❤দুস্টু বর❤☺ ❤
Part:-1
অফিস থেকে বের হতেই ফোনটা বেজে উঠলো। এইসময় আবার কে.? আমি ফোনটা বের করতেই দেখি লাকির ফোন। স্ক্রিনে লাকির নাম ভেসে উঠতেই আমার ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি ফুটে উঠলো। মেয়েটা প্রতিদিনই ফোন করবে আর একটা কথা বলবে, তোকে কিন্তু আসতেই হবে। লাকির সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে। মেয়েটা বেশ মিশুক। তা না হলে আমার মতো একজনের সাথে অবশ্যই বন্ধুত্ব হতো না। কথা কম বলাটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। এই হ্যাঁ, হু তেই সীমাবদ্ধ। . লাকির সাথে আমার কিছুদিনের মধ্যেই বেশ জমে গেলো। আসলে বন্ধুত্ব আরকি। একেবারে আপনি থেকে তুই তে যেতে লেগেছে, মাত্র দু তিন দিন। এরপর কেটে গেল প্রায় দুই - তিন বছর। কিন্তু লাকি আর আমার বন্ধুত্ব সেই আগের মতোই রয়ে গেছে। তবে এখন আরো গাঢ় হয়েছে। আমি লাকির ফোনটা ধরে ওকে কিছু বলতে না দিয়েই বললাম, -- তোকে কিন্তু আসতেই হবে.! আমার কথা শুনে লাকি একগাল হেসে বলল , -- ভেঙাচ্ছিস.? -- না! আমার যে মনে আছে এইটা মনে করিয়ে দিচ্ছি। -- মনে থাকলে আমার ফোন দিতে হতো না ; তুই দিতি.! আজ কি বার মনে আছে তো.? -- মনে থাকবে না কেন.? আজ তো সোমবার। -- হুমম ; তো কি কথা ছিলো.? লাকির কথায় আমি আর কিছু বলতে পারলাম না। আসলে আজকেই যাওয়ার কথা ছিলো, ভুলেই গিয়েছিলাম। আমি লাকিকে বললাম, -- কাল সকালের বাসে আসছি,! শিওর। -- ভুলে যাবি না তো,.? -- একদম না.! কিন্তু বাসা তো চিনি না। -- আচ্ছা..! আমি কাউন্টারে লোক পাঠিয়ে দেবো। -- আচ্ছা..! -- ভালোভাবে আসিস,,,বাই..! -- হুমম,,, বাই..! . আর মাত্র একদিন পর লাকির বিয়ে। প্রায় দু- তিন মাস আগে থেকে বলছে আমাকে ! ওর বিয়েতে আমাকে যেতেই হবে। প্রথম দিকে যেতে না চাইলেও মেয়েটার জোরাজুরিতে আর না করতে পারিনি। আমি আর দেরি না করে কাউন্টারের দিকে গেলাম! টিকিটটা কেটেই বাসায় যাবো। . বাস জার্নি আমার কোনকালেই ভালো লাগতো না। আজও তার ব্যাতিক্রম নয়। বাস থেকে নামতে ই মাথাটা বেশ ধরলো। আশেপাশে এতো মানুষের ভিড়ে আমার খোঁজে আসা লোকটিকে কেমন করে চিনবো। আমি আর কিছু না ভেবে একটু এগিয়ে গিয়ে একটা বেঞ্চে বসতেই কেউ একজন বললো, আপনি নাদিম না..? আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে দাড়িয়ে। আরে এটা তো মেয়ে না, এতো সুন্দর মেয়ে হয়.? এটা নিশ্চয়ই কোনো পরীর দেশ থেকে এসেছে। আপনি নাদিম না..? মেয়েটার কথায় আমার ঘোর কাটলো। আমি কোনমতে মাথা নাড়িয়ে বললাম, -- হুমম, আমিই নাদিম..! -- আপনি ফেসবুকের নাদিম তো..? -- আরে ফেসবুকের নাদিম মানে..? -- ওই যে গল্প লিখেন, লেখক মি. ঘুম বাবু..! -- হুমম গল্প লিখি তবে লেখক নয়। -- সে যাই হোক, আপনার গল্প পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে। বলতে গেলে আমি আপনার ফ্যান হয়ে গেছি। . মেয়েটার কথায় আমি কি বলবো ভেবে পেলাম না। কিন্তু আমার যে এতো বড় এত সুন্দরী ফ্যান আছে এটা আমি এখানে না আসলে জানতেই পারতাম না। কিন্তু লাকি যে বললো একজনকে পাঠিয়েছে, সে কোই.? এভাবে বসে থাকতে আর ভালো লাগছে না। মেয়েটা হয়তো আমার মনের কথা বুঝে গেলো। আমি কিছু বলার আগেই মেয়েটা বললো, -- কোনো সমস্যা.? -- আসলে এখানে আমি একটা ফ্রেন্ডের বাসায় এসেছি। একজন আসার কথা ছিল আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। -- সে আসেনি,তাই তো.? -- সেটাই তো মনে হচ্ছে। ফোনটাও বন্ধ হয়ে গেছে। -- আমি এখানকার স্থানীয়। আপনি চাইলে আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারি। মেয়েটার কথায় আমি ওর দিকে তাকালাম, দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালোই,, মনে তো আবার অন্য মতলব নেই। ধরেন আমাকে নিয়ে গেলো আর যা কিছু আছে সব রেখে দিলো। তবে এসময় এই মেয়েটা ছাড়া অন্য কোন উপায় ও দেখছি না। আমি মেয়েটাকে কিছু বলার আগেই মেয়েটা বলল, -- আপনি বলুন কোথায় যাবেন.? আমি লাকি আর ওর বাবার নাম বলতেই মেয়েটা বললো, -- আরে এটা তো আমাদের বাসার পাশেই! বিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন তো...? মেয়েটার কথায় একটু স্বস্তি পেলাম। তার মানে মেয়েটা সবকিছু চেনে। নইলে বিয়ে বাড়ি যাবো এইটা জানলো কিভাবে। আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম, -- হ্যাঁ বিয়ে বাড়ি..! -- চলুন তাহলে..! তবে একটা শর্ত আছে। -- কি শর্ত..? -- আমার নাম দিয়ে একটা গল্প লিখতে হবে। মেয়েটার কথায় আমি মুচকি হেসে বললাম, -- আচ্ছা লিখবো..! এবার চলুন। -- আর একটা শর্ত..! -- আবার কি..? -- আপনাকে রিকুয়েস্ট দিয়েছিলাম কিন্তু একসেপ্ট করেন নি। -- হুমম বুঝতে পেরেছি। রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করবো..! এবার চলুন। -- হুমম চলুন। . রিকশাটা মনে হচ্ছে বেশ চাপা। মেয়েটার সাথে প্রায় গা লেগে যাচ্ছে । শুনেছি সুন্দরী মেয়েদের অহংকার একটু বেশিই থাকে। কিন্তু এই মেয়েটার মধ্যে এতটুকু পরিমাণও দেখিনি। আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললাম, -- আচ্ছা আপনার নামটা জানা হলো না। -- নওরিন জাহান নাবিলা..! সবাই নাবিলা বলে ডাকে। -- বাহ..!! নামটা তো অনেক সুন্দর। তারপর দুজনে গল্প করতে করতে কোনমতে বাসায় পৌঁছে গেলাম। রিকশা এসে একটা বাসার সামনে থামলো। চারিদিকের অবস্থা দেখেই মনে হচ্ছে এইটা বিয়ে বাড়ি। আরও বুঝতে বাকি রইলো না যে এটাই লাকিদের বাসা। আমি রিকশা থেকে নামতেই নাবিলা বললো, -- আসুন আমার সাথে। আমি ওর পেছন পেছন ভেতরে ঢুকতেই দেখি লাকিমেহেদী হাতে বসে আছে। আর ওকে ঘিরে আছে আরও কয়েকটা মেয়ে। আমি নাবিলার সাথে লাকির কাছে যেতেই নাবিলা বললো, -- আপু এই নাও তোমার fb friend. কথাটি বলেই নাবিলা মুচকি হেসে ভিতরের রুমে চলে গেল। এটা কি হলো.? কিছুই বুঝলাম না। আমার এ অবস্থা দেখে লাকি আমাকে বলল, -- আগে চল ফ্রেশ হবি,,, পরে সব বলছি..! লাকির কথায় আমি আর কিছু বললাম না। তবে এটুকু বুঝলাম যে,, লাকি ওকেই পাঠিয়েছিল আমাকে আনার জন্য..! মেয়েটা সুন্দরী হলেও ফাজিল আছে..,! জার্নি করে বেশ ক্লান্ত ছিলাম,, তাই ফ্রেশ হয়ে লাকির বাবা মায়ের সাথে দেখা করে একটু ঘুমিয়েছিলাম,,, ঘুমটা লাকির ডাকেই। প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আমি আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠতেই লাকি বললো......
-----------------wait for next part--------------- --------------Kemon holo janaben---------------
,
.
0
5