ব্যাগটা নিয়ে বেরিয়ে পরলাম ক্যান্টিন থেকে। সারার এসব কথা শুনে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমার। সে আমাকে পিছন থেকে ডেকেই চলেছে। কিন্তু আমি কথা বলছি না। সারাকে মাথার উপর তুলে একটা আছাড় মারতে পারলে বোধহয় শান্তি পেতাম।
হাটতে হাটতে হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা লাগলো আমার। আমি তারাতাড়ি সরে দাঁড়ালাম। কিন্তু একি আমি তো সায়ন ভাইয়ার সাথে ধাক্কা খেয়েছি দেখছি। কিছু বুঝার আগেই আমায় থাপ্পড় মারলেন উনি। আমি উনার দিকে তাকিয়ে আছি। এই সামান্য একটা কারণে ভারসিটির সবার সামনে আমায় থাপ্পড় মারলেন উনি?
- সারাক্ষণ শুধু ছেলেদের ইম্প্রেস করার ধান্দা তাই না? এতোটা নির্লজ্জ কেনো তুই? ছেলেদের গায়ের উপরে পড়তে এতো ভালো লাগে তোর? থার্ডক্লাস মেয়ে কোথাকার।
সায়ন ভাইয়ার বলা শেষ কথাটায় মাথায় রক্ত উঠে গেলো আমার। সবার সামনেই উনার কলার ধরে বলতে লাগলাম
- কি বললেন আপনি? আমি থার্ডক্লাস মেয়ে? কি করেছি আমি যে আপনি আমাকে থার্ডক্লাস মেয়ে বলছেন? আমি কি ইচ্ছে করে আপনার সাথে ধাক্কা খেয়েছি নাকি। আচ্ছা মানলাম আমি ইচ্ছে করেই আপনার গায়ের উপর পড়েছি তাহলে আপনি কেনো ধাক্কা খেলেন আমার সাথে? সরে যেতে পারলেন না? নাকি আপনারও মেয়েদের গায়ের উপর পড়তে ভালো লাগে?
- মাইশা।
- এখন চিৎকার করছেন কেনো। অন্যের উপর খুব সহজেই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফেলা যায়, তাই না? আসলে কি জানেন? পুকুরের এপাশের চোর কিন্তু ওপাশের ইমামকেও চোরই মনে করে।
ভারসিটির সবাই খুব মজা নিয়েই আমাদের কথা শুনে চলেছে। উনার কলার ছেড়ে দৌড়ে চলে এলাম ভারসিটির বাইরে। আজ সায়ন ভাইয়া খুব বেশি করে ফেলেছে। তাই উনার সাথে এটুকু হওয়ারই ছিলো। সবসময় আমিই কেনো সহ্য করবো। উনাকেও বুঝতে হবে আমিও প্রতিবাদ করতে .......
ব্যাগটা নিয়ে বেরিয়ে পরলাম ক্যান্টিন থেকে। সারার এসব কথা শুনে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমার। সে আমাকে পিছন থেকে ডেকেই চলেছে। কিন্তু আমি কথা বলছি না। সারাকে মাথার উপর তুলে একটা আছাড় মারতে পারলে বোধহয় শান্তি পেতাম।
হাটতে হাটতে হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা লাগলো আমার। আমি তারাতাড়ি সরে দাঁড়ালাম। কিন্তু একি আমি তো সায়ন ভাইয়ার সাথে ধাক্কা খেয়েছি দেখছি। কিছু বুঝার আগেই আমায় থাপ্পড় মারলেন উনি। আমি উনার দিকে তাকিয়ে আছি। এই সামান্য একটা কারণে ভারসিটির সবার সামনে আমায় থাপ্পড় মারলেন উনি?
- সারাক্ষণ শুধু ছেলেদের ইম্প্রেস করার ধান্দা তাই না? এতোটা নির্লজ্জ কেনো তুই? ছেলেদের গায়ের উপরে পড়তে এতো ভালো লাগে তোর? থার্ডক্লাস মেয়ে কোথাকার।
সায়ন ভাইয়ার বলা শেষ কথাটায় মাথায় রক্ত উঠে গেলো আমার। সবার সামনেই উনার কলার ধরে বলতে লাগলাম
- কি বললেন আপনি? আমি থার্ডক্লাস মেয়ে? কি করেছি আমি যে আপনি আমাকে থার্ডক্লাস মেয়ে বলছেন? আমি কি ইচ্ছে করে আপনার সাথে ধাক্কা খেয়েছি নাকি। আচ্ছা মানলাম আমি ইচ্ছে করেই আপনার গায়ের উপর পড়েছি তাহলে আপনি কেনো ধাক্কা খেলেন আমার সাথে? সরে যেতে পারলেন না? নাকি আপনারও মেয়েদের গায়ের উপর পড়তে ভালো লাগে?
- মাইশা।
- এখন চিৎকার করছেন কেনো। অন্যের উপর খুব সহজেই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফেলা যায়, তাই না? আসলে কি জানেন? পুকুরের এপাশের চোর কিন্তু ওপাশের ইমামকেও চোরই মনে করে।
ভারসিটির সবাই খুব মজা নিয়েই আমাদের কথা শুনে চলেছে। উনার কলার ছেড়ে দৌড়ে চলে এলাম ভারসিটির বাইরে। আজ সায়ন ভাইয়া খুব বেশি করে ফেলেছে। তাই উনার সাথে এটুকু হওয়ারই ছিলো। সবসময় আমিই কেনো সহ্য করবো। উনাকেও বুঝতে হবে আমিও প্রতিবাদ করতে .......
পড়ন্ত বিকেল । সুর্য মামা জানান দিচ্ছে তার অস্ত যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। বাসন্তি রঙের শাড়ি পরে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হেঁটে চলেছি আমি। রাস্তার দুপাশে মস্ত বড় বড় ঝাউগাছ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। চারদিকে প্রবাহিত হচ্ছে উষ্ণ বাতাস। আমার পায়ের নুপুরের শব্দের সাথে বাতাসের শব্দ মিলিত হয়ে তৈরি হয়েছে এক অন্যরকম সুর। এককথায় রোমাঞ্চকর একটা পরিবেশ।
পড়ন্ত বিকেল । সুর্য মামা জানান দিচ্ছে তার অস্ত যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। বাসন্তি রঙের শাড়ি পরে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হেঁটে চলেছি আমি। রাস্তার দুপাশে মস্ত বড় বড় ঝাউগাছ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। চারদিকে প্রবাহিত হচ্ছে উষ্ণ বাতাস। আমার পায়ের নুপুরের শব্দের সাথে বাতাসের শব্দ মিলিত হয়ে তৈরি হয়েছে এক অন্যরকম সুর। এককথায় রোমাঞ্চকর একটা পরিবেশ।
Thanks for your valuable time.