই এসেছে আপুকে বিয়ে করার জন্য। সাহেদ ভাই মায়ের কাছে হাত জোর করে আপুকে চাচ্ছে।

সাহেদ ভাই-- আমি জানি আপনারা খুব আশ্চর্য হচ্ছেন এত কিছুর পরেও কেন আমি বিয়েটা করতে চাচ্ছি। আমার ছয় বছর বয়সে মা মার যায়। বাবা আবার বিয়ে করে ঘরে আসে সৎ মা। সৎ মা কখনো আমাকে নিজের সন্তান হিসাবে মেনে নিতে পারিনি ঠিক মত খেতে দিতোনা, আমাকে দিয়ে বাড়ির কাজ করাতো। মাছ, মাংস রান্না করলে আমাকে খেতে দিতোনা। আমাকে দিত সাদা ভাত আর শুকনা মরিচ। জানেন একটু ভালো খাবার খাওয়ার জন্য নদীতে, পুকুর থেকে মাছ ধরে আনতাম। মাকে বলতাম মা আজকে আমাকে একটা বড় মাছ দিয়েন কিন্তু মা কোন সময় আমাকে একটা বড় মাছের টুকরা দিতো না বেছে বেছে সব থেকে ছোট মাছটা আমার প্লেটে দিও।

প্রতিবাদ করলে কপালে মাইর ছাড়া কিছু জোটতো না। কত দিন কত রাত না খেয়ে কাটিয়েছি তার ঠিক নাই। আব্বা দেখেও না দেখার ভান করে থাকতো।

আমি অনেক কষ্টে পড়ালেখা করেছি মানুষের বাড়ি কামলাগিরি ও করেছি।

এস এস সি পাশ করারা পরে নানা এসে আমাকে নিয়ে যায়। মামারা,খালারা মিলে আমার সব খরচ দেওয়া শুরু করে। আমি মেডিকেলে চান্স পাবার পরে সবার কাছ থেকে টাকা নেওয়া বন্ধ করে দেই টিউশনি করে নিজের খরচ নিজেই চালাতে শুরু করি। আমি জানি সৎ মায়ের জ্বালা কি..?

মেডিকেলে নিশিকে দেখে আমার খুব কষ্ট হয়েছিল। সৎ মায়েরা যে কি অত্যাচারী হয় যারা এর স্বিকার হয় তারাই একমাত্র জানে।

জানেন মা আমি যখন থেকে বুঝতে শিখেছি মনে মনে পণ করেছি কখনো দুটা সন্তান নেবো না কারন প্রথম সন্তানের ভালোবাসার ভাগ হয়ে যাবে। একটা বাচ্চা থাকলে পুরো ভালোবাসা, সম্পত্তি ও পাবে আর দুটা হলে অর্ধেক অর্ধেক। তাই আমি দুইটা সন্তান কখনো নেবো না।

মা জেবাকে আমি আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাই আমি কথা দিচ্ছি ওরে কোন দিন কষ্ট দেবো না। আমি আপনার ছেলে হতে চাই।

কোন অনুষ্ঠান ছাড়া এক কাপড়ে আপু বিয়েটা হয়ে গেলো। মায়ের গহনার চার ভাগ করে এক ভাগ জোর করে আপুকে দিয়ে দিয়েছে। মামারা চেয়েছিল আপুকে আসবাবপত্র বানিয়ে দিতে সাহেদ ভাই এক টাকার জিনিসপত্র নেবে না। বিয়ে করে ঐদিন রাতেই আপুকে নিয়ে চলেগেছে।

ছোট মায়ের বাবার বাড়ির লোকেরা আলাদীনের চেরাগ পেয়েছে। আগে দুইবেলা ঠিক মত ভাত খেতে পারতোনা এখন বাড়িতে দালানঘর তুলছে, জমি রেখেছে, বাজারে ফলের দোকান ও দিয়েছে। বাবার এখন চোখ থেকেও অন্ধ ।

আমাদের রাইসমিলটা বিপুল পরিমান লস হয়েছে বন্ধ হবার মত অবস্থা।

এদিকে ছোট মায়ের আবার বাচ্চা হবে। বাবা ইদানীং আমাদের রুমের কাছে রাতে ঘোরাঘুরি করে মায়ের সাতে ঘনিষ্ট হতে চায়।

স্কুলে টেষ্ট পরীক্ষা চলছে পরীক্ষা শেষে বাসায় এসে দেখি মা বিছানার পড়ে আছে সমস্ত শরীরে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ।

চলবে....

1
$ 0.00
Avatar for soyed
Written by
3 years ago

Comments