শরীরের সমস্ত জামা-কাপড় খুলে একদম নগ্ন হয়ে আমার সামনে আবেদনময়ী ভঙ্গিতে দাঁড়ালো, দেশের নামকরা মডেল তারকা ও টপ সুন্দরী পাপিয়া [ছন্দ নাম]! ওর সুডৌল আকর্ষণীয় শরীর ও রুপ দেখে আমার শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেলো, প্রতিটা অঙ্গ প্রসঙ্গে কামনার আগুন দাউদাউ করে জ্বলে উঠলো! আমি নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারলাম না, তাই ওকে জড়িয়ে ধরে নিজেও বিবস্ত্র হয়ে মেতে উঠলাম আদিম খেলাতে! একসময় ঝড় থেমে গেলে, সবকিছুই শান্ত হয়ে যায়! পাপিয়ার খোলা বুকে মাথা রেখে নিস্তেজ শরীরটাকে পাশেই এলিয়ে দিলাম! ইস্ নিজেকে অনেক হ্যাপি হ্যাপি লাগছে, তাই ওকে জড়িয়ে ধরে দ্বিতীয় পর্যায়ে কয়েকটা লিপস্ কিস করে দিলাম! তারপরে দুজনেই ফ্রেশ হয়ে কাপড় পরে নেয় এবং নেক্সট কোথায় মিলিতো হবো সেই ডেট ফিক্সড করে পাঁচতারা হোটেল থেকে বিদায় নিয়ে, যে যাঁর বাসাতে চলে যায়!! পরেরদিন সকালে অফিসে গেলাম! অহ্ স্যরি, নিজের পরিচয়টাইতো দেয়া হলো না! আমি এম এইচ নীলয় ৪৫, একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির এমডি! সু বুঝতেই পারছেন এলাহি বেপার! তাছাড়া ভিআইপি পার্সন হিসাবে চারিদিকে খুব নামডাক, এক নামে সবাই চেনে! আর বিবাহিত জীবনে সুন্দরী স্ত্রী ৩৯ ও দুই সন্তান [ছেলে ১৪, মেয়ে ১৬]-এর জনক! সুখের সাতকাহন.... অফিসে পৌঁছেই, সমস্ত স্টাফ কর্মচারীর মধ্যে একটা চাপা উত্তেজনা লক্ষ্য করলাম! ওরা সবাই আমাকে দেখে চুপ হয়ে ভিন গৃহের এলিয়েন দেখার মতো দেখতে লাগলো! অন্যান্য দিন দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে হুঁশ পেতো না, অথচ আজ.....!! একটা খটকা নিয়ে অফিস কক্ষে ঢুকেই সুন্দরী পিএ লাবনীকে টেলিফোন দেই, কিন্তু ও দ্বিতীয় বারে পিক করে আমতাআমতা করতে থাকে! অফিসের ভেতরে কিছু একটা গোলমাল চলছে ভেবে ম্যানেজারকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করতেই, ও অবাক বিস্ময়ে বললোঃ -- স্যার, আপনি কিছুই জানেন না?! ---- আজিবতো! কি জানবো, কি বেপার বলুনতো? -- স্যার আমিতো মুখে বলতে পারবো না, তবে আপনাকে মেইল করছি দেখে নিন! ---- ওকে কুইক করুন আমি লাইনে আছি, আর চায়নার সাথে যে দুইশো কোটি টাকার বাজেট....... এইটুকু বলতেই মেইল চলে আসলে ওপেন করি এবং সাথে সাথেই হাত থেকে ফোনটি নীচে পড়ে যায়! আমি এবনরমাল হয়ে ল্যাপটপের স্ক্রিনে দেখতে পাচ্ছি একটা ভিডিও ক্লিপ, যেখানে "গতকাল পাপিয়ার সাথে কাটানো রমরমা হট বেড......!! " তারমানে সারা দুনিয়ার মানুষ দেখছে, ভাবতেই আমার কানের ছিদ্র দিয়ে গরম ধূয়া বের হচ্ছিলো! কি করবো, কি করা উচিৎ? মাথা হাঙ হয়ে ব্লাষ্ট হয়ে যাবার উপক্রম, ইচ্ছে করছিলো মাটি ফাঁক করে নীচে ঢুকে যায়! হুট করেই মনে হলো, এটা পাপিয়ার চক্রান্ত তাই ওকে ফোন দিলাম কিন্তু নাহ্, ও শুনার পরে আরো শকড্ হলো! . তবে কি করে, কেমনে এটা হলো? ভেবে কোন কুল-কিনারা পাচ্ছি না! . পৃথিবীটা যেন ছোট হয়ে গেলো, দেখতে পাচ্ছিলাম সবাই আমার দিকে আঙুল তুলে ধিক্কার দিচ্ছে!! নিজেই ড্রাইভ করে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হলাম! এলোপাতাড়ি ভঙ্গিতে গাড়ি চলছে কারণ নিজের উপর কন্ট্রোল নেই, যেন শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছি! মাথার মধ্যে সেই দৃশ্যগুলোই আটকে আছে, তাই গাড়ি নিয়ে কোথায় যাচ্ছি, কৈ থামবো ঠিক বুঝতে পারছি না! ওদিকে অফিসও থাকতে পারিনি, কারো সামনে নিজেকে দাঁড় করাতে পারছি না! এ লজ্জা থেকে বাঁচার জন্য সুইসাইড করার প্ল্যান করতেই, বউ-বাচ্চার মুখগুলো চোখের সসামনে ভেসে উঠলো! শেষে ভাবলাম পরিবার নিয়ে আজই দেশের বাহিরে চলে যাব, তাই সোজা বাসায় চলে আসি! তবে বাসায় পৌঁছে আরো বড় শকড্ খেলাম! স্ত্রী, বাচ্চাদের নিয়ে লাগেজসহ গাড়িতে উঠছে! আমি সব ভুলে দৌড়ে ওদের আটকিয়ে জিজ্ঞেস করি, ----- এভাবে কোথায় যাচ্ছ, আমাকে কিছু না বলেই.. -- [ওরা শুধু হিংস্র হায়েনার মতো বড় চোখে তাকিয়ে থাকলো] ----- [অনুনয়ের স্বরে বললাম] প্লীজ আমাকে ক্ষমা করো! তোমরাইতো আমার সব আর তোমাদের ছেড়ে কি করে থাকবো, কোথায় যাবো? -- [কষে গালে থাপ্পড় মেরে, স্ত্রী বললো] গো টু হেল!! একমুহূর্ত অপেক্ষা না করে, ওরা দ্রুত গাড়িতে উঠে সাই-সাই গতিতে বেরিয়ে গেলো আর আমি স্ব-স্থানে হাঁটু গেড়ে বসে দু'হাতে মুখ ডেকে কাঁদতে থাকি! বেঁচে থাকার সব রাস্তাই বন্ধ হয়ে গেলো, কি হবে এ জীবন দিয়ে? তাই দ্রুত বেডরুমে যেয়ে পার্সোনাল লকার থেকে ______________ পর্ব--১ পরবর্তী পর্ব মিস না করতে রিকুয়েস্ট দিয়ে রাখবেন
0
7