★জ্ঞানতত্ত্ব নিয়ে আমার বিষদ কোন জ্ঞান নেই। তবে এটা বুঝতে পারি, যুক্তির মাধ্যমে মানুষের যে উপলব্ধি সৃষ্টি হয়, তাই জ্ঞান। যুক্তিহীন উপলব্ধি কোন জ্ঞান হতে পারে না। মুখস্ত করা তথ্য ও তত্ত্বও জ্ঞান হতে পারে না। তাই কেউ কঠিন কোন বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রীধারী হলেও সামগ্রিকভাবে জ্ঞানী হতে পারেন না। যেমন ধরুন, বিজ্ঞানের কোন ডক্টরেট তার গবেষণার বিষয়ে কিছু জ্ঞান অর্জন করলেও জীবন চর্চায় যুক্তির উপর নির্ভর করতে পারেন না। এভাবে একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষও সামগ্রিক জ্ঞান থেকে ছিটকে পড়েন। আবেগ অনুভূতি মানুষের জীবনের অংশ হলেও তা কখনোই জ্ঞান হয় না।
★প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জ্ঞান অর্জনের অনেকগুলো মাধ্যমের একটি মাত্র। জীবনের নানান অভিজ্ঞতাও মানুষকে জ্ঞানী করে তুলতে পারে। এটিকে আমরা অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বলতে পারি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম কোন উচ্চশিক্ষা অর্জন না করেও জ্ঞানের উচ্চমার্গে উঠেছিলেন। আরজ আলী মাতুব্বরও সেরকম একজন জ্ঞানী মানুষ ছিলেন, যার কোন উচ্চশিক্ষা ছিল না। তবে তিনি প্রচুর বই পড়তেন এবং জীবনকে উপলব্ধি করতেন। তাতে তার যে অর্জন, তাই জ্ঞান। আরজ আলী মাতুব্বর বলেছিলেন, "বিদ্যাশিক্ষার ডিগ্রী আছে, জ্ঞানের কোন ডিগ্রী নেই; জ্ঞান ডিগ্রীবিহীন ও সীমাহীন। "
★এই জ্ঞান হচ্ছে একটি সমাজের এগিয়ে যাওয়ার মূলশক্তি। কিন্তু এই মূলশক্তিকে প্রজ্ঝলিত করার জন্য দরকার মুক্তবুদ্ধির চর্চা। এই চর্চায় ব্যাঘাত ঘটলে জ্ঞান সৃষ্টি হতে পারে না। সেরকম একটা সমাজে তখন শিক্ষিত বা অশিক্ষিত মূর্খরা চষে বেড়ায়। সমাজ তখন অন্ধকার কানাগলিতে আটকে যায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য।
★পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য ভালবাসা রইল।