উনার ঘরে এসে ফোনটা খুঁজে বের করে দিতেই সেটা নিয়ে বিছানায় বসে পরলেন উনি।... ফোনে চুপচাপ কিছু একটা করছেন। ভাবটা এমন যেনো এ ঘরে উনি ছাড়া একটা মশাও উপস্থিত নেই।... অথচ আমি আস্ত একটা মাইশা দাঁড়িয়ে আছি উনার সামনে।.. ইশ! বেচারা আবারো হেরে গেলো। তাই হয়তো কথা বলতে চাইছে না আমার সাথে।
- বলেছিলাম না আপনি নিজে আমায় ডেকে আনবেন। দেখুন সেটাই কিন্তু হয়েছে। আপনি হেরে গেছেন আর আমি জিতে গেছি।
- এই খুশিতে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যা।
- তাহলে তো আমি মরে যাবো। আমি মরে গেলে আপনাকে ভালোবাসবে কে?
- কেনো, মালিশা।
- আপুর ভালোবাসা ভয়ের নিচে চাপা পরে চ্যাপ্টা হয়ে যাবে। তার থেকে বরং আমায় ভালোবাসুন কাজে লাগবে।
- তোর মুখে সবসময় ভালোবাসার কথা লেগে থাকে কেনো রে?
- ভালোবাসি তাই। এনিওয়ে, কফি আনবো আপনার জন্য?
আমার কথা শুনে উনি উঠে দাঁড়িয়ে শক্ত করে আমার ডান হাত চেপে ধরলেন। চোখ থেকে যেনো আগুন ঝরছে। মনে হচ্ছে হাতটা বুঝি ভেঙেই গেলো। ব্যাথায় চোখের কোণে পানি এসে গেছে আমার । কিন্তু সেদিকে খেয়ালই নেই উনার। উনি নিজের মতো বলেই চলেছেন।
- কি ভাবছিস তুই? আমার জন্য রান্না করে, আমার ঘর গুছিয়ে, আমার জন্য কফি এনে আমার মন জয় করে ফেলবি? সেটা কখনো হবে না। আর কতবার, কিভাবে বললে বুঝবি যে আমি তোকে ভালোবাসি না। তুই তো আর অবুঝ বাচ্চা না।বুঝতে পারিস না তোকে আমার সহ্য হয় না? আই ডোন্ট ওয়ান্ট ইউ, আই ওয়ান্ট মালিশা। ইয়েস আই জাস্ট ওয়ান্ট মালিশা নট ইউ। বুঝতে পেরেছিস?
"আই ডোন্ট ওয়ান্ট ইউ " কথাটা শুনে আমার একদম খারাপ লাগে নি কিন্তু "আই ওয়ান্ট মালিশা " কথাটা তীরের মতো লেগেছে মনে। উনার থেকে হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে মাথা নিচু করে চলে এলাম ঘর থেকে। এখন আর ঘুম আসবে না তাই হাটতে লাগলাম ছাদের দিকে।
উনার ঘরে এসে ফোনটা খুঁজে বের করে দিতেই সেটা নিয়ে বিছানায় বসে পরলেন উনি।... ফোনে চুপচাপ কিছু একটা করছেন। ভাবটা এমন যেনো এ ঘরে উনি ছাড়া একটা মশাও উপস্থিত নেই।... অথচ আমি আস্ত একটা মাইশা দাঁড়িয়ে আছি উনার সামনে।.. ইশ! বেচারা আবারো হেরে গেলো। তাই হয়তো কথা বলতে চাইছে না আমার সাথে।
- বলেছিলাম না আপনি নিজে আমায় ডেকে আনবেন। দেখুন সেটাই কিন্তু হয়েছে। আপনি হেরে গেছেন আর আমি জিতে গেছি।
- এই খুশিতে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যা।
- তাহলে তো আমি মরে যাবো। আমি মরে গেলে আপনাকে ভালোবাসবে কে?
- কেনো, মালিশা।
- আপুর ভালোবাসা ভয়ের নিচে চাপা পরে চ্যাপ্টা হয়ে যাবে। তার থেকে বরং আমায় ভালোবাসুন কাজে লাগবে।
- তোর মুখে সবসময় ভালোবাসার কথা লেগে থাকে কেনো রে?
- ভালোবাসি তাই। এনিওয়ে, কফি আনবো আপনার জন্য?
আমার কথা শুনে উনি উঠে দাঁড়িয়ে শক্ত করে আমার ডান হাত চেপে ধরলেন। চোখ থেকে যেনো আগুন ঝরছে। মনে হচ্ছে হাতটা বুঝি ভেঙেই গেলো। ব্যাথায় চোখের কোণে পানি এসে গেছে আমার । কিন্তু সেদিকে খেয়ালই নেই উনার। উনি নিজের মতো বলেই চলেছেন।
- কি ভাবছিস তুই? আমার জন্য রান্না করে, আমার ঘর গুছিয়ে, আমার জন্য কফি এনে আমার মন জয় করে ফেলবি? সেটা কখনো হবে না। আর কতবার, কিভাবে বললে বুঝবি যে আমি তোকে ভালোবাসি না। তুই তো আর অবুঝ বাচ্চা না।বুঝতে পারিস না তোকে আমার সহ্য হয় না? আই ডোন্ট ওয়ান্ট ইউ, আই ওয়ান্ট মালিশা। ইয়েস আই জাস্ট ওয়ান্ট মালিশা নট ইউ। বুঝতে পেরেছিস?
"আই ডোন্ট ওয়ান্ট ইউ " কথাটা শুনে আমার একদম খারাপ লাগে নি কিন্তু "আই ওয়ান্ট মালিশা " কথাটা তীরের মতো লেগেছে মনে। উনার থেকে হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে মাথা নিচু করে চলে এলাম ঘর থেকে। এখন আর ঘুম আসবে না তাই হাটতে লাগলাম ছাদের দিকে।
রাত কয়টা বাজে জানা নেই। ছাদের দোলনায় বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি আমি। আকাশে আজ চাঁদ নেই তবে রয়েছে অসংখ্য তারার মেলা। চারদিকে বিরাজমান নিরব নিস্তব্ধতাই জানান দিচ্ছে অনেক রাত হয়ে গেছে। ঝিরিঝিরি বাতাস বইছে। আশেপাশের বাসার আলোতে মৃদু আলোকিতো হয়ে আছে ছাদ। বাতাসের ঝাপটায় শরীরের লোমগুলো দাঁড়িয়ে উঠছে বারবার।
মাথায় নির্দিষ্ট কোনো চিন্তা আসছে না আমার। সব ভাবনাগুলো একসাথে এসে জরো হচ্ছে বলে ঠিক কি ভাবছি সেটা আমি নিজেই বুঝতে পারছি না। তবে "আই ওয়ান্ট মালিশা "কথাটা বেশ ভালো করেই জেকে বসেছে মাথায়। আচ্ছা আমি কি একটু বেশিই করে ফেলছি? আমার কি উচিত সায়ন ভাইয়াকে উনার নিজের মতো ছেড়ে দেওয়া? হয়তো। এতোদিন তো শুধু বলতেন উনি আমাকে চান না কিন্তু আজ তো এর সাথে আরও একটা কথা বললেন উনি আপুকে চান। আমি বোধ হয় উনাকে বেশিই বিরক্ত করে ফেলছি।
যখন আপু আর উনার মাঝে সব ঠিক হয়ে যাবে তখন তো বিয়েটা হয়েই যাবে।
রাত কয়টা বাজে জানা নেই। ছাদের দোলনায় বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি আমি। আকাশে আজ চাঁদ নেই তবে রয়েছে অসংখ্য তারার মেলা। চারদিকে বিরাজমান নিরব নিস্তব্ধতাই জানান দিচ্ছে অনেক রাত হয়ে গেছে। ঝিরিঝিরি বাতাস বইছে। আশেপাশের বাসার আলোতে মৃদু আলোকিতো হয়ে আছে ছাদ। বাতাসের ঝাপটায় শরীরের লোমগুলো দাঁড়িয়ে উঠছে বারবার।
মাথায় নির্দিষ্ট কোনো চিন্তা আসছে না আমার। সব ভাবনাগুলো একসাথে এসে জরো হচ্ছে বলে ঠিক কি ভাবছি সেটা আমি নিজেই বুঝতে পারছি না। তবে "আই ওয়ান্ট মালিশা "কথাটা বেশ ভালো করেই জেকে বসেছে মাথায়। আচ্ছা আমি কি একটু বেশিই করে ফেলছি? আমার কি উচিত সায়ন ভাইয়াকে উনার নিজের মতো ছেড়ে দেওয়া? হয়তো। এতোদিন তো শুধু বলতেন উনি আমাকে চান না কিন্তু আজ তো এর সাথে আরও একটা কথা বললেন উনি আপুকে চান। আমি বোধ হয় উনাকে বেশিই বিরক্ত করে ফেলছি।
যখন আপু আর উনার মাঝে সব ঠিক হয়ে যাবে তখন তো বিয়েটা হয়েই যাবে।
Thank you