♥♥EX গার্লফ্রেন্ড এর মেয়ে যখন বউ♥♥
পর্ব:৩
আমি -- ঠিক আছে
আন্টি চলে গেলো।
বাসাটা ভালো মতো করে দেখতে দেখতো একটা রুমের কাছে গেলাম।
দরজা খোলা ছিল ভিতরে যা দেখলাম আমি অবাক হয়ে এক ধ্যানে দাড়িয়ে রইলাম।
আমি কি দেখলাম জানেন,
একটা ডানা কাটা পরি রুমের ভিতর
টাওয়াল জড়িয়ে ফ্রেস হয়ে বের হচ্ছিলো আমাকে দেখতে পারেনি।
আহা কি তার দেহের আকৃতি বলে আপনাদের বোঝাতে পারবো না।
সবচেয়ে তার কাধের মাঝ খানের তিলটা আমায় বেশি আকৃষ্ট করছে।
( যারা দেখেছি তারাই জানে আমি কখনও দেখেনি তাই বেশি কিছু জানি না)
এক ধ্যানে তাকিয়ে রয়েছি।
হঠাৎ আমার মোবাইলে একটা কল আসলো।
রিংটনের শব্দে মেয়েটি পিছন ফিরে তাকালো।
আমি তো অবাক এটা তো সকালের সেই ঝগরাটে মেয়ে তামান্না।
আমাকে দেখে সে রাগের চোটে নিজের অবস্তা ভুলে।
আর আমার কাছে এসে। রাগ দেখিয়ে
তামান্না -- ফাজিল ছেলে তুই আমার রুমে কিভাবে এলি।
আমার সাথে আবার ঝগড়া করার জন্য আমার পিছনে লেগেছিস।
দাড়া তোর এক দিন কি আমার একদিন
আমি -- আরে বেশি কথা না বলে নিজের দিকে তাকান।
নিজে কি অবস্তায় আছে তার দিকে নজর না দিয়ে এসেছেন আমার সাথে ঝগড়া করতে।
তামান্না নিজের দিকে তাকিয়ে
আআআআআআ
আআআআআ
চিৎকার দিয়ে দরজা টা লাগিয়ে দিল।
আমি সঙ্গে সঙ্গে দিলাম একটা দৌড়। দৌড় দিয়ে সোজা আমার রুমে চলে আসলাম।
অন্য দিকে তামান্নার চিৎকার শুনে আন্টি গেলো তামান্নার রুমের কাছে। দরজা ধাক্কা দিয়ে
আন্টি -- তামান্না দরজা খোল,দরজা খোল।। তোর কি হলো, চিৎকার দিলি কেন,,,
তামান্না -- রুমের ভিতর থেকে।।আম্মু তেলাপোকা দেখে চিৎকার দিছি।
আন্টি -- এতো বড় হলি এখনো তেলাপোকা দেখে ভয় পাস।পাগলি আমার,
বলতে বলতে চলে গেলো।
তামান্না, রেডি হয়ে রাতের খাবার খেতে গেলো।
কিছুক্ষন পরে আমি গেলাম খেতে।
খেতে বসার সময় দেখলাম তামান্না ও খেতে বসেছে।আমাকে সে দেখেনি।
আন্টি -- বসো বাবা খেতে বসো।তোমাকে সেই সময় আমাদের এখানে থাকতে বললাম।তুমি কোথায় চলে গেলে।
আমি -- আসলে আন্টি।সেই সময় আমার একটা জরুরি কাজ ছিল তাই, আবার রুমে যেতে হয়েছিল।
আন্টি -- ওহ। তোমায় পরিচয় করিয়ে দিই বাবা এ তামান্না আমার এক মাত্র মেয়ে, এবার অর্নাস এ পরে।
আমি -- এ ফাজিল মেয়েকে আপনার পরিচয় করিয়ে দেওয়া লাগবে না।ও যা করছে আজকে। তা থেকে আমি এমনিই বুঝতে পারছি।এটা এই বাড়ির মেয়ে ( মনে মনে)
আন্টি -- বাবা সজিব কি ভাবতেছো।
আমি//কিছু না তো আন্টি।
আন্টি -- তামান্না ও হচ্ছে সজিব । আমাদের বাসায় আজ থেকে ওরা থাকবে।
তামান্না//ওহ(,মনে মনে সালা সকালে আমারে থাপ্পর দেওয়া।আবার আমার রুমে যাওয়া তোকে আস্তে আস্তে আমি শেষ করে দেব।যানিস না এই তামান্না কি জিনিস)
আমি -- হায় আপু।
তামান্না -- রাগি মুড নিয়ে।হ্যালো।😡
তার সাথে আর কথা না বলে মথা নিচু করে খেয়ে আমার রুমে চলে আসলাম।
রুমে এসে ভাবছি,
এই মেয়ে যে বদ রাগি। ওর সামনে পড়া যাবেনা।
ওর সামনে গেলে যানি না কি করবে আবার।
রুমে বোরিং লাগতাছে তাই একটু ছাদে ইচ্ছা করলো।
যেই ভাবা সেই কাজ ছাদে চলে এলাম।
ছাদে এসে একটা
চেয়ার পেতে মোবাইলে গান শুনছি
ও মাইয়ারে
মাইয়ারে তুই
অপরাধিরে।
হঠাৎ কে যেনো আমার পিছন থেকে কলার ধরলো।
আমি -- ও মারে ভুত ভুত ভুত বাচাও বাচাও,,,
আমি ফিট হয়ে গেলাম।মানে অঙ্গান হয়ে পরে গেলাম।আমার আর কিছু মনে নাই।
পানির ছেটায় আমার ঙ্গান ফিরলো,আমি এই খানে কেন, আমার কি হয়েছে মনে করতে লাগলাম।
ওহ্
আমি তো ভয় পেয়ে অঙ্গান হয়ে গেছিলাম।
তাহলে আমার কাপড় ভেজা কেন পিছনে তাকিয়ে যা দেখলাম।
তার জন্য আমি প্রস্তুুত ছিলাম না।স্বয়ং একটা পেত্নি দাড়িয়ে ছিল।
আমি ভয়ে কাপতে
লাগলাম।
আর মনে মনে ভাবতেছি আজ মনে হয় আমি শেষ,,,,,
[ আরে পেত্নি মানে বুঝলেন না।আর ভাবছেন
পেত্নিটা আবার আসলো কই থেকে।
সত্তিকার অর্থে তামান্না কে দেখেই অঙ্গান হয়ে যায়।
কাহিনীতে ফেরা যাক]
ভয়ে ভয়ে
আমি -- বিরবির করে। আমি তো শেষ।এখন যেমন করেই হোক আমাকে এখান থেকে পালাতে হবে।
জানি না পেত্নি টা আমার কি করবে।
যেইভাবা সেই কাজ দেলাম একটা দৌড়।
( কিন্তু পাড়লাম না পায়ে ল্যাং মেরে ফেলে দিলো)
আমি -- ও মারে, আমি এখন শেষ। মনে হয় আমি আর হাটতে পারবো না।এই ডাইনি মেয়ে আমাকে শেষ করে দিল রে।
তামান্না -- চুপ কর সালা।বাচ্চাদের মতো এতো চিল্লাস কেন।
আমি -- আমি কি সখে চিল্লাই ডাইনি রাক্ষসী মেয়ে ।তুই আমাকে ল্যাং মারলি কোনো।মনে হয় আমার কোমড় শেষ।
তামান্না -- তাহলে তোকে কি করবো।আমি ভেবেছিলাম তুই আনেক সাহসি।কিন্তু তুই তো দেখি একটা বিড়াল
আমাকে দেখে তুই অঙ্গান হয়ে গেলি। তোরে আজ আমি ছাড়বোনা চান্দু।
আমি -- তোর মতো পেত্নিকে যে কেউ দেখলে এমনি মারা যাবে।সেখানে তো আমি খালি অঙ্গান হয়ে গেছি।
তামান্না -- এই লুচ্চা তুই কি বললি আমি পেত্নি।দাড়া এই পেত্নি আজ তোর আজ ঘাড় মটকাবে।আমাকে পেত্নি বলা(রাগি মুড নিয়ে)
আমি -- কথা বার্তা টিক মতো বলেন,না হলে আমি কিন্তু.....
তামান্না -- তুই কি করবি হ্যা তোর তো লজ্জা সরম কিছুই নাই লুকিয়ে বড় আপুদের ড্রেস চেন্জ করা দেখিস।আবার বড় কথা বলিস।
আমি -- আমার খেয়ে দেয়ে কোনো কাজ নেই মেয়েদের ড্রেস চেন্জ করা দেখবো।
তামান্না -- হ্যা আমি তো ভূলেই গেছিলাম তুই একটা সাধু।
তাহলে আমার রুমের ওই খানে কি করতে গেছিলি।
আমি -- ওহ্, ওইটা। আমাকে তো আন্টি বাসাটা ঘুরে ঘুরে দেখতে বলেছিল।
তাই ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম।হঠাৎ আপনাকে যে অবস্তায় দেখলাম ভাবতে পারি নাই।আর আপনে ড্রেস চেন্জ করার সময় দরজা লক করবেন না।
তামান্না -- আমি দরজা lock করতে ভূলে গেছিলাম।
আর তুই কোনো কিছু দেখিস নিতো(ভয়ে)
আমি -- জানেন তো বাঙ্গালি ফ্রি কিছু পেলে কি করে। সেখানে আমি তো বাঙ্গালি জাতির অপমান করতে পারিনা।
আর শোনেন আপনার ওই জিনিসটা কিন্ত আমার কাছে এক দম সেই লেগেছে।
তামান্না -- ও.. ও.. ওই জি.. নি.. স.. কো.. ন.. টা। (কান্না আর মুড নিয়ে তুতলিয়ে)
আমি -- ওই যে, আপনার পিঠের তিলটা।
সেই এক দম। যে কেউ দেখলে টাসকি খেয়ে যাবে।
তামান্না -- তুই আর কিছু দেখিস নি তাই না আর দেখলে প্লিজ কাউকে বলিস না।
(মনেমনে',এই তো সুজোগ তোমাকে বাগে পাওয়ার।চান্দু তুমি এবার বুঝবা সজিব কি জিনিস)
আমি -- আমি তো ভেবেছি সবাইকে ঢোল পিটিয়ে বলে বেড়াবো যে আমি আপনারা কি দেখ......
তামান্না -- লক্ষিটি,তুই ভালো ছেলে তুইতো আনেক কিউট একটা ছেলে বলিস না কাউকে প্লিজ প্লিজ আমার মান সম্মানের ব্যাপার এইটা
আমি -- এতো তেল মরা লাগবেনা।আমিতো সবাইকে বলবোই বলবো।
তামান্না -- প্লিজ কাউকে কিছু বলিস না।আমি তোকে আর কিছু বলবো না।আর তুই যা বলবি আমি তাই করবো।
আমি -- (মনেমনে) এতো চান্দু লাইনে এসেছো
আমি রাজি আছি কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে।
তামান্না -- তোর সব শর্ত আমি রাজি।তুই যা করতে বলবি আমি তাই করবো।
আমি -- সত্তি তো।যা করতে বলবো তাই করবা।
তামান্না -- হুমমম সত্তি।
আমি -- ওকে,আমার শর্ত হচ্ছে আমি আপনার ওই কমলা ঠোঁট একটা কিস করবো।তাতেই হবে।
( ফাজলামো করে 😁😁)
তামান্না -- প্লিজ অন্য কিছু চা।তোর টাকা লাগলে টাকা দিবো।
আমি -- আমার অন্য কিছু চাইনা।আপনি দিলে দেন।না দিলে আমি এখন সবাইকে বলে দিবো। ( আবার মজা করে)
(এই বলে হাঠতে শুরু করলাম)
এই দাড়া বলে দৌড়ে এসে আমার ঠৌঁটের সাথে তার ঠোঁট এক করে দিল।🙈🙈🙈🙈
( আফসোস সব ফিলিংস পাইছি কিন্তু এই ফিলিংসটা পেলাম না।
দূর কবে যে পাবো)
প্রায় ১মিনিট পর
ছাড়লো
আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না কি হলো এইটা আমি তো তার মজা করছিলাম
হঠাৎ তামান্না লজ্জা পেয়ে দৌড় দিয়ে তার রুমে গেলো চলে।
আমি ঐ খানে দাড়িয়েই ভাবতেছি একটু আগে আমার সাথে কি হলো
মনে করতে করতে হাসতেছিলাম।এই সব ভাবতে ভাবতে রুমে এসে। ঘুমানোর জন্য খাটে গেলাম।
কিন্ত ঘুম আর হলো না।খালি একটু আগে কি হলো সেই চিন্তাই করতে ছিলাম।এতো সহজেই এই সব হবে ভাবতে পারিনি।
এই সব ভাবতে ভাবতে কখন জোনো ঘুমিয়ে পড়েছি।
সকালে আম্মুর ডাকে।
আম্মু -- এই সজিব, তাড়াতাড়ি ওঠ বাবা। আজকে তোর কলেজে প্রথম দিন কলেজে যাবি না।
কলেজের কথা মনে পরার সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠলাম। ফ্রেস হয়ে বাইরে বের হলাম।
ওহ আপনাদের তো বলাই হলো না। আব্বু এই খানে এসে আমার ভর্তির ব্যবস্তা করে গেছে।
খাবার খেয়ে রুম থেকে বের হয়ে দেখি তামান্না রিক্সার জন্য দারিয়ে আছে।
আমি -- এই যে আপু শুনছেন।আমাকে কি আমার কলেজে একটু নামিয়ে দেবেন।
তামান্না -- কেনো তুই কি একা যেতে পারিস না।
(আসলে রাতে যে কিছু হয়েছে ওকে দেখে বোঝা যায় না।মন হয় কিছুই হয়নি।এক দম সাধারন ব্যবহার)
আমি -- আসলে আমি এ এলাকায় নতুন তো তাই কিছু চিনিনা।একটু চিনিয়ে দিলে ভালো হতো,,
তামান্না -- আমি পারবো না।অন্য আরেক জন বল গিয়ে তোকে দেখিয় দিবে।
(মনেমনে সোজা আঙ্গুলে যখন কাজ হবে না আঙ্গুলটা তাহলে বাকা করতে হবে।)
আমি -- আপু একটা নতুন গান বানাইলাম শুনবেন।
আপু -- আমার কেনো কাজ নেই যে তোর গান শুনবো।ভাগ এখান থেকে।
আমি -- গানটা যদি শুনেন তাহলে এখুনি চলে যাবো। নাহলে আপনার পিছু ছাড়বো না।
তামান্না -- ঠিক আছে।তবে গান বলার পর তুই এখান থেকে চলে যাবি৷
আমি -- ওকে,,,,,,,,কি গান গাওয় যায়।ওহ পাইছি
let start now
ও তিল ও তিল রে
তুই অপরাধিরে....
তামান্না -- থাম থাম তোর আর গান গাওয়া লাগবে না
চল তোকে কলেজে দিয়া আসি(রাগি ভাব নিয়া)
আমি -- আমার কোনো কথা। আর কোনো দিন না করবা।
তামান্না -- (মনেমনে বাবারে বাবা কি ব্লাকমেল রে। সুযোগ পাইলে আমি ও কি করতে পারি তোকে সেই সময় দেখে নিবো)
আমি -- ওই বির বির করে কি ভাবেন। চলেন যাই
চলবে......
♦