ডিম খুবই স্বাস্থ্যকর এবং প্রোটিনে ভরপুর। অ্যামাইনো অ্যাসিডের উপস্থিতি একে প্রোটিনের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উৎস করে তোলে। তাছাড়া এটি সেলেনিয়াম, ভিটামিন ডি, বি ৬, বি ১২, জিঙ্ক, আয়রন ইত্যাদি খনিজসমৃদ্ধ। লুটিন এবং জেক্সানথিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, ম্যাকুলার অবক্ষয় এবং ছানি ছত্রাককে প্রতিরোধ করতে পারে ডিম। ডিমে থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
সবচাইতে স্বাস্থ্যকর হলো সেদ্ধ ডিম। কাঁচা একেবারেই খাবেন না, আধসেদ্ধ খাওয়ার ইচ্ছা হলে শুধুমাত্র পাস্তুরাইজড ডিম ব্যবহার করবেন। কারণ ডিমের কুসুমে সালমোনেলা নামক একধরণের ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির সম্ভাবনা থাকে। ডিমের অমলেট বা পোচও খেতে পারেন, তবে তেলেভাজা কোনোকিছুই তেমন স্বাস্থ্যকর নয়। তাহলেও রোজ রোজ ডিমসেদ্ধ একঘেয়ে লাগলে মাঝেমধ্যে স্বাদবদল করাই যায়। সেক্ষেত্রে ননস্টিক ফ্রাইপ্যানে সামান্য অলিভ অয়েলে অমলেট বা পোচটি বানাবেন।
ডিমসেদ্ধ থেকে স্বাদবদলের জন্য আরেকটি খাবার হলো ওটস অমলেট। আমি মাঝেমধ্যেই প্রাতরাশে বানাই। এতে অমলেটটা বেশ মোটা হয়, ভারিও হয়। বানিয়ে দেখতে পারেন, পদ্ধতিটি সংক্ষেপে বিবৃত করলাম।
১. একটি ছোটো বাটিতে দু'চামচ ওটস নিন।
২. এর মধ্যে সামান্য দুধ দিন যাতে ওটসটা পুরোপুরি ভিজে যায়।
৩. দশমিনিট এভাবে রাখুন।
৪. আরেকটি বাটিতে একটি ডিম ফেটিয়ে নিন।
৫. এর মধ্যে স্বাদমতো নুন ও সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো মেশান।
৬. এবার এতে পেঁয়াজকুচি, লঙ্কাকুচি, মিহি করে কুচানো ক্যাপসিকাম ও
গাজর, টম্যাটো কুচি, সামান্য ধনেপাতা যোগ করুন।
৭. এর মধ্যে দুধে ভেজানো ওটসটা ভালো করে মেশান।
৮. সাথে সামান্য হলুদগুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো আর গরম মশলা গুঁড়োও মিশিয়ে নিন।
এবার একটি ননস্টিক প্যানে সামান্য অলিভ অয়েল দিন। তেল গরম হলে এলে ডিমের মিশ্রণটি এর মধ্যে ঢেলে দিয়ে ওপরে ঢাকনা চাপা রাখুন, আঁচ একদম কমিয়ে দেবেন। তিনচারমিনিট এভাবে রান্না করুন। একপিঠ হয়ে গেলে উল্টে দেবেন, দু'একমিনিট এভাবে রাখুন। তৈরি হয়ে গেলো ওটস অমলেট।
Thank you for reading my article