এক লোক তার স্ত্রীর গায়ে হাত তুললো।
তাতে রাগ করে স্ত্রী বললো: আমি অভিযোগ করতে যাচ্ছি।
স্বামী: তোমাকে বাহিরে যাওয়ার অনুমতি কে দিবে?
স্ত্রী: তুমি কি মনে কর যে, তুমি আমাকে বাধা দিতে পারবে?
স্বামী: তুমি যা ইচ্ছা তাই কর। দেখি তোমার দৌড় কতটুকু?
স্ত্রী সাথে সাথে বাথরুমে ঢুকে পড়লো। তাই লোকটি চিন্তা করলো: হয়তো সে বাথরুমের জানালা দিয়ে বাহিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাই লোকটি বাসার বাহিরে গিয়ে ভালো ভাবে দেখলো। না..... তেমন কিছু বুঝা যাচ্ছেনা।
একটু পর ঘরে এসে দেখলো যে, স্ত্রী ওযু করে বাথরুম থেকে বাহির হয়েছে। লোকটিকে উদ্দেশ্য করে বললো: আমি তার কাছেই অভিযোগ জানাবো যিনি আমাকে তোমার অধিনস্ত বানিয়েছেন। সেখানে তোমার কোন দেয়াল নেই, নেই কোন দরজা যা দিয়ে তুমি আমাকে বাধা দিবে। তার দরজা তো বন্ধ করা যায়না।
লোকটি আর কিছু বললোনা। টেনশনে পড়ে গেলো।
স্ত্রী লোকটি নামাযে দাড়িয়ে পড়লো। নামাযের মধ্যে সিজদা অনেক লম্বা করে দিলো। সময় গড়িয়ে যাচ্ছে কিন্তু সিজদা তো শেষ হয়না। অনেক ক্ষন পর নামায শেষ হলো।
নামায যখন শেষ করে স্ত্রী যখন দু’হাত উঠালো তখন লোকটি তার হাত ধরে ফেলে বললো: সিজদায় আমার জন্য যে পরিমাণ বদ দোয়া করেছো তাতে কি যতেষ্ট হয়নি? আল্রাহর শপথ করে বলছি: এই একটু রাগারাগি আমি ইচ্ছা করে করিনি। তুমি আর বদ দোয়া করোনা। প্লীজ!!
তখন স্ত্রী বললো: এই জন্যই আমি তোমার জন্য বদ দোয়া করিনি। আমি বদ দোআ করেছি শয়তানের জন্য। আমি কি এতই বলদ যে, আমার স্বামীর জন্য বদ দোয়া করবো। যাকে আমি জীবন দিয়ে ভালোবাসি।
কথাটি শুনে লোকটির চোখে অশ্রু চলে আসে। স্ত্রীর হাতে চুমু খেয়ে বললো: আমি তোমাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি: আর কখনো তোমাকে কষ্ট দিবোনা।
0
19
সত্যিই গল্পটা সুন্দর আর রোমান্টিক। ভালো লেগেছে। এটাই স্বামী -স্ত্রীর ভালোবাসা। একে অপরের পরিপূরক