করোনা মহামারীতে ফুসফুস ভালো রাখার থেরাপিউটিক এক্সারসাইজঃ-
বিভিন্ন ধরনের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ যেমন, কাশি, মৃদু থেকে মাঝারি শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা কিংবা COPD জনিত সমস্যায় অনেকেই আক্রান্ত হতে পারেন।
# হালকা সংক্রমণের রোগীরা বাসায় অবস্থান করে তাদের শ্বাসযন্ত্র বা ফুসফুসকে কর্মক্ষম রাখতে ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ব্রিথিং এক্সারসাইজ
ক. ফুসফুসকে সুস্থ রাখে,
খ. ক্রনিক অ্যাজমা/করোনাভাইরাসজনিত জর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীদের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে,
গ. এই ধরনের থেরাপিউটিক এক্সারসাইজের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমায়,
ঘ. রোগীদের শিথিলতার পাশাপাশি প্রশান্তি বাড়ায় ও মনোবল বৃদ্ধি করে,
ঙ. ফুসফুস তীব্র সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারে।
# থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ প্রেসক্রিপশনঃ
🔸হালকা সংক্রমণে রিল্যাক্স ব্রিথিং এক্সারসাইজঃ
# প্রথমত, রোগী পিঠ সোজা করে আরামে বসবেন। ‘হু’ আওয়াজ করে মুখ দিয়ে ফুসফুসের সবটুকু বাতাস বের করে দেবেন।
# দ্বিতীয়ত, ‘৪৭৮’ পদ্ধতিতে নিঃশব্দে নাক দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস নেবেন এবং মনে মনে ১ থেকে ৪ পর্যন্ত গুনবেন। গৃহীত বাতাস ভেতরে আটকে রাখুন এবং মনে মনে ১ থেকে ৭ পর্যন্ত গুনুন। আবার ‘হু’ আওয়াজ করে পুরোটা বাতাস বের করে দিন এবং ১ থেকে ৮ পর্যন্ত মনে মনে গুনুন।
পরামর্শ অনুযায়ী উপরোক্ত এক্সারসাইজগুলো সকাল-বিকাল দিনে ২ বার করবেন।
🔸মাঝারি ধরনের সংক্রমণে ফুসফুসের জটিলতায়ঃ
# বিছানায় দুই পা সোজা রেখে চিত হয়ে আধা শোয়া অবস্থায় থাকতে হবে।
# ‘হু’ আওয়াজ করে মুখ দিয়ে ফুসফুসের সবটুকু বাতাস বের করে দেবেন।
# দ্বিতীয়তঃ ‘৪৭৮’ পদ্ধতিতে নিঃশব্দে নাক দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস নেবেন এবং মনে মনে ১ থেকে ৪ পর্যন্ত গুনবেন। গৃহীত বাতাস ভেতরে আটকে রাখুন এবং মনে মনে ১ থেকে ৭ পর্যন্ত গুনুন। আবার ‘হু’ আওয়াজ করে পুরোটা বাতাস বের করে দিন এবং ১ থেকে ৮ পর্যন্ত মনে মনে গুনুন।
এই এক্সারসাইজগুলো পরামর্শ অনুযায়ী দিনে কয়েকবার করতে হবে।
এই পজিশনে বাতাস খুব সহজে ফুসফুসের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। এর মাধ্যমে রোগীরা সহজেই কফ বের করতে পারবেন। মনে রাখবেন কফ বের করতে পারলে সংক্রমণের মাত্রা কমানো অনেকাংশে সম্ভব এবং ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ানো যায়। এতে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। তবে কাশি দেওয়া বা কফ বের করার সময় অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি/শিষ্ঠাচার মেনে চলতে হবে।
ফুসফুসের এই থেরাপিউটিক এক্সারসাইজের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাভাবিক হাঁটাচলা সহ শারীরিক অন্যান্য ব্যায়াম হালকা জগিং সহ হাত-পায়ের বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ করতে পারলে ঐ ধরনের রোগীদের দ্রুত আরোগ্য সম্ভব।
সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ নিয়মিত করলে খুব উপকারে আসবে। এর ফলে ফুসফুস সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে আসবে।
Good one