বাবার Ex এর মেয়ে যখন বউ।

0 45
Avatar for soyed
Written by
3 years ago

গল্প--বাবার Ex এর মেয়ে যখন বউ।

পর্ব--০৪

তখন আপু আবার আমার প্যন্টের পকেটে সিগারেটের প্যকেট দেখতে পাই। তখন আমাকে বলল.......

--তুই এইসব ও খাস।

--না না আমি খাইনা।

--তাহলে এটা তোর কাছে আসল কেমনে।

সত্যি কথা বলতে আমিও জানিনা। আমি যতটুকু জানি মেয়েটার কাছে এইরকম প্যকেট ছিলো। তখন মেয়েটাই প্যকেট টা আমার পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমিতো এই বিষয়ে কিছুই জানিনা। তখন কি হয়েছিলো তাইতো আমি ভুল গেছি। আমি খাওয়া শেষ করে আমার রুমে চলে আসি। তখন প্যকেট টা বের করে দেখি।

ওর মধ্যে কোনো বিড়ি টিড়ি নাই। আছে একটা চিঠি। চিঠিতে এরকম লেখা ছিলো। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমি আপনাকে না বলে আপনার টাকা নিয়ে নিলাম। সরি তসর জন্য। আমি যদি আমার সমস্যার কথাটাও বলতাম তাহলে আমাকে সাহাজ্য করতপন না। তাও আমাকে যদি খারাপ মনে হয়। তাহলে এখানে ঠিকানা দেওয়া আছে।

চলে আসেন। শুধু এই টুকুই লেখা ছিলো। আমি গেলাম না। ফোন হারিয়ে গেছে ভালোই হইছে। আমি শুয়ে আছি নিলার কথা খুব মনে পড়ছে। কিন্তু ওতো ভালোই আছে। অন্য কাউকে নিয়ে। আমি কান্না করলাম। তা করা ছাড়া আমার কাছে আর কোনো রাস্তা নাই। কখন ঘুমিয়ে গেছি জানিনা। সকালে আপু বলল......

--ওই তোমার ফোন বন্ধ কেন।

--সেটা বড় কথা না। তুমি একবার তুই বলো আবার তুমি বলো। যেকোনো একটা কথা বলতে হবে।

--আগে বল তুমি ফোন বন্ধ কেন।

--হারিয়ে ফেলেছিতো ফোনটা।

--ও আচ্ছা তোমার আব্বু আম্মু ফোন দিয়েছিলো। তারাতারি একটা ফোন কিনে তাদের কে বলে দিও। আমি গেলাম।

--কোথায়।

--কোথায় মানে আমার বাসায়।

--ও আচ্ছা। যাও তাহলে।

--কেন আমি যেতে দিবেনা।

--না দিতে চাইছিলাম না কিন্তু যাও।

--দেখো আমি তোমার থেকে বড় আমার সাথে প্রেম করতে এসোনা।

--আমি কি একবারো সেটা বলছি।

--বলোনি কিন্তু আমার মনে হয় তুমি আমাকে ভালোবাসো।

--তুমি জানো যে আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। তাহলে তোমারকে ভালোবাসব।

--তাও ঠিক। আচ্ছা থাক তাহলে দেখিশুনে থাকিস। কোনো আকাম করিস না। আর আমার রুমে যাবিনা কিন্তু।

--আবার তুই করে।

চলে গেছে। আমি কলেজে গেলাম। কলেজ থেকে নিলার স্কুলে গেলাম। দেখলাম দারিয়ে আছে। একটা আমাকে দেখলো ঠিকি। কিন্তু কোনো কথা না বলেই চলে গেলো। আমি ওর পিছন পিছন আসছি। তখন ও আমাকে একটা জায়গায় নিয়ে গিয়ে বলল......

--কাল না বললেন যে আমার সামনে কোনোদিন আসবেননা। তাহলে আজ আবার আসছেন কেন।

--আমি যে তাকতে পারচিনা তোমাকে না দেখে। তোমাকে না পেলে আমি শেষ হয়ে যাবো।

--চুপ করুন এরকম ফালতু কথা আমি শুনতে চাইনা। কিচুতো করতে পারেননা আবার বড় বড় কথা। আমাকে ছাড়া নাকি বাচতে পারবেনা ঢং দেখে আমি বাচিনা।

--তুমি আমার সাথে এরকম করছ।

--আপনি চলে যান না কেন। আমার ভালো লাগেনা আপনাকে।

--তাহলে আমি মরে গেলে তুমি খুশি হবে।

--হুম।

--আচ্চা তাহলে থাকো।

আমি ওখান থেকে চলে আসলাম। রাস্তা দিয়ে হাটছি। তখন রাস্তা পার হওয়ার সময় বড় একটা জিনিস আমসকে লাগিয়ে দিয়ে চলে গেলো। আমি আশে পাশে কালো কালো দেখছি। তারপর আর কিছুই মনে নেই। আমার যখন জ্ঞান ফিরল। তখন দেখি আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি। আমার শারা শরীরের অবস্থা খারাপ। কিন্তু আমি এখানে কেন।

একজন নার্স আসলো। এসে বললো......

--আপনার বাসা কোথায়।

--আমার বাসা।

--আপনার নাম কি।

--আমার নাম। আমার বাসা। আমার নাম। আমার বাসা। আ........................আমার কিছুই মনে পড়ছে না। (চিল্লাই বললাম)

--আপনি শান্ত হন অসুবিদা নাই আপনার মনে হলে তখন বলবেন। আপনি এখন রেস্ট নেন।

আমার কিছু মনে পড়ছে না কেন। আমি কোথায়। আর এখানে কেন। এটা কোন জায়গা। আর তখন মেয়েটা কে ছিলো। আমি এখানে শুয়ে আছি কেন। আমার শরীর ব্যন্ডেজ কেন। আমার কি হয়েছে। এইসব ভবতে ভাবতে আবার মাথা ব্যথা করছে। আবার চিল্লালাম। তখন আবার সেই নার্স টা আসলো আমাকে শান্ত করার চেষ্টা করচে।

তখন কে জানি আমাকে একটা ইনজেকশন দিলো। তারপর কিছুই মনে নেই। রাত হয়ে গেচে অনেক ঘুম ভাংল। দেখিওই মেয়েটা বসে বসে ঘুমাচ্চে। আমার খুদা লাগছে। জানিনা আমার কি হয়েছিলো আর আমি কতোদিন ঘুমিয়ে ছিলাম। তখন আমি মেয়েটাকে দাক দিলাম।

--এই মেয়ে ওই হ্যলো।

--কি কিহ। ওহ আপনি উঠে গেছেন।

--আমাকে কিছু খেতে দেওয়া যাবে।

--এখনতো বন্ধ দোকান। আর তেমন কোনো খাবার পাওয়া যাবেনা।

--তাহলে আমি না খেয়ে মরে যাবো।

--আমার কাছে আছে অল্প খাবার। কিন্তু আপনার মনে চলবে না।

--কেন কেন।

--কারন আপনিতো অনেক বড়লোক। আপনার কাছে অনেক টাকা ছিলো যখন এখানে নিয়ে আসা হয়। তাহলে

--বাদ দেন। যা আছে তাই দেন।

--আচ্চা দিচ্ছি।

আমি খাবার গুলো খেলাম। আহ কতো ভালো লাগছে। এতো ভালো খাবার আমি কতো দিন যে খাইনি। আমি কাওয়া শেষ করে মেয়েটাকে বললাম....

--আচ্চা আমি এখানে কতোদিন ধরে আছি।--তাও ২৩ দিন হলো কোমায় চিলেন।

--কিহ।

--হুম। আপনার কি কিচু মনে পড়ছে।

--না।

--আচ্ছা তাহলে আপনার ছবি পেপারে ছাপায় দিলে আপনাকে যদি কেও জানে তাহলে আপনার জন্য আসবে।

--প্লিজ এরকম করবেননা।

--কেন কেন।

--যদি আমাকে কেও মারতপ চায় তাহলে। আপনি বলেচিলেন আমি বড়লোক। তাহলে হয়তো টাকার জন্য কেও হয়তো আমাকে মারতে চায়। তাহলে বড় সমস্যা হতে পারে।

--হুম ঠিক বলছেন আপনি। তাহলে এতোদিন কোথায় থাকবেন।

--জানিনা আমারতো কোনো জায়গায় যাওয়ার মতো নাই।

--তাহলে আমার বাসায় যাবেন।

--কেন কেন।

--তাহলে আপনার ভালো হবে। এখানেও বেশিক্ষণ থাকতে পারবেননা।

আমি আর কি করার ওকানে আরো দুইদিন থাকার পর মেয়েটা আমাকে একটা বাসায় নিয়ে গেলো। ছোট একেবারে ছোট। বিছানায় একজন গুমানো যাবে। তখন মেয়েটা বললো.....

--আপনি উপরে ঘুমান। আমি না হয় নিচে শুয়ে পড়ি।

-- তা হয় না। এটা আপনার বাসা আপনি শুয়ে পড়ুন। আমি না হয় নিচে শুয়ে পড়ি। কিন্তু আমার কথা না শুনেই সে নিচে শুয়ে পড়ল। আমি আর কি করব। ওকে কোলে তুলে বিছানায় শুয়ায় দিলাম। ও লজ্জায় লাল হয়ে আছে। আমি একটু মুচকি হাসলাম।

আমি নিচে শুয়ে পরি। আমার হাল্কা হাল্কা করে মনে পড়ছে। যে আমি বড় বাসায় থাকতাম একটা মেয়ের সাথে। আমার আরো অনেক কিছু মনে পড়েচে। কিনতৃু আমার পরিবারের কাউকে মনে পড়ছে না। সকাল বেলা ঘুম তেকে উঠে আমি ফ্রেশ হয়ে নিলাম। শুক্রবার তাই মেয়েটা আজ কাজে যাবেনা। আমি বললাম.....

--আপনি বলেছিলেন আমার কাছে অনেক টাকা ছিলো আমাকে কি দিতে পারবেন।

--আসলে....

--আসলে কি।

--আমি সব টাকা খরচ করে ফেলেছি। আসলে আমি দার নিয়েছিলাম সেগুলো শোধ করতেই টাকা গুলো ফুরিয়ে গেছে বিশ্বাস করুন আমি আর কিছুই করিনি। এই ৫ হাজার টাকার মতো আছে।।

--আচ্চা ঠিকাছে অসুবিদা নাই। আপনার ফোনটা দিবেন।

--কি করবেন।

--দিতে বলছি দেন।

--এই যে নেন।

আমি ফোনটা নিয়ে মেয়েটাকে বললাম.....

--আচ্চা আপনার নামি কি.?

--শারমিন।

--ও আচ্ছা৷ আপনার বিকাশ আছে।

--হ্য আছে কেন।

--আচ্ছা নাম্বারটা দিন। আমার ক্রেডিটকার্ড টা নেই তাই বিকাশেই টাকা দিতে হবে।

--আপনার কি সব মনে পড়ছে।

--না কিচু কিছু। এখন যা বলছি তা মনোযোগ দিয়ে করবেন।

--হুম বলেন।

--এখন বাইরে গিয়ে আপনার বিকাশের এই নাম্বার টা দিবেন। এই জায়গায় গিয়ে। তাহলে আপনাকে ১৫ লাখ টাকা দিবে। আপনি সেটা নিয়ে চলে আসবেন।

--এতো টাকা। দিয়ে আপনি কি করবেন।

--যা বলছি তাই করবেন।

--আচ্ছা

মেয়েটা টাকা নিয়ে আসলো। আমি ওকে নিয়ে একটা জায়গায় গেলাম। সেখানে গিয়ে একটা ছোট বাসা কিনলাম। হ্য ২০ লাখ টাকায় হয়ে গেছে। থাকার রুম দুইটা। একটা ছোট্ট রান্না ঘর। আর একটা বাথরুম। মেয়েটাকে বললাম......

--আজ থেকে এখানে থাকবেন আপনি। এখান থেকে আপনার যাওয়া আসা সুবিধা হবে।

--আমি পারবোনা আপনার কাছ থেকে এগুলো নিতে।

--তাহলে আমার ৭৫,০০০ টাকা ফেরত দিন।

--তাও পারবনা। আমার কাছে ওতো টাকা নেই।

--তাহলে যা বলছি তাই করেন। না হলে টাকা টা ফেরত দিন।

শারমিনের কাছে কোনো উপায় নেই। আমরা খেতে গেলাম কাছের একটা হোটেলে।। তার পাশেই একটা স্কুল আছে। আমরা খাওয়া শেষ করে এখন পিরে যাবো। তখন আমাকে একটা মেয়ে পিছন তেকে জরিয়ে ধরল। কান্না শুরু করে দিলো। তখন........

----------------------(চলবে)--------------------->

2
$ 0.01
$ 0.01 from @TheRandomRewarder
Avatar for soyed
Written by
3 years ago

Comments