পাখি

3 22
Avatar for shohid99
4 years ago

অধিকাংশ প্রাণী পালনেই দরকার সবুজ ঘাস, যা বেশির ভাগ সময়েই পাওয়া যায় না এবং দানা জাতীয় খাবার যার দাম অত্যধিক বেশি। এই প্রেক্ষিতে বিকল্প আয়ের জন্য রঙিন পাখির চাষ খুবই লাভজনক এবং এতে খাবার খরচ খুবই কম। বিভিন্ন রঙিন পাখি যেমন – বদ্রী, লাভ বার্ড, ফ্রীঞ্চ, ককটেল, জাভা ইত্যাদি পাখির চাষ বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। যারা নূতন ব্যবসা শুরু করতে চান, বদ্রী চাষ তাদের জন্য নিরাপদ এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের উপায়।ঘরের শোধন : বদ্রী পাখি পালনের এক সপ্তাহ আগে মেঝেতে ৩০০ গ্রাম চুন ছড়াতে হবে।

ছাদে খড় দিতে হবে।

পোকা হলে – পাখি রাখা অবস্থায়, বুটক্স – ৩ মিলি (১০০ পাখির জন্য), ২ লিটার জলে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী ১৫ দিন বাদে আবার একবার দিতে হবে।

ভাঁড় : প্রতি জোড়া পাখির জন্য একটি করে ভাঁড় দিতে হবে। ১ ফুট বাদে বাদে ভাঁড় দিতে হবে। লম্বা ও চওড়ায় সব দিকে। ভাঁড় কাছাকাছি হলে পাখিরা ঝগড়া করে। বৈশাখ-জৈষ্ঠ মাসে ভাঁড় নামিয়ে রাখতে হবে। এতে পাখি ডিম পাড়তে পারবে না। পাখির এই বিশ্রাম খুবই জরুরী।খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। বিশেষ করে পানির বেলায়। ফুটিয়ে ঠান্ডা করা পানি প্রতিদিন সকালে পাত্রে দিয়ে রাখুন। পানি নোংরা হওয়ামাত্রই আবার বদলে দিন। আর পানির পাত্রটি যেন প্রতিদিন পরিষ্কার থাকে, সেটাও নিশ্চিত করুন। পাখিদের গোসলের জন্য আলাদা পাত্রে দুপুরের দিকে পানি দিয়ে রাখুন। গোসল শেষে সরিয়ে ফেলুন।খাঁচায় থাকার ফলে পাখিদের ‘শরীরচর্চা’ ঠিকমতো হয় না। এর ব্যবস্থাও আপনাকে করতে হবে। খাঁচার ভেতর ছোট মই, দোলনা, ঝুনঝুনি, প্লাস্টিকের বল রেখে দিন। পাখিরা এসব নিয়ে খেলাধুলা করলে শরীর ও মন দুটোই ঠিক থাকবে। হ্যাঁ, পাখিদেরও মন খারাপ হয়। বিষণ্ন পাখি কিছু খায় না, অসুস্থ হয়ে পড়ে দ্রুত। এমনটা বেশি হয় পাখি কোনো অসুখে পড়লে কিংবা সঙ্গীর অভাবে।পাখিদের বিরক্ত করবেন না। খাঁচার বাইরে থেকে খোঁচাখুঁচি করা, খাবার ছুড়ে দেওয়া, লেজ ধরে টান দেওয়া—একেবারেই করা যাবে না। পাখি ভয়ে থাকলে কিছুই খাবে না, অসুস্থ হয়ে পড়বে। পাখির সঙ্গে বরং কথা বলুন, আস্তে–ধীরে হাত দিয়ে খাবার দিন। অনেক পাখিই তীক্ষ্ণ ঠোট দিয়ে ঠোকর দেয়। পাখির সঙ্গে ভালো আচরণ করলে একসময় দেখবেন আপনাকে আর ঠোকর দেবে না, যা বলবেন তা–ই শুনবে।খাঁচার পাখি স্বভাবতই নাজুক প্রকৃতির। এরা কোনো কিছুই ‘অতি’ সহ্য করতে পারে না। অতি রোদ, অতি বাতাস কিংবা অতি শীতে এদের অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। ফলে পাখির খাঁচাটি এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে সরাসরি রোদ পড়ে না, সরাসরি বাতাস এসে ধাক্কা দেয় না, শীত হানা দেয় না। বৃষ্টির ছাঁটেও এরা কাবু হয়ে যায়।

তাই বারান্দায় খাঁচা রাখলে তিন পাশে স্বচ্ছ প্লাস্টিকের দেয়াল তৈরি করে দিতে পারেন।


4
$ 0.00
Avatar for shohid99
4 years ago

Comments

Wow nice thoughts

$ 0.00
4 years ago

ভাঁড় : প্রতি জোড়া পাখির জন্য একটি করে ভাঁড় দিতে হবে। ১ ফুট বাদে বাদে ভাঁড় দিতে হবে। লম্বা ও চওড়ায় সব দিকে। ভাঁড় কাছাকাছি হলে পাখিরা ঝগড়া করে। বৈশাখ-জৈষ্ঠ মাসে ভাঁড় নামিয়ে রাখতে হবে। এতে পাখি ডিম পাড়তে পারবে না। পাখির এই বিশ্রাম খুবই জরুরী।খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। বিশেষ করে পানির বেলায়। ফুটিয়ে ঠান্ডা করা পানি প্রতিদিন সকালে পাত্রে দিয়ে রাখুন। পানি নোংরা হওয়ামাত্রই আবার বদলে দিন। আর পানির পাত্রটি যেন প্রতিদিন পরিষ্কার থাকে, সেটাও নিশ্চিত করুন। পাখিদের গোসলের জন্য আলাদা পাত্রে দুপুরের দিকে পানি দিয়ে রাখুন। গোসল শেষে সরিয়ে ফেলুন।খাঁচায় থাকার ফলে পাখিদের ‘শরীরচর্চা’ ঠিকমতো হয় না। এর ব্যবস্থাও আপনাকে করতে হবে। খাঁচার ভেতর ছোট মই, দোলনা, ঝুনঝুনি, প্লাস্টিকের বল রেখে দিন। পাখিরা এসব নিয়ে খেলাধুলা করলে শরীর ও মন দুটোই ঠিক থাকবে। হ্যাঁ, পাখিদেরও মন খারাপ হয়। বিষণ্ন পাখি কিছু খায় না, অসুস্থ হয়ে পড়ে দ্রুত। এমনটা বেশি হয় পাখি কোনো অসুখে পড়লে কিংবা সঙ্গীর অভাবে।পাখিদের বিরক্ত করবেন না। খাঁচার বাইরে থেকে খোঁচাখুঁচি করা, খাবার ছুড়ে দেওয়া, লেজ ধরে টান দেওয়া—একেবারেই করা যাবে না। পাখি ভয়ে থাকলে কিছুই খাবে না, অসুস্থ হয়ে

$ 0.00
4 years ago

NC article

$ 0.00
4 years ago