কারও জন্য কারও জীবন থেমে যায় না, থমকে যেতে পারে বড়োজোর, কিন্তু থেমে আসলে যায় না। জীবন ঠিকই তার আপনগতিতে এগিয়ে চলে। মানুষ যেখানে তার নিজের বাবা-মায়ের মৃত্যুশোকও সামলে নিয়ে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেখানে অন্য যে-কোনও শোকই সে ঠিকই সামলে নিতে পারে।
লাইফ বা লাইফের সিচুয়েশনগুলি...কিছুই তো চেইন্জ করা যায় না। তাই লাইফ বা এই সিচুয়েশানগুলির খুঁত বের করে বা তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে অভিযোগ করা বা অজুহাত দেখানোটা সময়-নষ্ট কিংবা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
লাইফ যেরকম, তাকে সেরকমভাবে যত তাড়াতাড়ি অ্যাকসেপ্ট করা যায়, ততই মঙ্গল, এবং তখন সেখানে চৌকস বুদ্ধিমত্তার নানামুখী প্রয়োগ ঘটানো যায়। অভিযোগ করে, অজুহাত দেখিয়ে বা লাইফের ভুল বের করতে গিয়ে বোকার মতো সময় নষ্ট না করে বরং ওই সময়টুকু, হাতের কাছের লাইফটা যেরকম, সেরকমভাবে অ্যাকসেপ্ট করে কী করে এটার সাথে অ্যাডজাস্ট করা যায়, সেটা নিয়ে ভাববার জন্য ব্যয় করলে, লাইফে আর কিছু হোক না হোক, প্রসপারিটি অন্তত পাওয়া যায়। আর শেষমেশ এই প্রসপারিটি, সাকসেসফুল ক্যারিয়ার---এটাই পাশে থাকে, যদি তাকে ঠিকঠাক গড়ে নেওয়া যায়, সেখানে অন্য কেউ বা কিছু থাকুক বা না থাকুক।
ভালো বা সাকসেসফুল ক্যারিয়ার বা ওয়েল-মেইটেইনড প্রপার লাইফ-স্ট্রাটেজি বরাবরই, তার সাথে অ্যাসোসিয়েটেড অনেক ভালো কিছু নিয়ে আসে। আর এর উলটো ব্যাপারটা কিছু উলটো ব্যাপারকেই অ্যাসোসিয়েশন দিয়ে নিয়ে আসে।
যার বা যেটার জন্য ক্যারিয়ার-ভাবনাকে বিসর্জন দিয়ে বর্তমানটা কাটাচ্ছি, দেখা যাবে, একসময় সে বা সেটা আমার ক্যারিয়ার-ব্যর্থতার দিকে আঙুল উঁচিয়ে আমাকে ছেড়েই চলে যাবে। ছেড়ে চলে গেলে, তখন যদি প্রসপারিটি বা ভালো ক্যারিয়ারটাও না থাকে, তাহলে পথের ভিখিরি হয়ে একা একা অতীত স্মৃতির কান্নামথিত রোমন্থন করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। হারানোর আগে মানুষ এই সহজ সত্যটা বোঝে না।