পৃথিবীর বাইরের অন্যান্য গ্রহের অর্থাৎ ভিনগ্রহের প্রাণীদের বলা হয়ে থাকে, অ্যালিয়েন। তবে ভিনগ্রহে আসলেই কোনো প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা, তা নিয়ে তর্ক-বি’তর্ক রয়েছে।নানা সময়ে অনেকেই অ্যালিয়েনের দেখা বা ভিনগ্রহের যান পৃথিবীতে দেখতে পাওয়ার কথা জানালেও, এখন পর্যন্ত কেউই সেই দাবির পক্ষে জোড়ালো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।
ফলে ভিনগ্রহে আসলেই কোনো প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা, সে নিয়ে এখন পর্যন্ত সংশয় রয়েছে। তারপরও বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে হাল ছাড়তে নারাজ। বহু বছর ধরেই মহাকাশে বিভিন্ন গ্রহে প্রাণের খোঁজে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার অ্যালিয়েন শনাক্তে সক্ষম এমন টেলিস্কোপের সাহায্যে ১ কোটি নক্ষত্রে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে এবং কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ভেলা নক্ষত্রমণ্ডলের চারপাশে প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজে মর্চিসন ওয়াইডফিল্ড অ্যারে (এমডব্লিউএ) টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছিলেন। এই প্রকল্পের অন্যতম সিএসআইআরও জ্যোতির্বিদ ড. চেনোয়া ট্রেম্বলে বলেন, ‘এমডব্লিউএ হলো বিশেষ ধরনের টেলিস্কোপ, যার মাধ্যমে একইসঙ্গে লাখ লাখ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করা যায়। আমরা ভেলা নক্ষত্রমণ্ডলের চারপাশ ১৭ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করেছি, যা আগের পর্যবেক্ষণের তুলনায় ১০০ গুণ বেশি বিস্তৃত এবং গভীরভাবে করা হয়েছে।
গবেষণার ডেটাসেটে আমরা প্রাণের অস্তিত্বের কোনো সংকেত খুঁজে পাইনি।’ যদিও খবরটি কারও কারও কাছে হতাশার কারণ হতে পারে, তবে গবেষকরা আশাবাদী যে, ভিনগ্রহের জীবন একসময় খুঁজে পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পের অন্যতম জ্যোতির্বিদ স্টিভেন টিংগাই বলেন, ‘মহাকাশ বিশাল, সত্যিই খুব বিশাল। যদিও এটি একটি বড় গবেষণা ছিল, তারপরও আমরা মহাকাশের যে পরিমাণ অঞ্চল পর্যক্ষেণ করেছিলাম তাকে সাগরের মধ্যে একটি শিশির বিন্দুর সঙ্গে তুলনা করা যায়।
যেহেতু আমরা জানি না যে ভিনগ্রহের সভ্যতা কী ধরনের সিগন্যাল ব্যবহার করে, তাই আমাদের বিভিন্ন উপায়ে অনুসন্ধান করা দরকার। রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে মহাকাশ অনুসন্ধানের আট-মাত্রিক বিশ্লেষণ করা যেতে পারে।’ প্রফেসর স্টিভেনের মতে, ‘মহাকাশে প্রাণের অনুসন্ধানে এখনো অনেক দীর্ঘ পথ রয়েছে। আর এক্ষেত্রে এমডব্লিউএ’র মতো টেলিস্কোপগুলোর সীমাবদ্ধতাও থাকবে। তবে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় নির্মাণাধীন এসকেএ লো-ফ্রিকোয়েন্সি টেলিস্কোপটি নিকটবর্তী গ্রহ থেকে পৃথিবীর মতো রেডিও সিগন্যাল শনাক্ত করতে স’ক্ষম হবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পক্ষে এই টেলিস্কোপের সাহায্যে কয়েক বিলিয়ন নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।’
এই আর্টিকেল বাংলায় অনুবাদ করা।
মূল আর্টিকেল লিংক নিচে দেওয়া হল:
https://read.cash/@ilias1996/now-search-for-1-crore-stars-in-search-of-aliens-90a17dfc
Stay safe and save lives;
Thanks to everyone for reading this article
Give feedback
Pleas like, comments & subscribe.
Wow it's a nice article.i really like your article idea.you r write well.keep going on.read your article people know something extra knowledge.i am new pls support me.