বাসায় আসার পর থেকেই সবার পাগলামী সহ্য করে চলেছি আমি। আপু তো পারে কেদেঁ কেঁদে সাগর বানিয়ে ফেলে। আল্লাহ আমার বোনটা এতো ইমোশনাল কেনো? মা, বাবা, ভাইয়া তারাও কত কথা শুনাচ্ছে আমায়।
এই মুহূর্তে ইট দিয়ে সারার আস্ত মাথাটা গুরাগুরা করতে ইচ্ছা করছে আমার। ফাজিল মেয়ে , কি দরকার ছিলো রাস্তার ঘটনার কথা বাড়িতে বলে দেওয়ার? এখন সবার লেকচারগুলো কি সে শুনছে? নাতো। সেই তো আমাকেই বসে বসে সবার উপদেশ গিলতে হচ্ছে।
- চোখ কি হাতে নিয়ে হাঁটিস নাকি? এখন তো মনে হচ্ছে সিনেমার নায়িকাদের মতো তোর জন্যও বডিগার্ড রাখতে হবে।
ভাইয়ার গা জ্বালানো কথায় মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। আমি কি ইচ্ছে করে পড়ে যেতে চেয়েছিলাম নাকি? কি থেকে কি হয়ে গেছে আমি নিজেই তো বুঝতে পারছিলাম না। সবাই মিলে আমাকেই দোষ দিচ্ছে। আমার পার্স পড়ে গেছে আমি সেটা উঠাবো না? এখন আমার ঐ লোকটার উপর রাগ লাগছে যার সাথে ধাক্কা লেগে পার্সটা নিচে পড়ে গেছিলো। ব্যাটা আর কারো সাথে ধাক্কা খেতে পারলি না? আমার কাছেই কেনো মরতে এসেছিলি? এর নামে মামলা করে উচিৎ।
- তোর কোথাও লাগে নি তো?
আপুর কথার উত্তর না দিয়ে আমিই প্রশ্ন করলাম
- আমি কি মরে গেছি?
আমার কথায় আপু অবাক হয়ে বললো
- কি আজেবাজে কথা বলছিস তুই। মরতে যাবি কেনো?
- তাহলে এভাবে মরাকান্না জুরে দিয়েছো কেনো?
আমার কথা শুনে আপু জরিয়ে ধরলো আমায়। হয়তো আমার মুখ থেকে মরার কথাটা শুনে কষ্ট পেয়েছে। আমিও জরিয়ে ধরলাম আপুকে। আপু ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলছে
- তোর কিছুই হবে না। তুই না থাকলে এই বাড়িটাকে সারাক্ষন মাতিয়ে রাখবে কে? বাবা - মা যখন বকবে তখন আমার হয়ে কথা বলা, ভাইয়ার সাথে ঝগড়া করা, রেগে গেলে চিৎকার করে সারা বাড়ি মাথায় তুলে রাখা এসব কে করবে শুনি? আর কখনো এমন কথা মুখে আনবি না।
- আচ্ছা আনবো না। হ্যাপি?
আপু মুচকি হেঁসে বললো
- হুম।
আপুর হাঁসির বদলে আমিও এক চিলতে হাঁসি ফেরত দিলাম। বাবা - মাও হালকা হেঁসে চলে গেলো নিজেদের ঘরে। হয়তো তারা আমাদের তিন ভাই - বোনের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা দেখে অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করছেন। একটুপর আপুও চলে গেলো নিজের ঘরে। আপু চলে যেতেই ভাইয়া আমার কাছে এসে মাথায় গাট্টা মেরে বললো
- কিরে, রাস্তায় হাঁটার সময় কোন প্রেমিকের কথা চিন্তা করছিলি যে অন্যকিছুই খেয়াল ছিলো না।
- কি বললি তুই? আমি প্রেমিকের কথা চিন্তা করছিলাম?
- তা নয়তো কি। বুঝি বুঝি সব বুঝি।
- ওও তুই সব বুঝিস তাই না? তাহলে ঝাড়ুর বারি খেতে কেমন লাগে সেটাও বুঝিস নিশ্চই?
- তুই কি আমাকে থ্রেট দিচ্ছিস?
- তোর কি মনে হয়?
- আমার কিছু মনে হয় না। তুই থাক আমি গেলাম।
- এই এখন পালাচ্ছিস কেনো? দাঁড়া, দাঁড়া বলছি।
বাসায় আসার পর থেকেই সবার পাগলামী সহ্য করে চলেছি আমি। আপু তো পারে কেদেঁ কেঁদে সাগর বানিয়ে ফেলে। আল্লাহ আমার বোনটা এতো ইমোশনাল কেনো? মা, বাবা, ভাইয়া তারাও কত কথা শুনাচ্ছে আমায়।
এই মুহূর্তে ইট দিয়ে সারার আস্ত মাথাটা গুরাগুরা করতে ইচ্ছা করছে আমার। ফাজিল মেয়ে , কি দরকার ছিলো রাস্তার ঘটনার কথা বাড়িতে বলে দেওয়ার? এখন সবার লেকচারগুলো কি সে শুনছে? নাতো। সেই তো আমাকেই বসে বসে সবার উপদেশ গিলতে হচ্ছে।
- চোখ কি হাতে নিয়ে হাঁটিস নাকি? এখন তো মনে হচ্ছে সিনেমার নায়িকাদের মতো তোর জন্যও বডিগার্ড রাখতে হবে।
ভাইয়ার গা জ্বালানো কথায় মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। আমি কি ইচ্ছে করে পড়ে যেতে চেয়েছিলাম নাকি? কি থেকে কি হয়ে গেছে আমি নিজেই তো বুঝতে পারছিলাম না। সবাই মিলে আমাকেই দোষ দিচ্ছে। আমার পার্স পড়ে গেছে আমি সেটা উঠাবো না? এখন আমার ঐ লোকটার উপর রাগ লাগছে যার সাথে ধাক্কা লেগে পার্সটা নিচে পড়ে গেছিলো। ব্যাটা আর কারো সাথে ধাক্কা খেতে পারলি না? আমার কাছেই কেনো মরতে এসেছিলি? এর নামে মামলা করে উচিৎ।
- তোর কোথাও লাগে নি তো?
আপুর কথার উত্তর না দিয়ে আমিই প্রশ্ন করলাম
- আমি কি মরে গেছি?
আমার কথায় আপু অবাক হয়ে বললো
- কি আজেবাজে কথা বলছিস তুই। মরতে যাবি কেনো?
- তাহলে এভাবে মরাকান্না জুরে দিয়েছো কেনো?
আমার কথা শুনে আপু জরিয়ে ধরলো আমায়। হয়তো আমার মুখ থেকে মরার কথাটা শুনে কষ্ট পেয়েছে। আমিও জরিয়ে ধরলাম আপুকে। আপু ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলছে
- তোর কিছুই হবে না। তুই না থাকলে এই বাড়িটাকে সারাক্ষন মাতিয়ে রাখবে কে? বাবা - মা যখন বকবে তখন আমার হয়ে কথা বলা, ভাইয়ার সাথে ঝগড়া করা, রেগে গেলে চিৎকার করে সারা বাড়ি মাথায় তুলে রাখা এসব কে করবে শুনি? আর কখনো এমন কথা মুখে আনবি না।
- আচ্ছা আনবো না। হ্যাপি?
আপু মুচকি হেঁসে বললো
- হুম।
আপুর হাঁসির বদলে আমিও এক চিলতে হাঁসি ফেরত দিলাম। বাবা - মাও হালকা হেঁসে চলে গেলো নিজেদের ঘরে। হয়তো তারা আমাদের তিন ভাই - বোনের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা দেখে অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করছেন। একটুপর আপুও চলে গেলো নিজের ঘরে। আপু চলে যেতেই ভাইয়া আমার কাছে এসে মাথায় গাট্টা মেরে বললো
- কিরে, রাস্তায় হাঁটার সময় কোন প্রেমিকের কথা চিন্তা করছিলি যে অন্যকিছুই খেয়াল ছিলো না।
- কি বললি তুই? আমি প্রেমিকের কথা চিন্তা করছিলাম?
- তা নয়তো কি। বুঝি বুঝি সব বুঝি।
- ওও তুই সব বুঝিস তাই না? তাহলে ঝাড়ুর বারি খেতে কেমন লাগে সেটাও বুঝিস নিশ্চই?
- তুই কি আমাকে থ্রেট দিচ্ছিস?
- তোর কি মনে হয়?
- আমার কিছু মনে হয় না। তুই থাক আমি গেলাম।
- এই এখন পালাচ্ছিস কেনো? দাঁড়া, দাঁড়া বলছি।
Thank you.