গল্প স্ত্রী পরকীয়া শেষ পরিনিতি ভয়াবহ

0 5
Avatar for mamun16
4 years ago

গল্প স্ত্রী পরকীয়া শেষ পরিনিতি ভয়াবহ

#পর্ব_৬

#হঠাৎ করে লক্ষ্য করে দেখি সাব্বিরের ঠোঁটে এখনো আমার স্ত্রী লিপস্টিক লেগে আছে,,,

আমি ধারালো ছুরিটা দিয়ে সাব্বিরের দুইটা ঠোঁট কেটে ফেললাম,,,সাব্বিরের প্রাণ যায় যায় অবস্থা,,,কিন্তু খাছা ছেড়ে প্রাণটা এখনো বের হচ্ছে না,,,আমি ধারালো ছুরিটা সাব্বিরের কন্ঠনালী বরাবর চালিয়ে দিলাম,,,সাথে সাথে শরিলে থাকা শেষ রক্তবিন্দু ফিনকি দিয়ে পড়তে লাগলো,,,সাব্বির এখনো ইহকাল ত্যাগ করেনি,,,ওর বিমর্ষ বডিটা এখনো মেঝেতে পড়ে লাফাচ্ছে,,,হয় তো ইয়াং এবং যুবক বয়সের ছেলে দেখে এতক্ষণ পর্যন্ত বেঁচে আছে,,

গ্রাম গঞ্জে যখন হঠাৎ করে মেহমানের আগমন ঘটে,, গ্রামের গঞ্জের বাজার থাকে অনেক দূরে,, ফ্রিজে ও তেমন কিছু থাকে না বা সবার বাসায় ফ্রিজ নাই,, গৃহকর্তা কোন কিছুর উপায় না পেয়ে,,তার পুষা পালিত লাতা মুরগীটাকে ২ ৩ জনে দাওয়া করে ধরে,, সাথে সাথে জবহ করে উঠানে ফেলে দেয়,, কিছুক্ষণ আগে আদার খাওয়া মুরগিটা কে যখন সদ্য জবাই করে উঠানে ফেলে দেই তখন মুরগিটা অনেকক্ষণ পর্যন্ত থাপড়াতে থাকে,,,কারন ২ মিনিট আগে ও মুরগীটা জীবিত ছিল,,,সাব্বির ও কিছুক্ষণ আগে আমার স্ত্রীকে নিয়ে বিছানায় আনন্দ খেলায় মেতেছিল,,,আর ২ মিনিট পর সেই মুরগীর মত জবাই দিয়ে দিলাম,,, তাই অনেকক্ষণ পর্যন্ত লাফাচ্ছে,,, সাব্বিরের সেই বীভৎস দেহর লাফালাফি দেখে সাব্বিরের বুকে ছুরিটা পুতে জুড়ে এক টান দিয়ে নাভি পর্যন্ত নিয়ে আসলাম,,, ওর শরীরের ভিতরের প্রতিটি অঙ্গ প্রথম দেখা যাচ্ছে,,, কিছুক্ষনের ভিতর সাব্বিরে ভিতরে পোষা পাখিটা এই সুন্দর দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে,পরকালে পাড়ি জমিয়েছেন,,,

প্রিয় পাঠক পাঠিকারা আমার সাথে পড়ুন,,

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন

সাব্বিরের টুকরো টুকরো বডিটা একটা বস্তার ভিতর বরলাম,,

তার পর ধারালো ছুরিটা হাতে নিয়ে আমার স্ত্রীর সামনে দাঁড়ালাম,,আমার স্ত্রী আমার চেহেরা বীভৎস অবস্থা দেখে,,,১ মিনিটের জন্য ভূমিকম্প আসলে যেভাবে বড় বড় দালান গুলো কাপ্তে থাকে মানুষগুলো স্টেট হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না,,আমার স্ত্রী ও সেই ভূমিকম্পে কাপন তোলা বিল্ডিং এর মত কাপতে লাগলো এবং আমার পায়ে এসে লুটিয়ে পড়লো আর জোরে জোরে চিৎকার করে বলতে লাগল আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি জীবনে আর এরকম করবো না,,

আমি তার প্রতি উত্তরে বললাম তোর জীবন থাকলে তো,,আর এরকম করবি,আজকে এই যে তোর জীবনের শেষ দিন,,,

আমার স্ত্রী বলতে লাগলো আমি তোমার পায়ে ধরে শপথ করে বলছি আর কখনো কোন পর পুরুষের দিকে তাকাবো না,,, আমাকে একটিবারের জন্য ক্ষমা করে দাও,,,

তোকে ক্ষমা করার প্রশ্নই আসে না,, অসম্ভব,, তোর মতো বিশ্বাসঘাতক কে ক্ষমা করব আমি,,, যে পরকীয়ার জন্য নিজের সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে পারে,,,

আমাকে শুধু একটা বার সুযোগ দাও,,, আমি আজীবন তোমার পায়ের কাছে পড়ে থাকবো,,

তোকে এ কিভাবে সুযোগ দেই বল,,তোকে সুযোগে দিলে,, তুই সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাকে এবং আমার ছেলেকে শেষ করে পালিয়ে যেতি,,তোকে কোন সুযোগ দেওয়া যাবে না,,,

যে মহিলা পরকীয়ার জন্য নিজের পেঠের সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে পারে,,সে মহিলার কাছে স্বামী তো কিছু না,তুই পরকিয়ার জন্য আমাকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করতি,,,

আমি ভুল করে ফেলেছি,,,আমার জীবনটা ভিক্ষা দাও,, আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি আমি ভালো হয়ে যাব,,

ছিহঃতোর ঐ পাপি মুখে আল্লাহর নাম নিবিনা,,,তুই ভুল করলে তোকে ক্ষমা করে দিতাম,, কিন্তু তুই আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা কথা করেছিস,,, করছিস ভালবাসার নামে বেঈমানি,, আর বেঈমানের শাস্তি হলো মৃত্যু,,, খুব ভয়ানক মৃত্যু,,,,,

মাহা মনীষী চার্নক্য বলেছিলেন,, ক্ষমা তাকে করো যে ভুল করেছে,,, কিন্তু তাকে কখনো ক্ষমা করো না,, যে তোমার সাথে বেঈমানি করেছে,,,

তুই আমার সাথে বেইমানি করেছিস,,,আর তোর বেইমানির শাস্তি হলো মৃত্যু , খুব কঠিন যন্ত্রণা দিয়ে মৃত্যু,, তুই তো জাহান্নামি,,এখন

এই মুহূর্তে তুই মারা গেলে আল্লাহু তায়ালা তোকে হাবিয়া দোজখের নিক্ষেপ করবে,,, আল্লাহ তায়ালার বানানো 7 দোজখের মধ্যে সব চেয়ে কঠিন এবং ভয়ানক আজব হলো হাবিয়া দোজখে,,,,আল্লাহু তায়ালা পবিত্র কুরআনে লজ্জাস্থান হেফাজত কারী মহিলা কে জান্নাতি বলে ঘোষণা করেছেন,,

(((সুরা মুমিন ৫)))

অন্য আয়াতে যিনাকারি মহিলা এবং যেনার পরিবেশ সৃষ্টিকারিনী মহিলা সম্পর্কে কঠিন আজাব ও শাস্তির কথা ঘোষণা করেছেন,

((সূরা নূর: ২))))

তোর কপাল ভালো এতক্ষণ পর্যন্ত তুই দুনিয়াতে নিঃশ্বাস নিচ্ছিস,,, আজরাইল হয়তো কোন কারণে ব্যস্ত ছিল,,,কিন্ত এই মুহূর্তে আজরাইল তোর সামনে এসে হাজির হবে,,আর তোর মত পাপিষ্ট যেনাকারির রুহটা অনেক যন্ত্রণা দিয়ে বের করবেন,,, মৃত্যুর যন্ত্রণা যে কতো কঠিন এখন তুই উপলব্ধি করতে পারবি,,,, মৃত্যুর যন্ত্রণার একটা ব্যাখ্যা করি তোকে,,হয়রত ঈসা (আঃ)একদি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন,,,দেখলেন রাস্তার পাশে অনেক পুরনো একটা কবর,,,উনি কবরের পাশে দাঁড়ালেন এবং বললো

(((কুম বিসনিল্লাহ,, আল্লাহর হুকুমে কবর থেকে উঠো) এমনি কবর থেকে একজন মানুষ উঠলো,, হয়রত ঈসা (আঃ) জিজ্ঞাসা করলেন,(( ও মা আনতা ওমা ইছমোকা,,,)),তোমার নাম কি,, তোমার পরিচয় কি,,,কবর থেকে উঠা ব্যক্তি জবাব দিলো,,আমার নাম ছাম,,,আমি দাউদ (আঃ)ছেলে! দাউদ (আঃ)ছেলে ছাম(( আঃ))ও একজন নবী,, মানে কবর থেকে উঠা ব্যক্তিটা ও একজন নবী

ঈসা (আঃ)বললেন আপনি তো আল্লাহর একজন নবী,,

ছাম (আঃ)বললেন হ্যা

ঈসা( আঃ)আবার ও বললেন,,আপনি কি কবরে যে অবস্থায় শুয়ে ছিলেন,, ঐ অবস্থায় শুয়ে থাকতে চান, নাকি আবারও দুনিয়ায় আসতে চান,, যদি দুনিয়াতে আসতে চান,,তাহলে আমি আল্লাহ দরবারে ফুরিয়াত করবো,,আল্লাহ যেন আপনাকে আবার দুনিয়ায়তে পাঠাই,,,

হয়রত ছাম (আঃ)বললেন আমি যদি আবার ও দুনিয়ায় আসি,,আজরাইল কি আবার ও আমার জান কবজ করবে,,,

হয়রত ঈসা( আঃ) বললেন,,আপনি আল্লাহর একজন

পয়গম্বর আপনি আজরাইলকে এতো ভয় পান কেন,,

হয়রত ছাম( আঃ)বললেন হে নবি ঈসা আপনার সাথে তো এখনো আজরাইলের দেখা হয় নাই,, আপনি কি বুঝবেন,,আজ থেকে সারে হাজার বছর আগে আমি ছাম মৃত্যু বরণ করেছি আজও পর্যন্ত মরনের কষ্ট ভুলতে পারি নাই,, কয়েক হাজার বিষাক্ত কাঁটা,আমার পেটের ভেতরে ঢুকিয়ে,, সমস্ত রগের মধ্যে এবং নাড়িভুঁড়ির মধ্যে পেচিয়ে কয়েক হাজার লোকের জুড়ে এক টান মারলে যতটুকু কষ্ট অনুভব করতে পারবো,,আমি ছাম তার চেয়ে নয় গুন কষ্ট আমি অনুভব করছি,,,,

দুনিয়াতে যত নবী রাসুল এসেছে সবাই নিষ্পাপ তাদের কোন গোনাহ নাই,, একজন নবী হয়ে যদি এতটুকু মৃত্যুর যন্ত্রনা অনুভব করতে পারে,,,তাহলে তো মত পাপিষ্ট জিনা কারিনী,,যে স্বামীর হক নষ্ট করে,,, স্বামীর অগোচরে পর পুরুষ কে বিছানায় এনে অশ্লীল খেলায় মেতে ওঠে,,,তোর কতটুকু মৃত্যুর যন্ত্রনা হবে ভেবে দেখ তুই,,,

আমার স্ত্রী আমার কথা শুনে আমার দু পা জড়িয়ে ধরে জোরে জোরে চিৎকার করতে লাগলো আর বলতে লাগলো,, আমাকে একটা বার ক্ষমা করে দাও,,,আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার একটা সুযোগ দাও,,

তোকে কোন ক্ষমা করা যাবে না আল্লাহর কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিস,,,কথা বলে আমি ধারালো ছুরিটা দিয়ে আমার স্ত্রী শরীরের জুড়ে একটা টান দিলাম,,,সাথে সাথে আমার স্ত্রী ব্যথায় কুঁকড়িয়ে উঠলো,,,,আমি ধারালো ছুরিটা দিয়ে আবার ও।।।

((((চলবে)))

প্রিয় পাঠক পাঠিকারা কি বলেন।। আমার স্ত্রীকে ক্ষমা করে দেব,,,

1
$ 0.00
Avatar for mamun16
4 years ago

Comments