বাস্তবের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে
হয়, তেমনি একে হতে হয় নিয়মানুসারী। অন্যদিকে, বৈধ হওয়ার জন্য যুক্তিকে কেবল
প্রকাশ আকারগতভাবে সত্য হতে হয়। অর্থাৎ যুক্তিকে হতে হয় নিয়মসঙ্গত। এককথায় সংশ্লিষ্ট
যুক্তিকে এমনভাবে গঠিত হতে হয় যেন এর সিদ্ধান্তটি আশ্রয়বচন থেকে অনিবার্যভাবে
নি: সৃত হতে পারে। কাজেই যুক্তিকে বৈধ হওয়ার জন্য এর বস্তুগতভাবে সত্য হওয়া জরুরি
নয়।
চতুর্থত, বচনের সত্যতা বা মিথ্যা তথ্যগত বিষয়, যা বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়ােজনে
বা সাধারণ মানুষের জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশে আলােচিত হয়। পক্ষান্তরে যুক্তির বৈধতা বা
অবৈধতা নির্ণয়ের দায়িত্ব হচ্ছে যুক্তিবিদ্যার। অর্থাৎ সত্যতা বৈজ্ঞানিক বা সাধারণ মানুষের
আলােচ্য বিষয়, আর বৈধতা হচ্ছে যুক্তিবিদ্যার আলােচ্য বিষয়।
উল্লেখ্য যে, যুক্তিবিদ্যার মূল আলােচ্য বিষয় হচ্ছে যুক্তির বৈধতা, আর বৈধতা সম্পর্কে
সুস্পষ্ট ধারণা লাভের জন্য সত্যতার সাথে এর পার্থক্য জানা অত্যন্ত জরুরি। বস্তুত এ
কারণেই যুক্তিবিদ্যায় বর্ণিত সত্যতা ও বৈধতার আলােচনায় এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য
নির্ধারণের কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
0
18
Written by
soyed
soyed
4 years ago