#গল্প_তুই_যে_শুধুই_আমার (পাগলের ভালোবাসা)
(পর্ব-5)
--বলেই বেটা আমার ঠোট তার ঠোট রেখে আমার ঠোটের ১২টা বাজাতে লাগলো!এতক্ষন থেকে এইটা বুঝলাম সে এই পাগলের কাছে থেকে আমাকে কেও বাচাতে পারবে না!
২০ মিনিট পরে আমাকে ছেড়ে দিলো!..(রিয়া)
--এইটা চুম্মা বুঝলে!
.
বলে শয়তানি হাসি দিয়ে বাইরে চলে গেল সজীব ! রিয়া সজীবের ড্রেস পরেই বাইরে আসলো!দেখে সজীব সোফার উপরে বসে টিভিতে খবর দেখছে!আর খবরে যেটা দেখছে সেটা রিয়াকে নিয়েই!মানে রিয়াকে দেখাচ্ছে,, আচ্ছা আপনারা হয়তো রিয়ার বেপারে কিছুই জানেন না!আচ্ছা চলুন জেনে আসি রিয়ার সর্ম্পকে!
.
আমি নিলান্তিকা আহমেদ রিয়া! বাবা মায়ের একমাএ রাজকন্যা আমার বাবা পুলিশ কমিশনার!আর পুলিশ হওয়ার কারনে আমাকে কিডন্যাপ করার কথা বলছে!
--শুনেন আমার বাবা একজন পুলিশ যদি আমার বাবা জানতে পারে তাহলে আপনাকে কখনোই ছাড়বে না!(রিয়া)
--সেটা জানার আগে তার একটা নাতীন হয়ে যাবে!(সজীব)
--মানে?(রিয়া)
--মানে আমার শশুড় জানার আগে আমাদের কিউট একটা মেয়ে হয়ে যাবে!(সজীব)
--আপনি কি পাগল?(রিয়া)
--কেন?(সজীব)
--এই যে আপনি সব সময় একটু !একটু না অনেক বেশীই বুঝেন!(রিয়া)
--হুম সেই জন্যিই তো তুমি আমার হলে!(সজীব)
--আল্লাহ গো কার কাছে আসলাম আমি!(রিয়া)
--আচ্ছা তোমার কি কি লাগবে বলো আমি এখন মার্কেটে যাবো!(সজীব)
--আমার কিছু লাগবে না!আমি বাসাই যাবো!(রিয়া)
--হুম সেটা তো যাবোই কিন্তু ১ বছর পরে!(সজীব)
--১ বছর পরে কেনো?(রিয়া)
--কারন আমাদের সাথে লতাও যাবে তাই!(সজীব)
--লতা কে?(রিয়া)
--ওই যে বললাম না আমাদের একটা কিউট মেয়ে হবে তার নাম রাখবো লতা!(সজীব)
--আল্লাহ গো!(রিয়া)
--কি হলো ?(সজীব)
--আমি পাগল হয়ে যাবো!(রিয়া)
--কিছুই হওয়া লাগবে না শুধু আমার হয়ে থাকলেই হবে!(রিয়া)
--আচ্ছা আপনি বাইরে যান তো আমি একটু একা থাকবো!(রিয়া)
--আচ্ছা তবে পালিয়ে যাইয়ার চেষ্টা করবে না !(সজীব)
--হুম যান এইবার আপনি!(রিয়া)
.
--তারপরে গুন্ডাটা চলে গেল!
আর আমি অন্যকোনো চিন্তা না করে বাসার মধ্যে ঘুরতে লাগলাম! এত বড় বাড়ি !রাতে তুলে এনেছিল তাই কিছুই বুঝতে পারি নাই !কিন্তু এখন বুঝতে পারছি! এইভাবে ২ ঘন্টা ধরে বাসার মধ্যে ঘুরতে লাগলাম!সন্ধ্যা হয়ে গেল কিন্তু গুন্ডাটা এখনো আসছে না কেন!ভয় লাগছে আমার!হঠাৎ কারেন্ট চলে গেল!
আমি তো ভয়ে শেষ এখন অন্ধকারে কিভাবে থাকবো!আর কিছু না ভেবে লাগলাম চিৎকার করে কান্না করতে!তখন শুনতে পেলাম বাইরে থেকে কে যেনো দরজা খুলছে আমি দৌড় দিয়ে তার কাছে গিয়ে তাকে জরিয়ে ধরে কান্না করেই যাচ্ছি!..(রিয়া)
--এই রিয়া!রিয়া!কি হয়েছে তোমার কান্না করছো কেন!(সজীব)
--তার কথা শুনে বুঝলাম এইটা সেই গুন্ডাটা!তাই আর কোনো ভয় লাগলো না!..(রিয়া)
--ওই কি হয়েছে তোমার?(সজীব)
--আপনি সেই কখন গেছেন আমার একা বাসাই থাকতে ভয় লাগে!(রিয়া)
--সেটা আমাকে আগে বলবে তো!(সজীব)
--আমি কোনো কিছু বললাম না!(রিয়া)
--আচ্ছা চলো ভিতরে এখন !(সজীব)
--তারপরে দুজনে ভিতরে চলে আসলাম ! এই দেখো তোমার জন্য কতকিছু নিয়ে এসেছি!(সজীব)
--আমার কিছুই লাগবে না!আমি বাসাই যাবো!(রিয়া)
--ওই চুপ আর একবার বাড়ির কথা বললে খুন করে ফেলবো!বলেই আমি রিয়ার গলা চেপে ধরলাম !রিয়া নিশ্বাস না নিতে পেরে কাশতে লাগলো! তখনই আমি রিয়াকে চেড়ে দিলাম,
দেখলাম রিয়া হাপাচ্ছে!চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে রিয়ার !
আমি দৌড় দিয়ে জল নিয়ে আসলাম! তারপর রিয়াকে জল খাওয়ি দিলাম। কি ভেবে যে কি করে ফেলি কিছুই বুঝতে পারি না ! কিছুটা দুরে গিয়ে কাচের টেবিলের উপরে বারি দিলাম সাথে সাথে আমার হাত কেটে অনেক রক্ত বের হতে লাগলো !তাও কোনো কিছু না দেখে দেওয়ালে আরও ঘুসি দিতে লাগলাম! তখনই রিয়া এসে...
.
--কি করছেন আপনি!আপনি কি পাগল হয়ে গেলেন!(রিয়া)
--এই হাত তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে তাই একে তো কষ্ট পাওয়াই লাগবে!বলে আবারো ঘুসি দিতে লাগলাম!..(সজীব)
--আমি তার হাত ধরে নিয়ে এসে সোফাই বসিয়ে দিলাম!
এইখানে বসেন আর বাসাই ড্রেসিনং করার কিছু আছে!(রিয়া)
--না লাগবে না!তুমি আগে বলো তুমি এই বাড়ি ছেড়ে কোথায় যাবে না?(সজীব)
--আপনি কি পাগল !প্লিজ বলেন কোথায় আছে এইসব কথা পরে বলেন(রিয়া)
--না তুমি আগে বলো তারপরে আমি বলছি(সজীব)
--আল্লাহ কোন ছেলের পাল্লাই পরলাম রে!(রিয়া)
--আগে বলতে বলছি!(সজীব)
--আচ্ছা আমি কোথাও যাবো না!এইবার বলেন!(রিয়া)
--সত্যি তো?(সজীব)
--পরের পর্বগুলো টাইমলাইনে আছে
--সত্যি,সত্যি,সত্যি ৩ সত্যি!(রিয়া)
--আচ্ছা এইবার আমাকে জরিয়ে ধরো!(সজীব)
--কি!আমি পারবো না!(রিয়া)
--তাহলে আমিও বলবো না!(সজীব)
--গুন্ডাটার রক্ত বের হয়েই যাচ্ছে কিন্তু তাই নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যথা নেই !আমিও আর কিছু না বলে তাকে জরিয়ে ধরলাম>>
…
.চলবে
0
5