মিজানঃ এটাতো আবির!
আমিঃ কিছুক্ষণ আগেও মনে হয়েছিল যে এই কেস কিছুটা হলেও সলভ করে ফেলেছি কিন্তু এটাতো আরেকটা নতুন মিস্ট্রি।
মিজানঃ আমার মনে হচ্ছে আকরাম স্যার ও মিসবাহ স্যারের কথাই সঠিক। এই কেসটাকে যতটা সহজ মনে হচ্ছে আসলে ততটা সহজ হবে না। আমরা তো এখন আমাদের মেন উইটনেস কে হারিয়ে ফেলেছি।
আমিঃ কেন জানি সবকিছু গোলমাল মনে হচ্ছে।
মিজানঃ কি গোলমাল?
আমিঃ আমি তোকে পুরো বিষয়টা ক্লিয়ার করে বলব তার আগে এক কাজ কর তুই ওই দোকানদারের নাম্বারটা নে আর আমি একটা এম্বুলেন্স কে কল দিয়ে আবিরের লাশটা হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি।
মিজানঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
একটু পরে এক এম্বুলেন্স এসে আবিরের লাশ নিয়ে গেল। আমি আর মিজান ও এম্বুলেন্স এর পিছনে পিছনে হাসপাতালে গেলাম।
মিসবাহঃ এটা কে?
আমিঃ স্যার এর নাম আবির। এটাই সে ব্যক্তি যাকে আমি ফারজানার সাথে দেখেছিলাম।
মিসবাহঃ এক্সিডেন্ট কেমনে হলো?
আমিঃ স্থানীয় এক দোকানদার এর মতে আবির মাতাল অবস্থায় বাইক চালাচ্ছিল তাই এক্সিডেন্ট হয়েছে।
মিসবাহঃ ওকে এখানে কেন এনেছো?
আমিঃ স্যার আমাদের সবার ধারণা মতে হয়তো কোনো না কোনোভাবে আবিরে এই কেসের সাথে যুক্ত। তাই আপনি যদি ময়না তদন্ত করেন তাহলে আমরা কিছু একটা জানতে পারতাম।
মিসবাহঃ আচ্ছা ঠিক আছে কিন্তু ময়নাতদন্ত করার আগে আবিরের পরিবারকে বিষয়টা জানাতে হবে।
আমিঃ আচ্ছা স্যার আমি এখনই জানানোর চেষ্টা করছি।
আকরামঃ থাক এখন কিছু করতে হবে না তুমি বাসায় যাও।
আমিঃ এই কাজটা শেষ করেই চলে যাবো।
আকরামঃ দেখো বাহাদুর আমার মুখের উপর কেউ কথা বলুক সেটা আমি পছন্দ করি না। আমি এটা সামলে নেব।
আমিঃ জি স্যার।
আকরামঃ আমি তোমার ভালোর জন্যই বলছি। আজকে সারাদিন তোমাদের দুজনের উপর অনেক ধকল গেছে বিশেষ করে তোমার উপর। তাই তুমি আর মিজান দুজনেই এখন বাসায় চলে যাও।
আমি আর মিজান কথা না বাড়িয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম।
মিজানঃ এখন কি করবি?
আমিঃ কি আর করব এখন বাসায় গিয়ে একটু রেস্ট করব আর আয়েশাকে কিভাবে মানানো যায় সে বিষয়টা চিন্তা করব।
মিজানঃ হ্যাঁ সেটাই করলে ভালো হবে কিন্তু তুই বলছিলি না আমাকে আবির আর ফারজানার ব্যাপারে কি বলবি।
আমিঃ হ্যাঁ। তোর কি মনে আছে লায়লা কি বলছে?
মিজানঃ লায়লা তো অনেক কথাই বলছে কোনটা বলবো?
আমিঃ আরে লায়লা বলছে আবির ফারজানা রেগুলার কাস্টমার অর্থাৎ অবির প্রায় ফারজানাকে নিয়ে যায় কিন্তু প্রতিবারই সকালবেলা ফারজানাকে আবার সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেয় তার মানে এটা বোঝা যাচ্ছে আবির ফারজানাকে মেরে কোন লাভ পাবেনা আর আবিরের বাইক, কাপড়, মোবাইল দেখলে বুঝা যাচ্ছে আবির যথেষ্ট বড়লোক। কিন্তু আজকে ফারাজানা মারা যাওয়ার পর আবিরের ও এক্সিডেন্ট হয়ে যায়। তাই আমার মনে হচ্ছে আবিরের মৃত্যুর মাধ্যমে খুনি আমাদেরকে মূল কেস থেকে ডিস্ট্রেক্ট করতে চাচ্ছে।
মিজানঃ একদিক দিয়ে যদি চিন্তা করি তাহলে তোর কথাই সঠিক। আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে আগামীকাল দেখা হবে।
আমিঃ ওকে আগামীকাল দেখা হবে।
আমি একটি গাড়ি নিয়ে সোজা হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে আসলাম।
আম্মুঃ কিরে অনেকক্ষণ যাবৎ তোকে কল দিচ্ছি তুই কল ধরছিস না কেন?
আমিঃ আসলে খেয়াল করিনি।
আম্মুঃ আজকে আয়েশার আব্বু বলল তুই নাকি আয়েশাকে বাঁচিয়েছিস।
আমিঃ আয়েশা আব্বু যেহেতূ করেছে সেহেতু সেটা সত্যিই হবে তাই না?
আম্মুঃ সেটা তো জানি তবে তোর মুখ থেকে একটু শুনতে চাইছিলাম আরকি আর আরেকটা কথা তোর আর আয়েশার মধ্যে কি কোন ঝগড়া হয়েছে?
আমিঃ আম্মু আমার এখন কিছুই বলতে ভালো লাগছেনা। খুব খিদা লেগেছে খাবার দাও। আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
অতঃপর ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে বসলাম।
আম্মুঃ কিরে অনেকক্ষণ যাবৎ খাবারের টেবিলে বসে আছিস আর বসে বসে কি সব চিন্তা করছিস খাবা খাচ্ছিস না কেন?
আমিঃ কিছুই ভালো লাগছে না। মাথায় কিছুই ঢুকছে।
আম্মুঃ কেন নতুন কোন কেস আসছে নাকি?
আমিঃ হ্যাঁ এমন একটা কেস আছে যেটার প্রত্যেকটা ধাপে ধাপে মিস্ট্রি।
আম্মুঃ বাহ তাহলে তো এই কেসটা সলভ করতে তোর অনেক মজাই হবে।
আমিঃ আম্মু মজা হবে সেটা বড় কথা না বড় কথা হল এই কেসটা কিভাবে সলভ করব সেটাই বুঝতে পারছিনা। কোন ক্লু নেই।
আম্মুঃ তুই কি জানিস না খুনি যতই চালাক হোক না কেন সে অপরাধ করার পর একটা না একটা ক্লু ছেড়ে যায় আর তার একটা ক্লু এর মাধ্যমে পুলিশ পুরো কেস সলভ করে ফেলে।
আমিঃ আম্মু আমি জানি কিন্তু,,
আম্মুঃ কোন কিন্তু না এখন তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পর আর বাকি চিন্তা আগামীকাল করিস।
আমি খেয়ে শুয়ে পরলাম।কিন্তু সারারাত শুধু এই মিস্ট্রি কেস নিয়ে চিন্তা করলাম।সকালে ঘুম থেকে উঠে সোজা থানায় গেলাম।
আমিঃ মিজান কেমন আছিস?
মিজানঃ এইতো ভালো তুই?
আমিঃ আমি ও ভালোই।
মিসবাহঃ কি খবর তোমাদের?
আকরামঃ দেখো খবর টিভিতে চলতেছে।সেখানে থেকে দেখে নাও।আগে বলো আবিরের লাশ থেকে এমন কোন ক্লু পেলে যেটার মাধ্যমে আমরা এই কেস সলভ করতে পারবো।
মিসবাহঃ চিন্তা করেছিলাম এইবারও তোমাদেরকে শক দেব কিন্তু আমি পারিনি কারণ আবিরের মৃত্যুটা একটা এক্সিডেন্ট। এটা একদম শিউর।
মিজানঃ তাহলে আমরা কেস কেমনে সলভ করবো?
আকরামঃ আমার মনে হচ্ছে না এই কেসটা সলভ করা সম্ভব হবে।
মিজানঃ স্যার আমারও সেটাই মনে হচ্ছে।
আকরামঃথাক একটা কেসের উপর সময় নষ্ট করে লাভ নেই আরো অনেক কেস পরে আছে। আমরা সেগুলো সলভ করি।
আমিঃ স্যার আরেকটা দিন কি দেওয়া যায় না এই কেসের পিছনে।
আকরামঃ দেখো বাহাাদুর আমরা এমনিতেই কেসের পিছনে অনেক সময় দিয়ে ফেলেছি আর এইটা শুধু একটা কেস না যেটা আমাদের থেকে হ্যান্ডেল করতে হবে। এখন আরো দশটা পনেরোটা কেস পেন্ডিং আছে।
আমিঃ আচ্ছা স্যার।
থানায় বসে কাজ করছিলাম ঠিক এমন সময় রায়হান স্যার আসলো,
রায়হানঃ আকরাম তুমি যদি অনুমতি দাও তাহলে আমি বাহাদুরকে আমার সাথে নিয়ে যেতে চাই।
আকরামঃ এখানে অনুমতি দেওয়ার কি হল তোমার যদি বাহাদুরকে প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই তাকে নিয়ে যাও।
রায়হানঃ বাহাদুর আসো আমার সাথে।
আমিঃ আচ্ছা স্যার চলেন।
রায়হানঃ আমি তোমাকে বুঝিয়ে বলতে পারব না যে আমি কত খুশি।
আমিঃ কেন স্যার?
রায়হানঃ জানো আমি কেন বিয়ে করিনি?
আমিঃ না স্যার।
রায়হানঃ কারণ আমি একজনকে ভালোবাসতাম তার নাম আয়েশা ছিল কিন্তু সে যখন আমাকে ছেড়ে চলে যায় তারপর থেকে আমি আর কাউকে ভালোবাসতে পারিনি এবং ভালোবাসতে না পারার কারণে কাউকে বিয়েও করতে পারিনি। প্রথম ভালোবাসা সবাই পাইনা। যেদিন আয়েশার জন্ম হয় সেদিন থেকে আমি বেঁচে থাকার এক নতুন উপায় পাই। আমি আয়েশা কে আমার নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি। তুমি তো জানোই আয়েশা অনেক রাগী তাই সব সময় চিন্তা থাকতো আয়েশার জন্য ভাল পাত্র পাবো কিনা কিন্তু যখন জানতে পারলাম তুমি আয়েশা বর তখন আমি অনেক খুশি হলাম। বাহাদুর আমি তোমার থেকে বেশি কিছু চাইবো না শুধু একটা জিনিস চাইবো সেটা হল আয়েশাকে সবসময় সুখী রাখবে।
আমিঃ অবশ্যই সুখী রাখবো।
রায়হানঃ আয়েশা জেদি মেয়ে ঠিকই কিন্তু মন থেকে খুবই ভালো।
আমিঃ জি। আচ্ছা স্যার আমরা এখন কোথায় যাব?
রায়হানঃ তোমার শ্বশুর বাড়িতে।
আমিঃ কেন স্যার?
রায়হানঃ সবাই যখন জানতে পারছে আয়েশার হবু বর তাকে অপহরণকারীদের হাত থেকে বাঁচিয়েছে তখন আয়েশার আত্মীয়রা তোমাকে দেখার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছে।
রায়হান স্যারের একথা শুনে আমি আর রায়হান স্যার দুজনই হাসছি। শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতেই প্রথমে চোখ পরলো আয়েশার উপর। আয়েশা ভিতরের রুম থেকে আমাকে উঁকি দিয়ে দেখছে। আমার চোখের উপর চোখ পরতেই আয়েশা রুমে ঢুকে গেল। শশুর বাড়ির সবার সাথে গল্প করছিলাম ঠিক এমন সময় আয়েশা মেসেজ দিলো,
আয়েশাঃ বেশি হাসার দরকার নেই। আপনার সব হাসি আমি বের করবো। তাড়াতাড়ি আমার রুমে আসুন।
আমি আয়েশা রুমে ঢুকতেই আয়েশা আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিল।
আমিঃ কি করছেন এসব?
আয়েশাঃ রাগ করছি?
আমিঃ কাউকে ধাক্কা মেরে বিছানায় ফেলে কি রাগ করা যায়?
আয়েশাঃ আমার রাগ অন্য রকম?
এই বলে আয়েশা আমার উপর ঝাপিয়ে পড়লো। আমিও আয়েশাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লাম।
আয়েশাঃ আপনি অনেক খারাপ আপনার সাথে কথা বলবো না।
আমিঃ আমি আবার কি করলাম?
আয়েশাঃ আপনি কিছু না জেনেই আমাকে খারাপ মেয়ে বলেছেন এবং আমি যে রাগ করেছি সেটা জেনেও আমার রাগ ভাঙ্গাতে আসেননি।
আমিঃ আসলে কেসটা এমন ছিল যে আমি সম্পূর্ণ কনফিউজ ছিলাম তাই সরি।
আয়েশাঃ সরি বললে হবে না।
আমিঃ তাহলে কি করতে হবে বলুন?
আয়েশাঃ দিতে হবে।
আমিঃ কি দিতে হবে?
আয়েশাঃ একটা ছেলে আর একটা মেয়ে একটি রুমের মধ্যে একা ঠিক তখন মেয়েটা ছেলেটা থেকে কী চাইতে পারে আপনি চিন্তা করুন।
আমিঃ বুঝতে পারছি ম্যাডাম।
আমি আয়েশা কে কিস করতে যাব ঠিক এমন সময় রুমের ভেতর কতগুলো ছোট বাচ্চা ঢুকেগেল। আয়েশা আমাকে সরিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম। আমিও আয়েশা রুম থেকে বের হব ঠিক এমন সময় দেখলাম টেবিলের উপর একটি ফাইল। ফাইলটি দেখে কেন যেন পড়ার অনেক আগ্রহ হল তাই কাউকে কিছু না বলে ফাইলটি নিয়ে নিলাম। আমি জানি কাউকে কিছু না বলে তার জিনিস নেওয়া ভালো না কিন্তু ছোটবেলা থেকে আমার এই অভ্যাসটা আছে কোন কিছু ভাল লাগলে সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত পড়বো না ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো লাগে না।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি নিজের বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসেই ঘুম। ঘুম থেকে উঠে রাতের খাবার খেলাম।
ছোট বোনঃ কিরে ভাইয়া আজকে শ্বশুরবাড়িতে কেমন কাটালেন?
আমিঃ সেটা তোকে কেন বলতে হবে।
ছোট বোনঃ আম্মু দেখো না ভাইয়া সব সময় এমন করে।
আমিঃ এই বেশি পকর পকর করিস না আমাকে খেতে দে।
ছোট বোনঃ আচ্ছা করবো না কিন্তু আমাকে কিছু টাকা দিতে হবে।
আমিঃ এই সব সময় টাকা টাকা করিস কেন?
ছোট বোনঃ আমি নিজের জন্য টাকা নিচ্ছি না বরং আমাদের দেশের কৃষকদের জন্য টাকা নিচ্ছি।
আমিঃ তোর কথার কোন আগা মাথা আমি বুঝিনি বুঝিয়ে বল।
ছোট বোনঃ আগামীকাল আমাদের কলেজে একটা ফাউন্ডেশন আসবে যারা কৃষকদের জন্য টাকা কালেক্ট করছে আমি তাদেরকে এই টাকাটা দেবো যাতে তারা সেগুলো দরিদ্র কৃষকদেরকে দিতে পারে।
আমিঃ আমি তো জীবনেও এরকম ফাউন্ডেশনের কথা শুনিনি।
ছোট বোনঃ আমি জানি আপনি আমাকে বিশ্বাস করেননা থাক টাকা দেওয়ার দরকার নেই।
আমিঃ আরে রেগে যাচ্ছিস কেনো। খেয়ে তোকে টাকা দিয়ে দেবো।
ছোট বোনঃ ধন্যবাদ ভাইয়া।
রাত তিনটা রুমে বসে বসে আয়েশার ঘর থেকে আনা ফাইলটি দেখছিলাম ঠিক এমন সময় আম্মু রুমে ঢুকলো,
আম্মুঃ কিরে এত রাতে জেগে আছিস কেন?
আমিঃ একটা ফাইল দেখছিলাম।
আম্মুঃ এটা কিসের ফাইল আবার?
আমিঃ আজকে আয়েশার বাসা থেকে নিয়ে এসেছি।
আম্মুঃ তোর এই অভ্যাসটা এখনো গেল না তাই না? আমি কতবার তোকে বারণ করেছি কাউকে কিছু না বলে তার জিনিস নিবি না।
আমিঃ আচ্ছা আম্মু এত রাতে রাগ করতে হবে না আমি কালকে সকালে দিয়ে দেবো।
আম্মুঃ সেটাই যেন হয়।
আমার রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আমি মিজান কে কল দিলাম,
মিজানঃ কিরে এত রাতে কল দিলি কেন?
আমিঃ তোকে কয়েকটা জিনিসের নাম মেসেজ করে দিয়েছি সেগুলো সব গুলো ৭ পিস করে অর্ডার কর আমার কালকে সকালেই লাগবে।
মিজানঃ তাই বলে এত রাতে কল দিয়ে ঘুমের ডিস্টার্ব করবি।
আমিঃ দেখ বেশি কথা বলিস না তুই তাড়াতাড়ি সেগুলো অর্ডার কর যাতে আমি কালকে সকালের মধ্যে পেয়ে যায়।
মিজানঃ সেগুলো কি?
আমিঃ ঘরের আসবাবপত্র।
মিজানঃ আচ্ছা করবো এখন রাখি অনেক ঘুম আসছে।
আমিঃ ঘুমানোর আগে অর্ডার করবি, আমি যেন কালকে সকালেই পাই।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছু না খেয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছিলাম এমন সময়,
আম্মুঃ এত সকাল-সকাল কই যাচ্ছিস তোর অফিস তো আরো দেরীতে?
আমিঃ আম্মু জগিং করতে যাচ্ছি এবং এ ফাইল টা আয়েশার বাসায় দিতে যাচ্ছি আর আমি বাইরে খেয়ে নেব তুমি খেয়েনিও।
আম্মুঃ আচ্ছা সাবধানে যাস।
আমিঃ আচ্ছা।
থানায় কাজ করছিলাম ঠিক এমন সময় আয়েশা ও আরো কয়েকজন মেয়ে থানায় আসলো।
আমিঃ আয়েশা কি হল আপনি কাঁদছেন কেন?
আয়েশাঃ আসলে,,,
আমিঃ কি হলো বলুন?
আয়েশাঃ আমার বান্ধবী মারিয়া অপহরণ হয়ে গেছে।
আমিঃ কখন এবং কোথা থেকে। আর এই বিষয়টাকি আর কাউকে বলেছেন?
আয়েশাঃ আজকে সকালে তার বাসা থেকে।না কাউকে বলিনি সোজা আপনার কাছে এসেছি।
আমিঃ আচ্ছা কোন চিন্তা করবেন না আপনি একটি এফআইআর রেজিস্ট্রেশন করুন আমি কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার বান্ধবীকে খোঁজার ব্যবস্থা করছি।
আয়েশাঃ প্লিজ একটু তাড়াতাড়ি খুজবেন।
আমিঃ আপনি আমার উপর বিশ্বাস করুন আমি আপনাকে নিরাশ করব না কিন্তু এখন এক কাজ করুন আপনারা সবাই আপনাদের নিজ নিজ বাসায় চলে যান। কারণ আপনাদের সবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মিজানঃ ভাবী আপনি এবং আপনার বান্ধবীরা এখানেই থাকুন কারণ আপনারা এখানে থাকলে আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে সুবিধা হবে।
আয়েশাঃ আচ্ছা।
আমিঃ আয়েশা আপনাদের এখানে থাকার দরকার নেই। আপনারা সবাই নিজ নিজ বাসায় যান। আমরা সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব।
মিজানঃ দেখ আমরা যদি এখানেই জিজ্ঞাসাবাদ করে ফেলি তাহলে ইমিডিয়েট অ্যাকশন নিতে পারবো।
আমিঃ আয়েশা আপনার থেকে মিজানের কথা শুনতে হবে না আমি যা বলেছি তাই করুন। আমি কিছুক্ষণের মধ্যে একটি টিম নিয়ে আপনাদের সবার বাসায় যাবো।
আয়েশাঃ যাচ্ছি কিন্তু প্লিজ তাড়াতাড়ি খুজবেন।
আমিঃ আচ্ছা আপনি যান।
আকরামঃ কি হলো বাহাদুর তুমি আয়েশাকে যেতে দিলে কেন? মিজান তো ঠিকই বলছে আয়েশা এখানে থাকলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সুবিধা হতো।
মিজানঃ কি হলো আকরাম স্যারের কথার উত্তর দিচ্ছিস না কেন?
আকরামঃ কি হলো বাহাদুর কিছু বলছো না কেন?
তাদের বাসায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার চেয়ে ভালো হতো আমরা যদি তাদের এখানেই জিজ্ঞাসাবাদ করতাম তাই না।
আমিঃ মোটেও না স্যার।
আকরামঃ কিন্তু কেন?
আমিঃ কারণ আয়েশার বান্ধবী মারিয়াকে আমিই অপহরণ করেছি।
চলবে,,
বি.দ্র. আশা করি সবাই গঠনমূলক মন্তব্য করবেন। ধন্যবাদ।
Osthir...