#বদরাগী #Orin_Nusha_Ra ParT 02 . নিহানের মা মর্ডান টাইপের তাই আমাকে উনি নিহানের সকম স্পেশাল সাইট দিয়ে দিয়েছে।এমন টাতে খুশিই হয়েছি কারণ আন্টি ফ্রেন্ডলি। .......... আর নিহানের আইডির মাধ্যমেই ওর ব্যাপারে টুকটাক জেনেছি। সবার সাথেই নাকি উনি ফ্রি, চুপচাপ,ভদ্র। কিন্তু ভদ্রতার আড়ালে যে কি আছে সেটা আমি ভালো করেই জানি।কি করে যে এর সাথে সারাজীবন কাটাবো কে জানে।হঠাৎ বৃষ্টির কারণে কথার ধ্যান ভাংলো। ---ওয়াও ইয়ায়ার নিহান ভাইয়া যেমন কিউট তেমনি তার এবাউট। ---ভুতের মুখে রামরাম? ---এই কথা কেন বলছিস?আমাকে কি ভুত মনে হচ্ছে? ---আরে আরে না নিজের মুখে প্রশংসা করতে নেই। ---কুত্তিইই তোকে তো আমি পরে দেখে নিবো।(রেগে) ---এখনি দেখ না মানা করলো কে?(হেসে) ---তুই নিহান ভাইয়াকে একেবারে খেয়ে ফেলবি বুঝেছি। ---কেন রে তোর নিহান ভাইয়ার মাথা টা কি বার্গার নাকি যে খেয়ে ফেলবো ---ও আল্লাহ মাবুদ এর সাথে তর্ক করার শক্তি দাও আমায়। ---হে আল্লাহ তুমি ওর দোয়া কবুল করিও নাহ।আমিন। ---কুত্তি তুই আমাকে এতো জালাস কেন বলতো? ---তোরে না জালাইরে খাবারের স্বাদ একদম পারফেক্ট হয় না। ---ওইটা কেমনে? ---কারণ তুই খাবারে লবণ দেস বেশি। ---তবে রে...... বলেই বৃষ্টি আমার দিকে ধেয়ে আসছিলো। আমি দিলাম বুলেট ট্রেনের মতো দৌড়। সারা বাসায় দুইজন দৌড়াতে লাগলাম চোর পুলিশ এর মতো। ---এই ফইন্নি দাড়া,দাড়া বলছি। ---চিটিং নট এলাউ। বলেই বৃষ্টির আম্মুর পিছে গিয়ে লুকালাম। ---দেখো আন্টি তোমার মাইয়া সারাক্ষণ আমার পিছে পইরা থাকে। ---আর তুই যে আমারর জালাস তার বেলায়(রেগে) ---তুই চুলা নাকি যে তোরে জালামু? ---আহ থাম তো তোরা।তোদের বকবক শুনতে শুনতে আমার কান আর কান নেই। ---ওহ আন্টি তোমার দুইটা কান ই আছে। ---রাহা মা একটু অন্তত সিরিয়াস হ।তা শুনলাম তোর নাকি বিয়ে ঠিক হয়েছে? ---তোমায় কে বললো?(অবাক হয়ে) ---আমি আগে থেকে জানি তোর মা ফোন করে বলেছে। ---উফফফফ এই বিয়ের কথা বাদ দাও তো অসহ্য। বলেই সোফায় গিয়ে বসলাম। ---কেন মা বাদ দিবো কেন?আমাদের রাহার বিয়ে বলে কথা। ---বিয়ে না জিরা। ---কেন পাত্র দেখতে খারাপ নাকি? ---আরে না মা তোমাদের রাহা একেবারে হিরোর মতো বর পেয়েছে।দাড়াও আমি তোমাকে দেখাচ্ছি।বলেই বৃষ্টি এক দৌড়ে আমার মোবাইলটা রুম থেকে নিয়ে আসলো।তারপর ছবি বের করে আন্টিকে দেখালো। ---মাশাল্লাহ পুরোই সোনার টুকরো ছেলে।ভাগ্য করে একে আমাদের রাহা পেয়েছে। এগুলো শুনে আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিলাম।আবার কেন জানিনা এতো প্রসংশা শুনে ভালো লাগা কাজ করছে।ভালো লাগাটা বেশিক্ষণ রইলো না ওনার রাগ গুলো মনে পড়ে গেলো।সাথে সাথে আমিও রেগে যাই। ---ভালো লাগছে না আন্টি এসব কথা। চম বৃষ্টি বাইরে থেকে ঘুরে আসি। ---ওকে তুই দাড়া আমি রেডি হয়ে আসছি। ---ওকে যা। বলেই বৃষ্টি আর কথা না বাড়িয়ে রুমে চলে গেলো রেডি হতে।কিছুক্ষনের মধ্যেই রেডি হয়ে আসলো। তারপর দুইজন মিলে লেক এ গেলাম।এমন চুপচাপ ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করতে গেলাম।এমন সময় নিহানের মা কম দিলো।আমিও রিসিভ করলাম এবং বললাম, ---আসসালামু ওয়ালাইকুম। ---ওয়লাইকুম আসসালাম। কেমন আছো? ---জি আলহামদুলিল্লাহ। আপনি কেমন আছেন? ---আলহামদুলিল্লাহ ভালো। কি করছো? ---এইতো আন্টি ফ্রেন্ডের সাথে লেকে আসলাম। ---ওহ আচ্ছা।তা আমি নিহানকে পাঠিয়ে দেই কেমন? ---আরে আরে না আন্টি উনি কেন কষ্ট করতে যাবেন আর ওনার অফিসও আছে। ---তো কি তোমায় একা ছাড়বো নাকি আমি পাঠিতে দিচ্ছি। ---আরে না না আন্টি লাগবে না আর আমি এমনিতেও একা নেই আমার বান্ধুবি তো আছেই। ---আরে এমন করছিস কেন আসলে কি হয়? চোখ রাঙিয়ে বৃষ্টির দিকে তাকালাম। বৃষ্টি ভয়ে আর কিছু বললো না। ---তোমার কোন কথাই আমি শুনছি না।বাই। ---আরে আন্টি.....যা কেটে দিলো ধুর এখন প্রব্লেম টা আবার আসবে। ---আচ্ছা তুই নিহান ভাইয়াকে সহ্য করতে পারিস না কেন বলতো? ---রাগের জন্য(রেগে তাকালাম বৃষ্টির দিকে) ---নিহান ভাইয়া রাগি তা তো একদম বোঝাই যায় না। ---বুঝবি কেমনে চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে রাখলে?(রেগে) ---তার মানে তুই কি বলতে চাস আমি কানা? ---তা তো অবশ্যই। ---তোরে পচা মাছ খাওয়ামু।(রেগে) ---আর তোরে পচা মাছের নাড়ি ভুড়ি। বৃষ্টি তো রেগে আগুন।আমি ওর ওই অবস্থা দেখে বললাম, --- তোর যেমন আমাকে অনেক কিছু করতে ইচ্ছে করছে ঠিক তেমনি ওই নিহানের বাচ্চা সিহান কেও অনেক কিছু করতে ইচ্ছে করছে।(রেগে) বৃষ্টি আর কিছু বললো না কারণ সে জানে আমার সাথে পেরে উঠবে না। এইদিকে, নিহানের মা নিহান কে ফোন করলো, --- হ্যা মা বলো। --- কোথায় আছিস তুই? --- এইতো মা অফিসে কেন কিছু লাগবে? --- তুমি এখনি লেকের ধারে যাও। --- কিন্তু কেন?(অবাক হয়ে) --- রাহা তোমার জন্য অপেহ্মা করছে তাই। --- কিন্তু মা আমিতো অফিসে। --- কোন কথা শুনতে চাইনা তুই যাবি মানে যাবি ওকে। আমি রাহা কে একা ছাড়তে চাইনা। --- কিন্তু..... --- এটা আমার আদেশ নিহান। --- ওকে যাচ্ছি।(গম্ভীর সুরে) --- যা বাই। --- বাই মা। বলেই নিহান ফোন রেখে দিলো এবং ভাবতে লাগলো, ---( মেয়েটা এই দুইদিনেই মায়ের মাথা খেয়ে ফেলেছে। তাই মায়ের কাছে বাহানা দিয়ে দিয়ে যা ইচ্ছা করায়। কিন্তু আমি ওর পাতা ফাদে সহজে পা দিচ্ছি না হুম। লোভি মেয়ে কোথাকার।বললাম বিয়ে ভেঙ্গে দিতে কিন্তু ভাঙ্গলো না। টাকার লোভে বিয়ে করছে। একবার বিয়েটা হতে দাও মিস রাহা তারপর দেখো তোমার কি হাল করি। এই নিহান কে এখনো চিনোনি। জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ।) এগুলো ভেবেই নিহান রাগে ফুসতে লাগলো। . . . . . চলবে⁉
0
4