এতটা মনোভাব বোধহয় ফিজিক্স ক্লাসেও কোনোদিন দেইনি আমি

0 19
Avatar for moli
Written by
3 years ago

সায়ন ভাইয়া আর উনার বন্ধুরা আমাদের পাশের টেবিলে এসে বসলেন। আমি আর সেদিকে তাকাচ্ছি না। উনাদের মধ্য থেকে রাহুল ভাইয়া আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন

- কেমন আছো মাইশা ?

- আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনারা?

- আমরাও ভালো আছি। তোমরা এখানে কি করছো?

- ক্যান্টিনে মানুষ কি করতে আসে ভাইয়া?

- ওপস, সরি। ক্যান্টিনে তো সবাই খেতেই আসে। তোমাদের খাওয়া শেষ?

- না। এখনো শেষ হয়নি।

- তুই কি এখন বসে বসে ওর সাথে কথা বলবি নাকি কিছু অর্ডার করবি?

সায়ন ভাইয়ার কথায় রাহুল ভাইয়া চুপচাপ খাবার অর্ডার করতে চলে গেলেন। একটু পর ফিরে এসে আবার একই জায়গায় বসলেন উনি। আমাদের খাবার এসে পড়েছে। তাই চুপচাপ খাচ্ছি আমি আর সারা। আড়চোখে সায়ন ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলাম উনি বন্ধুদের সাথে কথা বলছেন কিন্তু রাহুল ভাইয়া আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন। রাহুল ভাইয়ার বিহেভিয়ারে মাঝে মাঝে প্রচুর অস্বস্থিতে পরে যাই আমি।

সায়ন ভাইয়া আর উনার বন্ধুরা আমাদের পাশের টেবিলে এসে বসলেন। আমি আর সেদিকে তাকাচ্ছি না। উনাদের মধ্য থেকে রাহুল ভাইয়া আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন

- কেমন আছো মাইশা ?

- আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনারা?

- আমরাও ভালো আছি। তোমরা এখানে কি করছো?

- ক্যান্টিনে মানুষ কি করতে আসে ভাইয়া?

- ওপস, সরি। ক্যান্টিনে তো সবাই খেতেই আসে। তোমাদের খাওয়া শেষ?

- না। এখনো শেষ হয়নি।

- তুই কি এখন বসে বসে ওর সাথে কথা বলবি নাকি কিছু অর্ডার করবি?

সায়ন ভাইয়ার কথায় রাহুল ভাইয়া চুপচাপ খাবার অর্ডার করতে চলে গেলেন। একটু পর ফিরে এসে আবার একই জায়গায় বসলেন উনি। আমাদের খাবার এসে পড়েছে। তাই চুপচাপ খাচ্ছি আমি আর সারা। আড়চোখে সায়ন ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলাম উনি বন্ধুদের সাথে কথা বলছেন কিন্তু রাহুল ভাইয়া আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন। রাহুল ভাইয়ার বিহেভিয়ারে মাঝে মাঝে প্রচুর অস্বস্থিতে পরে যাই আমি।

আমার অস্বস্থিটা কাউকে বুঝতে না দেওয়ার জন্য খুব মনোযোগে খাচ্ছি। এতটা মনোভাব বোধহয় ফিজিক্স ক্লাসেও কোনোদিন দেইনি আমি। তাহলে হয়তো সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে পারতাম৷ হঠাৎ করেই একটা অদ্ভুত কাজ করে বসলেন রাহুল ভাইয়া। আমার কপালের উপরে পরে থাকা চুলগুলো কানের পিছনে গুজে দিলেন উনি। উনার এমন কান্ডে আমিসহ বাকি সবাইও অবাক হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এখন উনি নিজের মধ্যে নেই। যখন উনি বুঝতে পারলেন কি করে ফেলেছেন তখন তারাতাড়ি করে নিজের দৃষ্টি নামিয়ে ফেললেন। আমতা আমতা করে বললেন

- সরি সরি আই এম এক্সট্রিমলি সরি। আমি আসলে বুঝতে পারি নি। আমি ভাবলাম চুলগুলো কপালে পড়ে থাকায় তোমার হয়তো প্রবলেম হচ্ছে। তাই....

উনি আর কিছু না বলে চুপ করে গেলেন। সবার দৃষ্টি এখন আমার দিকে। হয়তো ভাবছে আমি এখন কেমন রিয়েকশন দেবো? কিন্তু আমি মুচকি হেঁসে বললাম

- ইটস ওকে ভাইয়া। আমি কিছু মনে করি নি।

আমার এমন উত্তরে যেনো জান ফিরে পেলেন উনি। হন্তদন্ত হয়ে বলে উঠলেন

- থেঙ্ক ইউ সো মাচ। আমি জানতাম তুমি কিছু মনে করবেন না। এজন্যই তো তোমাকে আমার এতো ভালো লাগে।

রাহুল ভাইয়ার কথায় অবাক হয়ে বললাম

- মানে?

- না মানে কিছু না।

বিরাট একটা শব্দ কানে আসতেই সবাই সামনে তাকালাম। সায়ন ভাইয়া উনার চেয়ারটা লাথি মেরে ফেলে দিয়ে হনহন করে বেরিয়ে গেলেন ক্যান্টিন থেকে। সায়ন ভাইয়ার এমন আচরণে সবাই মিলে আরেক দফা অবাক হলাম। অবাকের রেশ কাটিয়ে রাহুল ভাইয়ারাও দৌড়ে গেলেন উনার পিছু পিছু।

আমি বসে বসে ভাবছি সায়ন ভাইয়ার রাগের কারণটা কি। কিন্তু আমার মাথায় এমন কিছুই আসছে না যার কারণে উনি রেগে গেলেন। সারার কথায় ভাবনার সুতো ছিড়লো আমার

- আজকে সবাই এমন অদ্ভুত বিহেভ করছে কেনো রে?

- সেটা আমি কিভাবে জানবো?

- সেটাও ঠিক। কিন্তু রাহুল ভাইয়ার ব্যবহারে কেমন অন্যরকম গন্ধ পাচ্ছি।

- তোর নাক পচে গেছে হয়তো। নাহলে ব্যবহারেরও গন্ধ হয় নাকি।

- ধুর, হেয়ালি ছাড় তো। বলছি রাহুল ভাইয়াকে আজ কিন্তু অন্নেক ড্যাসিং লাগছিলো।

- তো আমি কি করবো? উনার জন্য কি মিস্টার ওয়ার্লডের প্রতিযোগিতার আয়োজন করবো?

- এতো রেগে যাচ্ছিস কেনো? রাহুল ভাইয়াও কিন্তু সায়ন ভাইয়ার থেকে কম হ্যান্ডসাম না।

- উনি সায়ন ভাইয়ার থেকে বেশি হ্যান্ডসাম না কম হ্যান্ডসাম এটা দিয়ে আমি কি করবো?

- কেনো প্রেম করবি?

- উল্টাপাল্টা কথা বলা বন্ধ করবি সারা? আমার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। সায়ন ভাইয়ার সাথে আর কখনো কারো তুলনা করবি না।

আমার অস্বস্থিটা কাউকে বুঝতে না দেওয়ার জন্য খুব মনোযোগে খাচ্ছি। এতটা মনোভাব বোধহয় ফিজিক্স ক্লাসেও কোনোদিন দেইনি আমি। তাহলে হয়তো সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে পারতাম৷ হঠাৎ করেই একটা অদ্ভুত কাজ করে বসলেন রাহুল ভাইয়া। আমার কপালের উপরে পরে থাকা চুলগুলো কানের পিছনে গুজে দিলেন উনি। উনার এমন কান্ডে আমিসহ বাকি সবাইও অবাক হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এখন উনি নিজের মধ্যে নেই। যখন উনি বুঝতে পারলেন কি করে ফেলেছেন তখন তারাতাড়ি করে নিজের দৃষ্টি নামিয়ে ফেললেন। আমতা আমতা করে বললেন

- সরি সরি আই এম এক্সট্রিমলি সরি। আমি আসলে বুঝতে পারি নি। আমি ভাবলাম চুলগুলো কপালে পড়ে থাকায় তোমার হয়তো প্রবলেম হচ্ছে। তাই....

উনি আর কিছু না বলে চুপ করে গেলেন। সবার দৃষ্টি এখন আমার দিকে। হয়তো ভাবছে আমি এখন কেমন রিয়েকশন দেবো? কিন্তু আমি মুচকি হেঁসে বললাম

- ইটস ওকে ভাইয়া। আমি কিছু মনে করি নি।

আমার এমন উত্তরে যেনো জান ফিরে পেলেন উনি। হন্তদন্ত হয়ে বলে উঠলেন

- থেঙ্ক ইউ সো মাচ। আমি জানতাম তুমি কিছু মনে করবেন না। এজন্যই তো তোমাকে আমার এতো ভালো লাগে।

রাহুল ভাইয়ার কথায় অবাক হয়ে বললাম

- মানে?

- না মানে কিছু না।

বিরাট একটা শব্দ কানে আসতেই সবাই সামনে তাকালাম। সায়ন ভাইয়া উনার চেয়ারটা লাথি মেরে ফেলে দিয়ে হনহন করে বেরিয়ে গেলেন ক্যান্টিন থেকে। সায়ন ভাইয়ার এমন আচরণে সবাই মিলে আরেক দফা অবাক হলাম। অবাকের রেশ কাটিয়ে রাহুল ভাইয়ারাও দৌড়ে গেলেন উনার পিছু পিছু।

আমি বসে বসে ভাবছি সায়ন ভাইয়ার রাগের কারণটা কি। কিন্তু আমার মাথায় এমন কিছুই আসছে না যার কারণে উনি রেগে গেলেন। সারার কথায় ভাবনার সুতো ছিড়লো আমার

- আজকে সবাই এমন অদ্ভুত বিহেভ করছে কেনো রে?

- সেটা আমি কিভাবে জানবো?

- সেটাও ঠিক। কিন্তু রাহুল ভাইয়ার ব্যবহারে কেমন অন্যরকম গন্ধ পাচ্ছি।

- তোর নাক পচে গেছে হয়তো। নাহলে ব্যবহারেরও গন্ধ হয় নাকি।

- ধুর, হেয়ালি ছাড় তো। বলছি রাহুল ভাইয়াকে আজ কিন্তু অন্নেক ড্যাসিং লাগছিলো।

- তো আমি কি করবো? উনার জন্য কি মিস্টার ওয়ার্লডের প্রতিযোগিতার আয়োজন করবো?

- এতো রেগে যাচ্ছিস কেনো? রাহুল ভাইয়াও কিন্তু সায়ন ভাইয়ার থেকে কম হ্যান্ডসাম না।

- উনি সায়ন ভাইয়ার থেকে বেশি হ্যান্ডসাম না কম হ্যান্ডসাম এটা দিয়ে আমি কি করবো?

- কেনো প্রেম করবি?

- উল্টাপাল্টা কথা বলা বন্ধ করবি সারা? আমার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। সায়ন ভাইয়ার সাথে আর কখনো কারো তুলনা করবি না।

Sponsors of moli
empty
empty
empty

Thanks.

3
$ 0.29
$ 0.29 from @TheRandomRewarder
Sponsors of moli
empty
empty
empty
Avatar for moli
Written by
3 years ago

Comments