অভিমান
পর্বঃ১
দুপুরের কড়া রোদে ছাদে বসে আছি।।
আর মনে মনে মা, ভাই আর ঠম্মি কে বকছি।
অবশ্য তাদের দোষ নেই। আমি নিজেই নিজের কথায় ফেসে গেছি।।
আসলে বাবু(আমি বাবা কে বাবু বলি) গতকাল এক ট্রে আম নিয়ে আসছিল।তার মধ্যে সব আমই প্রায় পাকা।এত পাকা আম একসাথে খাওয়া যাবে না। আর গরমে পচে যাবে।।তাই এখন এত আম কি করবেন তাই নিয়ে মায়ের যত চিন্তা।।।
তাই আমি মা কে বল্লাম মা আমসত্ত্ব দাও তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না আর আমরা পরে মজা করেই খেতে পারব।।
তাই এই দুপুরের কড়া রোদে বসে আমি আম পাহারা দিচ্ছি 🥴🥴
হঠাৎ কেউ পিছন থেকে ডাক দিল "অধুদি"
ডাক শুনে পিছনে তাকিয়ে বেশ অবাক হলাম।
একটি মেয়ে বয়স ১৭ হবে কোমরে হাত দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে।।
আমাকে তার দিকে তাকাতে দেখেই দৌড়ে এসে আমার জরিয়ে ধরলো।। অনেক দিন পর ডাকটা শুনে আমার আর বুঝতে বাকি নেই কে এসেছে।
আমি তখন বল্লাম "এতদিন পর মনে পরলো" সোনাই।।
ও আমার দিকে অভিমানী ভাবে তাকিয়ে বল্লো
আমার তো তাও মনে পরেছে। আর তুমি তো আমাদের ভুলেই গেছ।।
আমি বল্লাম চল বাসায় যাই।।
(বাসায় যেতে যেতে আমার আর সোনাইয়ের পরিচয় টা দিয়ে দিচ্ছি।। আমি বৃষ্টি সরকার অধরা,আমারা পরিবারে চার জন।
আমি,ভাই, মা আর বাবু,।। আর ঠাম্মি আমার কাকা কাকিদের সাথে থাকে তাদের একটি ছেলে আছে নাম রাজ। বয়স ৭। আম্রা আর আমার কাকারা একি বিল্ডিংয়ে থাকি।।
আমাদের ছোট একটা ব্যবসা আছে বাবু সারাদিন সেটা নিয়েই ব্যস্ত থাকে।মা গৃহিনী। আমি আর ভাই স্টুডেন্ট।
আমি অনার্স ২য় বর্ষে পড়ি বয়স ২১..আর ভাই ডিপ্লোমা পরে এখন ইনটার্নি করছে বয়স ১৮।।
আর সোনাই হচ্ছে আমার বাবুর বন্ধুর মেয়ে। ওরা তিন ভাইবোন। ভাই দুইজন বড় আর সোনাই ছোট।।
বড়দাদার নাম সিমান্ত রায়,বয়স ৩০ তিনি এখন চাকরি করেন।।
মেজদাদার নাম আকাশ রায় বয়স ২৮ তিনি ও চাকরি করেন এবং সাথে ওনার বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করেন।।।
আর সোনাইয়ের আসল নাম অর্পিতা রায় বয়স ১৭। ইন্টার ১ম বর্ষে পড়ে। । যাকে আমি ভালোবেসে সোনাই বলে ডাকি।।আর ওর মাকে বড়মা আর বাবাকে বড়বাবা।। আগে আমারা একই জায়গায় থাকতাম।তবে আজ ৫বছর হলো ওরা বাড়ি করে চলে গেছে।। ওদের আর আমাদের জমি পাশাপাশি কেনা।।ওরা চলে যাবার পর এই ২য় বার আমার সাথে ওদের দেখা।
পরিচয় মোটামুটি দেওয়া শেষ)
আমি ঘরে এসে পুরো অবাক বড়বাবা বড়মা কে দেখে পাশে একজন সুদর্শন ছেলেও বসে আছে তবে আমার নজর বড়মা আর বড়বাবার দিকে।। আমায় দারিয়ে থাকতে দেখে মা বল্লো দেখ কারা এসেছে।
আমি গিয়ে তাদের প্রনাম করলাম।।
বড়মাঃ আমাদের অধু তো অনেক বড় হয়ে গেছে।
বড় বাবা ঃতাতো হবেই।ছেলে মেয়ে গুলো কেমন দেখতে দেখতে বড় হয়ে গেল।
আমি অভিমানী সুরে বল্লাম। এতদিন পর কি আমায় দেখতে এসেছেন যে বড় হয়েছি কি না?
বড়মাঃ না রে আমরা তো সুখবর দিতে এসেছি।।
মা ঃ কি দিদি??
বড়মাঃ সিমান্ত এর বিয়ে।।
আমি ঃ কি?? সেমাই এর বিয়ে( আমি ছোটবেলা থেকে সিমান্ত দাদাকে সেমাই বলে ডাকি)..
বড়মাঃ হ্যা।।
আর দশ দিন বাকি।।
আমি ঃ ওও।বিয়ে ঠিক করে এখন নিমন্ত্রণ করতে এসেছো।।(মন খারাপ করে)
বড়বাবাঃ আমরা বিয়ে ঠিক করিনি ও নিজেই সব করেছে।। আমরা খালি বিয়েটা দিচ্ছি।।
তারপর মা বড়মার সাথে কথা বলছেন।
আমি সোনাই কে বল্লাম চল আমারা ছাদে গিয়ে বসি।।
সোনাইঃ চলো।।।
চলবে...
1
6
কেউ অভিমান বোঝে করে কেউ না বুঝে করে। অভিমান কথাটা শুনলেই যেন কষ্ট লাগে। ধন্যবাদ গল্পের লেখক কে অনেক সুন্দর হয়েছে।