বড় লোকের জেদি মেয়ে

0 3
Avatar for soyed
Written by
3 years ago

গল্পঃ- 💗 বড় লোকের জেদি মেয়ে 💗

পর্বঃ-২৫/পঁচিশ

===============================

নিঝুমঃ- তোরে আমি শেষ বারের মতো বলে দিচ্ছি তোর সাথে এখন আর আমার কোন সম্পর্ক নাই তাই তুই তোর মতো আমি আমার মতো তুই তোর পথে আমি আমার পথে আমাকে আর ডিস্টার্ব করবি না। আমি চাই না তোর মতো কোন লুচ্চা ছেলে আমার সাথে কথা বলুক তোর মতো ক্যারেক্টারলেস মানুষ চাই না আমার লাইফে থাকুক

আমিঃ- নিঝুম বিশ্বাস করো এগুলো সব ষড়যন্ত্র ( হাত ধরে)

নিঝুমঃ- ( এক জাটকায় ছাড়িয়ে নিয়ে) সেট আপ আমার হাত ধরছিস কেন, আর নিজের চোখ কে অবিশ্বাস করতে পারি না, তোর মতো ছোট লোক এসব কিছু করতে পারে,,,, তুই আর আমার সামনে ও আসবি না তুই ভার্সিটিতে অনেক ভালো ছাত্র ছিলি তাই আমি চাই না তোর সম্মান নষ্ট হোক তাই শেষবারের মতো বলে দিলাম আমারে আর ডিস্টার্ব করবি না,,,,,, তোর থেকে ও ভালো ছাত্র এখন শিমুল শাওন ওরা তোর থেকে ও এখন টপ আর তুই তো পঁচে গেছিস এখন আর তুই টপ না

আমিঃ- তুমি এভাবে বলতে পারলে

নিঝুমঃ- হুম পারলাম, তুই যদি তোর মায়ের সন্তান হয়ে থাকিস তাহলে আমারে আর ডিস্টার্ব করবি না

নিঝুমের কথা শুনে মাথায় রক্ত উঠে গেছে

আমিঃ- ঠাসসসসসসসসস ঠাসসসসসসস

আমিঃ-ব্যস স্টপ যান অনেক বলে ফেলছেন আর না আপনি কি বললেন আমি আমার মায়ের সন্তান হলে সন্তান হলে আপনাকে আর ডিস্টার্ব করবো না তাইতো ঠিক আমি আশিক আপনাকে বলতেছি আজকের পর থেকে আমি কখনো আপনাকে ডিস্টার্ব করবো না,,, আপনি আজ আমাকে ডিস্টার্ব করতে না করছেন মনে রাখবেন যখন আপনার বুল ভাঙবে তখন আপনি পাগল হয়ে যাবেন আমার সাথে কথা বলার জন্য কত আহাজারি করবেন মনে রাখবোন আমি ওইদিন আপনাকে ফিরিয়ে দিবো,,শত চেষ্টা করে ও আপনি ক্ষমা পাবেন না,,, আর কি বললেন শিমুল শাওন ওরা টপ আরে ওদের পিছনে পালানো কোন ব্যাপার না শুধু আপনার কারনে হ্যা আপনাকে সময় দিয়ে আমি ওদের পিছনে পড়ে গেছি কিন্তু আমি আপনাকে আজকে এখানে চ্যালেন্স করলাম আমি আশিক ওদের পিছনে ফেলে ফাইনালে টপ হবো আপনি শুধু দেখবেন,,,,,,,, আর আপনি আমাকে লুচ্চা ক্যারেক্টারলেস বললেন না মনে রাখবেন এই লুচ্চা ক্যারেক্টারলেসের জন্য আপনি অনেক কান্না করবেন এই লুচ্চা টার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য ছটপট করবেন আফসোস সেদিন আমি আপনাকে ফিরে ও দেখবো

নিঝুমঃ- অপ যা অনেক বলে ফেলছিস আর না তোর কথা কখনো ঠিক হবে না,, অনেক বড় বড় কথা বলে ফেলছিস আগে সেগুলো করে দেখা,, দেখি তোর কত দম ওদের কে পিছনে ফেল আর কি মিথ্যা বলছিস তুই কসম খেয়ে বলতো তুই রিনাদের বাসায় ছিলি না

আমিঃ- ছিলাম কিন্তু,,,,,,,,,

নিঝুমঃ- আর কিছু শুনতে চাই না তুই তোর পথে আমি আমকর পথে আমাকে শান্তি তে থাকতি দে ;;;;;;;;;;;;;;;;;;; একথা বলে নিঝুম চলে যাচ্ছে আর শিমুল পিছু পিছু যাচ্ছে

এদিকে আমার কলিজাটা ফেটে যাচ্ছে যাকে নিজের জীবন থেকে ও বেশি ভালোবাসি তাকে কি করে বুলে থাকবো,,,, আমি তো বলে ফেলছি তার সাথে আর যোগাযোগ রাখবো না কিন্তু আমি কি তা আদো পারবো। নিঝুম যে আমার সিরায় সিরায় মিশে গেছে কি করে ভুলে থাকবো ওকে আমি কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে বসে পড়লাম

রিনাঃ-এই উঠ

আমিঃ-আমি কেমনে থাকবো রে

রিনাঃ- সব আমার জন্য হয়েছে রে আমারে যদি ওই দিন তুই বাঁচাতে না চাইতি তাহলে আর তোরে এ বিপদে পড়তো হতো না সব দোষ আমার আমার জন্য নিঝুম তোকে বুল বুঝেছে

আমিঃ- না এখানে তোর দোষ নাই তোর জায়গায় অন্য কেউ হলেও আমি বাচাতাম। আর আজ নিঝুম যা বল্লো আমি কখনো কল্পনা ও করি নি নিঝুম আমাকে এভাবে বলবো,, আরে ওর কারনে আমি পড়া লেখায় পিছিয়েছি আর আজ ও বললো কি আমি ওকে দেখিয়ে দিবো শিমুল শাওনদের টপকিয়ে আমি ভালো করে পড়লে ওরা কিছুই না আমি দেখাবো এবার

রিনাঃ- সাবাস তোর মুখে একথা শুনার জন্য আমরা এতকিছু করলাম

আমিঃ- মানে বুঝলাম না তুই আবার কি করলি

রিনাঃ- না তেমন কিছু না আমার কাছে বেপার টা কেমন সন্দেহ হচ্ছে

আমিঃ- কি সন্দেহ হচ্ছে

রিনাঃ-এই পরশুর বেপার টা দেখ ওরা চারজন ছিলো ওরা চাইলে ওইদিন তোকে মেরে আমার খারাপ কিছু করতে পারতো কিন্তু না তারা তুই আসাতে চলে গেল তারপরে কি হলো আমি যখন অনিচ্ছায় তোকে জড়িয়ে ধরে পড়ে গেছিলাম তখন কে আমাদের ছবি তোলে ও ভিডিও করে

রিনার কথা টা তো আমার মাথায় ডুকলো সত্যি

আমিঃ-ওয়েট, ওয়েট কালকে নিঝুম যখন আমাকে মারছিলো তখন মেহেদী কেমন করে হাসছিলো তার মানে এখানে মেহেদীর কার সাজি

রিনাঃ- জানি না এখন চল

আমিঃ-হুম

আমি আর রিনা ক্লাসে এসে পড়লাম ক্লাসে এসে দেকি নিঝুম শিমুল শাওন দের সাথে বসে আছে হাসাহাসি করতেছে যা দেখে আমার কলিজা টা ফেটে যাচ্ছে চোখ থেকে এক ফোটা পানি পড়লো পরে নিজেকে সামলে নিয়ে বেঞ্জে বসে পড়ি স্যার আসে

স্যারঃ- সবাই কেমন আছো

সবাইঃ- আলাহামদুলিল্লা ভালো

স্যারঃ-সবাই শুনো তোমাদের ফাইনাল পরীক্ষার বাকি আর চার মাস এখন থেকে ভালো করে পড়তে হবে আর হ্যা আগামী পনেরো দিন পরে তোমাদের শেষ এ্যাসইনমেন্ট জমা দিতে হবে দেখি কে কত ভালো করে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে পারে,,,কার টা বেষ্ট হয় আশিক,মেহেদী, শাওন, শিমুল নাকি অন্য কেউ আর আশিক তুমি চাইলে আমি জানি একটা ভালো রেজাল্ট আনতে পারো আমি চাই তুমি আমাদের কলজের সুনাম বয়ে আনো

আমিঃ- স্যার দোয়া করবেন আমি যেন সফল হতে পারি আর ইনশাআল্লাহ আপনি দেখবেন আমি সব্বোচ্চ চেষ্টা করবো আমি ও দেখিয়ে দিবো আমি ও পারি আমি ও কম না

স্যারঃ- সাবাস বেটা আমরা তোর মুখ থেকে একথা শুনার এত কিছু করলাম

আমিঃ- বুঝলাম না স্যার কি করলেন

স্যারঃ-সেটা সময় হলে জানতে পারবে এখন এ্যাসাইনমেন্ট ভালো করে করো

আমিঃ- জ্বী স্যার দোয়া করবেন

স্যারঃ-হুম অবশ্য

শিমুলঃ- স্যার দোয়া কি একজন কে করবেন আমরা কি করে দেখাতে পারি না

স্যারঃ- হুম তোমাদের জন্য ও দোয়া করি আমরা চাই আমাদের ভার্সিটিতে থেকে কেউ জাতীয় টপ টেন এ থাকে তোমাদের সবার জন্য দোয়া রইলো

ক্লাস শেষে আমি গেইটের সামনে এসে দাড়িয়ে আছি কিছুক্ষণ পর নিঝুম আমার সামনে দিয়ে হন হন করে হেটে চলে গেল আমি দাড়াতে বলতে গিয়ে ও আটকে গেলাম আমি তো ভুলেই গেছি ওর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই চোখ টা নোনা জলে ভরে গেল চোখ মুচে বাড়ির দিকে রওনা হলাম

বাড়িতে এসে নিজের রুমে চলে আসলাম আম্মু পিচন থেকে অনেকবার ডেকে ছিলো আমি দাড়াই নি,, আমি আমার রুমে এসে পুরাই অবাক অনেক সুন্দর করে সাজানো আমার রুম কিন্তু কে করলো,,,,,,ওহহহ হো আমি তো ভুলেই গেছি

আমিঃ- ঢেড়শ ও ঢেড়শ কই তুই কুত্তী

নিশুঃ-ফুপি তোমার ছেলে কে ডাক দাও আমাকে এসব না বলতে আমার সুন্দর একটা নাম আছে

আম্মুঃ- তোরে মানা করচি না।

আমিঃ- আচ্ছা ার বলবো না তা কখন আসলি

নিশুঃ- আমি কখন আসছি তুই জেনে কি করবি তুই তো আমাকে আনতে যাসনি ও তুই যাবি কেমনে তুই তো ছেকা খেয়ে ব্যাকা হয়ে আছিস

নিশুর কথা শুনে মূহুর্তে মনটা খারাপ হয়ে গেল নিঝুমের চিন্তা মাথা চলে াসলো আমি ও রুমে চলে আসলাম

নিশুঃ- আরে মন খারাপ করলি কেন আমি দো কথাটা এমনি বললাম

নিশু ও আমার পিছু পিছু আমার রুমে াসলো

নিশুঃ- ওই তুই মন খারাপ করলি কেন আমি তো এমনিতেই বলছি কথাটা

আমিঃ-তোর কথা তে আর কি মন খারাপ করবো যাকে নিজের জীবনের ছেয়ে বেশি ভালোবাসি সে আমাকে ভুল বুঝে চলে গেল তার বলা কথা গুলোর কাছে তোর কথা কিছুই না

নিশুঃ- দেখ জীবনে অনেক কিছু ঘটে যায়,, জীবনের রং টা বদলাতে সময় লাগে না আর সময় ও কারো জন্য থেমে থাকে না তাই বলছি যা হবার হইছে অতীত ভুলে নতুন করে শুরু কর তোর তো পরীক্ষার বাকি আর বেশি নাই তাই এ কয়দিন ভালো করে পড়

আমিঃ- হুম আমি ভালো করে পড়বো ওদের দেখিয়ে দিবো,, তুই কখন আসলি

নিশুঃ-তুই আসার দু-ঘন্টা আগে

আমিঃ-তা মামা মামি কেমন আছে

নিশুঃ- তারা ভালো কিন্তু তোর সাথে রাগ করছে।

আমিঃ- কেন রাগ করছে

নিশুঃ-রাগ করবে না তো কি করবে তুই আজ কয় বছর আমাদের বাড়িতে যাস না

আমিঃ- তিন বছর

নিশুঃ-এই কারনে

আমিঃ- সমস্যা নাই আমি রাগ ভাঙিয়ে নিবো এখন বল তুই আমার রুম গুছিয়ে রাখিছিস

নিশুঃ-হুম,তোর গোয়াল ঘর টা মানুষের ঘর করে নিলাম

আমিঃ- হুম ধন্যবাদ তুই একদম নিজের ঘরের মতো করে সাজিয়ে ছিস

নিশুঃ-ঘর তো আমারি হবে ঘরের মানুষ টা ও তো আমার

আমিঃ- কি বরলি

নিশুঃ- তুই কি আমার মনের কথা ও শুনতে পাস

আমিঃ-, এই ঢেড়শ মিন মিনিয়ে কি বলিস

নিশুঃ-একদম খুন করে ফেলবো আমারে ঢেড়শ বলবি না আমি এখন যথেষ্ট সুন্দরী

আমিঃ-সুন্দরী নাকি পেত্নী

নিশুঃ- আমি কিন্তু এখন তোর টিচার সম্মান দিয়ে চলবি😎😎😎

আমিঃ-ইহহহহ আমার বয়ে গেছে তোরে সম্মান দিতে

সন্ধ্যা

------------

নিজামঃ- মারে কাজ টা কি ঠিক হলো সবার সামনে মারলি

নিঝুমঃ- কি করবো বাবা এছাড়া যে আমার আর কোন উপায় নাই

নিজামঃ-কি বলবো মা

নিঝুমঃ- আমার রো যে কলিজাটা ফেটে যাচ্ছে আব্বু আমি করে পারলাম যাকে নিজের জীবন থেকে বেশি ভালোবাসি তাকে এভাবে মারতে কিন্তু ও যা করলো

নিজামঃ-জীবন চক্র টা বড় অদ্ভুত

নিশুঃ-দেখ আশিক এখন পড়তে বসছিস একটু ও দুষ্টুমি করবি না

আমিঃ-নারে আমি দুষ্টুমি করমু না

নিশুঃ-হুম অন্য সময় দুষ্টুমি করলে ও পড়ার সময় মন দিয়ে পড় তুই ও দেখিয়ে দে

আমিঃ-হুম আমাকে একটা সাহায্য করতে হবে

নিশুঃ- আরে এভাবে বলছিস কেন কি করতে হবে সেটা বল

আমিঃ- আমার লাস্ট এ্যাসাইনমেন্ট এগুলো তে একটু হেল্প কর আমি কিছু করি তুই কিছু করে দে দুইজন মিলে করলে অনেক ভালো হবে

নিশুঃ- তুই কোন টেনশন নিস না তোর এ্যাসাইনমেন্ট আমি সুন্দর করে তৈরি করে দিবো

এভাবে শুরু হলো আমার জীবনের অন্য পাট ভার্সিটিতে গেলে নিঝুম কে দেখলে সাইড কেটে পড়ি তবে মাঝে লক্ষ করি নিঝুম আগের থেকে অনেকটা শুকিয়ে গেছে আগের মতো হাসে না ভুলে ও আমার দিকে তাকায় না তবে মাঝে মাঝে শিমুল শাওন দের সাথে দেখি আড্ডা দিতে ওদের দেখলে বুক টা কেঁপে উঠে এড়িয়ে চলি আর বাড়িতে নিশুর সাথে খুনসুটি আর পড়াশোনা নিয়ে আমার জীবন চলচে দিন বর নিশু ভালো রাখলে ও রাতে ঘুম হয় না কেঁদে কেঁদে রাত পার হয়ে যায় যেখানে আগে নিঝুমরে সাথে কথা বলে পারহতো ব্যাস এভাবেই চলছে আমার জীবন ও হ্যা মেহেদী কে আমরা ধরে মেরেছি কিন্তু ছেলেটা কোন কিছুই তেই মানতে নারাজ ও কিছু করে নি বা কিছু জানে না কিন্তু আমাকে নিঝুম মারতে দেখে নাকি মজা পাইছে তাই হাসছিল অন্তু অন্তর পুরো একদিন ওকে মেরেছে তবু ও মেহেদী স্বীকার করে নি।।।।

দেখতে দেখতে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার সময় চলে আসছে আর নিশু আর আমি মিলে সুন্দর করে তৈরি করছি আজকে ভার্সিটিতে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দি ক্লাস করে বাহিরে আসি বাহিরে এসে যা দেখি

আমি দেখি নিঝুম একটা ছেলের বাইকে উঠে পড়ে এবং ছেলেটা নিঝুমকে নিয়ে চলে যাচ্ছে যা দেখে আমার মরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে তাহলে নিঝুমের এই চিল আসল কারন,,,,,,,৷৷

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন..........

Plz wait next part...................

1
$ 0.00
Avatar for soyed
Written by
3 years ago

Comments