ফাহমিদার বয়স ১৩ বছর ফাহমিদা গ্রামে থাকতো গ্রামের প্রকৃতি তার ভালো লাগতো। তার পাশাপাশি গ্রামের লোকজনকেও।
তার কাকারা ঢাকাতে বেশ কিছু বছর ধরেই আছে ।
ফাহমিদার আম্মু বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ।
হটাৎ করেই একদিন সে মারা গেলেন,ফাহমিদা খুব কাদতে লাগলো। কারন তার দেখাশোনার জন্য এখন তেমন কেউ নাই। কারন বাবা বছরে মাত্র ১০-১২ দিন গ্রামে থাকে বাকি দিন গুলো ব্যবসায়িক কাজে ঢাকাতেই থাকে।ফাহমিদার কাদা দেখে তার বাবাও নিজে খুব কষ্ট পেলেন।ফাহমিদার আম্মুর দাফনের কাজ শেষ করে আসার পর ফাহমিদাকে জরিয়ে ধরে খুব কাদলেন। তিনি ভাবলেন আমি তো বেশির ভাগ সময়ই ঢাকাতে থাকি আর তাহলে তো ওর দেখাশোনার কেউ থাকবে না। যদি একটা বিয়ে করে এখানে রেখে যেতে পারি তাহলে হয়তো তাহলে আমার স্ত্রী ফাহমিদাকে দেখাশোনার কাজ করবে। তাহলে আমারো টেনশন কম হবে। বেশ কিছুদিন পরে................
ফাহমিদাঃ আব্বু তুমি আবার কবে ঢাকাতে যাবা
আব্বুঃ আমি তো আজকেই যেতে পারি রে মা। কিন্তু আমি ভাবতেছি তোর কথা তোর কি হবে।
ফাহমিদাঃ আব্বু তুমি আমার কথা ভেবো না। আমি ঠিক থাকবো
আব্বুঃ নারে মা তোর জন্য একজন মানুষ লাগবেই যে তোকে দেখাশোনার কাজটা করতে পারবে কারন সমাজটা তো খুব ভালো না রে মা।
ফাহমিদাঃ আব্বু তাহলে কি করবে ভাবছো?
আব্বুঃ আমি তোর সাথে এই বিষয়েই কথা বলতে আসছি তুই যদি অনুমতি দিস তাহলে আমি আরেকটা বিয়ে করতে চাই। কারন তোকে তো বিয়ে দিতে হবে। আর তাছাড়া মা লাগেই।
ফাহমিদাঃ আব্বু তাই করো, কারন আমাকে হয়তো কিছুদিন পরে বিয়ে দিয়ে বিদায় করে দিবা হয়তো। কিন্তু তোমার বাকিটা জীবন সেবা করার জন্য হলেও তো একজন মানুষ লাগবে।
এই কথা শুনে আব্বু ফাহমিদাকে জরিয়ে ধরে অঝরে কাদতে লাগলেন।
১২ দিনের মাথায় আব্বু বিয়ে করে আনলেন।
আর সে রাতেই সে ফাহমিদা কে ডাকলেন তাদের রুমে আর তার নতুন স্ত্রীর হাত ধরে কেদে কেদে বললেন আমার এই একটা মাত্র মা মরা মেয়ে। আমি তো বেশিরভাগ সময়ই ঢাকাতে থাকি তুমি ওরে দেখে রাইখো । নতুন স্ত্রী কথা দিলেন যে সে তাকে দেখে রাখবেন।
৮ দিন পরে..............
বাবা কাজের জন্য ঢাকাতে গেলেন। ফাহমিদা ঘুমাচ্ছিল, তার নতুন অর্থাৎ সৎ মা তাকে ডাকলেন বললেন উঠো উঠে আমাকে একটু কাজে সাহাজ্য করো। ফাহমিদা তাকে নিজের মা মনে করে তার সাথে সকল কাজে সাহায্য করতো।ফাহমিদা খুব ভালো মেয়ে ছিলো।গ্রামের সব মুরুব্বিদের সম্মান করতো।
0
7