একজন স্বামী তার স্ত্রীকে পাগলের মত কখন ভালবাসে ?

3 11

একজন স্বামী তার স্ত্রীকে পাগলের মত কখন ভালবাসে ?

[এক বৃদ্ধা মহিলার সাক্ষাৎকার ]

যিনি তাঁর স্বামীর সাথে সফলতার সাথে কাটিয়ে দিলেন দীর্ঘ পঞ্চাশটি বছর।তাদের জীবন শান্তিতে ভরপুর ছিল। ঝগড়া তো দুরের কথা, দাম্পত্য জীবনে কখনো কথা কাটাকাটি পর্যন্ত হয়নি।

একজন সাংবাদিক এই বৃদ্ধার কাছে তার পঞ্চাশ বছরের স্থায়ী সফলতার রহস্যের ব্যপারে জানতে চাইলেন।

কি ছিল সে রহস্য?মজার মজার খাবার বানানো? দৈহিক সৌন্দর্য? বেশী সন্তান জন্ম দেয়া? নাকি অন্যকিছু? বৃদ্ধা বললেন, দাম্পত্য জীবনের সুখ শান্তি প্রথমত আল্লাহর ইচ্ছা অতপর স্ত্রীর হাতেই। একজন স্ত্রী চাইলে তার ঘরটাকে জান্নাতের টুকরো বানাতে পারেন আবার চাইলে এটাকে জাহান্নামেও পরিনত করতে পারেন।

কিভাবে? অর্থ দিয়ে?তা তো হতে পারে না। কেননা অনেক অর্থশালী মহিলা আছেন, যাদের জীবনে দুঃখ দুর্দশার শেষ নেই, যাদের স্বামী তাদের কাছেই ভিড়তে চাননা।

সন্তান জন্ম দান?

না, তাও নয়। কারন, অনেক মহিলা আছেন, যাদের অনেক সন্তান আছে, অথচ স্বামী পছন্দ করেননা। এমনকি এ অবস্থায় তালাক দেওয়ার নজিরও কম নয়।

ভাল খাবার বানানো?এটাও না, কারণ অনেক মহিলা আছেন, যারা রান্না বান্নায় বেশ দক্ষ, সারা দিন রান্না ঘরে কাজ করে, অথচ স্বামীর দুর্ব্যবহারের সম্মুখীন হন।

তার কথায় সাংবাদিক বিস্মিত হয়ে গেলেন, বললেন, তাহলে আসল রহস্যটা কি? বৃদ্ধা বললেন, যখনই আমার স্বামী রেগে গিয়ে আমাকে বকাবকি করতেন, আমি অত্যন্ত সম্মান দেখিয়ে নিরবতা অবলম্বন করতাম এবং অনুতপ্ত হয়ে মাথা দুলিয়ে তার প্রতিটি কথায় সায় দিতাম। সাবধান! বিদ্রুপের দৃষ্টিতে কখনো চুপ হয়ে থেকোনা, কেননা পুরুষ মানুষ বিচক্ষণ হয়ে থাকে, এটা সহজেই বুঝতে পারে।

সাংবাদিক: ঐ সময় আপনি ঘর থেকে বের হয়ে যান না কেন?

বৃদ্ধা: সাবধান! সেটা কখনো করবেননা। তখন তিনি মনে করবেন, আপনি তাঁর কথায় বিরক্ত হয়ে পালাতে চাচ্ছেন। আপনার উচিত, চুপ থেকে ওর প্রতিটি কথায় হা সুচক সায় দেওয়া, যতক্ষণ না তিনি শান্ত হন।

অতপর আমি তাকে বলি, আপনার শেষ হয়েছে? এবার আমি যেতে পারি? তারপর আমি চলে যাই, আর আপন কাজে লেগে যাই। কারন চিৎকার করে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, তার বিশ্রাম প্রয়োজন।

সাংবাদিক: এরপর কি করেন?

এক সপ্তাহ খানেক তার থেকে দূরে থাকেন, এবং কথা বলা বন্ধ রাখেন নিশ্চয়? বৃদ্ধা: সাবধান! এধরনের বদভ্যাস থেকে দূরে থাকুন। যা দুধারী তরবারির চেয়েও মারাত্মক। স্বামী যখন আপনার সাথে আপোষ করতে চান তখন যদি আপনি তার কাছে না যান, তখন তিনি একা থাকতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। কখনো কখনো এ অবস্থা তাকে প্রচন্ড জিদের দিকে ঠেলে দেবে।

সাংবাদিক: তাহলে কি করবেন তখন?

বৃদ্ধা: দুই ঘন্টা পর এক গ্লাস দুধ বা এক কাপ গরম চা নিয়ে তার কাছে যাই, আর বলি, নিন, এগুলো খেয়ে নিন, আপনি খুব ক্লান্ত। এসময় তার সাথে অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলি। তারপর তিনি বলেন, রাগ করেছো? আমি বলি, না। তারপর, তার দূর্ব্যবহারে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং স্নেহ ও ভালবাসার কথা বলেন।

সাংবাদিক: আপনি কি তার কথা তখন বিশ্বাস করেন?

বৃদ্ধা: অবশ্যই। কেন নয়? শান্ত থাকা অবস্থায় যা বলেন তা বিশ্বাস না করে, রাগান্বিত অবস্থায় যা বলেন তা বিশ্বাস করব?

সাংবাদিক: তাহলে আপনার ব্যক্তিত্ব?

বৃদ্ধা: আমার স্বামীর সন্তুষ্টিই আমার ব্যক্তিত্ব। আমাদের স্বচ্ছ সম্পর্কই আমাদের ব্যক্তিত্ব।

আর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন ব্যক্তিত্ব থাকেনা। যার সামনে তুমি পুরোপুরি ভাবে বস্ত্রমুক্ত হয়েছো, তার কাছে আবার কিসের ব্যক্তিত্ব?

আল্লাহ আমাদের কবুল করুন আমিন

(সংগৃহীত)...

...

...গল্পটা কেমন লাগলো অব্যশয় কমেন্ট এ জানাবেন❤

5
$ 0.00

Comments

আমি আপনার লেখাটি পড়লামন। গল্পটি আমার অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

$ 0.00
4 years ago

আপনার লেখা প্রতিটি গল্পই সুন্দর থেকে সুন্দরতম। সত্যি ভাই আপনি অনেক সুন্দর গল্প লেখেন আপনার মাধ্যমেই আমরা প্রতিদিন এতো সুন্দর সুন্দর গল্প পড়তে পাচ্ছি এর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

$ 0.00
4 years ago

গল্পটা অনেক সুন্দর লাগলো। স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে সব সময় ভালোবাসাটা অধিক হওয়া উচিত। লেখককে ধন্যবাদ শিক্ষনীয় একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। এগিয়ে যান।

$ 0.00
4 years ago