মধ্যরাতে ভারত-চীন সীমান্তে গোলাগুলি
তিন মাস ধরে সীমান্তে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী। ইস্টার্ন লাদাখের ওই বিশেষ অঞ্চলে গোলাগুলি চলেছে। সোমবার মধ্যরাতে সেই খবর এসে পৌঁছেছে।
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে সীমান্তে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে ওয়ার্নিং শট বলে দাবি করা হয়েছে। অর্থাৎ দুই পক্ষ একে অপরকে ওয়ার্নিং দিতে গুলি চালিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সোমবার তিনি বলেন, এপ্রিল মাস থেকে একে অপরের চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি খুবই সিরিয়াস ছিল। দুই পক্ষের রাজনৈতিক স্তরে গভীর আলোচনার প্রয়োজনও বোধ করছেন তিনি।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি হলে তিনি কী বলবেন, তা জানতে চাওয়া হলে জয়শঙ্কর বলেন, তিনি গত ৩০ বছরের কথা মনে করিয়ে দেবেন। শান্তি বজায় থাকায় কীভাবে সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে, সেটাই বলবেন তিনি।
যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের মতে, তাদের দাবি পটভূমিকা বা যুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছে ধীরে ধীরে। গত ৪৫ বছরে একাধিক মৌখিক বা লিখিত চুক্তির মাধ্যমে যে স্থিতাবস্থা নিয়ে এসেছে ভারত চীন, তা এক মুহূর্তে ভাঙতে পারে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুডা জানাচ্ছেন এই মুহূর্তে পরিস্থিতি বিপজ্জনক। যে কোনও সময়ে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে।
ভারত কতটা প্রস্তুত যুদ্ধের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন জওয়ানরা উদ্বুদ্ধ, তৈরি। কিন্তু মস্কোতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরেও সুর নরম করেনি চীন।
শনিবার চীন জানিয়েছে, ভারত ও চীন, দু’জনেই পরমাণু শক্তিধর দেশ। কিন্তু যুদ্ধ হলে চীনের কাছে পরাস্ত হওয়া ছাড়া ভারতের সামনে আর কোনও রাস্তা নেই। উল্লেখ্য, শুক্রবার ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে বৈঠক চলে দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর।
Stay safe and save lives;
Thanks to everyone for reading this article
Give feedback
চীন-ভারতের ঝামেলা পূর্বে ছিল বর্তমানে আছে ভবিষ্যতেও থাকবে।