ছায়া হয়ে থাকব

0 34
Avatar for nila
Written by
3 years ago

ছায়া হয়ে থাকবো পাশে

part ঃ 8

আহান চারুকে এইভাবে দেখে-

আহানঃ হায়...মার হি ডালা(বুকের বা পাশে হাত রেখে)

আহান বেশ কিছু সময় ধরে দরজার সাথে হেলান দিয়ে চারুকে এইভাবে দেখে যাচ্ছিলো।

হঠাৎ চারু আয়নায় আহানকে দেখতে পেলে-

চারু ঃ ভাইয়া আপনি??

আহান চারুর কথা শুনে থতমত খেয়ে যায়।

আহানঃ হ্যা আমি।

চারু ঃ বাইরে কি করছেন ভিতরে আসুন।

আহান চারুর অনুমতি পেয়ে রুমে প্রবেশ করে।

চারুঃ ভাইয়া কি জন্য আসছিলেন???

আহানঃ আসলে....(মাথা চুলকিয়ে)

চারু ঃ হ্যা বলুন।

আহানঃ আসলে ভাবি তোমাকে ডাকছিল তাই তোমাকে বলতে আসলাম।

চারু ঃ আচ্ছা চলেন তাহলে।

চারু আর আহান ড্রয়িং রুমে আসলে দেখে আবির আর দিশা এখনো ঝগড়া করছে।

আহানঃ আল্লাহ তোমাদের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। (হেসে)

দিশাঃ দেখেননা ভাইয়া আপনার ভাই আমাকে কখন থেকে ঝালিয়ে মারছে।

(( লেখক এর সামান্য অনুরোধ। 🙏🙏(আমার গল্প ভালো লাগলে আমাকে একটা friend request দিন।pls pls pls pls pls🙏,id link.👇https://www.facebook.com/najemul.sakib))))

আবিরঃ হ।নিজে তো সাধু ।কিছুই জানেনা।

নিজেই আমার সাথে অকারণে ঝগড়া করছে এখন আমার ভাই এর কাছে নালিশ করছে আমায় নিয়ে।

আহান হঠাৎ দাড়া থেকে বসে পরে ফ্লোরে।

আহান এই ভাবে ফ্লোরে বসায় চারু দিশা আবির বেশ অবাক হয়।

দিশাঃ ভাইয়া আপনি এই ভাবে বসে পরলেন কেন??

আহানঃ কি করব ভাবি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আপনাদের ঝগড়া দেখতে দেখতে আমার পা টা ব্যথাই হয়ে গেছে। তাই ভাবলাম বসে বসে আপনাদের ঝগড়া দেখি কি বলো চারু ঠিক বলছিনা আমি??

চারু ঃ হ্যা ভাইয়া একবারে ঠিক কথা বলেছেন আপনি।

কথাটি বলে চারুও আহানের মত ফ্লোরে বসে পরে আহানের পাশে।

আহান আর চারু এ-ই ভাবে বসে পরায় বেশ শরম পায় দিশা আর আবির।

দিশাঃ সরি ভাইয়া(কানে হাত রেখে)

আর হবেনা এমন।

আহান আর চারু দিশার কথা শুনে ফ্লোর থেকে উঠে পরে তাড়াতাড়ি করে।

আবিরঃ আহানের সাথে সাথে আমাকেও সরি বলা উচিত ছিল তোমার।(মুখ বাকা করে)

দিশাঃ তোকে তো আমি পরে দেখে নিব।আজ তর বারো টা না গুনে গুনে তেরো টা বাজিয়ে দিব আমি দেখে নিশ তুই।আনমনে (আবির এর দিক এ রাগি দৃশটিতে তাকিয়ে)

আহানঃ ভাইয়া সরি বলার কি দরকার আবার।ভাবি তোমাকে কোনো সরি টরি বলতে হবেনা।

দিশাঃ না ভাইয়া থাক আমারই দোষ ছিল।

আবির আই এম সরি। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিন।

আবিরঃ ইটস ওকে( হাসি দিয়ে)

দিশাঃ অনেক হাসি পাচ্ছে না।হাসো হাসো বেবি বেশি করে হেসে নাও। একটু পর তোমাকে কান্না করতে হবে।

আনমনে।

দিশা ঃ ভাইয়া আপনি ফ্রেশ হয়ে আসেন আমি খাবার বারছি।

আহানঃ জ্বি ভাবি।

চারু ঃ ভাবি চলো আমিও তোমাকে হেল্প করি।

দিশাঃ আচ্ছা আসো আমার সাথে।

তারপর দুই জন মিলে ডায়নিক টেবিল খাবার বেরে আহান আর আবিরকে ডাক দেয়।

আহান আর আবির খাবার টেবিল এসে বসলে

খাবার মুখে দিয়ে -

আহানঃ খাবার খেয়ে তো মনে হচ্ছে খাবারটা চারু রান্না করেছে।আনমনে

ভাবি খাবার টা যে কি মজা হয়েছে না। বলে বোঝাতে পারব না তোমাকে। তোমার হাতে চুমু দিতে ইচ্ছে করছে।

দিশাঃ ভাইয়া তাহলে তুমি চারুর হাতেই দিয়ে দাও।(হেসে) কারন আজ আমি রান্না করিনি চারু রান্না করেছে।

চারু দিশার কথা শুনে আহানের দিক এ তাকিয়ে বেশ লজ্জা পায়।

চারু ঃ ভাবি আমার একটু কাজ আছে আমি রুমে যাচ্ছি।

দিশাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সেই খান থেকে তাড়াতাড়ি করে চলে আসে চারু।

আহানঃ উফফ কেন যে বলতে গেলাম কথাটা।শরম পেয়ে এখন না খেয়েই চলে গেল। (মন খারাপ করে) আনমনে।

ভাবি তুমি ওর খাবার এর প্লেট টা আমাকে দাও আমি গিয়ে দিয়ে আসি ওকে

দিশাঃ আগে তুমি তো খেয়ে নাও।

আমি খাবার টা খেয়ে ওকে রুমে গিয়ে দিয়ে আসব নে।

আহানঃ ভাবি আমার খাওয়া হয়ে গেছে।

দিশাঃ সে কি কথা তুমি তো কিছুই খেলে না।আর বলছো খাওয়া হয়ে গেছে।

আহানঃ আমার খিদে নেই ভাবি।তাই খেতে পারছিনা। তুমি চারুর খাবার এর প্লেট টা আমাকে দাও আমি গিয়ে ওকে দিয়ে আসি।আর তুমি আর ভাইয়া আস্তে ধিরে খাও।

আবিরঃ আরে দিশা ও যেহেতু এতো বার বলছে তাহলে দিয়েই দাও না ওকে। আহান গিয়েই দিয়ে আসুক।

দিশা আবির এর কথায় আর কিছু না বলে খাবার এর প্লেট টা আহানকে দিয়ে-

দিশাঃ নাও ভাইয়া তুমি তাহলে দিয়ে আসো খাবারটা চারু কে গিয়ে।

খাবার এর প্লেট টা নিয়ে আহান চলে যায় চারুকে দিতে।

দরজার সামনে এসে নক দিয়ে-

আহানঃ চারু আসবো ভিতরে?

চারুঃ ভাইয়া আসেন।

আহান রুমে ভিতরে ডুকে খাবার এর প্লেট টা নিয়ে চারুর সামনে দাঁড়িয়ে

আহানঃ এই ভাবে না খেয়ে চলে আসলে কেন ওই খান থেকে।নাও খাবারটা খেয়ে নাও লক্ষী মেয়ের মতো।

চারু ঃ ভাইয়া আসলে আমার খিদে নেই। যখন খিদে লাগবে তখন খেয়ে নিব নে।।

আহানঃ আমি তোমাকে আস্ক করছি না আমি তোমাকে অর্ডার দিচ্ছি।বেশি কথা না বলে জলদি করে খেয়ে নাও খাবারটা।আর একটা কথা বার বার রিপিট করা আমি মোটেও লাইক করিনা কিন্তু।

চারু আহানের কথা শুনে বেশ ভয় পেয়ে যায়।আহানের হাত থেকে প্লেট টা নিয়ে সোফায় বসে তাড়াতাড়ি করে খেতে শুরু করে বাচ্চাদের মতো।

আহানঃ ইসস আমার যে কি খিদা লেগেছে।

চারু আহানের কথা শুনে খাওয়া বন্ধ করে ওর দিক এ অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে।

চারু ঃভাইয়া আপনি খাননি?

আহানঃ না।

চারু ঃকিন্ত আপনি তো ডায়নিক টেবিল এ বসে খাচ্ছিলেন ?

আহানঃ হ্যা কিন্তু হঠাৎ করে আমার ডান হাত টা প্রচুর ব্যথা করছে তাই হাত দিয়ে খেতে পারছিনা

চারু ঃ তাহলে খাবারের প্লেট টা নিয়ে আসলেন কিভাবে ব্যথার হাত দিয়ে।

আহানঃ ওই টা তো আমি আমার বাম হাত দিয়ে নিয়ে আসছি।তুমি হয়ত খেয়াল কর নি।ব্যথার কারনে খাবারই খেতে পারলাম না।প্লেট ধরব কিভাবে বল?

তুমি ও সব কথা বাদ দাও তুমি খেয়ে নাও।

চারু আহানের কথা শুনে কি জানি ভাবল। তারপর

চারু ঃভাইয়া আপনি কিছু মনে না করলে আমি খাইয়ে দিতে পারি আপনাকে।

আহানঃ না না তোমার কষ্ট করার কি দরকার?ব্যথা কমে গেলে আমিই আমার হাত দিয়ে খেয়ে নিব নে।

চারু ঃআরে ভাইয়া আমার কোন কষ্ট হবেনা আপনাকে খাইয়ে দিতে।। তাই আপনি এইখানে বসুন আমি খাইয়ে দিচ্ছি আপনাকে।

আহান চারুর কথা খুশি হয়ে সোফায় বসে পরে।

আহান চারুর পাশে বসলে চারু আহানকে খাইয়ে দিতে থাকে নিজ হাত দিয়ে সাথে নিজেও খেয়ে নেয়।

আহানঃ ভালোবাসার মানুষ এর হাত দিয়ে খাবার খেতে মজাই আলদা।, আনমনে

সন্ধা বেলা......

আবিরঃ দিশা আজ আমার জন্য ক্ষির বানিয়ে দিয়ে তো।

দিশাঃ ইসস আসছে ক্ষির খেতে আমি তো পারলে আপনাকে তেলাপোকা মারার ওষুধ খাইয়ে দেই(ভেংচি কেটে)

আবিরঃ কি তুমি আমাকে তেলাপোকা ওষুধ খাইয়ে মেরে ফেলতে চাও।

চারু ঃ ভাইয়া আমি বানিয়ে দিব নে আপনার জন্য ক্ষির আজ।

আবিরঃ সত্যি চারু তুমি বানিয়ে দিবে।

দিশাঃ কোন দরকার নেই চারু এ-ই শয়তানটার জন্য ক্ষির বানানোর।

আবিরঃ এই তুমি বানাবে না মানলাম।চারু বানাতে চাচ্ছে ওকেও মানা করছো কেন।

চলবে,,

1
$ 0.00
Avatar for nila
Written by
3 years ago

Comments