ফেইক আইডি

গল্প :- ফেইক আইডি

ডিপ্রেশন কমাতে ' Angel Nabila ' নামে একটা ফেইক আইডি খুলছি । আমার সেই ফেইক আইডিতে এক ছেলে মেসেজ দিলো

Yash :- নাবিলা কেমন আছো তুমি ?

Nabila :- একদম ভালো না, তুমি কেমন আছো ?

Yash :- আছি ভালোই তুমি কেন ভালো নেই ?

Nabila :- ও কিছু না বাদ দাও ঠিক হয়ে যাবে

Yash :- বলোনা কি হয়েছে

Nabila :- আমার ভালো লাগতেছে না, এই অসহ্য জীবন নিয়ে কিভাবে বেচে থাকবো কিছুই বুঝতে পারছি না ধ্যাত ভুল করলে মাফ করো বাই

বলেই আমি অফলাইনে গেলাম আমি জানি সেই ছেলেটা এখন অনেক মেসেজ দিবে ।। ২০ মিলিট পর অনলাইনের আসলাম যা ভাবছিলাম তাই ছেলেটা অনেক মেসেজ দিছে

Nabila :- হয়নি কিছু আমি ঠিক আছি কিছু মনে নিওনা

Yash :- আমায় কি তোমার বন্ধু মনে করো না?

Nabila :- হুম তাতো করি । তুমি আছো বলেই ফেসবুকে আছি

Yash :- তাহলে বলো কি হইছে ?

Nabila :- বাদ দাও তো, কি করো তুমি ?

Yash :- তুমি জদি না বলো তবে আমি কথা বলবো না প্লিজ নাবিলা বলোনা কি হইছে

Nabila :- বললাম তো কিছু না

Yash :- আচ্ছা বলতে হবে না

Nabila :- আচ্ছা বলতেছি, আসলে আমার বেশ কিছু টাকা দরকার, আব্বু কাছে ছেয়েছি দে নাই, বলল সে দিন তো দিলাম এখন আবার কিছের টাকা দরকার। কেমন টা৷ লাগে বলোতো

Yash :- এই ব্যপারে কেউ মন খারাপ করে ?

Nabila :- তুমি জানোনা টাকাটা আমার কত দরকার আমার এক বান্ধবীর বোনের বিয়ে, ওরা খুব গরিব আমি হেল্প করতে ছাই ছিলাম

Yash :-তোমার বান্ধবী মানে তো আমার ও বান্ধবী তাই না ? বলো কত টাকা লাগবে ?

Nabila :- আরে তুমি এসবে কেন নিজেকে জড়াচ্ছো ? বাদ দাও, বলো কি করছো এখন ?

Yash :- তুমি বলবে কি না ?

Nabila :- কি বলবো ?

Yash :- কত টাকা দরকার ?

Nabila :- দেখো এটা আমার বিষয় তোমার শুধু শুধু টাকা নষ্ট করে লাভ নেই, আর বমি বাবাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করবো। মাত্র দুই হাজার টাকা তো বাবা দিয়ে দিবে

Yash :- তার মানে দুই হাজার টাকা

Nabila :- ধ্যাত আমি বলেই দিলাম তোমাকে এই জন্য বলি এইসব বাদ দাও

Yash :- একটা কথা বলবো রাখবে ?

Nabila :- কি কথা

Yash :- বলো৷ রাখবে কি না

Nabila :- রাখবো

Yash :- তোমার বিকাশ নাম্বার টা দাও

Nabila :- মানে কি ? তুমি কি পাগল ? কি বলছো এই সব

Yash :- দেখো দিতে বলছি দাও

Nabila :- দেখো এসব পাগলামির কোন মানে হয় না

Yash :- তুমি যদি আমায় আপন বাবো তাহলে নাম্বার টা দাও আর যদি না দাও তাহলে বাই

মনে মনে বললাম, আমি তো এটাই চাই তাই দেরি না করে টুপ করে নাম্বার টা দিলাম কিছুক্ষন পর নাম্বারে দুই হাজার টাকা আসলো সাথে সাথে কল ও আসলো খাইছে রে কলটা তো কাটা যাবে না আমি ছকিনাকে ডেকে বিষয়টা বুঝিয়ে বললাম ছকিনা আমাদের বাসায় কাজ করে ছকিনা বল দরে বললো

ছকিনা ঃ- ইয়াস বাসায় আম্মু আছে

Yash :- ও আচ্ছা তোমার বয়েস তো খুব মিষ্টি

ছকিনা ঃ- ইসস তাই বুঝি ? তুমি এই মিষ্টি খাবে ?

Yash :- আমি তো তোমার সব কিছু খেতে চাই

ছকিনা ঃ- আচ্ছা মাজ রাতে কল দিবো নি যা খেতে মন চায় খেও ! এখন রাখ সোনা বাই

ছকিনা কলটা কেটে দিলো। আমি আহম্নাহ হয়ে গেলাম ছকিনা যে এতবড় খিলাডি আমি জানতাম না ওর৷ মাথায় ঠুয়া দিয়ে বললাম

আমি :- হারামি তোর কাছে আছে কি আর খাওয়াই বি কি ?

ছকিনা ঃ- ধুররর আফা পোলাডারে স্বান্তনা দিলাম

আমি ঃ- চল হোটেলে যাবো

ছকিনা আর আমি হোটেলে গেলাম দুজনে ৫ প্লেট বিরিয়ানি খেলাম। ছকিনাকে ৩০০ টাকা দিলাম বেছারি হেব্বি খুশি বাসায় এসে ছাদের রেলিং ধরে বসে আছি আর সাথে ছকিলা ও আছে দোতালা উপর থেকে মানুষের মাথায় ছ্যাপ দিচ্ছে ব্যাপারটা ভালো লাগছে। আসলে পকেটে টাকা থাকলে সব কিছু রঙ্গিন লাগে

( সমাপ্ত)