অজ্ঞাতনামা_চরিএ

13 11
Avatar for jihad12
4 years ago

মিসবাহঃছেলেটির যৌনাঙ্গ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছে।

আমিঃ যৌনাঙ্গ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছে কিন্তু কেন?

মিসবাহঃ কেন করেছে সেটা বলতে পারবোনা। তোমরা লাশের সাথে একটা ছোট ব্যাগ পেয়েছিলে না?

আমিঃ হ্যা পেয়েছিলাম।

মিসবাহঃ ওই ব্যাগটাতে যে মাংসের টুকরোগুলো ছিল সেগুলো হলো ছেলেটা যৌনাঙ্গ। শুধু তাই নয় যখন আমি ছেলেটার লাশ ময়নাতদন্ত করা শুরু করলাম ঠিক তখনই,,,

এতটুকু বলে ডাক্তার মিসবাহ থেমে গেলেন। উনার চোখ থেকে পানি পরছে।

ডাক্তার মিসবাহের প্রত্যেকটা কথা এই কেসকে নতুন রূপ দিচ্ছে

আমিঃ ঠিক তখনই,, তারপর কি ডাক্তার?

মিসবাহঃ ঠিক তখনই বুঝতে পারি ছেলেটাকে অত্যাচার করা হয় আর এই অত্যাচার যেমন-তেমন অত্যাচার না। এই অত্যাচার হলো ভয়ংকর অত্যাচার।

মিজানঃ আমি তো শুরুতেই বলেছি এগুলো কোন মানুষের পক্ষে করা সম্ভব না এগুলো ভূতে করেছে।

আমিঃ মিজান তুমি একটু চুপ করো, ভূত বলতে কিছুই নাই। ডাক্তার মিসবাহ আপনি কন্টিনিউ করুন।

মিসবাহঃ প্রথমে ছেলেটির পুরো শরীরকে কাটা যুক্ত তার দিয়ে পেঁচানো হয়েছে। তারপর শরীরে কাটা অংশে গরম পানি ছিটানো হয়েছে। শুধু গরম পানি ছিটানো হয়েছে তাই না বরং সেখানে লবণ ও মরিচ দেওয়া হয়েছে। যাতে ছেলেটি যন্ত্রণায় ছটফট করুক। তারপর একটি চিকন লোহার শিক গরম করে ছেলেটি যৌনাঙ্গের ভিতরে ঢুকানো হয়েছে।

আমিঃ ডাক্তার আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন, ছেলেদের যৌনাঙ্গের ভিতরে শিক ঢুকানো হয়েছে মানে?

মিসবাহঃ ছেলেদের যৌনাঙ্গে যে ছোট ছিদ্র থাকে ঠিক সেই ছোট ছিদ্রের ভিতরে গরম শিক ঢুকানো হয়েছে। ছেলেটির যৌনাঙ্গের টুকরো গুলোতে এখনো পোড়া দাগ রয়েছে।যৌনাঙ্গের টুকরো গুলোর অবস্থা পোড়া মাংসের মতো হয়েছে।

আমার সাথে থাকা দুটি লেডি অফিসার ইতিমধ্যে ডাক্তারের কথা শুনে রুম থেকে বেরিয়ে গেছে। মিজানের চোখে মুখে স্পষ্ট ভয়ের ছাপ। মিসবাহ এর মুখে প্রত্যেকটা ঘটনার বর্ণনা শুনাতে শুনতে আমার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।

মিসবাহঃ সবচেয়ে বড় পয়েন্ট কি জানো?

আমিঃ কি স্যার?

মিসবাহঃ এগুলো সব জীবিত অবস্থায় করা হয়েছে।

আমিঃ কি জীবিত অবস্থায়,এইরকম করে খুন করা কি কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব?

মিজানঃ আমি তো প্রথমেই বলেছি এগুলো কোন মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয় এগুলো একটা ভূত করছে।

মিসবাহঃ মিজান ভূত বলতে কিছুই হয়না। এই বিজ্ঞানের যুগে এসে তুমি যদি এসব পুরাতন কথা বল তাহলে কি চলে। এগুলো অবশ্যই একটা মানুষ করছে।

আমিঃ কিন্তু ডাক্তার মিসবাহ আমার একটা প্রশ্ন রয়ে গেল, কারো উপর ঠিক কি রকম রাগ থাকলে তাকে এভাবে খুন করা যায়?

মিসবাহঃ দেখো আমি একজন ডাক্তার আমার কাজ হচ্ছে ময়নাতদন্ত করা। তোমরা পুলিশ অফিসার তোমাদের কাজ কেস ইনভেস্টিগেট করা।

মিসবাহঃ আরও একটা ইম্পরট্যান্ট ডিটেলস তোমাদেরকে দেওয়া হয়নি।

আমিঃ কি ডিটেলস ডাক্তার?

মিসবাহঃ এই খুনি কিন্তু অন্য সব খুনির থেকে আলাদা।

আমিঃ আলাদা বলতে ঠিক কী রকম?

মিসবাহঃ অন্যসব খুনিরা নিজ হাতে খুন করলেও এই খুনি নিজ হাতে খুন করে না। এই খুনি যাকে মারবে তাকে অত্যাচার করে ফেলে রাখে যতক্ষণ পর্যন্ত নিজে নিজে না মরবে। তারপর যখন দেখবে যাকে অত্যাচার করেছে সে মারা গেছে। তারপর শরীরের বিভিন্ন অংশ কাটে।তারপর পোড়া যৌনাঙ্গ কেটে টুকরো টুকরো করে।

আমিঃতার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন এই খুনি প্রথমে অত্যাচার করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। যাকে মারবে সে মারা যাওয়ার পর তার লাশকে কাটে এবং লাশের পোড়া যৌনাঙ্গ কে টুকরো টুকরো করে আলাদা একটি ব্যাগে রাখে।

মিসবাহঃহুম আমি ঠিক এটাই বুঝতে চেয়েছি।

আমিঃ আচ্ছা মিসবাহ স্যার আপনি এত কনফিডেন্স নিয়ে এগুলো কেমনে বলছেন? মনে হচ্ছে এই রকম কেস আপনি আগেও পেয়েছেন?

মিসবাহঃ কি তুমি,,,,,

মিসবাহ স্যার আরও কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই আমাদের থানার ওসি আকরাম রহমান এসে গেলেন।

আকরামঃ বাহাদুর তুমি এখানে কি করছো?

আমিঃ স্যার আজকে সদর রেলওয়ে স্টেশনে যে কফিনের লাশ পেয়েছিলাম সেটির ব্যাপারে ডাক্তার মিসবাহ এর সাথে কিছু কথা বলতে এসেছি।

আকরামঃ তোমাকে কি এগুলো করার জন্য এখানে রেখেছি?

আমিঃ স্যার কেস সলভ করাই তো আমাদের কাজ তাইনা।

আকরামঃ আমার মুখের উপর কথা বলছো কেন? তোমার টেবিলের উপর চার-পাঁচটা পেন্ডিং কেস পড়ে রয়েছে সেগুলো সলভ করো।

আমিঃ স্যার ওগুলো সামান্য চুরির কেস আমি খুব জলদি এগুলো সলভ করে ফেলব কিন্তু এটাতো একটা মাডার কেস।

আকরামঃ বাহাদুর বেয়াদবি হয়ে যাচ্ছে, আমি সিনিয়র অফিসার তাই আমি তোমাকে যা বলব তুমি তাই পালন করবে।

মিজানঃ স্যার সরি সরি বাহাদুর একটু কম বুঝে।নিউ জয়েন হয়েছেতো তাই। আমি ওকে বুঝাচ্ছি।

মিজান আমাকে টানতে টানতে রুম থেকে বের করে আনলো।

মিজানঃ তুই কি পাগল শুধু শুধু ওসি সাহেবের সাথে ঝগড়া করছিলে কেন? তুই জানোস এ পর্যন্ত তো তোর আটবার ট্রান্সফার হয়েছে। এক বছরে 8 বার মানে কিছু বুঝিস।

আমিঃ ভালো কাজ করলে আটবার কেন দশবার ট্রানস্ফার হলেও আমার কোন আক্ষেপ নাই।

মিজানঃ দেখ এত বড় বড় কথা বলে লাভ নেই। যখন তোর একটা ফ্যামিলি হবে তখন বুঝবি এই বদলি জিনিসটা কত কষ্টের।

আমিঃ তোর মত কিছু অফিসার ও ওসি আকরামের মত কিছু অফিসারের কারণে আমাদের দেশের সিস্টেম খারাপ হয়ে গেছে। তোদের লজ্জা করেনা নিজেদেরকে পুলিশ বলে পরিচয় দিতে।

মিজানঃ শোন তোর গত ৭ পোস্টিং ছিল এমন সব জায়গায় যেখানে চুরি-ডাকাতি অর্থাৎ ক্রাইম রেট অনেক কম কিন্তু এখন তোর পোস্টিং চট্টগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ জোনে। এখানে প্রত্যেক দিন এমন হাজার হাজার জিনিস দেখবি যেগুলো দেখলে তুই অবাক হবি।আমি আগে ভূতে বিশ্বাস করতাম না কিন্তু গত কয়েক মাস যাবত এমন কয়েকটা কেস দেখছি যা দেখার পরে আমার সম্পূর্ণরূপে ভূতের উপর বিশ্বাস হওয়া শুরু হয়েছে। আর এই কেসগুলো আমাদের ওসি সাহেব মিনিটের মধ্যে সলভ করেছে।

আমিঃ মিনিটের মধ্যে সলভ করেছে মানে?

মিজানঃ পার্মানেন্টলি কেস গুলোকে বন্ধ করে দিয়ে মিনিটের মধ্যে সলভ করে ফেলছে।

আমিঃ তাহলে কি এই কেসটাও পার্মানেন্টলি বন্ধ করে দিবে?

মিজানঃ হতেও পারে।

আমিঃ না আমি এ কেস বন্ধ হতে দিতে পারব না।

মিজানঃ তুই যাই করস না কেন যদি আকরাম স্যার না চায় তাহলে এই কেস কেউই চালু রাখতে পারবে না। এখন আর কথা বলে লাভ নেই অনেক রাত হয়েছে চল বাসায় চল।

মিজান বাইকে বসলো আর আমি মিজান এর পিছনে বসলাম। মিজান বাইক চালাচ্ছে আর আমি তার পিছনে বসে চট্টগ্রাম নগরীর রাতের আবহাওয়া উপভোগ করছি। ভাইরে ভাই এ ব্যস্ত শহরে কি আর উপভোগ করব একটু সামনে যেতেই জ্যাম। যে জ্যামে পরছি মনে হচ্ছেনা 20-30 মিনিটের আগে ছুটবে।তাহলে এই জ্যামের মধ্যে আমার পরিচয়টা দিয়ে দেই।

আমি বাহাদুর চৌধুরী। মা-বাবা নেই কিন্তু একটা বড় ভাই আছে। এক বছর আগে ভাইয়া বিয়ে করেছে। গত এক বছর ভাইয়া ভাবিকে নিয়ে চট্টগ্রামে থাকে। কিছুদিন আগে জানতে পারলাম আমি চাচা হবো ঠিক তখন থেকেই ভাইয়া ভাবির সাথে দেখা করার জন্য চট্টগ্রামে আসার অনেক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম কিন্তু চাকরির কারনে পারিনি। চাকরি বলতে আমি একজন পুলিশ অফিসার। এক বছর হয়েছে জয়েন করেছি আর এই এক বছরে অষ্টমবারের মতো আমার বদলি হয়েছে। কিন্তু আমি থেমে নেই সব সময় ভালো কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকি।ভাইয়া সব সময় আমাকে একটা কথা বলতো -কোনদিনও মিথ্যার জয় হয়না সবসময় সত্যের জয় হয়। মন পরিষ্কার রেখে আমরা যে কাজটি করবো সে কাজে আমরা অবশ্যই সফল হবো। তাই ভাইয়ার এই নীতি-আদর্শ গুলো ফলো করতে করতে আমিও অষ্টমবারের মতো বদলি হয়ে চট্টগ্রামে এসেছি।

মাত্র এক সপ্তাহ হয়েছে চট্টগ্রাম এসেছি কিন্তু ভাইয়া ভাবিকে এখনো বলিনি। কারণ আমি চাই তাদেরকে সারপ্রাইজ দিব। আপাতত চট্টগ্রাম একটি ভালো বাসা খুজছি কিন্তু পাচ্ছি না।মিজান আমার বন্ধু। তাই কয়েকদিন মিজানের বাসায় থাকব। তারপর একটা ভালো বাসা পেলে ভাইয়া ভাবিকে সারপ্রাইজ দিব।

মিজানের কথা আসলেই ঠিক। গত সাত বার আমার এমন এমন জায়গায় পোস্টিং হয়েছিল যেখানে ক্রাইম রেট একদমই নেই অর্থাৎ ধরুন গ্রামাঞ্চল টাইপের জায়গা কিন্তু চট্টগ্রামে আসার পর গত ১ সপ্তাহে আমি চৌদ্দটা কেস পেয়েছি। যার মধ্যে তিনটা এখনো পেন্ডিং।

আজকে সকালে কেউ একজন থানায় কল দিয়ে বলল তারা নাকি সদর রেলওয়ে স্টেশনে একটি কফিন দেখেছে। আমরা একটি টিম রেডি করে সেখানে গিয়ে দেখলাম সত্যিই রেলওয়ে স্টেশনে একটি কফিন পরে আছে কিন্তু ভয়ে কেউ তার ধারে কাছে যাচ্ছে না। সবার ধারণা কফিনের ভিতরে বোম থাকতে পারে কিন্তু আমি গিয়ে কফিন খুলতেই দেখলাম সেখানে ভিতর একটা লাশ আর লাশের সাথে ছোট্ট একটা ব্যাগ।

মিডিয়াতে জানাজানি হওয়ার আগেই লাশটিকে নিয়ে যাওয়া হলো ময়নাতদন্ত করার জন্য। ময়নাতদন্ত করেছেন ডাক্তার মিসবাহ। আর কিছুক্ষণ আগে ডাক্তার মিসবাহ ঠিক সেই ছেলেটির লাশ নিয়ে কথা বলছিলেন যাকে মারা হয়েছে। ছেলেটিকে কিভাবে মারা হয়েছে সেটাও বলছিলেন। লাশের ব্যাপারে আরও কিছু জানতে পারবো তার আগে আকরাম স্যার এসে আমাদেরকে বের করে দিলেন।মিডিয়াতে এখনও কফিনের লাশ সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি।

মিজানের ঘরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে দুজনে শুয়ে পড়লাম কিন্তু কোন মতেই আমার ঘুম আসছে না।আমি বুঝতে পারলাম আজকের এই কেসটা আমাকে ঘুমাতে দিবে না। তাড়াতাড়ি উঠে কাপড় পরে আবার বেরিয়ে পড়লাম পুলিশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে। মিজান ঘুমাচ্ছিল তাই ওকে ডাকি নি।

হঠাৎ প্রচুর বৃষ্টি পড়া শুরু হয়ে গেল। এরকম বৃষ্টি যদি এক-দুই ঘন্টা পরে তাহলে নিশ্চয়ই অনেক জায়গায় পানি উঠে যাবে। কোনমতে পুলিশ স্টেশনে পৌছালাম। আমি পুলিশ স্টেশনে ঢুকতে যাব ঠিক এমন সময় আরেক জন লোক দৌড়ে এসে পুলিশ স্টেশনে ঢুকে গেলেন। মনে হচ্ছে লোকটি অনেক টেনশনে আছে।

পুলিশ স্টেশনের দায়িত্বরত থাকা আরেকজন পুলিশ অফিসার নাম আবির রায়হান উনার কাছে গেলেন।

আবিরঃ কি হলো এত রাতে পুলিশ স্টেশনে কি?

লোকটিঃ স্যার স্যার আমার নাম অনিক আমার মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না।

আবিরঃ পাওয়া যাচ্ছে না মানে স্পষ্ট করে বলুন?

অনিকঃ স্যার আমার মেয়ে আজকে সকালে স্কুলে গিয়েছে কিন্তু স্কুল থেকে এখনো ফিরেনি।

আবিরঃ আপনার মাথা কি ঠিক আছে স্কুল থেকে ফিরে নি আর সেটা আপনি রাত একটা বাজে এসে আমাকে জানাচ্ছেন।

অনিকঃ স্যার আমি তো অফিসে ছিলাম।

আবিরঃ এইমাত্র অফিস থেকে এসে জানতে পারলাম আমার মেয়ে বাসায় আসেনি।

আবিরঃ আপনাদের মত কেয়ারলেস বাবাদের জন্যই আজকাল প্রতিদিন এতগুলো ছেলেমেয়ে নিখোঁজ হচ্ছে। আচ্ছা এক কাজ করুন আপনার সম্পর্কে ও আপনার মেয়ের সম্পর্কে যাবতীয় ডিটেলস গুলো এই কাগজে লিখে দিন। আমি একটি এফআইআর রেডি করছি।আর আপনার মেয়ের ছবি থাকলে সেটাও এখানে দিন।

আমি পুলিশ স্টেশনের এক কোণায় দাঁড়িয়ে এগুলো শুনছিলাম ঠিক এমন সময় আবির স্যারের চোখ আমার উপর পরল।

আবিরঃ কিরে বাহাদুর তুই এত রাতে কি করছিস?

আমিঃ স্যার ওই আজকে সকালে কফিনের লাশের যে কেসটি এসেছিল আমি সেই কেসের কাগজগুলো নিতে এসেছি।

আবিরঃ দেখ বাহাদুর তোর কারণে আমার চাকরিরও বিপদ হবে তুই যা এখান থেকে।

আমিঃ স্যার প্লিজ মানা করবেন না আমাকে ডিটেলস গুলো দেন আমি আধা ঘন্টার মধ্যে আপনাকে আবার দিয়ে দিব।

অনেক অনুরোধ করার পরে আবির স্যার আমাকে ওই কফিনের লাশের কেসের ফাইল দিতে রাজি হলেন। আমিই ফাইলটি নিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসলাম। আজকে অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি বৃষ্টি পড়ছে। মিজান এখনো ঘুম। কেমনে পুলিশের চাকরি পেয়েছে সেটাই সন্দেহ হচ্ছে। একজন পুলিশ অফিসার হয়ে এত কেয়ারলেস।

আমি চেয়ারে বসে পড়লাম। টেবিলের উপর ফাইলটি রাখলাম। ফাইল এর উপরে লেখা আছে কফিনের লাশ। ফাইলটি খুলে পড়া শুরু করলাম।

নাম দেওয়া আছে। বয়স দেওয়া আছে কিন্তু কোথাও ছবি দেওয়া নাই।

হঠাৎ একটি ডিটেইলসে আমার চোখ আটকে গেলো, খুনির নামের জায়গায় লেখা আছে "অজ্ঞাতনামা চরিত্র"। আকরাম স্যারের এই জিনিসটা খুব বেশি ভালো লাগে। উনি এক একটা কেসকে এক একরকম নাম দেন। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো কোথাও কোনো ছবি নেই। যে মারা গেছে তার ছবি যদি খুঁজে না পায় তাহলে এই কেস সম্পর্কে আগাবো কেমনে?

ভালো করে প্রত্যেকটা পৃষ্ঠা উল্টাতে লাগলাম। পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে একটা পৃষ্ঠায় ছবি পেলাম কিন্তু ছবিটি দেখে আমি রীতিমত অবাক। কারণ কিছুক্ষণ আগে পুলিশ স্টেশনে যে লোকটি এসেছিল মেয়ে নিখোঁজ বলে সেই লোকটির চেহারার সাথে এই কফিনের লাশ কেসে মৃত ব্যক্তিট চেহারার সাথে হুবহু মিল।

13
$ 0.00
Avatar for jihad12
4 years ago

Comments

Excellent

$ 0.00
4 years ago

Mind blowing

$ 0.00
4 years ago

Wow

$ 0.00
4 years ago

Boss

$ 0.00
4 years ago

Next plz

$ 0.00
4 years ago

Sei

$ 0.00
4 years ago

Sei bro

$ 0.00
4 years ago

lovely

$ 0.00
4 years ago

fantastic

$ 0.00
4 years ago

wow

$ 0.00
4 years ago

amazing

$ 0.00
4 years ago

fantastic

$ 0.00
4 years ago