#অহংকারী_মেয়ের_প্রেমেতে
#পার্ট-৫
.
মি.আহমেদ: ওওহ্ আপনিই সেই। মেঘ আমাকে আপনার কথা
বলেছিলো। আপনাকে এখানের ম্যানেজার পদের জন্য নির্বাচিত
করা হয়েছে। তাহলে কখন থেকে join করচ্ছেন..?
.
মি.শরীফ: জ্বী স্যার..?? আমার চাকরী হয়ে গেছে.?
মি.আহমেদ: হ্যা। আমার ছেলে যখন আপনার কথা বলেছে,
তখনই আপনার চাকরী হয়ে গিয়েছে।
মি.শরীফ: মানে স্যার.? আপনার ছেলে.? বুঝলাম নাহ্।
মি.আহমেদ: কেন মেঘকে তোহ্ আপনি চিনেনই..
মি.শরীফ: মানে, মেঘ আপনার ছেলে..?? (অবাক হয়ে।)
মি.আহমেদ: হ্যা মেঘ আমার ছেলে..
মি.শরীফ: কিন্তু মেঘ তোহ্ আমার মেয়ের টিউটর..
মি.আহমেদ: সে এক বিশাল কাহিনী.. তা কখন join করচ্ছেন.?
মি.শরীফ: যদি কিছু মনে না করেন, তবে পরশু join করতে চাচ্ছিলাম।
মি.আহমেদ: আচ্ছা, তাহলে আপনি পরশুই join করুন।
মি.শরীফ: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এখন তাহলে আসি
স্যার..
মি.আহমেদ: আচ্ছা..
তারপর মি.শরীফ অফিস থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
মি.শরীফের মাথায় এখন শুধু এটাই ঘুর-পাক খাচ্ছে, মেঘ এতো বড় সোসাইটির
হয়েও টিউশনি কেন করাচ্ছে.! বাসায় গিয়ে সব ঘটনা মিসেস.শরীফ
এবং তার মেয়েকেও বললো। তারাও বেশ অভাক হলো।
.
আপরদিকে আমি ঘুম থেকে উঠে নিচে নেমে দেখি অমী টিভি দেখতেছে।
আমি: কিরে এখনো ছোটদের মতো কার্টুন দেখোস.?
অমী: তুইও তোহ্ দেখোস..😒
আমি: 😅
অমী: কোথাও যাচ্ছিস নাকি.?
আমি: হ্যা, যাই...একটু বাহির থেকে হেটে আসি..
অমী: আমিও যাবো..😄
অমি: তুই কোথায় যাবি.?😐
অমী: তোর সাথে..
আমি: আমি চায়ের দোকানে যাবো.. যাবি..??😁😁
অমী: তুই গেলে আমিও যাবো..😁😁
আমি:😵তাহলে আমি, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে যাবো..
অমী: আমিও যাবো... পছন্দ হলে একটাকে নিয়েও আসবো..😁😁
আমি: 😨.. কিহ্...??
অমী: তোর বন্ধু..!!😆😆
আমি: তোর সাথে আর পারি নাহ্.😩 যা তৈরী হয়ে নে..
অমী: OK একটু দাড়া..
আমি: কিন্তু...কিন্তু..কিন্তু সময় ৫মিনিট। এর চেয়ে একটু বেশী হলে আর
নিয়ে যাবো নাহ্..
অমী: আচ্ছা..😒
.
তারপর অমীকে নিয়ে বের হলাম। দুই ভাই-বোন মিলে একটু ঘুরে
আসলাম। আসলে আমার বোনটা আমার কাছে সব। ওওর বন্ধুও আমি, ওওর ভাইও আমি। একা একা কোথাও
যায় নাহ্, তাই আমিই মাঝে মাঝে ঘুরতে নিয়ে যাই। আর আমি না
নিতে চাইলে, ওওও নিজেই আমার সাথে চলে আসে..😰
কিছুক্ষন ঘোরার পর বাসায় আসলাম। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে
একটু বই নিয়ে বসলাম। তারপর ডিনার করে ঘুমিয়ে পরলাম।
সকাল বেলা, উঠে ফ্রেশ হয়ে, নাস্তা করে অমীকে নিয়ে বেড়িয়ে
পরলাম। অমীর কলেজের গেটের কাছাকাছি এসেই দেখতে পেলাম,
অমীর বান্ধুবী মিম দাড়িয়ে আছে,
আমি: মামা...মামা.. এখানে দাড়ান..
অমী: এখানে কেন.?
আমি: সামনে দেখ বুঝতে পারবি..
অমী: কোই সামনে কি.? (সামনের দিকে তাকিয়ে)
আমি: তোর বান্ধুবী ডিম, মানে মিম.😧
অমী: তো.? কি হইছে.?😁
আমি: এখন ওদিকে গেলে আমার ভার্সিটিতে লেট হয়ে যাবে..
অমী: হইছে হইছে ভাগ এখান থেকে..😡
আমি: আচ্ছা বোন, তুই রাগ করিস নাহ্। আমি যাই..
তারপর অমীকে সেখানে নামিয়ে দিয়ে আমি ভার্সিটির উদ্দেশ্য রওনা হলাম।
অমী সেখান থেকে হেটে তার বান্ধুবীর কাছে গেলো।
মিম: তুই একা কেন.? কালকে যে বললি, তোর ভাইও আসবে সাথে..😄
অমী: আসছিলো তোহ্..😐
মিম: কোথায় দেখতেছি না যে.?😄
আমী: তোকে দেখে পালাইছে.😂
মিম: কিহ্.?😶
অমী: জ্বী..😆
মিম: ধুররর... তোর ভাই আস্তো একটা ভীতু..😠
অমী: আচ্ছা, চল..চল ক্লাসের সময় হয়ে গেলো..
মিম: চল..😩
.
এদিকে আমিও ভার্সিটিতে চলে আসলাম। সেখানে মেহবুবের সাথে
দেখা করে ক্লাসের উদ্দেশ্যে গেলাম দুজনে। ক্লাসে ঢুকে বসলাম।
সবাই আমার দিকে একটু অদ্ভুত ভাবেই তাকাচ্ছে। হয়তো কালকের
ঘটনার জন্য। আজকে কলিকে দেখতেছি নাহ্। হয়তো আসবে নাহ্।
স্যার এখনো আসে নি, তাই মেহবুবের সাথে কথা বলচ্ছিলাম। একটু পর
দেখলাম কলি আসলো। কলি ক্লাসে ঢুকলো। এবং আমার দিকে তাকিয়ে একটা আলতো
হাসি দিলো।
কিরে ব্যাপারটা কি.? কালকে এতো কিছু হয়ে গেলো। আমি মনে করেছি
আজকে সে আসবেই না। কিন্তু সে এসেছে, আবার আমার দিকে তাকিয়ে
হাসিও দিলো। আমি ওদিকে অতটা গুরুত্ব দিলাম না। খানিক পরই
স্যার আসলো। আমিও ক্লাসে মনযোগ দিলাম। সব গুলো ক্লাস
শেষ করার পর যখনই আমরা বের হবো তখনই আমার নজর কলির
দিকে গেলো। সেও আমার দিকে তাকালো। আবারও একটা
মুচকি হাসি দিলো। এইবার আমার সন্দেহ হলো। নিশ্চই এই হাসির
পেছনে কোনো কারন লুকায়িত আছে। ওও যে বদমেজাজি মেয়ে
তাতে কালকের ঘটনার পর এমন হাসি দেওয়া স্বাভাবিক না..
আমি চুপচাপ মেহবুবের সাথে ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলাম। এবং
ক্যান্টিনে ঢুুকলাম। ক্যান্টিনে বসে দুজনে নাস্তা করতেছি, তখন
পেছন থেকে কে যেন কাধে হাত দিলো। তাকিয়ে দেখি কয়েকটা
গুন্ডা মার্কা ছেলে দাড়িয়ে আছে। হাতে হকি_ষ্টিক নিয়ে। আশে
পাশে একটু তাকিয়ে দেখলাম, একটু দূরে কলি ও তার বান্ধুবী দাড়িয়ে
আছে। ওওওওওহ্, তার মানে এই ছেলে গুলোকে কলিই নিয়ে
এসেছে আমাকে শায়েস্তা করার জন্য..!
একটা ছেলে, দেখে মনে হচ্ছে লিডার টাইপের: তুই_ই কি মেঘ..?
আমি কোনো জবাব দিলাম নাহ্, ছেলেটার দিকে ভালো মতো তাকিয়ে
দেখলাম। কেমন যেন পরিচিত মনে হচ্ছে..
আমি: তুই রাফির ভাই রাকিব না..??😕
আমার কথা শুনে ছেলেটা একটু ভয় পেলো।
ছেলেটা: আপনি রাফি ভাইয়াকে কেমনে চিনেন।
আমি: সেটা পরে বলবো। রাফি কি পল্টন থেকে আসছে.?
রাকিব: নাহ্..(ভয়ে ভয়ে)
আমি: রাফি বাড়িতে নেই, তাই তুই রাস্তা ঘাটে গুন্ডামি করে বেড়াস..??
তোর এমন অবস্থা করবো না, বাসা থেকে আর বের হতে পারবি নাহ্..😠
রাকিব: ভাই আপনি কে.ক.কে.?(ভয়ে)
আমি: আমি রাফির ফ্রেন্ড মেঘ আহমেদ।
(এইবার রাকিব আমার পায়ের উপর পড়লো।)
রাফি: ভাইয়া আমি চিনতে পারি নাই। মাফ করে দিন। ভাইয়াকে
কিছু বলিয়েন না..😭😭
আমি: ওওঠ.. ওওঠঠ..(ধমক দিলাম)
(ভয়ে কাচু-মাচু হয়ে দাড়ালো)
আমি: কলেজে উঠে একবছর পার করলি মাত্র, এর মধ্যেই গরম
হাওয়া গায়ে লাগছে না.? দাড়া তোদের ব্যবস্থা আমি করতেছি।(সবাইকে)
আর রাতেই তোর ভাইকে বলবো সব..(রাকিবকে)
(সবাই কান্না কান্না অবস্থা)
রাফি: ভাই ভুল হইছে মাফ করে দিন। আর হবে নাহ্। আপনার যা
ইচ্ছা শাস্তি দেন। তবুও ভাইয়াকে কিছু বলিয়েন নাহ্...
ওওদের এমন অবস্থা দেখে,
মেহবুব: ওদের যেতে দে..
আমি: ঠিক আছে। তোরা এখন যা এখান থেকে।
রাফি: ভাইয়া please, আপনি আমার ভাইয়াকে কিছু বলিয়েন
না।
আমি: আচ্ছা যা.. আর হ্যা, তোদের উপর আমার নজর থাকবে
সবসময়। এর পর যদি কখনো দেখি, কোথাও দাদাগিরি করতে
একদম অবস্থা খারাপ করে ফেলবো।
রাকিব: আর হবে না ভাইয়া।
আমি: যা এখান থেকে..
তারপর ওওরা চলে গেলো। আসলে রাফি আর আমি হলো আমার
সেই স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ লেভেল পর্যন্ত একসাথে study করেছি।
এখন ওও বর্তমানে ডিফেন্সে আছে। আর ওওর ছোট ভাই রাকিব
ওওএকে প্রচন্ড ভয় পায়।
ছেলেদের আমার সাথে এমন ব্যবহার করা দেখে কলি অবাক হয়ে
গেলো। ওওওরা চলে যাওয়ার পর আমি কলির দিকে এগোতে লাগলাম।
.
.
.
চলবে.................
0
14