তোমার মাঝে আমি

0 5
Avatar for mamun16
4 years ago

#তোমার_মাঝে_আমি❤

#সিসন_২

#পার্ট_৭

নীরা: আমার জীবনের উপর আমারই কোনো অধিকার নেই যখন যে পারছে যা খুশি করছে ইচ্ছে করে না আমার এই জীবন রাখতে,,,রাখবো না আমি এই জীবন রাখবো না,,নীরার চোখ গেলো পাশে সেন্টার টেবিলে থাকা ফ্রুট বোলের উপর ছুরিটার দিকে শুভর মাথাটা বালিশে রেখে চাদর টা গায়ে কোনো মতে পেঁচিয়ে বিছানা থেকে নেমে সেন্টার টেবিলের দিকে চলে গেলো আর ছুরিটা হাতে নিয়ে বাম হাতের কবজি তে বসিয়ে টান দিতে নিলেই কোথ থেকে শুভ এসে নীরার হাত থেকে ছুরি টা নিয়ে নেয় আর ঠাস! করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয় আর নীরা ধপ করে মেঝেতে পরে যায় শুভ ছুরি টা ফেলে দিয়ে নীরা কে মেঝে থেকে টেনে তুলে চুলের মুটি ধরে নিজের কাছে টেনে নীরার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো ...... নীরা ছুটো ছুটি করার চেষ্টা করতে লাগলো শুভর বুকে সমানে কিল ঘুসি মারতে লাগলো সেই দেখে শুভ নীরার হাত দুটো ধরে পিছনে মুড়িয়ে ধরলো,,,এদিকে নীরার নিচের ঠোঁট শুভ কামড়ে ধরে রয়েছে কিন্তু এমন ভাবে যাতে নীরার ব্যথা না লাগে,,নীরার হাত দুটো ছেড়ে দিতেই নীরা নিজের সর্বস্ব শক্তি দিয়ে ধাক্কা মারলো শুভ কে আর শুভ পিছনে সরে এলো মাথা নীচু করে জানো শুভ জানতো নীরার হাত ছাড়লে এমনটাই হবে,,,

নীরা: কেনো এভাবে জোর খাটাচ্ছিস আমার উপর শুভ?? এতে তোর কোনো লাভ হবে না আমি কোনদিন তোকে ভালোবাসবো না,,,অনেক আগেই তোর জন্য আমার মনে ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে তাই হাজার চেষ্টা করলেও তুই আমার মনে জায়গা করতে পারবি না,,,জোর করে কোনো কিছু পাওয়া যায় না ভালোবাসা তো না ই,,

নীরার কথা শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত শুভ মাথা নীচু করেছিল নীরার কথা শেষ হতেই শুভ নীরার দিকে তাকালো যা দেখে নীরার বুকে মোচড় দিয়ে উঠলো,,,শুভ ছলছল চোখে নীরার দিকে তাকিয়ে আছে কয়েক ফোঁটা জল ও ইতিমধ্যে গড়িয়ে পরেছে শুভর,,,নীরা ভাবেনি শুভ এতটা কষ্ট পাবে এর আগে কখনো নীরা শুভ কে কাঁদতে দেখেনি বরং কাঁদাতে দেখেছে " নীরা তো নিজেরই তার উদাহরণ " কিন্তু আজ শুভর কি হলো?? এমন কি বলে ফেললো নীরা যার জন্য শুভর চোখে জল ভাবছে নীরা,,,

শুভ নীরার দিকে এক কদম এগিয়ে এলেই নীরা ভাবে আবার ও হয়তো শুভ কিছু করবে কিন্তু শুভ নীরা কে অবাক করে দিয়ে দ্রুত গতিতে নীরা ঝাপটে জড়িয়ে ধরলো,,,নীরা কে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে শুভ এতটাই শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে যে নীরার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে,,,নীরা কিছু বলতে যাবে তার আগেই শুভর হাতের বাঁধন টা হাল্কা হলো আর নীরা অনুভব করলো ওর কাঁধ টা ভিজে যাচ্ছে,,,নীরা আর কিছু বলতে পারল না শুভ কে আপনা আপনি নীরার হাত শুভর পিঠে চলে গেলো আর আস্তে আস্তে নীরা ও শুভ কে জড়িয়ে ধরার জন্য শুভর পিঠে নিজের দু-হাত রাখলো কিন্তু নীরার হাত রাখার সঙ্গে সঙ্গেই শুভ নীরা কে ঝট করে ছেড়ে দিলো আর নীরার দিকে না তাকিয়ে বেডের থেকে শার্ট টা নিয়ে পরতে পরতে বেরিয়ে গেলো দরজা খুলে,,,আর নীরা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো ওর নিজের জায়গায় আর নিজের কাঁধের ভেজা অংশে হাত দিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে গেলো,,,,

নীরা গভীর চিন্তায় মগ্ন ঠিক তখনই নীরার পা মেঝে থেকে উঠে গেলো আর নীরা তাকাতেই দেখলো শুভ ওকে কোলে নিয়ে নিয়েছে আর ওয়াশরূমের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ওকে,,,নীরা অবাক হয়ে যাচ্ছে এই কিছুক্ষণ আগে শুভ কাঁদছিল আর এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক এসিব ভাবতে ভাবতেই শুভ নীরা কে ওয়াশরুমে নামিয়ে দিলো আর বললো

শুভ: নীরপরী!! তুমি যদি এক্ষুনি চেঞ্জ না করো তাহলে কিন্তু আমি আবার গত রাতের মতো শুরু হয়ে যাবো (নিচের এক পাশের ঠোঁট কামড়ে ধরে চোখ টিপ মেরে)

শুভর কথায় নীরা নিজের দিকে তাকালো দেখলো গায়ে শুধু বেডশিট টা জড়ানো তাই সঙ্গে সঙ্গে শুভর মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলো নীরা আর শুভ একটু পিছিয়ে গেলো আর হাসতে লাগলো

শুভ: নীরপরী!! তাড়াতাড়ি করো আই অ্যাম ওয়েটিং ফর ইউ!!

নীরা: ইশশশ প্রেম এখন উতলে উতলে পরছে এতদিন এই প্রেম কোথায় ছিলো কে জানে?? যত্তসব!! কোনদিন মানবো না তোকে আমি,,কোনদিন না!!

নীরা চেঞ্জ করে ভয়ে ভয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরালো না জানি শুভ আবার কি করে বসে কিন্তু ঘরে এসে শুভ কে কোথাও দেখতে পেলো না তাই,,,নীরা মাঝে একবার বেরিয়ে ছিলো শাড়ি নেওয়ার জন্য আর ওয়াডরব খুলে একদম অবাক হয়ে গেছিল কারণ পুরো ওয়াডরব এ ওর মন পছন্দের রঙের শাড়ি সালোয়ার টপস এ ভর্তি কিন্তু তখন তাড়াহুড়ো করে একটা শাড়ি নিয়ে আবার ওয়াশরুমে চলে গেছিল,,,এখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুছছে আর ভাবছে শুভর ওয়াডরবে মেয়েদের এতো জামা কাপড় কোথা থেকে এলো?? তখনই নীরার মনে পরলো রিমার কথা,,,যে নিজেকে হসপিটালে শুভর গফ বলে পরিচয় দিয়েছিল নিমিশেই নীরার মন টা খারাপ হয়ে গেলো চোখ টা ভিজে এলো ঠিক সেই সময় নীরা নিজের পেটে এক জোড়া হাতের স্পর্শ পেলো আর কাঁধে গরম নিশ্বাস অনুভব করলো,,নীরা আয়নায় দেখলো শুভ কেমনে ঘোর লাগা চোখে নীরার দিকে তাকিয়ে আছে আর আস্তে আস্তে নীরার কানের কাছে ঠোঁট আনছে

শুভ: আমি ভাবিনি তোমাকে কখনো নিজের করে পাবো সব আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম আমি তোমাকে পাওয়ার নিজের অনিচ্ছা সত্বেও অন্যের হাতে তুলে দিয়েছিলাম কিন্তু ভগবান হয়তো তোমাকে আমার জন্যই লিখে রেখেছে তাই তো বার বার দূরে যাওয়ার চেষ্টা করেও তোমার কাছে চলে এসেছি,,,এখন যখন তোমাকে নিজের করে পেয়েছি তখন আর কোনদিন কোনমতে তোমাকে নিজের থেকে দূরে সরানোর কথা মাথা তেও আনবো না,,তাই তো গত রাতে তোমাকে নিজের করে নিয়েছি,,তুমি শুধু আমার নীরপরী শুধু আমার

শুভ কথা শেষ করে নীরার কাঁধে ঠোঁট ছোঁয়ালো আর নীরা চোখ বন্ধ রাখা অবস্থায় কেঁপে উঠলো এতক্ষণ নীরা চোখ বন্ধ করে শুভর কথাগুলো শুনছিলো কিন্তু নীরা শুভর কথার কোনো মানে বুঝতে পারছে না,,,শুভ নীরা কে আলতো করে নিজের দিকে ফেরালো আর নীরার দু-গালে হাত রেখে বললো

শুভ: আমি জানি তুমি কিচ্ছু বুঝতে পারছো না এখন,,আর এখন বুঝতেও হবে না সময় আসলে সব টা বুঝে যাবে আস্তে আস্তে,,,আই লাভ ইউ নীরপরী!! আই লাভ ইউ আ লট!! (নীরার কপালে কিস করে) নাও তুমি এখন রেডি হয়ে নাও কলেজে যেতে হবে তো?? আমি ড্রপ করে দেবো অফিস যাওয়ার পথে,,

নীরা এতক্ষণ খেয়াল করেনি শুভ অফিস আউটফিটে রয়েছে ব্ল্যাক গ্লসি প্যান্ট ইন্ডিগো কালারের শার্ট ইন করে পরা আর হাতা গুলো ফোল্ড করছে কুনুই অবধি চুল গুলো ব্রাশ করা

নীরা: তুই অফিস যাস?? আগে তো কখনো এমনটা শুনিনি,,

শুভ: এমন অনেক কিছুই তুমি আগে শোনোনি বেইব! আস্তে আস্তে সব শুনতে পারবে আর জানতে পারবে,,এখন রেডি হয়ে নাও (শুভ পিছন ফিরে শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে বললো)

নীরা: ঋক কে কি উত্তর দেবো আমি শুভ?? কি বলবো যে আমি ওর সাথে বেইমানি করেছি,,ওর সব থেকে কাছের দুজন মানুষ ওর বেস্ট ফ্রেন্ডরা ওর সাথে বেইমানি করেছে??

শুভ নিজের হাত মুঠো করে নিলো আর চোয়াল শক্ত করে নিলো তারপর দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,

শুভ: তুমি জাস্ট কলেজে যাবে পড়াশোনা করবে আর বাড়ি ফিরে আসবে,,দেট সেট! এর চাইতে বেশি কোনো কিছু নয়,,কাওর সাথে কথা বলার কোনো দরকার নেই,,

নীরা: এতটা বেইমানি কি করে করতে পারিস তুই শুভ?? লজ্জা করছে না তোর?? বিবেকে বাঁধছে না একবার ও?? যার ভালোবাসার দাবী নিয়ে তুই একদিন আমার কাছে এসেছিলি তার কাছ থেকেই তুই আজ তার ভালোবাসার মানুষটাকে কেড়ে নিলি??

নীরা শুভর কলার ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে কথা গুলো বললো আর শুভ নীরার হাতের দিকে তাকিয়ে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে নীরার হাত টা ছাড়িয়ে নিলো আর নিজের ঠোঁট ছুইয়ে বললো

শুভ: তুমি এখন থেকে শুধু আমার কথা ভাববে নীরপরী এছাড়া আর কাওর কথা নয়,,ওকেই?

নীরা শুভর কাছ থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিলো আর ঘৃণার চোখে শুভর দিকে তাকিয়ে বললো

নীরা: আই জাস্ট হেইট ইউ!

শুভ: আই লাভ ইউ টূ মাই এঞ্জেল!!

শুভর কথা শুনলেই জানো নীরার গায়ে আগুন ধরে যাচ্ছে নীরা শুভর দিক থেকে ফিরে চলে যেতে নিলেই শুভ নীরার কোমর জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নিলো আর বললো

শুভ: বেইব!! এখন যেমন আছো ঠিক সেই ভাবেই কলেজ যাবে,,একদম সাজবে না আমি চাই না আমার নীরপরীর সৌন্দর্য আমি ব্যতীত অন্য কেউ দেখুক!! তুমি শুধু আমার জন্য সাজবে,,,লাভ ইউ (কপালে কিস করে বেরিয়ে গেলো)

নীরা: কি করে তুই এতটা পাষাণ হলি শুভ?? যেই তুই কি না ঋকের জন্য জীবন দিতে রাজি ছিলি যেই ঋকের জন্য তুই একবার ও আমার মনের কথাটা জানতে চাসনি শুধুমাত্র ঋক ভালোবাসে বলে আমাকে রাজি করালি আজ সেই ঋকের কাছ থেকে তুই আমাকে কেড়ে নিলি?? আর এখন এই কথা তোলাতে পাত্তা ও দিলি না??

নীরা আর কিছু না ভেবে রেডি হয়ে নিলো কিন্তু যখন কলেজের জন্য বেড়াবে ভাবলো তখন আরেক ঝামেলায় পরলো,,

নীরা: আমি কি করে কলেজ যাবো?? আমার তো কোনো বই খাতা কিছুই নেই এখানে,,

__কে বললো বই খাতা নেই তোর??

নীরা পিছন ফিরে দেখলো ইশা একটা ব্যাগ হাতে নিয়ে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে ইশা কে দেখে নীরা বুকের সামনে দু হাত ভাঁজ করে অন্যদিকে মুখ ফিরে দাঁড়ালো

ইশা: কি রে?? আমাকে দেখে এভাবে অন্য দিকে ফিরে দাঁড়ালি কেনো?? আমি তো তোর বর নই তোর ননদ!! আমার থেকেও লজ্জা পাচ্ছিস নাকি তুই??

নীরা ননদ কথাটা শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো আর ইশার দিকে ফিরে রেগে বললো

নীরা: একদম কথা বলার চেষ্টা করবি না তুই আমার সাথে তোরা ভাই বোন সব কটা বেইমান!! একদম দূরে থাক আমার থেকে আমি জাস্ট সহ্য করতে পারছি না তোদের কে,,মিথ্যুক তোরা দুজন!

ইশা: আরে বাবা রে বাবা!! এতো রাগ ভালো না নীরা শরীরের পক্ষে,,,শোন আমি জানি তুই আমার উপর বেশিক্ষণ রেগে থাকতে পারবি না,,(নীরার হাত ধরে)

নীরা ইশার হাত টা ঝাড়া মেরে সরিয়ে দিয়ে বললো

নীরা: আগে পারতাম না বাট এখন পারবো কারণ আগের সাথে এখনের আকাশ পাতাল তফাত,,,আগে তোকে আমি নিজের বান্ধবী কম বোন মনে করতাম আর সেই তুই আমার সাথে ছলনা করেছিস,,ঘৃণা করি আমি তোদের কে,,

ইশা: তোর রাগ করাটা স্বাভাবিক নীরা!! আমি এতে কিছুই মনে করছি না আমি জানি আমার তোকে জানানো উচিত ছিলো যে আমি শুভ ভাইয়ার বোন,,কিন্তু পারিনি কেনো পারিনি সেটা না হয় পরেই জানতে পারবি,,

নীরা: আমি আর কিচ্ছু জানতে চাই না তোদের থেকে,,

ইশা: আচ্ছা জানিস না!! কেউ জোর করেনি,,তুই তোর বই খাতা নিয়ে তাড়াতাড়ি নীচে আয়,,ব্রেকফাস্ট করে কলেজে বেড়াবো আমরা,,

ইশা বেরিয়ে গেলো আর নীরা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বই গুলো গুছিয়ে নিলো আর নীচে নেমে দেখলো শুভ আর ইশা হেসে হেসে গল্প করছে,,নীরা নেমে আসতেই ইশা বললো

ইশা: নীরা তারাতাড়ি আয় আমাদের বেরতে হবে তো??

শুভ: ওয়াট ইস দিস ইশু?? নীরা তোর বৌদি হয় সো ওকে এবার থেকে বৌদি বলে ডাকবি ওকেই??

ইশা: ভাইয়া!! কলেজে ও?? (চিন্তিত হয়ে)

শুভ: নাহ!!(গম্ভীর ভাবে)

ইশা: শোন শুধু বাড়িতে বৌদি আর কলেজে নীরা আমার দ্বারা হবে না,,আমি নীরা বলেই ডাকবো দেট'স ফাইনাল!!

নীরা ওদের কথার কোনো উত্তর দিলো না চুপচাপ নিজের খাবার খেতে লাগলো যদিও নীরার গলা দিয়ে কিছুই নামছে না তবুও চেষ্টা করছে খাওয়ার,,

শুভ: ইশু!! তোর মনে আছে তো কি বলেছি আমি তোকে??

ইশা: ইয়েস ভাইয়া! আচ্ছা তুই কি অফিসের জন্য বেরিয়ে যাচ্ছিস??

শুভ: হমম!! তোরা কলেজ পৌঁছে আমায় ফোন করবি,,

ইশা: ওকে!

শুভ বেরিয়ে গেলো এদিকে নীরা অমনোযোগী হয়ে বসে রইলো আর ইশাও কিছু একটা ভাবছে হুট করেই এর মাঝে শুভ এসে নীরার কপালে একটা চুমু দিয়ে বললো

শুভ: সাবধানে থাকবে নীরপরী!! আই উইল মিস ইউ!!

নীরা কে কথা বলার সুযোগ না দিয়েই শুভ বেরিয়ে গেলো আর নীরা তো শকড হয়ে বসে আছে পাশ থেকে ইশা কুনুই দিয়ে ধাক্কা মেরে বললো

ইশা: আমার ভাইয়ার থেকে আর কেউ তোকে এতো বেশি ভালোবাসতে পারবে না,,হিহিহি চল এবার!!

নীরা কিছু বললো না নীরার মাথায় সব তাল গোল পাকিয়ে যাচ্ছে,,,নীরা আর ইশা এক সাথে এক গাড়িতে কলেজ এলেও নীরা একটা কথা বলেনি ইশার সাথে,,ইশা অনেক চেষ্টা করার পর ও কোনো লাভ হয়নি তাই বাধ্য হয়ে চুপ হয়ে গেছে,,,

কলেজে পৌঁছে নীরা নিজের ক্লাসের দিকে যেতে লাগলো আর ইশা ও ওর পিছন পিছন আসছে হঠাৎই নীরার পা থমকে গেলো আর নীরার মুখে আতঙ্কের ছাপ পড়ে গেলো .......................

.

.

.

[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে 🥀]

বি:দ্র: মন ভালো ছিলো না তাই দেরী হলো,,এবার আর দেরী করবো না ডেইলি আপডেট দেবো

1
$ 0.00
Avatar for mamun16
4 years ago

Comments