Ex যখন বেয়াইন
পর্বঃ১১
ইরা আমাকে ছেড়ে দিয়ে
ঠোঁটে ভালোবাসার ছোঁয়া দেয়ার
পর আমার থেকে উঠে চলে গেলো।
দিন দিন ইরার পাগলামো
বাড়তেই আছে।সব সময়
কানের কাছে এসে কথা বলবে।
হাজার বার বারণ করলেও
সেটা শোনার প্রয়োজন মনে
করে না।মাঝে মাঝে বিরক্তিকর
লাগলেও আবার কখনো না
চাইতেও ভালো লাগে।এভাবে
আরো দুদিন চলে গেলো।
ইরাকে এড়িয়ে চললে
বেশি বেশি বিরক্তি করে তাই
আর এড়িয়ে না গিয়ে টুকটাক
কথা বলি।
ছাদের এক কোনে দাঁড়িয়ে
আছি,খানিকদূরেই ইরা
দাঁড়িয়ে পাগলের মতো কথা
বলতেই আছে।
ইরাঃশুনো
আমিঃকি?
ইরাঃআমাকে এতো ভালোবাসো
কেনো?যদি হারিয়ে যায়।
আমিঃতোকে আবার কবে
ভালোবাসতে গেলাম।
ইরাঃতাহলে তোমার ফোনে
আমার ছবি দেয়া কেনো?
আমিঃএকসময়ের জন্য ছিলো
পরে আর চেঞ্জ করার সময়
পায়নি।তাই ওভাবেই আছে।
ইরাঃমিথ্যা,আমার সাথে
ব্রেকআপ করার পরেও
কয়েকদিন তোমার কাছে
ফোন ছিলো।কই তখন তো
কিছু করো নাই।
আমিঃআজাইরা
ইরাঃআজাইরা না সত্যি
আমিঃমিথ্যা,তোকে আর ভালোবাসি
না।কিছুদিন পর আবার চলে যাবো
ইরাঃভালো না ভাসলে ফেবুতে
রিলেশন স্ট্যাটাস দেয়া কেনো?
আমিঃঅন্য কাউকে লাভ করি
ইরাঃকুত্তা😤
মারার জন্য আসতেই ধাক্কা
দিয়ে দূরে ঠেলে দিলাম।
—তুই এখানে?
হঠাৎ কারো কথার আওয়াজ
শুনতে পেয়ে সামনে দেখতেই
দেখলাম সাইফ দাঁড়িয়ে আছে।
আমিঃতোর হয়ে মারামারি
করার জন্য পার্টনার আসছে।
ইরাঃতুহিনন
আমিঃআমি কি?
সাইফঃতোর সাথে আমার
কিছু কথা আছে।
আমিঃসরি আপনি কে?
সাইফঃতুহিন আমি মজা
করছি না।আমি সিরিয়াস।
আমিঃতো আমি কি করতে
পাড়ি। তোর সাথে আমার
কোনো কথা তো থাকতে
পারে না।ভালো থাকিস।
পাশ কাটিয়ে আসতে যাবো
তখন সাইফ হাত ধরলো।
আমিঃবলছি না কথা বলার
ইচ্ছা অনেক আগেই শেষ
হয়ে গেছে(ধাক্কা দিয়ে)
সাইফঃআমি সরি সেদিনের
জন্য।আমি তোদের সম্পর্কে
কিছুই জানতাম না।আর
তুই নিজেও কখনো আমাদের
বলিস নাই।
আমিঃযে বন্ধু সবার সামনে
হুমকি দেয় তাকে আলাদাভাবে
বললে তো হয়তো মারার জন্য
প্ল্যান অবধি করতো।
সাইফঃআমি সরি
আমিঃবাট ইট'স নট ওকে
ওদের আর কোনো কথা
না শুনে চলে আসতে
লাগলাম।কিন্তু সেটা আর
হয়ে উঠলো না।ইরা
দৌড়ে এসে পেছন থেকে
কাদে উঠলো।ক্ষত স্থানে
ব্যথা পেলেও দাত চেপে
সহ্য করে নিলাম।
ইরাঃবাবু প্লিজ আমার
ভাইটাকে ক্ষমা করে দাও
আমিঃতুই কে যে তোর
কথা শুনবো?
ইরাঃআমি তোমার বউ তাই
আমিঃবউ হতে যোগ্যতা অর্জন
করতে হয়।যেটা তোর মধ্যে
নাই।আর তোকে কখনো আমি
বিয়ে কেনো,দুবার রিলেশনেই
যাবো না।
ইরাঃআই লাভ ইউ
আমিঃআই হেট ইউ
ইরাঃসঠিক উত্তর না
দিলে তোমার থেকে নামবো না।
মেজান একদম খারাপ হয়ে
গেলো।মন চাইছি এখনি ছাদ
থেকে লাফ দেয়।ভাবির থেকে
শুনেছি তাদের বাসার সাথেই
একটা পুকুর আছে।ছাদের
পেছনের দিকে যেতেই দেখলাম
পুকুরটা একদম ভবনের সাথেই।
আমিঃকাদে থেকে নাম, না
হলে পুকুরে ফেলে দেবো।
ইরাঃদাও তবুও ছাড়বো না
আমিঃসত্যি ফেলে দিবো।
ইরাঃতো দাও
আমিঃতোকে ভালোভাবে বলে
কোনো লাভ নাই।
ছাদের রিলের উপর উঠে
দাঁড়াতেই সাইফ বলল...
সাইফঃকি করছিস এসব?
আমিঃসুইসাইড করবো।
খুব তো বোনকে ভালোবাসিস।
চাইলে এখনো ছাড়িয়ে
নিতে পাড়িস।
ইরাঃনা, তুই আসবি না।
মরলে মরবো তবুও না।
সাইফঃতুহিন ইরা কিন্তু
সাতার জানে না।
আমিঃতাতে আমার কি?
আর কোনো কথা না বাড়িয়ে
ছাদ থেকে লাফ দিতেই
ইরা অনেক জোড়ে চিৎকার
করে উঠলো। কয়েক সেকেন্ডের
মধ্যেই দুজন পুকুরে পড়লাম।
ভাগ্য অনেক ভালো অনেক
পানি ছিলো।ইরা আমাকে
ছেড়ে দিয়ে বাচার জন্য
জলের মধ্যে নাকানি চোবানি
খেতে ব্যস্ত।কিছু সময়
ইরাকে এমন কষ্ট পেতে
দেখে ভালোই লাগছিলো।
যখন দেখলাম ইরার
হাত আর কাজ করছে না
তখন এক হাত দিয়ে
ইরাকে সামান্য করে
উঁচু করে পাড়ে নিয়ে আসলাম।
চোখগুলো একদম ছানা বড়
হয়ে গেছে।পা দুটোকে হাত
ধরে চেপে বার বার কাশি
ফেলছে।হয়তো একটু পানিও
খেয়েছে। না চাইতেও মুখের
কোনে হাসি ফুটে উঠলো।
তবে ইরার এদিকে
কোনো চিন্তা নেই।মাথা
নিচে করে বসে আছে।
-------------------------------------------------
এমন করে কিছু সময় থাকতেই
সাইফ আসলো।আসার সাথেই
শুরু হলো তার জ্ঞান দেয়া।
সাইফঃতোকে বললাম না
ইরা সাতার জানে না।
তারপরেও কেনো ওকে নিয়ে
ঝাপ দিতে হবে।তুই মরবি
মর।ওকে সাথে নেয়ার কি
দরকার আছে,যদি ওর
একটা কিছু হয়ে যেতো।
আমিঃতোর বোনকে আমি
না।সে নিজেই আসছে
আমার কাছে মরার জন্য।
সাইফঃতুই আসলেই মানুষই না
এটুকু বলেই ইরাকে ধরে
নিয়ে যেতে লাগলো।
আমিঃঅনেক ভালো মানিয়েছে।
আফিয়ার সাথে ব্রেকআপ
করে নতুন করে রিলশনে
যা।আমি তোর হয়ে আফিয়ার
থেকে সরি বলে নেবো।
সাইফঃঅনেক হয়েছে আর
না।কি ভাবিস নিজেকে,
অনেক বড়?সালা তুই
আমার ফ্রেন্ড বলেই বার
বার বেচে যাচ্ছিস।না
হলে তোকে...(কলার ধরে)
আমিঃআমাকে কি?
সাইফঃযা এখান থেকে(ধাক্কা দিয়ে)
আমিঃহাহাহাহা
আমার দিকে আর না
ফিরে ওরা দুজন চলে
গেলো।
---------------------------------------------
বাইরে না থেকে বাসার
ভিতরে গিয়ে দেখলাম
সবাই ইরাকে ঘিরে
রাখছে।রুমে যাওয়ার
সময় কিছু একটা কথা
কানে আসতেই থেমে গেলাম।
আন্টিঃতুই সাতার না জানার
পরেও কেনো পুকুরে যাস?
সাইফঃওর ইচ্ছাতে পুকুরে
পড়ে নাই।
আন্টিঃমানে?
সাইফঃওকে নিয়ে পুকুরে
ঝাপ দেয়া হয়েছে।
আন্টিঃকে সে?
সাইফঃকে আবার,তোমাদের
জামাইয়ের ছোট ভাই।
ভাবিঃতুহিন তুই এখানে?
আমিঃতোমার খালাতো ভাইয়ের
কথা শুনছিলাম।
ভাবিঃআমার সাথে চল।
হাত ধরে উপরে যাওয়ার
সময় ইরা বলল,,
ইরাঃনিজের বোনকে
রেখে ঐ ছেলেটার যত্ন নেয়া
হচ্ছে তাই না...!
ভাবিঃতুহিন আমার দেবর হয়।
ওর কোনো সমস্যা মানে
আমার পরিবারের আর আমার
পরিবার মানে আমার।
ইরাহতুই ঐ ছেলের জন্য
আমাদের পর করছিস?
ভাবিঃকাউকে পর করছি না।
তুহিনের সাথে আমার কথা
আছে। তাই তোর ড্রামা বাদ
দিয়ে চুপ করে থাক।
ইরাঃতুই অচেনা ঐ বাজে ছেলের
জন্য তুই আমাকে অপমান
করে কথা বলছিস?
ভাবিঃঠাসসস তুহিন অচেনা
বাজে ছেলে না।তুহিন বলতে
গেলে আমার ছোট ভাই।আর
ওকে কেউ কিছু বললে তাকে
আমি ছেড়ে কথা বলবো না।
আর কখনো যদি ওকে বাজে
কথা বলিস তাহলে আমার
থেকে খারাপ অন্য কেউ
হবে না।তুহিন চল
হাত ধরে টানতে টানতে রুমে
নিয়ে আসলো।
আমিঃওর সাথে....
ভাবিঃগোসল করে নে আগে
আমিঃওকে
বাথরুমে গিয়ে গোসল করে
প্যান্ট আর টিশার্ট পড়ে
বাইরে আসলাম।
ভাবিঃকি হয়েছিলো?
আমিঃআসলে ভাবি ওর
কোনো দোষ নেই।আমি
নিজেই ওর সাথে বাজে
ব্যবহার করেছি।
ভাবিঃকি হয়েছিলো আমি
সেটা জানতে চেয়েছি।
প্রথম থেকে খুলে সব ভাবিকে
বুঝিয়ে বললাম।
ভাবিঃতোদের মাঝে সাইফ
আসলো কি করে?
আমিঃজানিনা,হুট করেই
ছাদে চলে আসে।
ভাবিঃঠিক আছে এখন
খেতে চল।তারপর ঘুমাস।
আমিঃখেতে আর ভালো
লাগছে না।তোমরা খেয়ে নাও
ভাবিঃথাপ্পড় দিয়ে গাল লাল
করে দেবো।আমার সাথে চল।
আমিঃভাবি পরে খাবো।
ভাবিঃস্কুটার চালাতে পাড়িস?
আমিঃবাইক চালাতে পাড়ি
আর লেডিস বাইক পাড়বো না?
ভাবিঃচল তাহলে।
আমিঃকোথায়?
ভাবিঃআমার ফেভারিট জায়গায়।
আমিঃএখন?
ভাবিঃনা কাল গাধা,চল তোর
ভাইকে কল করে ওকে আসতে
বলে দেয়।
আমিঃওকে
বসে না থেকে ভাবির পিছে
পিছে আসতে লাগলাম।
তবে মাথার মধ্যে ইরার
কথাগুলো ঘুরছে।হঠাৎ
করেই এতোটা বদলাতে কিভাবে
পাড়ে।একটু বেশিই ভয় দেখালাম
নাতো..?নিজেই নিজেকে প্রশ্ন
করছি।বাট কোনো উত্তর
পাওয়ার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছি না।
হঠাৎ আঙ্কেলের কথা কানে
আসতেই উনার দিকে তাকালাম।
আঙ্কেলঃকোথায় বের হচ্ছিস?
ভাবিঃস্বপ্নের রাজ্যে।
আঙ্কেলঃতারাতারি আসিস
ভাবিঃঠিক আছে বাবা।
আঙ্কেলঃআর মা শোন
ভাবিঃহ্যা বাবা বলো
আঙ্কেলঃতুই তো জানিস
ইরা কেমন,তাই বলছি
ওর সাথে রেগে না থেকে
পিচ্চি ভেবে ভুলে যা।
ভাবিঃআমি জানি বাবা
আঙ্কেলঃসাবধানে যাস
ভাবিঃহুম
ভাবির সাথে বাসায় বাইরে
এসে স্কুটি স্টার্ট করে বললাম,,,
আমিঃভাবি কাল আমি বাসায়
চলে যেতে চাইছি।
ভাবিঃকেনো,এখানে কি সমস্যা?
আমিঃকলেজ খুলছে অনেক
দিন হলো।এখন তো ক্লাস করতে হবে।
ভাবিঃতাহলে আমি এক সপ্তাহ
ছুটির কি হবে?
আমিঃতুমি থেকে যাও
ভাবিঃসেটার দরকার নেই।
তুই আর মাত্র ৩দিন থাকবি
তাহলে আমার ছুটিও শেষ
হবে।বাসায়ও যাওয়া হবে।
আমিঃওকে
------------------------------------------------------
ভাবির সাথে কথা বলতে
বলতে ভাবির স্বপ্নের রাজ্যে
আসলাম।যদিও এটার নাম
সুইচ গেট তবে তার কাছে
স্বপ্নের রাজ্য।কেনো সেটা
ভাবিই বলতে পাড়বে।
দুজন বসে কথা বলার
পাশাপাশি বাদাম খাচ্ছি
তখনি পুলিশের গাড়ির
শব্দ পেলাম।
আমিঃতোমার পাগল বর
ছাড়া অন্য কেউ হবে না।
ভাবিঃমাইর খাবি কিন্তু
আমিঃএতো সুন্দর জায়গাতেও
তার নাকি পুলিশের ইউনিফর্ম
পড়ে আসতে হবে।
দুজনের কথা বলার মাঝে
ভাইয়া আসলো।
ভাবিঃদাড়িয়ে রইলে যে?
ভাইয়াঃবেঞ্চে গিয়ে বসি?
ভাবিঃকোনো দরকার নেই
তুমি এখানেই বসবে।
ভাইয়াঃতুমিও ওর মতো হয়ে
যাচ্ছো দিন দিন।
ভাবিঃকোনো সমস্যা নেই।বসো তুমি
ভাইয়াঃহুম
না চাইতেও ভাইয়া ঘাসের
উপর বসলো।
আমিঃতুই সামান্য এখানে
বসতেই এমন করছিস।আর
কিছু কিছু মানুষ নিজের
জীবনের মায়া ত্যাগ করে
দেশের জন্য কতো কি করে
কই তারা তো এমন করে না।
ভাইয়াঃকারা করে এমন?
আমিঃঅনেকেই করে।তোকে
বললে যেটা বিশ্বাস করবি না।
ভাইয়াঃহুম
ভাবিঃতুমি এদিকে কোথায়
আসছিলে যে এতো তাড়াতাড়ি?
ভাইয়াঃএকটা থানায় কাজ ছিলো
সেটা শেষ করে আসলাম।
ভাবিঃওহ
সবাই মিলে কিছু সময়
ঘুরাঘুরি করে সূর্যাস্ত দেখে
ভাবিকে নিয়ে বাসার দিকে
রওনা দিলাম আর ভাইয়া তার
টিম নিয়ে অন্যদিকে
পরেরদিন,,,,,,
ভাবি, ইরা আর আমি
মিলে শপিং এ বের হলাম।
যদিও সাইফকে আন্টি নিয়ে
যেতে বলছিলো কিন্তু ভাবি
তাকে সরাসরি না করে দেয়।
সবাই মিলে শপিং করছিলাম
তখন ভাবির ফোনে কল
আসাতে একটু দূরে চলে
গেলো।ইরা নিজের মতো
সব কেনাকাটা করছে আর
এদিকে আমি চুপচাপ বসে
ওর শপিং করা দেখছি।হঠাৎ
করেই তখন গতকালকের
ঘটনা মনে হতেই বললাম,,
আমিঃসরি
ইরাঃসরি..!কেনো?
আমিঃগতকাল ওমন করা
আমার ঠিক হয়নি।
ইরাঃতো কেনো করছিলি?
আমিঃসরি বলছি তো
ইরাঃতুই কি ভেবেছিস
তুই এমন এমন ব্যবহার করবি
আর সব কিছুর জন্য আমি
তোকে ক্ষমা করে দেবো।
খুব সহজ তাই না।
আমিঃহুম তাই
ইরাঃতোর সাথে কথা
বলার আমার একদম ইচ্ছা নাই
আমিঃবাট আমার আছে।
ইরাঃআপু যে কোথায় গেলো
উঠে একদিকে হাটতে শুরু
করে দিলো।তবে কেনো
জানি মনে হচ্ছে ইরার
রাগ ভাঙাতে হবে।তাই হাত
ধরে কাছে টান দিলাম।
আমিঃকোথায় যাচ্ছো
ইরাঃহাত ছাড়
আমিঃছাড়ার জন্য তো ধরিনি
ইরাঃঠাসস লজ্জা করে না
একটা মেয়ের হাত ধরতে।
বাসায় মা বোন নেই।মেয়ে
দেখলেই তাদের হাত ধরতে
ইচ্ছা করে তাই না।
—আপু কি করেছে ছেলে?
ইরাঃআমাকে বিরক্তি করছে
—কিরে মেয়ে দেখলেই হিরো
হতে ইচ্ছা করে তাই না।
আমিঃআপনারা আপনাদের কাজ
করুণ। আমরা দুজন দুজনকে
অনেক ভালো করেই চিনি।
—আপু আপনি ওকে চেনেন?
ইরাঃনা
—কিরে খুব তো বলছিলি চিনিস
এখন তোকে তো দেখছি উত্তম
মাধ্যম দিতে হবে।
আমিঃপরে তোকে আফসোস
করতে হবে।তুই আমাকে ফিরিয়ে
দিলি সেটাও সবার সামনে।
-------------------------------------------------------
এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে না থেকে
সোজা বাসায় চলে আসলাম।
এরপরেও ওদের বাসায় যাওয়ার
কোনো মানেই হয়না।অনেকটা
পথ জার্নি করার পরেও কোনো
বিশ্রাম না নিয়ে রুমে এসে ড্রেস
প্যাক করতে লাগলাম।আবারো
হোস্টেলে চলে যাবো।বাসায়
থেকে শুধু শুধু ঝামেলা করে
কোনো লাভ হবে না।ড্রেস
প্যাক করার সময় আম্মু
রুমে আসলো।
আম্মুঃএভাবে হুট করে চল
আসলি যে?
আমিঃভালো লাগছিলো না
আম্মুঃঅরিতা আসেনি?
আমিঃনা
আম্মুঃকোথায় যাবি,ড্রেস
গোছাচ্ছিস কেনো?
আমিঃহোস্টেলে যাবো
আম্মুঃকেনো?
আমিঃপড়াশোনা করার জন্য।
আম্মু আমাকে আর কিছু
না বলে ভাইয়াকে ডেকে আনলো।
ভাইয়াঃকোথাও যেতে হবে না,
কলেজ থেকে অনেক আগেই
তোর জন্য টিসি নেয়া হয়েছে।
আমিঃতোকে আনতে বলছে কে?
ভাইয়াঃতোর সাথে আমার
কিছু কথা আছে, আলাদা।
আমিঃবল
ভাইয়াঃআলাদাভাবে
আমিঃকোথায় যেতে হবে?
ভাইয়াঃছাদে চল
আমিঃএখানে বললে কি সমস্যা?
ভাইয়াঃসমস্যা আমার না,
সমস্যা তোর হবে।
আমিঃমেজাজটাই খারাপ করে দিস
ভাইয়াঃতুই চল
আমিঃহুম
ভাইয়ার সাথে ছাদে আসার
পর ভাইয়া চুপ করে আছে।
মাথা নিচু করে কিছু একটা
ভাবছে।যেটা তার চেহারা
দেখে ঠিকিই বোঝা যাচ্ছিলো।
আমিঃকি হলো বল
ভাইয়াঃতুই ওখানে যাওয়ার
পর কি কি করতি?
আমিঃপড়াশোনা করতাম
ভাইয়াঃআর কি করতি?
আমিঃআর....
ভাইয়াঃথামলি কেনো বল
আমিঃইরার সাথে প্রেম করতাম
ভাইয়াঃআমি মজা করছি না
আমিঃসত্যি বলছি
ভাইয়াঃআমাদের থেকে কেনো
লুকাইলি। হ্যা আমাকে তুই
সহ্য করতে পাড়িস না।কিন্তু
আব্বু আম্মু উনাদের তো
একবারও বলতে পারতি।
আমিঃআরে কি বলবো?
ভাইয়াঃতুই জানিস না?
আমিঃনা
মুখে এক চিলতে হাসি
দিয়ে পকেটে হাত দিলো।
ভাইয়াঃভেবেছিস আমি কিছুই
জানিনা তাই না।
আমিঃকি?
ভাইয়াঃকি এটা?
আমিঃতুই কোথায় পেলি?😳
ভাইয়াঃবাংলাদেশ............?
চলবে...........
(সিক্রেট জানাবো)
পরের পর্ব আমি এমনি দিব তাই বলছি আপ্নেরা next না লিখে nice বা আপনার নিজের মতো মন্তব্য করুন
আর বেশি করে লাইক কমেন্ট করুন
0
3