বহুরূপী_আত্মা_খেলা

0 2
Avatar for soyed
Written by
3 years ago

একজন পুরুষ থেকে যখন যুবতী মেয়ে হয়ে গেলাম। তখনি বুঝলাম মেয়েদের কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয়। মেয়েদের মত আমার চুল অনেক বড় হয়ে যায়। শরীর কোমল ও ধবধবে সাদা হয়ে যায়। বুকের মাঝে মেয়েদের মতই বের হয় দুইটা স্ত*। আমি আর নিতে পারছিনা এই করুণ অবস্থা।

কয়দিন আগেও এলাকার হিরো ছিলাম আমি,আর এখন হলাম হিরোয়ীন। দুই ঘন্টা আগে আমার এই অবস্থা হয়। বাইক নিয়ে অনেক জোরে ছুটছিলাম। কারখানা থেকে বাসায় ফিরছিলাম। আমার নিজের একটা কারখানা আছে, যেখানে ফ্যানের ব্যবসা করি আমি।

বাইক নিয়ে আসার সময় ভাবছিলাম অনেক পুরনো কথা। সেসব নাহয় পরেই বলবো। হুট করেই আমার সামনে একটা ট্রাক চলে আসে। কন্ট্রোল করতে না পারায় আমি, রাস্তার পাশে বাইক নামিয়ে দিলাম। কোথায় বাইক, আর কোথায় আমি,সেটা ঠিক বুঝে উঠার আগেই জ্ঞান হারাই আমি। মিনিমাম ১০ মিনিটের মত অজ্ঞান ছিলাম। উঠার পর দেখলাম,রাস্তার পাশ দিয়ে কয়েকজন লোক হেটে যাচ্ছে। তাদের কাছে সাহায্য চাওয়ার জন্য আমি এক চিৎকার দিলাম। মনে হলো গলার স্বরটা কেমন মেয়েলি মেয়েলি শুনাচ্ছে। ভাবলাম এক্সিডেন্ট করায়,গলা দুর্বল হয়ে গেছে। লোকগুলো আমাকে দেখে দৌড়ে আসে। গাঞ্জাখোরের মত দেখাচ্ছে, ওদের হাতে এখনো সিগারেট। সরি, সিগারেটের ভিতর গাঞ্জা আছে, গন্ধটা খুব করে পাচ্ছি আমি।

লোকগুলো এসেই আমাকে তাদের কোলে তুলে। এরপর আমাকে নিয়ে যেতে লাগলো। তবে অবাক হচ্ছি আমি এখানে,যে ওরা আমাকে রাস্তায় নয়, রাস্তার নিছে পড়ে থাকা জঙলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে । তাদের প্রশ্ন করার মত শক্তি পাচ্ছিনা ঠিকই,তবুও অনেক কষ্টে বললাম " ভাই আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন "। ওরা আমার কথাটার জবাব দিলো এক অট্টহাসি দিয়ে। আমি বুঝিনি তাদের এই হাসির পিছনে কি লুকিয়ে আছে। ওরা কিছুক্ষন পর আমাকে ধপাস করে মাটিতে ফেলে দেয়। খুব ব্যথা পাই আমি, কিন্তু এর চেয়ে বড় ব্যথা যে আমার জন্য উপেক্ষা করছিলো জানতামনা।

একজন আমার হাত মাটির সাথে চেপে ধরে,অন্য জন পা ধরে। আরেকজন আমার বুকের উপর পাগলের মত চুমু আকতে থাকে সাথে হাত দিয়ে খেলছে। এবার আমি অনুভব করলাম, আমার বুকের উপর ভারি কোনো বস্তু আছে। আর সেটা বুঝার পরক্ষণেই অন্যজন আমার প্যান্ট খুলে ফেলে। চোখ মুখ বড় করে ফেলি আমি। লোকটি আমার দুই পা দুদিক করে আমার উপর শুয়ে পড়ে। এবার এইটাও বুঝতে বাকি নেই, আমার গোপন অঙ্গটাও পাল্টে গেছে। খুব ব্যথা পাচ্ছিলাম। চিৎকার দিতে যাবো, তার আগেই একজন মুখ চেপে ধরে আমার। বনের পশুর চেয়েও, হিংস্র মনে হচ্ছিলো তাদের। ওদের সাথে আমার শক্তি যেনো কিছুই না। অনেক চেষ্টা করেও পারিনি কিছু করতে। ২ মিনিট পর আরেকজন এসে শুরু করে দেয়। এরপর তৃতীয় জন। প্রায় ২০ মিনিট পর ওরা আমাকে সেখানে ফেলে চলে যায়। কিছুক্ষণ আগে এক্সিডেন্ট হয়েছিলাম আমি।আর তার পরেই এই অবস্থা। নড়তে পারছিনা আমি। নিজের পড়া পোষাক আগের মতই আছে। শুধু আমার দেহটা হয়ে যায় স্ত্রী লিঙ্গ।

নিজের উপর ভর করে কোনরকম রাস্তায় এসে দাঁড়ালাম। রাত ৯ টার কাছাকাছি। এদিকে পানি খেতে মন আনচান করছে। কিছুদূর হেটে যেতেই দেখলাম একটা চায়ের দোকান। দোকানিকে ২ টাকা দিয়ে এক গ্লাস পানি খেলাম। এদিকে আমার যোনিপথ খুব ব্যথা করছে। স্টেশন থেকে একটা রিক্সা ভাড়া নিয়ে গেলাম ডাক্তারের কাছে। প্রথমে ভুল করে পুরুষ ডাক্তারের কাছে যাই, পরে মনে পড়ে, আমি তো মেয়ে। আবার উনার চেম্বার থেকে বের হয়ে মহিলা চেম্বারে যাই।

মহিলা ডাক্তার আমাকে ভালো করে দেখে কয়েকটা গালি দেয় " মেয়ে মানুষ রার বিরাত বাহিরে ঘুরলে তো এমনি হবে। বাসায় কি মা বাপ কিছু বলেনা? "। উত্তরে আমি চুপ ছিলাম। উনাকে তো বললেও লাভ নেই, যে আমি ১ ঘন্টা আগেও ছেলে ছিলাম।

ক্যাপসুল সহ কয়েকটা ওষুধ আমায় প্যাকেট করে দেয়। ওগুলো নিয়ে বিল পরিষদ করে আবার বের হয়ে পড়লাম। রাস্তায় এসেছি মাত্র। বাসায় হেটে যেতে ১০ মিনিট লাগবে। কিন্তু এই শরীর নিয়ে হেটে যাওয়া পসিবল না।তারউপর আবার বুকের ওজন আগের থেকে বেশি। একটা রিক্সা ডাক দিয়ে উঠে পড়লাম রিক্সায়।

বউয়ের কথা ভেবেই শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।বাসায় গিয়ে বউকে কি জবাব দিবো। কোন মুখ নিয়ে বউয়ের সামনে দাঁড়াবো। মা বাবা তো ৫ বছর আগেই ছেড়ে চলে যায়।বাসায় বউ আর ৪ বছরের একটা মেয়ে আছে আমার। এ কি হলো আমার, বউ আমাকে চিনতে পারবে তো?

ট্রিং ট্রিং।

কলিং বেলের শব্দে বউ এসে দরজা খোলে।আমাকে দেখেই বউ দুই চোখ বড় করে ফেলে। মনে হচ্ছে বাড়ির সামনে কোনো কিংকং দাঁড়িয়ে আছে। আমি মেয়েদের মত কান্না শুরু করে দিলাম।নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই আমি মেয়েদের মত আচরণ শুরু করি। মেয়েদের মতই কোমর ডানে বামে হেলিয়া দুলিয়া হাটা, বুক উচু করে চলা, মুখে মায়াবী ভাব আর মেয়েদের মত কণ্ঠস্বর তো আছেই। বউ আমাকে দেখে প্রশ্ন করে,

--আপনি কে আপা? আমার স্বামীর জামা আপনার গায়ে কেন।

-- ওই,তুমি আমাকে আপা কইলা? আরে,আমি তোমার রিয়াজ। চিনতে পারছো না?

জানি আমি নিজেকেও নিজে চিনতে পারছিনা,তা বউ কি ছিনবে। তবুও আবেগের ঠ্যালাই বলে দিলাম।

-- মাথা খারাপ? আপনি তো জলজেন্ত একজন মহিলা।

-- তো কি মৃতজেন্ত হওয়ার কথা ছিলো?

-- দেখুন আপা? এতো রাত ফান না করে বাসায় যান। এমনিতেই আমার স্বামীর জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে।

-- ওই, কয়বার কমু আমি রিয়াজ। তোমার পিঠে ৩ টা তিল, বুকের মাঝে ১ টা তিল, বাম পায়ের রানে ৩ টা, নাভির নিছে ১ টা। আর কিছু বলতে হবে?

-- আজব, তুমি সত্যিই রিয়াজ নাকি।

-- হ্যা গো বউ হ্যা, আমি রিয়াজ।

-- তোমার এই অবস্থা কেন।কিভাবে হলো এমন।

অতএব বউ আমারে চিনতে পারছে। এরপর বউরে সব খুইলা কইলাম। বউ সব কথা শুনে ধপাস করে সোপায় বসে পড়ে। কপালে হাত রেখে বউ কান্না করতে লাগলো। যখন আমার ৪ বছরের মেয়েটা এসে আমার বউকে বলল" আম্মু আম্মু, এই আন্টিটা কে?"। তখন বউয়ের কান্নার গতি আরো জোরে বাড়ে। অবশেষে আমি আর আমার বউ শুয়ে পড়লাম রুমে। এই দুই ঘন্টার মাঝে এসব হয়। বউ অন্যদিকে মুখ করে শুয়ে আছে। আজ আদর ও করতে পারছিনা। আমি তো এখন একটা মেয়ে। মেয়ে হয়ে কিভাবে আরেকটা মেয়েকে আদর করবো। ওয়েবসাইটে লেসবিয়ানের ভিডিও দেখছি। কিন্তু এতে কি হইবো আর, বউ যদি শেষে লাথি মেরে খাট থেকে ফেলে দেয়?

আমার বউয়ের মুখে সব সময় আমার সুনাম থাকতো। বাপের বাড়িতে গেলে,যখন এর বান্ধবীরা এসে বলে," দুলাভাই কেমন পারে "। উত্তরে বউ বলে " উপর নিছ অলরাউন্ডার "। খুব লজ্জা পেতাম আমি। কিন্তু আজ? আহারে কপাল। কেনো আমি এমন হয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ আগে ধর্ষণ ও হয়েছি। ঘুম আসছেনা দু চোখে। তাই একটু বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস ছিলো আগে। কিন্তু এখন সিগারেটের গন্ধটাও অসহ্য লাগছে, বাসায় আসার সময় রিক্সাওয়ালার মুখ থেকে গন্ধটা পেয়েছিলাম।

অতএব কোমর বাকা করে, ব্যালকনির এঙেল ধরে দাঁড়িয়ে আছি। খুব মিস করছি পুরোনো সব দিন গুলোর কথা। তখনি চোখের মাঝে একটা ঘটনা ভেসে উঠে। আমার বাসার সামনে যে বাগান আছে,সেখানে কয়েকটা লোক মিলে একটা মেয়েকে রেপ করতাছে। চোখ কোপালে উঠার অবস্থা আমার। কোমর হেলে দুলে তাড়াতাড়ি নিছে নামলাম। এরপর দরজা খুলে যখনি বাহিরের বাগানে তাকালাম, দেখলাম কেও নেই। অবাক করার মতো কান্ড। বাড়ির গেট তো লক করা। তারউপর এই অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে লোক গুলো যাবে কোথায়। মনের ভুল নাতো? হতে পারে, কারণ কিছুক্ষণ আগেও আমার সাথে এমন হয়েছিলো। চিন্তা করলেই চিন্তা,তাই আবার বিচানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম।

ভোর হতেই দেখলাম পাশে বউ নেই। তড়িঘড়ি করে বিচানা ছেড়ে পুরো বাড়ি খুজলাম, বউয়ের দেখা মেলেনা। দারোয়ান বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে আছে,তাকে কি জিজ্ঞাস করবো? না, পরে তো সেও আমাকে চিনবেনা। হতাশ হয়ে আবার রুমে আসতেই দেখলাম টেবিলে একটা চিঠির মত কিছু। হাতে নিয়ে চিঠিটা খুললাম, এরপর যা দেখি,তাতে ১০৩ ডিগ্রি জ্বর অটোমেটিক চলে আসে। লেখা ছিলো,

( ওগো প্রানের স্বামী।

এক বাসায় দুই মেয়ে কিভাবে সংসার করে। তুমি আমাকে সারাজীবন সুখে রেখেছো। তোমার প্রতিটি ব্যাটিং এ ছক্কা হতো। তোমার সাথে আজ ৭ বছর সংসার করেও আমার মনে হয়, বাসর রাতের মতোই তুমি টি-টুয়েন্টি খেলো। কিন্তু কাল রাতে সব মাটি হয়ে যায়। তুমি তো বোঝনা,কিন্তু এখন বুঝবে, মেয়েদের সব থেকে বড় সুখ বিচানায়। তা যদি নষ্ট হয় তবে সে কষ্ট কোনো মেয়েই নিতে পারেনা। আমি বাপের বাড়ি চলে গেলাম, যেদিন তুমি ঠিক হবে,সেদিন আবার আসবো। তার আগে আমাকে বিরক্ত করবানা প্লিজ।

ইতি~ সুমাইয়া বেগম।}

আমি যেনো আর আমার মাঝে নেই। এমন সময় দারোয়ান এসে বলল, " আপা, আপনার নাস্তা নেন।দোকান থেকে আনলাম "।

আমি বললাম, " কে বলছে আনতে "।

দারোয়ানের জবাব" মেডাম কইয়া গেছে, আপনি উনার বান্ধুবী। এই বাসায় নাকি আজ থেকে থাকবেন। তাই আপনার দেখাশুনা করতে বলল।আর মেডাম নাকি,রিয়াজ স্যারকে নিয়ে কয়েক মাসের জন্য বাহিরে যাবে। "।

মনে মনে ভাবলাম, হালার আমি এখানে, আর সে নাকি আমাকে নিয়ে বাহিরে যায়। যাইহোক, এই কষ্ট সহ্য করার মতো না। বাস্তা নিয়ে চলে এলাম উপরে। ফ্রেশ হবার জন্য মাত্র নাইট ড্রেস খুললাম। বুকের ওজন কনট্রোল করতে যে ** পড়েছি, তা খুলতে যাবো,তখনি দেখি পিছন থেকে কারো হাসির শব্দ। ভয়ে আমি পিছনে তাকাতেই দেখি,দারোয়ান দাঁড়িয়ে আছে। আমি তাড়াহুড়া করে,নাইট ড্রেস আবার বুকের উপর ঢাকা দিয়ে বললাম,

-- তুমি এখানে কেন? নিছে যাও বলছি।

-- আপা, আপনি দেখতে অনেক হট,একটু হবে?

-- মানে?

-- রিয়াজ স্যারের বউকে তো কিছুই করতে পারিনি। কারণ এতোদিন রিয়াজ স্যার বাসায় ছিলো। আজ আপনারে পাইছি। বাড়ি পাকা,চলেন একটু খেলি।

-- বেয়াদব, আমি কিন্তু রিয়াজ স্যারকে বলে তোমার চাকরি খাবো।

-- চাকরি গেলে যাক। হাজার চাকরি পাবো, কিন্তু আপনারে হারাইলে এমন সেক্সি আর পামুনা।

এ বলেই দারোয়ান আমার উপর ঝাপটে পড়ে। আমার শক্তি ওর কাছে কিছুই না। গাল নাক মুখ কিস করে পাগলের মত। বমি আসতেছিলো আমার। ও জোর করে আমার হাত পা খাটের সাথে বেধে ফেলে।

৪৪ মিনিট পর।

দারোয়ান চলে যায়। আবার বাধন খুলেই গেছে। শেষে কিনা দারোয়ান ও আমাকে?

এক কষ্টের কান্না শুরু করলাম।বাংলা ছায়াছবিতে যেভাবে মেয়েরা কাদে।

আবার নেমে আসে রাত। youtube দেখে দেখে রান্না করছি। খাওয়াদাওয়া শেষ করে আবার ব্যালকনিতে মন খারাপ করে বসে আছি। এদিকে কারখানাও বন্ধ।

কালকের মত আজকেও সেম দৃশ্য , আবার বাড়ির বাগানে এক মেয়েকে রেপ করা হচ্ছে। আজ আর নিছে যাইনি। জলদি টর্চ লাইট এনে বাগানে মারলাম। যা দেখলাম, তা আমার সমস্ত দেহ শীতল করে দেয়।

যে মেয়েটাকে রেপ করছে ওরা,ওই মেয়েটা আমার চেনা। তারউপর যারা রেপ করছে, তাদের মধ্যে আমিও আছি। মানে আমার আগের পুরুষ রুপের রিয়াজ। কিছুই বুঝলাম না। আমি ওখানে হলে, আমি টা কে? আর আমি ওখানে হলে, সেখানের রিয়াজটা কে?

চলবে....

#বহুরূপী_আত্মা_খেলা ( পর্ব -০১)

1
$ 0.06
$ 0.06 from @TheRandomRewarder
Avatar for soyed
Written by
3 years ago

Comments