ভালোবাসি তাই (part_2)

1 31
Avatar for moli
Written by
4 years ago

Kuch aisa ho tum tum naa raho

Kuch aisa ho hum hum na rahe

Yeh raaste alag ho jaaye

Chalte chalte hum kho jaaye

Main phir bhi tumko chahunga

Main phir bhi tumko chahunga (×2)

সেই কখন থেকে ভারসিটির ক্যান্টিনে বসে আছি। এমুহূর্তে বিরক্তির সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছি আমি। একরাশ বিরক্তিভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি আমার সামনে বসে থাকা সারার দিকে। সে চেহারায় দুঃখী দুঃখী ভাব এনে আরিজিৎ সিং এর গান শুনে চলেছে। এই নিয়ে সাতবার একটা গানই বাজিয়ে চলেছে তার মোবাইলে। গানের লিরিক্সগুলো মুখস্ত হয়ে গেছে আমার। নিজের নাম ভুলে গেলেও যেতে পারি কিন্তু গানের লিরিক্সগুলো কোনোদিনো ভুলবো না আমি। আমার মনে হচ্ছে মোবাইলেরও যদি প্রাণ থাকতো তাহলে এতক্ষণে সারার গালে ঠাস ঠাস করে চড় মেরে বলতো " অন্য কোনো গান চোখে দেখিস না নাকি? এই এক গান প্লে করতে করতে বোরিং লাগছে আমার "। কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব নয়। তাই বেচারা মোবাইল বাবাজি সারার নির্দেশ অনুযায়ী এই গানটাই প্লে করে চলেছে বারবার।

আর চুপচাপ বসে থাকতে পারছি না আমি। কেমন যেনো বমি বমি পাচ্ছে আমার। কোনোকিছুর উপর খুব বেশি বিরক্ত হয়ে গেলেই আমার বমি পায়। যদিও শেষ পর্যন্ত বমি করা হয়ে উঠে না আর। তাই হয়তো এবারেও হবে না। কিন্তু এভাবে একজায়গায় বসে থাকাটাও আমার পক্ষে সম্ভব নয় আর। তাই সারাকে বললাম

- আর কতক্ষণ?

- কি, আর কতক্ষণ?

- ওফ, আর কতক্ষণ চলবে তোর এসব পাগলামী?

- তোর কাছে এটা পাগলামী মনে হচ্ছে?

- তা নয়তো কি।

- তোর মধ্যে কি ইমোশন বলতে কিছু নেই, মাইশা? তোর কি একটুও কান্না পাচ্ছে না?

- আরে আজব তো, শুধু শুধু কোনো কারণ ছাড়া কান্না পেতে যাবে কেনো?

- সেটাই তো। কোনো কারণ ছাড়া কান্না পাবে কেনো। কিন্তু আমার অনেক কান্না পাচ্ছে। মনে হচ্ছে আমার যদি একটা এক্স থাকতো!

- পাগলের মতো কিসব আবোল তাবোল বকছিস তুই? কান্না পাওয়ার সাথে এক্সের কি কানেকশন?

ভাইয়া তার ঘরের দিকে দৌড় দিলো। আমিও ওর পেছন পেছন দৌড়াচ্ছি। আজকে ধরতে পারলে সত্যি সত্যিই মেরে আলুভর্তা বানিয়ে দেবো।

Tum mere ho iss pal mere ho

Kal shayad ye alam naa rahe

Kuch aisa ho tum tum naa raho

Kuch aisa ho hum hum na rahe

Yeh raaste alag ho jaaye

Chalte chalte hum kho jaaye

Main phir bhi tumko chahunga

Main phir bhi tumko chahunga (×2)

সেই কখন থেকে ভারসিটির ক্যান্টিনে বসে আছি। এমুহূর্তে বিরক্তির সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছি আমি। একরাশ বিরক্তিভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি আমার সামনে বসে থাকা সারার দিকে। সে চেহারায় দুঃখী দুঃখী ভাব এনে আরিজিৎ সিং এর গান শুনে চলেছে। এই নিয়ে সাতবার একটা গানই বাজিয়ে চলেছে তার মোবাইলে। গানের লিরিক্সগুলো মুখস্ত হয়ে গেছে আমার। নিজের নাম ভুলে গেলেও যেতে পারি কিন্তু গানের লিরিক্সগুলো কোনোদিনো ভুলবো না আমি। আমার মনে হচ্ছে মোবাইলেরও যদি প্রাণ থাকতো তাহলে এতক্ষণে সারার গালে ঠাস ঠাস করে চড় মেরে বলতো " অন্য কোনো গান চোখে দেখিস না নাকি? এই এক গান প্লে করতে করতে বোরিং লাগছে আমার "। কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব নয়। তাই বেচারা মোবাইল বাবাজি সারার নির্দেশ অনুযায়ী এই গানটাই প্লে করে চলেছে বারবার।

আর চুপচাপ বসে থাকতে পারছি না আমি। কেমন যেনো বমি বমি পাচ্ছে আমার। কোনোকিছুর উপর খুব বেশি বিরক্ত হয়ে গেলেই আমার বমি পায়। যদিও শেষ পর্যন্ত বমি করা হয়ে উঠে না আর। তাই হয়তো এবারেও হবে না। কিন্তু এভাবে একজায়গায় বসে থাকাটাও আমার পক্ষে সম্ভব নয় আর। তাই সারাকে বললাম

- আর কতক্ষণ?

- কি, আর কতক্ষণ?

- ওফ, আর কতক্ষণ চলবে তোর এসব পাগলামী?

- তোর কাছে এটা পাগলামী মনে হচ্ছে?

- তা নয়তো কি।

- তোর মধ্যে কি ইমোশন বলতে কিছু নেই, মাইশা? তোর কি একটুও কান্না পাচ্ছে না?

- আরে আজব তো, শুধু শুধু কোনো কারণ ছাড়া কান্না পেতে যাবে কেনো?

- সেটাই তো। কোনো কারণ ছাড়া কান্না পাবে কেনো। কিন্তু আমার অনেক কান্না পাচ্ছে। মনে হচ্ছে আমার যদি একটা এক্স থাকতো!

- পাগলের মতো কিসব আবোল তাবোল বকছিস তুই? কান্না পাওয়ার সাথে এক্সের কি কানেকশন?

-আছে আছে কানেকশন আছে। আরিজিৎ সিং এর গান শুনলে এক্স না থাকলেও এক্সের জন্য কাঁদতে ইচ্ছে করে। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়া কাঁদলে তো লোকে পাগল বলবে। তাই ভাবছি একটা এক্স থাকলে নাহয় তার জন্য কাঁদতে পারতাম আমি।

- বাহ বাহ মানুষ হাঁসার জন্য কারণ খুঁজে আর তুই কাঁদার জন্য কারণ খুঁজছিস। মানতে হবে তুই একটা এক্সট্রা-ওরডিনারি মেয়ে। তোকে তো নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিৎ।

- তুই আমার প্রসংশা করছিস নাকি অপমান করছিস বলতো?

- তোর যেটা মনে হয় সেটাই। এনিওয়ে, এতই যখন এক্সের সখ, তখন এতো এতো ছেলেরা যে প্রপোজাল দেয় সেখান একটা এক্সেপ্ট করে নিতে পারিস না?

- মনের মতো কাউকে পেলে না করবো?

- এসব ফিল্মি ডায়লগ বাদ দে। যত্তসব আজাইরা চিন্তাভাবনা।

আমাদের কথার মাঝেই সায়ন ভাইয়া উনার বন্ধুদের সাথে ক্যান্টিনে প্রবেশ করলেন। উনার বন্ধুদের মধ্যে আছেন রাহুল ভাইয়া, সাদাব ভাইয়া আর ফাহাদ ভাইয়া। উনারা চারজনেই যে অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ড সেটা উনাদের দেখলেই বোঝা যায়। ভারসিটিতে সবসময় একসাথেই থাকেন।

সেদিনের পর থেকে সায়ন ভাইয়াকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি আমি। উনাকে দেখলেই শুধু " আই ওয়ান্ট মালিশা "কথাটা মনে পরে যায় আমার। সায়ন ভাইয়ার দিকে একবার তাকিয়েই চোখ ফিরিয়ে নিলাম। উনার দিকে তাকালেই মনে হয় ছুটে গিয়ে বলি " ভালোবাসি, ভালোবাসি "। কিন্তু এমনটা আর কখনোই করতে চাই না আমি। উনার প্রতি কিছুতেই দুর্বল হওয়া চলবে না আমার। আচ্ছা সায়ন ভাইয়া কি বুঝতে পারছেন না যে আমি উনাকে ইগনোর করছি? একটুও কি খারাপ লাগছে না উনার?

ধুর, আমিও যে কি ভাবছি। উনাকে আমি ইগনোর করছি কিনা সেটা নিয়ে ভাবার সময় আছে নাকি উনার। উনি তো এটাই চেয়েছিলেন যেনো আমি আর উনার পিছনে পরে না থাকি। তাই উনার খারাপ লাগবে কেনো? উনার তো খুশি হওয়ার কথা।

-আছে আছে কানেকশন আছে। আরিজিৎ সিং এর গান শুনলে এক্স না থাকলেও এক্সের জন্য কাঁদতে ইচ্ছে করে। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়া কাঁদলে তো লোকে পাগল বলবে। তাই ভাবছি একটা এক্স থাকলে নাহয় তার জন্য কাঁদতে পারতাম আমি।

- বাহ বাহ মানুষ হাঁসার জন্য কারণ খুঁজে আর তুই কাঁদার জন্য কারণ খুঁজছিস। মানতে হবে তুই একটা এক্সট্রা-ওরডিনারি মেয়ে। তোকে তো নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিৎ।

- তুই আমার প্রসংশা করছিস নাকি অপমান করছিস বলতো?

- তোর যেটা মনে হয় সেটাই। এনিওয়ে, এতই যখন এক্সের সখ, তখন এতো এতো ছেলেরা যে প্রপোজাল দেয় সেখান একটা এক্সেপ্ট করে নিতে পারিস না?

- মনের মতো কাউকে পেলে না করবো?

- এসব ফিল্মি ডায়লগ বাদ দে। যত্তসব আজাইরা চিন্তাভাবনা।

আমাদের কথার মাঝেই সায়ন ভাইয়া উনার বন্ধুদের সাথে ক্যান্টিনে প্রবেশ করলেন। উনার বন্ধুদের মধ্যে আছেন রাহুল ভাইয়া, সাদাব ভাইয়া আর ফাহাদ ভাইয়া। উনারা চারজনেই যে অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ড সেটা উনাদের দেখলেই বোঝা যায়। ভারসিটিতে সবসময় একসাথেই থাকেন।

সেদিনের পর থেকে সায়ন ভাইয়াকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি আমি। উনাকে দেখলেই শুধু " আই ওয়ান্ট মালিশা "কথাটা মনে পরে যায় আমার। সায়ন ভাইয়ার দিকে একবার তাকিয়েই চোখ ফিরিয়ে নিলাম। উনার দিকে তাকালেই মনে হয় ছুটে গিয়ে বলি " ভালোবাসি, ভালোবাসি "। কিন্তু এমনটা আর কখনোই করতে চাই না আমি। উনার প্রতি কিছুতেই দুর্বল হওয়া চলবে না আমার। আচ্ছা সায়ন ভাইয়া কি বুঝতে পারছেন না যে আমি উনাকে ইগনোর করছি? একটুও কি খারাপ লাগছে না উনার?

ধুর, আমিও যে কি ভাবছি। উনাকে আমি ইগনোর করছি কিনা সেটা নিয়ে ভাবার সময় আছে নাকি উনার। উনি তো এটাই চেয়েছিলেন যেনো আমি আর উনার পিছনে পরে না থাকি। তাই উনার খারাপ লাগবে কেনো? উনার তো খুশি হওয়ার কথা।

Sponsors of moli
empty
empty
empty

Thanks for your valuable time

2
$ 0.39
$ 0.39 from @TheRandomRewarder
Sponsors of moli
empty
empty
empty
Avatar for moli
Written by
4 years ago

Comments