যুক্তিবিদ্যা ও ভাষা

0 4
Avatar for mamun16
4 years ago

যুক্তিবিদ্যা এবং ভাষা ২৩

আপেক্ষিক। একটি যুক্তিতে সিদ্ধান্ত হিসেবে ব্যবহৃত বচন অন্য যুক্তিতে আশ্রয়বচন হিসেবে

ব্যবহৃত হতে পারে। কাজেই যুক্তিতে আশ্রয়বচন হিসেবে কী ব্যবহৃত হবে তা নির্ভর করে

সংশ্লিষ্ট যুক্তির বিষয়বস্তুর ওপর। অর্থাৎ পূর্বনির্ধারিত কোনাে নিয়মে আশ্রয়বচন ব্যবহৃত হয়

। উদাহরণস্বরূপ,

সকল মানুষ হয় মরণশীল।

সকল দার্শনিক হয় মানুষ।

সুতরাং সকল দার্শনিক হয় মরণশীল।

এবং

সকল দার্শনিক হয় মরণশীল।

সকল চিন্তাবিদ হয় দার্শনিক।

সুতরাং সকল চিন্তাবিদ হয় মরণশীল।

ওপরের যুক্তি দুটিতে দেখা যাচ্ছে যে, প্রথম যুক্তির সিদ্ধান্তটিই দ্বিতীয় যুক্তির আশ্রয়বচন

হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং স্বতন্ত্রভাবে কোনাে বচনই আশ্রয়বচন নয় বা কোনাে

বচনই সিদ্ধান্ত নয়। কোনাে যুক্তিতে স্বীকৃত বচনরূপে ব্যবহৃত বচন বা বচনসমূহ হবে

আশ্রয়বচন, আর যুক্তির অন্তর্গত বচন বা বচনসমূহ থেকে নিঃসৃত বচনটি হবে সিদ্ধান্ত।

কাজেই অন্য বচনের সাথে সম্পর্ক ছাড়া কোনাে বচনই কোনাে যুক্তির আশ্রয়বচন বা সিদ্ধান্ত

হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে না। এ অর্থেই আশ্রয়বচন ও সিদ্ধান্ত আপেক্ষিকভাবে সম্বন্ধযুক্ত।

সাধারণভাবে যুক্তির সিদ্ধান্ত শেষে থাকে। তবে সিদ্ধান্তকে যুক্তির শেষেই থাকতে হবে

এমন কোনাে নিয়ম নেই। অনেক ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও লক্ষ করা যায়। এমন কিছু যুক্তি

আছে যেখানে সিদ্ধান্ত আশ্রয়বচনসমূহের মাঝে অথবা প্রথমে অবস্থান করে। এ ধরনের

যুক্তিকে ব্যতিক্রমধর্মী যুক্তি হিসেবে অভিহিত করা হয়। যেমন,

সকল মানুষ মরণশীল।

এ জন্য সক্রেটিস মরণশীল।

যেহেতু সক্রেটিস মানুষ।

আবার,

সক্রেটিস মরণশীল

কারণ সক্রেটিস মানুষ।

আর যারা মানুষ তারাই মরণশীল।

ওপরের যুক্তি দুটির প্রথমটিতে সিদ্ধান্ত আশ্রয়বচনসমূহের মাঝে এবং দ্বিতীয় যুক্তিতে

প্রথমে অবস্থান করেছে। যেহেতু আশ্রয়বচন ও সিদ্ধান্তের অবস্থান যুক্তির যে কোনাে স্থানে

হাতে পারে, তাই অবস্থানগত দিক থেকে এদের চিহ্নিতকরণ অনেক ক্ষেত্রেই

অসুবিধাজনক। তবে আশ্রয়বচন ও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এমন কিছু শব্দ বা শব্দসমষ্টি

আছে, যেগুলাের অর্থের মাধ্যমে আমরা অতি সহজেই আশ্রয়বচন ও সিদ্ধান্তকে চিহ্নিত

‘ আত।এব ’ ‘ সতবাং ’, ‘ কাজেই ’, ‘ ফলস্বরূপ ', এই কারণে ’, ‘ এর

1
$ 0.00
Avatar for mamun16
4 years ago

Comments