কলা পাতায় খাওয়ার এত গুণ!
জানেন কি কলাপাতায় খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারী?
আসুন জেনে নিন কলাপাতায় সম্পর্কে...
১) শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিতে কলাপাতার রসে খুব উপকার মেলে। চর্মরোগ, আমাশা, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তাল্পতায় কলাপাতার রস অত্যন্ত কার্যকরী। তাছাড়া, লিভারের সমস্যার সমাধানেও কলাপাতার রস খুব উপকারী।
২) কলাপাতায় খাওয়া বঙ্গ সমাজের রীতি। শুধু বঙ্গ সমাজ কেন? দক্ষিণ ভারতেও কলাপাতায় খাওয়ার প্রচলন আছে। এখনও অনেক অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয় কলাপাতা। কলাপাতায় খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।
৩) স্টিলের বা কাচের প্লেট সাবান জল দিয়ে খুব ভাল করে ধোওয়ার পরেও সাবানের রাসায়নিক কণা প্লেটে লেগে থাকতে পারে। কিন্তু কলাপাতা সাবান দিয়ে ধোওয়ার প্রয়োজন নেই। তাই কলাপাতায় খাবার খেলে তা থাকে রাসায়নিকমুক্ত।
৪) কলাপাতায় পলিফেনল নামের একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। গ্রিন টি-তেও থাকে এই পলিফেনল। যখন কলাপাতায় খাবার পরিবেশন করা হয়, তখন খাবারের সঙ্গে এই পলিফেনল মিশে শরীরে প্রবেশ করে। এই পলিফেনল যুক্ত খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৫) কলাপাতা পরিবেশ বান্ধব। এটি খুব সহজেই মাটির সঙ্গে মিশে যায়। তাই পরিবেশ দূষণেরও কোনও আশঙ্কা থাকে না।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, কলা পাতায় খাবার পরিবশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পয়েছে। কারণ কলা পাতায় খাবার খাওয়ার সময় এই প্রকৃতিক উপাদানটির শরীর থেকে নানা উপকারী উপাদান আমাদের দেহের অন্দরে প্রবেশ করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভিতর থেকে শরীর এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
প্রসঙ্গত, কলা পাতায় পলিফেনল নামে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, সেই সঙ্গে থাকে লিগনিন, হেমিসেলুলোস, প্রোটিন এবং অ্যালোয়েনটাইন নামক বেশ কিছু উপকারি উপাদান, যা রোগ মুক্ত শরীর পাওয়ার স্বপ্ন পূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, কলা পাতা আরও নানাভাবে শরীরের উপকারে লাগে।
ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে কলা পাতায় উপস্থিত পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের অন্দরে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়, সেই সঙ্গে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা কমায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার ইমিউনিটি বেড়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও রোগ ধারে কাছে আসতে পারে না।
গলা ব্যথা কমায় ঠাণ্ডা-গরমের কারণে গলায় কি ব্যথা হয়েছে? তাহলে আজ থেকেই কলা পাতায় খাওয়া শুরু করুন। আর যদি এমনটা করা সম্ভব না হয়, তাহলে পরিমাণ মতো কলা পাতা ফুটিয়ে সেই পানি পান করুন। এমনটা করল দেখবেন কষ্ট একেবারে কমে যাবে। কারণ কলা পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
জ্বরের প্রকোপ কমায় কলা পাতার অন্দরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট আমাদের শরীরে প্রবেশ করার পর প্রদাহ কমাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে যে যে ভাইরাসের কারণে জ্বর হয়েছে তাদেরও মারতে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জ্বরের জ্বালা কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে কলা পাতায় যেমন খাওয়া শুরু করতে পারেন, তেমনি কলা পাতা দিয়ে বানানো পানীয় খেলেও সমান উপকার পেতে পারেন।
পেটের রোগ কমায় অ্যালেনটোইন এবং পলিফেনল নামক দুটি উপাদান যে কোনও ধরনের পেটের রোগ সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই দুটি উপাদান প্রচুর মাত্রায় রয়েছে কলা পাতায়। তাই তো নিয়মিত কলা পাতায় খাবার খেলে ইন্টেস্টাইনাল ব্লিডিং কমে, সেই সঙ্গে স্টমাক পেনের মতো সমস্যাও মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। তাই হে খাদ্যরসিক বাঙালি পেটের রোগ থেকে যদি মুক্তি পেতে চান, তাহলে আজ থেকেই কলা পাতায় খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।
ক্ষত সারায় না, কলা পাতা খেলে ক্ষত সারে না। বরং ক্ষতস্থানে কলা পাতা বেঁটে লাগালে যন্ত্রণা তো কমেই। সেই সঙ্গে রক্তপাতও বন্ধ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, টোচের জায়গায় ২-৩ দিন কলা পাতা বেঁধে রাখলে ক্ষত একেবারে শুকিয়ে যায়।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে আজও কেরালার ট্র্যাডিশনাল স্পা সেন্টারে কলা পাতার পেস্ট মুখে লাগানোর রেওয়াজ রয়েছে। আসলে এমনটা করলে কলা পাতার অন্দরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের অন্দরে যাওয়ার সুযোগ পায়, ফলে স্কিনের ভিতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণচ্ছ্বল হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, কলা পাতায় খাবার খেলেও একই উপকার পাওয়া যায়। কারণ সেক্ষেত্রেও খাবারের সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার সুযোগ পায়। ফলে সমান উপকার মেলে।
ওজন কমায় শুনতে অবাক লাগলেও একথা একেবারে ঠিক যে ওজন কমাতে বাস্তবিকই কলা পাতা দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে প্রমাণ মাপের একটি কলা পাতা নিয়ে গরম জলে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পাতাটা শরীরের সেই অংশে রাখতে হবে, যেখানকার চর্বি গলানোর ইচ্ছা রয়েছে। কলা পাতাটা ১-২ ঘণ্টা রাখার পর সরিয়ে ফেলতে হবে। তারপর এক কাপ কলা পাতা দিয়ে বানানা চা খেলেই কেল্লাফতে! এমনটা যদি নিয়মিত করতে পারেন, তাহেল ওজন কমতে দেখবেন একেবারেই সময় লাগবে না।
★★★ English Translate ★★★
So many times to eat banana leaves!
Do you know how beneficial it is to eat banana leaves for health?
Let's find out about banana leaves ...
1) Banana leaf juice is very useful for shortness of breath, cold and cough. Banana juice is very effective in skin diseases, diarrhea, constipation, anemia. Moreover, banana juice is also very useful in solving liver problems.
2) It is the custom of Bengal society to eat banana leaves. Why only Bengal society? Banana leaves are also eaten in South India. Banana leaves are still used in many occasions. Eating banana leaves is beneficial for health.
3) Even after washing the steel or glass plate with soapy water, the chemical particles of the soap may stick to the plate. But banana leaves do not need to be washed with soap. So eating banana leaves is chemical free.
4) Banana leaves contain an antioxidant called polyphenols. Green tea also contains this polyphenol. When food is served on banana leaves, this polyphenol mixes with the food and enters the body. Eating foods containing these polyphenols increases the body's resistance to disease.
5) Banana leaves are environment friendly. It mixes with soil very easily. So there is no risk of environmental pollution.
Multiple studies have shown that the ban on serving banana leaves has increased the incidence of multiple diseases. This is because when eating banana leaves, various beneficial elements of this natural ingredient enter our body. As a result, the body naturally becomes so strong from the inside that no disease can come close to the edge.
Incidentally, banana leaves contain a type of antioxidant called polyphenols, along with lignin, hemicellulose, protein and several beneficial elements called alloantines, which play a special role in fulfilling the dream of getting a disease free body. Not only this, with the help of banana leaves you can do more good for your body.
Keeps cancer at bay Eliminates harmful toxins from the body after entering the body through the antioxidant food called polyphenols present in banana leaves, as well as reduces the chances of cancer cells being born. As a result, cancer cannot come close to normal. Incidentally, antioxidants also play a special role in strengthening the body's immune system. And once the immunity is increased, no disease can come close to normal.
Reduces sore throat What is the sore throat due to cold-heat? Then start eating banana leaves from today. And if that is not possible, boil a small amount of banana leaves and drink the water. If you do so, you will see that the suffering will be reduced completely. This is because the anti-bacterial properties present in banana leaves play a special role in this case.
Reduces the incidence of fever The antioxidants and astringents contained in banana leaves begin to reduce inflammation once they enter our body. At the same time, the virus that causes fever also kills them. As a result, the fever starts to decrease naturally. By the way, in this case, just as you can start eating banana leaves, you can also get equal benefits by drinking drinks made with banana leaves.
Allentoin and polyphenols, which reduce stomach ailments, play a key role in curing any type of stomach ailment. And these two ingredients are abundant in banana leaves. That's why eating banana leaves regularly reduces intestinal bleeding, as well as problems like stomach pain. So, O food-loving Bengali, if you want to get rid of stomach ailments, start eating banana leaves from today. You will see the benefits.
Wounds do not heal, playing with banana leaves does not heal wounds. On the contrary, if you put a banana leaf on the wound, the pain will be less. With that the bleeding also stopped. Incidentally, if the banana leaves are tied in the place of the toch for 2-3 days, the wound becomes completely dry.
To enhance the beauty of the skin, it is still customary to apply banana leaf paste on the face in the traditional spa center of Kerala. In fact, doing so allows the antioxidants in the banana leaves to penetrate the skin, expelling the toxic substances that accumulate inside the skin. As a result, the skin becomes bright and vibrant. Incidentally, eating banana leaves has the same benefits. Because even then antioxidants get a chance to enter the body with food. The result matches the equal benefits.
It's amazing to hear about weight loss, but it's true that banana leaves are really great for weight loss. In this case, take a banana leaf of proof size and boil it in hot water. Then the leaf should be placed on the part of the body where there is a desire to melt fat. The banana leaf should be removed after keeping it for 1-2 hours. Then play banana tea with a cup of banana leaves kellaphate! If you can do this regularly, then you will see weight loss in no time at all.