ইশশ ব্যাথায় মরে যাচ্ছি।এমন ভাবে কামড়াচ্ছে কিছু বলতেও পারছি না সইতেও পারছি না।আরেকটু হলেই রক্ত বের হবে।আমি আর সহ্য না করতে পেরে চোখের পানি ছেড়ে দিলাম।আমার চোখের পানি দেখে মনে হয় মায়া হলো ওর।তাই হাতটা ছেড়ে দিলো।হাতের আঙ্গুল গুলো দেখে প্রচুর কান্না পাচ্ছিলো।কি করলো ও এটা!!ব্যাথায় হাত নাড়াতে পারছি না।এখন পরীক্ষা দিবো কি করে।আরিয়ান আমার মুখের সামনে এসে শয়তানি হাসি দিয়ে বলল
"এবার দেখি তুই পরিক্ষা কিভাবে দিস আর টপার কি করে হস।"
আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম
"আরিয়ান এমনটা না করলেও পারতে।"
"না করলেতো তুই টপার হয়ে যেতি।তোর জন্য বাবা মা,ভাইয়ারা কেউ আমাকে ভালোবাসে না।তুই সব সময় আমার আগে থাকিস তাই।"
"তুমি চেষ্টা করলেই আমার আগে যেতে পারতে।"
আরিয়ান জোরে হেসে বলল
"এই তো সেই চেষ্টা তো এখনই করলাম তোর হাত কামড়ে।আজ থেকে তোর হাত আমি প্রতিদিন কামড়াবো।পরিক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত।যাতে তুই কোনোভাবেই টপ করতে না পরিস।তুই থাক আমি পরিক্ষা দিতে গেলাম।আমাকে আবার টপার হতে হবে তো।তাই না!"
এটা বলেই আরিয়ান হাসতে হাসতে চলে গেলো।আর আমি হাতের ব্যাথায় মরে যাচ্ছি।ও চলে যাওয়ার পর আস্তে আস্তে উঠে হাতে পানি দিলাম কিন্তু ব্যাথা কমছে না।এদিকে ক্লাসে স্যারও চলে এসেছে।আমি দৌড়ে গিয়ে ক্লাসে যাই আর পরিক্ষায় বসি।আরিয়ান আমার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসি দিচ্ছে।পরিক্ষা আমি দিতেই পারছিলাম না।কলমই ধরতে পারছিলাম না ঠিক মতো।কোনোমতে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বেরিয়ে পড়ি।হাতের আঙ্গুল গুলো ব্যাথায় ছিড়ে যাচ্ছে।হাটতে হাটতে গিয়ে লাইব্রেরিতে রুমে গিয়ে বসি।একটু পর দেখি আরিয়ান লাইব্রেরির দিকে আসছে।হঠাৎ আমার চোখ পড়লো সামনে থাকা সুপার গ্লু এর উপর তাড়াতাড়ি করে গ্লু টা নিয়ে বাম হাত দিয়ে পাশের চেয়ারে ঢেলে দিলাম।আর আরিয়ান ও সেখানে এসে বসে পড়লো।তারপর বলল
"বেবি ব্যাথা করছে?"
আমি কিছুই বললাম না।আরিয়ান আবার কিছু বলতে যাবে তখনই নেহাল এসে বলল
"আরে অর্নি তুমি এখানে বসে কি করছো?আমাদের গ্রুপ প্রাকটিসে যেতে হবে না?ওরা তো অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।"
"ও হ্যাঁ ভুলেই গেছিলাম।চলো।"
এই বলেই উঠে গেলাম চেয়ার ছেড়ে।লাইব্রেরির দরজা দিয়ে বের হয়েই নয়নকে বললাম
"নেহাল প্লিজ তুমিই একাই চলে যাও।আমার আজ ভালো লাগছে না।আমি বাসায় চলে যাবো।"
"ও,আচ্ছা চলো আমি দিয়ে আসি।"
"না না ঠিকাছে লাগবে না।"
"আচ্ছা ঠিকাছে। সাবধানে যেও।"
এই বলে নেহাল চলে গেলো।আমি লাইব্রেরি রুমে গিয়ে দেখি আরিয়ান চেয়ার ছেড়ে ওঠার ওনেক চেষ্টা করছে কিন্তু উঠতে পারছে না।এবার আমি ওর সামনে গিয়ে বললাম
"নে এবার তুই বসে থাক।"
আরিয়ান রেগে বলল
"অর্নি ভালো হবে না কিন্তু আমি একবার যদি উঠতে পারি তোর যে কি হাল করবো তুই বাপের জন্মেও ভুলবি না।"
"আগে ছাড়া পেয়ে না।"
ওকে এভাবে দেখে আমার শান্তি লাগছে না।মন চাইছে আরো কিছু করি।কি করবো!কি করবো!হঠাৎ ময়লার ড্রাম দেখলাম ব্যাস ওটা এনে সব ময়লা ওর ওপর ঢেলে দিলাম।বালু দিয়ে ওর চুল পুরো ভরে গেছে।ও রেগে বলতে লাগলো
"এটার দাম তোকে দিতে হবে।"
আমিও ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললাম
"দেখি তুই কি করতে পারিস।"
এটা বলেই লাইব্রেরি ছেড়ে চলে এলাম।ভাগ্যিস আজ লাইব্রেরিতে কেউ ছিলো না।তা নাহলে ওর সাথে এটা করতে পারতাম না।শালা!!
এদিকে আরিয়ান চেয়ার ছেড়ে কোনোভাবেই উঠতে পারছে না।তারপর ওপর আবার বালি দিয়ে সারা শরীর কিচকিচ করছে।হঠাৎ লাইব্রেরি রুমে রিমন ঢুকে বলল
"কি রে মামা তোর এই অবস্থা কে করছে?"
"ওই শালী টায়।"
"অর্নি?"
"হুম।"
রিমন হাসতে হাসতে বলল
"তোরা দুইটা টম জেরি থেকেও ডেঞ্জারাস।"
"বালের প্যাচাল পারিস না।আমারে আগে ছুটা এখান থেকে।"
রিমন রাফিদকে কল করে ডাকলো তারপর ওরা দুজনে মিলে অনেক কষ্টে আরিয়ানকে চেয়ার থেকে ছুটালো কিন্তু বিপত্তি ঘটলো ওর প্যান্ট ছিড়ে গেছে।এখন বের হবে কিভাবে!ইশশ ব্যাথায় মরে যাচ্ছি।এমন ভাবে কামড়াচ্ছে কিছু বলতেও পারছি না সইতেও পারছি না।আরেকটু হলেই রক্ত বের হবে।আমি আর সহ্য না করতে পেরে চোখের পানি ছেড়ে দিলাম।আমার চোখের পানি দেখে মনে হয় মায়া হলো ওর।তাই হাতটা ছেড়ে দিলো।হাতের আঙ্গুল গুলো দেখে প্রচুর কান্না পাচ্ছিলো।কি করলো ও এটা!!ব্যাথায় হাত নাড়াতে পারছি না।এখন পরীক্ষা দিবো কি করে।আরিয়ান আমার মুখের সামনে এসে শয়তানি হাসি দিয়ে বলল
"এবার দেখি তুই পরিক্ষা কিভাবে দিস আর টপার কি করে হস।"
আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম
"আরিয়ান এমনটা না করলেও পারতে।"
"না করলেতো তুই টপার হয়ে যেতি।তোর জন্য বাবা মা,ভাইয়ারা কেউ আমাকে ভালোবাসে না।তুই সব সময় আমার আগে থাকিস তাই।"
"তুমি চেষ্টা করলেই আমার আগে যেতে পারতে।"
আরিয়ান জোরে হেসে বলল
"এই তো সেই চেষ্টা তো এখনই করলাম তোর হাত কামড়ে।আজ থেকে তোর হাত আমি প্রতিদিন কামড়াবো।পরিক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত।যাতে তুই কোনোভাবেই টপ করতে না পরিস।তুই থাক আমি পরিক্ষা দিতে গেলাম।আমাকে আবার টপার হতে হবে তো।তাই না!"
এটা বলেই আরিয়ান হাসতে হাসতে চলে গেলো।আর আমি হাতের ব্যাথায় মরে যাচ্ছি।ও চলে যাওয়ার পর আস্তে আস্তে উঠে হাতে পানি দিলাম কিন্তু ব্যাথা কমছে না।এদিকে ক্লাসে স্যারও চলে এসেছে।আমি দৌড়ে গিয়ে ক্লাসে যাই আর পরিক্ষায় বসি।আরিয়ান আমার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসি দিচ্ছে।পরিক্ষা আমি দিতেই পারছিলাম না।কলমই ধরতে পারছিলাম না ঠিক মতো।কোনোমতে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বেরিয়ে পড়ি।হাতের আঙ্গুল গুলো ব্যাথায় ছিড়ে যাচ্ছে।হাটতে হাটতে গিয়ে লাইব্রেরিতে রুমে গিয়ে বসি।একটু পর দেখি আরিয়ান লাইব্রেরির দিকে আসছে।হঠাৎ আমার চোখ পড়লো সামনে থাকা সুপার গ্লু এর উপর তাড়াতাড়ি করে গ্লু টা নিয়ে বাম হাত দিয়ে পাশের চেয়ারে ঢেলে দিলাম।আর আরিয়ান ও সেখানে এসে বসে পড়লো।তারপর বলল
"বেবি ব্যাথা করছে?"
আমি কিছুই বললাম না।আরিয়ান আবার কিছু বলতে যাবে তখনই নেহাল এসে বলল
"আরে অর্নি তুমি এখানে বসে কি করছো?আমাদের গ্রুপ প্রাকটিসে যেতে হবে না?ওরা তো অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।"
"ও হ্যাঁ ভুলেই গেছিলাম।চলো।"
এই বলেই উঠে গেলাম চেয়ার ছেড়ে।লাইব্রেরির দরজা দিয়ে বের হয়েই নয়নকে বললাম
"নেহাল প্লিজ তুমিই একাই চলে যাও।আমার আজ ভালো লাগছে না।আমি বাসায় চলে যাবো।"
"ও,আচ্ছা চলো আমি দিয়ে আসি।"
"না না ঠিকাছে লাগবে না।"
"আচ্ছা ঠিকাছে। সাবধানে যেও।"
এই বলে নেহাল চলে গেলো।আমি লাইব্রেরি রুমে গিয়ে দেখি আরিয়ান চেয়ার ছেড়ে ওঠার ওনেক চেষ্টা করছে কিন্তু উঠতে পারছে না।এবার আমি ওর সামনে গিয়ে বললাম
"নে এবার তুই বসে থাক।"
আরিয়ান রেগে বলল
"অর্নি ভালো হবে না কিন্তু আমি একবার যদি উঠতে পারি তোর যে কি হাল করবো তুই বাপের জন্মেও ভুলবি না।"
"আগে ছাড়া পেয়ে না।"
ওকে এভাবে দেখে আমার শান্তি লাগছে না।মন চাইছে আরো কিছু করি।কি করবো!কি করবো!হঠাৎ ময়লার ড্রাম দেখলাম ব্যাস ওটা এনে সব ময়লা ওর ওপর ঢেলে দিলাম।বালু দিয়ে ওর চুল পুরো ভরে গেছে।ও রেগে বলতে লাগলো
"এটার দাম তোকে দিতে হবে।"
আমিও ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললাম
"দেখি তুই কি করতে পারিস।"
এটা বলেই লাইব্রেরি ছেড়ে চলে এলাম।ভাগ্যিস আজ লাইব্রেরিতে কেউ ছিলো না।তা নাহলে ওর সাথে এটা করতে পারতাম না।শালা!!
এদিকে আরিয়ান চেয়ার ছেড়ে কোনোভাবেই উঠতে পারছে না।তারপর ওপর আবার বালি দিয়ে সারা শরীর কিচকিচ করছে।হঠাৎ লাইব্রেরি রুমে রিমন ঢুকে বলল
"কি রে মামা তোর এই অবস্থা কে করছে?"
"ওই শালী টায়।"
"অর্নি?"
"হুম।"
রিমন হাসতে হাসতে বলল
"তোরা দুইটা টম জেরি থেকেও ডেঞ্জারাস।"
"বালের প্যাচাল পারিস না।আমারে আগে ছুটা এখান থেকে।"
রিমন রাফিদকে কল করে ডাকলো তারপর ওরা দুজনে মিলে অনেক কষ্টে আরিয়ানকে চেয়ার থেকে ছুটালো কিন্তু বিপত্তি ঘটলো ওর প্যান্ট ছিড়ে গেছে।এখন বের হবে কিভাবে!
Thanks for your valuable time