রোদ ছায়ার অসমাপ্ত লুবোচুরি খেলাটা আবার শুরু হয়েছে, সাদা ধবধবে শিউলি ছগিয়েছে সুবাস।
কাশের বনেও বাতাসের মৃদুমন্দ পরসে ঢেউ উঠেছে, আকাশে পেজাঁ তুলোর মতো মেঘগুলো চারিদিকে দাপাদাপি জুড়েছে।
চারিদিকে সাজো সাজো রব, শরতের আগমন হলো যে, এতোকিছুর মাঝেও মুখ ভার দিগন্তের, মনের মাঝে এক শূন্যতা।
গোধূলিতে যখন সে তটভুমিতে পৌছালো, একটা মেয়েলি কন্ঠের খিলখিল হাসি তার কানে আসল।
ওই যে দুরে যেখানে মেঘবালিকারা খেলায় মত্ত, ওখান থেকে ভেসে আসছে হাসির আওয়াজ।
এক মেঘবালিকা আধারঘন সুবিশাল কালো, কেশ আকৃষ্ট করলো দিগন্তকে,
এগিয়ে যেতে থাকলো কুন্তলিনীর দিকে, কিন্তু সে যেতে যেতে মেঘবালিকাও উদাও
ব্যর্থ দৃষ্টিতে দিগন্ত আবার ফিরল তটভুমিতে আর অপেক্ষায় থাকলো পরবর্তী দিনের।
যথা সময়ে আধার কেটে আলোর রেখা ঝিলিক দিলো, রোদ্র প্রখরতা কেটে আবার গোধূলি গনিয়ে এলো।
আবার দিগন্ত উপস্থিত তটভুমিতে, কানে বাজলো খিলখিল হাসি আর চোখের সামনে কুন্তলীনার নাচন।
এভাবে অপেক্ষায়, কৌতুহলে কাটলো একপক্ষকাল।
দিগন্ত কুন্তলিনার রুপে মুগ্ধ টানা টানা কালো চোখ, গোলাপীরাঙা ঠোট, অপরূপ লাবন্যময়ী।
0
7
Written by
ruhul112
ruhul112
4 years ago