আমি নষ্টা নই

0 3
Avatar for soyed
Written by
3 years ago

--মেঘলা প্লিজ একটু কথা বলে যা আমার সাথে।(আমি)

---দেখুন আমি আপনাকে চিনিনা। আপনার সাথে আমার কোনো কথা নেই। আর বলার প্রয়োজন ও মনে করি না।..(মেঘলা)

--কিহ্...তুই আমাকে চিনিসনা মানে..?..(আমি)

---হ্যাঁ চিনি না.! প্লিজ আপনি আমার সামনে আর আসবেন না। চলে যান।..(মেঘলা)

--যাস না মেঘলা প্লিজ আমার তো কথা শোন। কি হয়েছে তোর বলবি তো।..(আমি)

কিন্তু কিছু না বলেই চলে গেল মেঘলা।

আর আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি। ভাবছি কি হলো এইসব,, আমার ছোটবেলার ফ্রেন্ড আমাকে চিনে না বলছে। আমি না হয় ৪ বছর দেশে ছিলাম না। কিন্তু এই জন্য কি অভিমান করে আছে আছে আমার উপর।

কিছুই তো বুঝতে পারছিনা।

.

.

.

(আপনারাও কিছু বুঝেন নাই তাইতো.? আচ্ছা তাহলে আগে পরিচয় দেওয়া যায়।

আমার নাম জানেন সবাই। কাব্য আহম্মেদ নীলয়

পড়ালেখা শেষ। তাই ভালো একটা চাকরির সন্ধানে বিদেশ গিয়েছিলাম ৪ বছর আগে।

এই কিছুদিন আগেই ফিরেছি। ফেরার আরেকটা কারন হলো মেঘলা। মেঘলা আমার ছোট বেলার ফ্রেন্ড।

ছোট থেকেই মেঘলাকে আমি অনেক ভালোবাসি।

হয়তো মেঘলাও আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু সে কখনো আমাকে ভালোবাসার কথা বলেনি। আমি যখন বিদেশ যাবো তখন সব থেকে বেশি কেঁদেছিলো মেঘলা।

কিন্তু আমি সেখানে যাওয়ার ২ বছর পরেই মেঘলার সাথে আমার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। মেঘলার ফোন বন্ধ থাকতো সারাক্ষণ।

তাই এখন দেশে ফেরার পর অনেক কষ্ট করে ওদের নতুন বাসার ঠিকানা জোগাড় করলাম।

কিন্তু ওর সাথে দেখা হলে এমন কিছু হবে ভাবিনি। মেঘলা আমাকে চিনেই না এমন ভাব নিচ্ছে।

মেঘলার সাথে দেখা হওয়ার পর বাসায় চলে আসি। কিন্তু কিছুই ভালো লাগছে না। আমি ভেবেছিলাম মেঘলা আমার জন্য অপেক্ষা করছে কিন্তু এখন লাগছে আমাকে ভুলেই গেছে।

আমি নিজেকে বিশ্বাস করাতেই পারছিনা মেঘলা আমাকে ভুলে গেছে। এসব ভাবছিলাম তখন একটু পরে আম্মু এসে জিজ্ঞেস করলো..!

---কোথায় গিয়েছিলি...? (আম্মু)

--মেঘলার কাছে..?

আমি বুঝলাম না মেঘলার নাম শুনতেই আম্মুর মুখটা কেন জানি ফেকাশে হয়ে গেল। তারপর বললো।

---বাবা আমার একটা কথা রাখবি..?

--হুম আম্মু বলো কি কথা.??

---আমি বলছিলাম তুই মেঘলার সাথে আর কথা বলিস না।

হঠাৎ আমি আম্মুর কথাটা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লাম। কারন যে আম্মু আমাকে বলেছিলো মেঘলাকে আমার বউ করে নিয়ে আসবে। সে আজকে আমাকে বলছেন মেঘলার সাথে কথা বলতে না।

--কেনো আম্মু..?(খুব অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম আম্মুকে)

---তোর ওসব যানতে হবে না। তোকে যা বলেছি তাই কর। এরচেয়ে আর বেশী কথা বলতে চাই না।

--কিন্তু আম্মু........

আমি আম্মুকে কিছু একটা বলবো তার আগেই আম্মু চলে গেলেন। কিন্তু আমার জন্য রেখে গেলেন হাজারো প্রশ্ন। যেগুলোর উত্তর আমার লাগবেই। কারন আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি এই ৪ বছরে অনেক কিছু হয়ে গেছে মেঘলার জীবনে। যা আমি জানি না।

তাই পরেরদিন সকালবেলা বেড়িয়ে পড়লাম সেই প্রশ্ন গুলোর উত্তর খুজতে।

তারপর আমি সরাসরি মেঘলার বাসায় চলে যাই।

কিন্তু সেখানে গিয়ে ওর বাবা মাকে দেখিনা।

আর তখন মেঘলাও বাসায় ছিলো না। সেখানে যে ছিলেন সে নাকি ওর ফুপি লাগেন। তাই আমি তাকেই সব জিজ্ঞেস করি।

কিন্তু ফুপি প্রথমে আমার পরিচয় চাইলেন।

তারপর আমি আমার পরিচয় দিতেই ফুপি বললেন যে আমাকে নাকি কিছুই বলতে পারবে না।

আমাকে সে আরো বললেন যে মেঘলা নাকি বলেছে যাতে আমি ওর সাথে আর যোগাযোগ করার চেষ্টা না করি। আমি যেনো ওর সামনেও আর না আসি...৷

কথাগুলো শুনে আমি ফুপিকে কিছু বলবো এর আগেই ফুপি আমাকে বললেন যে আমি যেন এখান থেকে চলে যাই।

তারপর কি আর করার আমি মাথা নিচু করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসি। কিন্তু আমি প্রশ্নের উত্তর না পেলেও আরো কিছু প্রশ্ন আমার মাথায় যোগ হয়ে যায়।

তারপর আমি আবারো বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে বসে বসে ভাবছি এমন কি হতে পারে যাতে আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড আমাকে এভাবে এরিয়ে চলছে।

আমি তো ওর জন্য আবার দেশে ফিরলাম।

ওকে বিয়ে করবো বলে। কিন্তু কি এখন এমন হয়েছে আর সাথে.? যে ও আমাকে এভাবে এরিয়ে চলছে।

আমার মাথাই কিছুই আসছে না। আমি নিজেকে একটু স্থির করলাম। এইসব প্রশ্ন গুলোর উত্তর আমাকে বের করতেই হবে, আর আমি উত্তর খুঁজে বের করেই চাড়বো।

তাই পরেরদিন আবারো মেঘলার বাড়ির সামনে গেলাম। কিন্তু আজকে বাসায় গেলাম না। বাড়ির বাহিরেই দাঁড়িয়ে আছি। তারপর দেখলাম একটু পরেই মেঘলা বাড়ির বাহিরে আসলো। আর আমি সাথে সাথেই এক দৌড় দিয়ে মেঘলার সামনে গেলাম। মেঘলা আমাকে দেখে একটু অবাক হয়ে গেলো।

কিন্তু সাথে সাথে আবারো চলা শুরু করলো।

--এই মেঘলা তোর কি হয়েছে...? তুই আমাকে এভাবে এড়িয়ে চলছিস কেনো...? (আমি বললাম)

---দেখুন আমি এর আগেও বলেছি এখনও বলছি, প্লিজ আপনি আমার সামনে আসবেন না। আমি আপনাকে চিনি না।(মেঘলা)

--এই মেঘলা তোর কি মাথা নষ্ট হয়েছে...? কি সব উল্টাপাল্টা কথা বলছিস..?

---যা শুনেছেন তাই বলেছি।

--মেঘলা আমি তোর ছোট বেলার ফ্রেন্ড কাব্য। আমার সাথে এমন কেনো করছিস...?

---এই হ্যালো মিস্টার আপনাকে একবার না করলাম না আপনাকে আমি চিনি না।

কেন আমাকে বার বার জ্বালাচ্ছেন।

বলেই মেঘলা চলে গেলো। কিন্তু আমি স্পষ্ট দেখেছি ওর ছোঁখ দিয়ে পানি পরছে। আমি বুঝতে পারি এইসব ও ইচ্ছে করে বলছে না।

তাই আমি ঠাই দাঁড়িয়ে আছি। একটু পরেই একটা ছেলে কন্ঠে একজন পিছন থেকে বলে উঠলেন।

---কি সাহেব মেয়েটাকে কি চান নাকি..?

(অপরিচিত একজন বয়স্ক লোক)

আমি মাথা উচু করে দেখি ৩৫-৪০ বছর বয়সি একজন মধ্য বয়স্ক লোক বলছে আমাকে কথাটা।

--জ্বী আমাকে বলছেন..? (আমি)

---আরে হ্যাঁ আপনাকেই বলছি.(লোকটা)

--মানে আপনার কথার কোন মানে বুঝলাম না।

---আরে বাহ্। এই এলাকার সব থেকে বড় মালের সাথে কথা বলছিলেন৷ আবার বলছেন আমার কথার মানে বুঝেন না কি নেশা টেশা করছেন না কি...?

লোকটার কথাটা শুনেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমি সাথে সাথে লোকটার কলার ধরে ফেলি।

--এই আরেকটা বাজে কথা বললে ওর নামে তোর জীবন আমি নিয়ে নিবো।

---আরে আরে করছেন কি..? আমিতো সত্য কথাই বললাম। এই মেয়ে তো ভালো না। আপনি কি জানেন না..?

--ও ভালো না মানে.? কি কিরে বুঝলেন আপনি..?

তারপর লোকটা কিছু না বলেই একটা হেচকা টান দিয়ে চাড়া পেয়ে দৌড়ে চলে গেলো। আমি ধরতে চাইলেও আর ধরতে পারলাম না।

কিন্তু লোকটার কথা কিছুই বুঝলাম না। ও কেন এইসব বললো মেঘলা সম্পর্কে। আর মেঘলাকে কেন খারাপ বললো লোকটা.? আমার মাথাই যেন মিছুই আসছে না মি হচ্ছে কি এসব আমার সাথে..?

তারপর আমি সাথে সাথে ওখানে থেকে বাসায় এসে মাকে ডাক দিলাম।

--আম্মু তুমি আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে মানা করেছিলে৷ কিন্তু আমার জানতেই হবে।

কি হয়েছে মেঘলার...? আর তুমিতো মেঘলাকে বউ হিসাবে বেছে নিয়েছিলে তাই না। কিন্তু এখন এমন করছো কেনো.? কেন আমাকে বলেছিলে আমি যেন মেঘলার সাথে কথা না বলি....?

(আমি প্রশ্ন মরার পর আম্মু যা বললেন তার জন্য আমি একটুও প্রস্তুত ছিলাম না।) শুনেন তাহলে আপনারাও

আম্মু আমাকে বললো......!!

---হ্যাঁ কাব্য হ্যাঁ.....

আমি বলেছিলাম তোকে ওর সাথে বিয়ে দিবো।

কিন্তু আমি জানতাম না ও একটা চরিত্রহীন মেয়ে। ও টাকার জন্য দেহ ব্যবসা করে...?

--ছিঃ....! আম্মু তুমি এইসব কি বলছো.?

---হ্যাঁ বলছি।

আর এটা সবাই যানে মেঘলা একদিন একটা ছেলের সাথে রাত কাটিয়ে। পরে ছেলেটাকে ব্লাকমেইল করে টাকার জন্য। কোর্টে এটা প্রমানও হয়েছিলো।

আমি তোকে এইসব বলবোনা ভেবেছিলাম।

কিন্তু কিন্তু তুই যা শুরু করলি এখন না বলে আর পারলাম না। বাবা তুই ওই নষ্টা মেয়েটাকে ভুলে যা।

--মা তুমি ওকে নষ্টা বলোনা। আমার বিশ্বাস মেঘলা এমন কিছু করেনি। কোথাও তোমাদের ভুল হচ্ছে।

---তোর বিশ্বাস না হলে একবার এলাকায় খবর নিয়ে দেখ। সবাই ওই মেয়ের সম্পর্কে এইসব যানে।

--আম্মু সবাই বললেও আমি বিশ্বাস করি না। আমার মেঘলা এমনটা করতে পারে না। কখনো না।

---কাব্য তোকে আমি নিষেধ করছি না। তুই ওর কাছে যাবি না।

--আম্মু আমাকে প্লিজ আগে সব জানতে দাও।

---কিন্তু..।

--কোন কিন্তু না আম্মু...! আমার বিশ্বাস এখানে সবার একটা ভুল হচ্ছে।

আমি আম্মুকে কথাটা বলেই নিজের রুমে চলে গেলাম। আমার কেন জানি অনেক কান্না পাচ্ছে।

রুমের দরজা বন্ধ করে শুয়ে আছি। হাজার ধরনের প্রশ্ন আমাকে গিরে ধরছে।

কিন্তু আমি জানি আমার মেঘলা এমন কিছু করতে পারে না। কিন্তু এর জন্য আমাকে আগে সব কিছু জানতে হবে। কি হয়েছে মেঘলার জীবনে। আম্মুকে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে সব নাও বলতে পারেন।

এখন বড় প্রশ্ন এইটাই, আমাকে সব সঠিক তথ্য কে দিতে পারেন। কিন্তু কে বলতে পারেন।

এমন সময় হঠাৎ আমার মনে পরলো যে,, মেঘলার বাবা মা তো মেঘলার সাথে নেই। তার মানে তারা অন্য কোথাও আছেন। তাদের সাথেই দেখা করতে হবে।

তাই আবারো খুঁজাখুঁজি শুরু করলাম। এখন মেঘলার বাবা মাকে খোঁজার পালা। হ্যাঁ পেয়েছি। গোপন আমার এক বন্ধু সন্ধান দিয়েছে। কিন্তু বাড়িটা একটু দুরেই। তাই চলে গেলাম সেখানে। বন্ধুর দেওয়া ঠিকানা মত

বাড়িতে যেতেই আন্টি আমাকে দেখে অবাক হলেন। কারন তাদের ঠিকানা খুব কম মানুষ জানেন হয়তো।

আমি যখন গেলাম তখন আন্টি এবং আংকেল ঘরেই ছিলেন। আমি তাদের কাছে মেঘলার সম্পর্কে জানতে চাইলে আন্টির চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে।

আর তারা আমাকে বলেলেন...!!

---আমাদের কোনো মেয়ে নেই বাবা। ও আমাদের মেয়ে না বাবা। আমাদের মেয়ে এমন খারাপ কাজ কখনো করতে পারে না। (মেঘলার আম্মু)

--আন্টি আংকেল। আসলে কি হয়েছে একটু বললেন আমাকে সব প্লিজ। (আমি)

---জানি না বাবা আমরা মেঘলাকে কিসের অভাবে রেখছিলাম যে ও টাকার জন্য নিজেকে এত নিচে নামিয়ে দিলো।(আংকেল)

--আরে আংকেল আন্টি কি হয়েছে সেটা তো বলেন আগে প্লিজ.....

---বাবা মেঘলা দেহ ব্যবসা শুরু করে দিয়েছিলো।

--কিহ্....?

আংকেল আন্টি আপনারা ওর বাবা-মা। আর আপনারা বাবা-মা হয়ে এসব ভাবলেন কি করে।

---কাব্য বাবা আমরা একটুও ভুল বলছিনা। কোন বাবা মা নিজের মেয়ে সম্পর্কে ভুল বলতে পারে না।

--আচ্ছা আপনারা কি করে জানলেন যে মেঘলা এসব করে...? আমাকে একটু সব কিছু বলুন প্লিজ।

.

তারপর আংকেল বলা শুরু করলো..!!

---বাবা ২বছর আগে মেঘলার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়। এবং মেঘলা তখন মামলা করে যে ওর সাথে নাকি জোর করে করেছে এসব। মানে রেপ করেছে মেঘলাকে।

কিন্তু মেঘলা আমাদের কিছু বলেনি। নিজে নিজেই সব করেছে। আর পরে আদালতে প্রমান হয় যে ওর নাকি আরো ছেলেদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক ছিলো।

এবং আরো প্রমান হয়। যে মেঘলা এসব নাকি টাকার জন্য করেছে।

তারপর আমরা মেঘলাকে বাড়ি থেকে বেড় করে দিয়েছি। তুমিও আর মেঘলার সাথে কোন যোগাযোগ করো না বাবা। আমার মেয়েটা ওইদিন থেয়আমাদের জন্য মারা গেছে।

এতক্ষণ আমি চুপচাপ কথা গুলা শুনছিলাম। তারপর তাদের কাউকে কিছু না বলে বেড়িয়ে চলে আসলাম। আসার সময় কোন কথা বলিনি আংকেল আন্টির সাথে। তাদের কি বলবো তা আমার জানা ছিলো না।

.

.

.

.

তারপর আমি আবারো বাসায় চলে আসি। আর এসে নিজেকে বার বার প্রশ্ন করছি। আমি কার কথা বিশ্বাস করবো..?

সবাই যা বলছে এটা বিশ্বাস করবো। নাকি মেঘলার ওই চোখের চাউনি আর আমার মনের কথাটাকে বিশ্বাস করবো..?

কিছুই বুঝতে পারছিনা। মেঘলা এতটা খারাপ হতে পারে না। আমার মেঘলাকে আমি খুব ভালো করে চিনি। কিন্তু সবাই যা বলছে তাকি মিথ্যা...?

নাকি সবাই ভুল জানে..? আমার সব কিছু গুলিয়ে যাচ্ছে। আর নিতে পারছি না....

.

.

পরেরদিন সকালবেলা আম্মু ঘরে আসলেন। এসে দেখেন আমি বসে আছি। তাই প্রশ্ন করলো।

---কিরে কাব্য তুই ঘুমাসনি রাতে..?(আম্মু)

--আম্মু কি বলতে এসেছো তা বলো ভালো লাগছে না কিছুই।

---বাবা তোর জন্য একটা মেয়ে দেখেছি। আজকে দেখতে যেতে হবে বিকালে। (আম্মু)

--আম্মু প্লিজ আমাকে কয়েকটা দিন একা থাকতে দিবা। এখন আমি মেয়ে দেখতে যেতে পারবো না।

---শোন। মেয়ে দেখলেই তো বিয়ে হয়ে যায় না।

তোর ফুপি আনছে তোর জন্য সম্পর্কটা। না দেখলে খারাপ দেখা যায়না বল। (আম্মু)

হঠাৎ আমার ফুপি শব্দটা শুনেই মেঘলার ফুপির কথা মনে পরে গেলো। হ্যাঁ সে পারবে আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে।

তাই আমি আর মাকে কিছু না বলেই সাথে সাথে বেড়িয়ে পরলাম। তাদের বাড়িতে যেতেই মেঘলা দরজা খুললো। আমি ওর সাথেই কথা বলার চেষ্টা করলাম। কিন্তু পারলাম না। আমাকে ঘরের ভিতরে ঢুকতেই দিলো না মেঘলা। আমি বাহির থেকে দেখেছি ওর ফুপি আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন ভিতর থেকে।

কিছু হলো না আমি অনেকবার ডাকাডাকি করেও মেঘলার কোন শ্বব্দ পেলাম না, ও দরজা খুললো না।

তাই আবারো বাসায় এসে শুয়ে আছি। আর ভাবছি কি করা যায়। আমি ভাবছি আবারো ঐ বাসায় যাবো। কিন্তু এমন একটা সময় যখন মেঘলা থাকবে না।

কিন্ত হয়তো আমার ভাগ্যটা ভালো। আর নিয়তিও চায় আমি সব জানি। দুপুরের দিকে একটা কল আসে আমার ফোনে।

--হ্যালো। আসসালামু আলাইকুম।

অপরদিকে একটা মহিলা বললো।

---কাব্য বলছো.?

--হ্যাঁ কিন্তু আপনি কে..?

---সে পরে যেনো। আচ্ছা তুমি জানতে চাও তো মেঘলার সাথে কি হয়েছিলো..?(ওপর পাশের মহিলা)

--হ্যাঁ অবশ্যই জানতে চাই.!

---তাহলে আগামীকাল আমার সাথে দেখা করবে (*****) এই যায়গায় চলে এসো। ফোনে বলা যাবে না সরাসরি বলতে হবে। বলেই ফোনটা কেটে দিলো।

তারপর আমি আবারো নাম্বার টাই ফোন দিলাম কিন্তু ফোন বন্ধ। এই মহিলা কে..? এমন কি আছে যা সরাসরি বলতে হবে। দেখা করতে বলছেন তারপর বলবেন।

তাই আজকে আর মেঘলার বাসায় যাই না। সারাদিন অপেক্ষা করছি।

তারপর অনেক কষ্ট করে রাতটা পার করে চলে যাই সেই যায়গায় যেটা গতকাল ফোনে অচেনা এক মহিলা বলেছিলেন।

এখানে এসে আমি একটা বেঞ্চে বসে আছি। কারো কোন আসার নাম গন্ধ নেই, প্রায় ১ ঘন্টা হতে চললো।

তারপর প্রায় ১ঘন্টা পর একজন এসে আমার পাসের বেঞ্চে বললেন। আমি তাকে দেখেই অবাক হয়ে গেলাম

কারন আমি কখনো ভাবিনি সে আসবেন।

--আরে আপনি...? (আমি প্রশ্ন করলাম)

---হ্যাঁ. আমি....(মহিলাটি বললো)

আমি অবাক হলাম এজন্য কারন মহিলাটি ছিলেন...........

.

.

গল্প :- আমি নষ্টা নই

পর্ব :- প্রথম

.

.

.

চলবে…………………♥

1
$ 0.00
Avatar for soyed
Written by
3 years ago

Comments