এক দুঃখী মায়ের গল্প
ইন্দোনেশিয়ান এক যুবতী মেয়ে সৌদির বাসার গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো।
হঠাৎ একদিন তার মালীক খেয়াল করলেন।
তার গৃহকর্মী, বারবার বাথরুমে যাচ্ছে! 'গৃহকর্ত্রী একজন সৌদিয়ান মহিলা । ক্যান্সার রোগী। উনি তার সেবা শুশ্রূষার জন্য এই মেয়েকে এনেছেন ইন্দোনেশিয়া থেকে। কিন্তু গৃহকর্মী মেয়েটা বাথরুমে গিয়ে অনেকক্ষণ সময় নেয়। বিধ্বস্ত চেহারা। চোখমুখ মলিন উষ্কখুষ্ক, কান্না ভেজা থাকে।
'গৃহকর্ত্রী এই বিষয় বারবার লক্ষ করে।
অবশেষে ওই মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার এমন অবস্থা কেন..?
'মেয়েটি বলল, 'মেডাম আমার একটা দুধের শিশু দেশে রেখে এসেছি। এইজন্য আমার দুধ জমে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করে, তাই জমাট দুধ বের করে ফেলে দিতে বারবার বাথরুমে যেতে হয়। গৃহকর্ত্রী বললেন, তুমি এমন দুধের শিশু রেখে বিদেশে কেনো আসলে? ' মেয়ে বলল, ম্যাডাম অনেক দিন ধরে বিদেশে আসার চেষ্টা করছি, কিন্তু ভিসা হচ্ছিল না।
তারপর বাচ্চাটা জন্ম নেয়ার পর হঠাৎ করে ভিসা হয়ে গেলো। চরম অভাব অনটনের সংসার। পরিবারের কথা ভেবে, বাচ্চাটা রেখে চলে আসতে বাধ্য হলাম। ' কাজের মেয়ের কথা শুনে গৃহকর্ত্রীর মর্মাহত, গভীর চিন্তায় পড়ে গেলেন।
তারপর কাজের মেয়েকে কিছু না বলে, দুই বছরের বেতন হিসেব ধরে, টিকেট করে গৃহকর্মীকে বললেন, তুমি দেশে চলে যাও "এই তোমার দুইবছরের পুরো বেতন এবং টিকেট। বাচ্চার দু'বছর পূর্ণ হলে আবার চলে এসো। মেয়েটি দেশে চলে গেলো ।
গৃহকর্ত্রী কিছুদিন পর নিয়মিত চিকিৎসা নিতে আবার হসপিটাল আসলেন। ডাক্তার যথারীতি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আশ্চর্য হল! বললেন, 'শেখা ম্যাডাম' আপনার ক্যান্সার তো সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হয়ে গেছে। এই কথা শুনে মহিলা ও বাকরুদ্ধ, বিশ্বাস করতে পারেনি। কারণ অনেকদিন ধরে চিকিৎসা চললেও কোনো উন্নতি তো দূরে থাক! অবনতি হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এমন কী হল, উনার ক্যান্সার সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করল?
মহিলা নিশ্চিত ধরে নিয়েছেন, 'ওই কাজের মেয়েকে, সম্পূর্ণ বেতন দিয়ে দুধের বাচ্চাটার কাছে পাঠিয়ে দেওয়াতে, আল্লাহতালা এই প্রতিদান দিয়েছেন।
দান ছদকা করার কারণে বালা মুসিবত দূর হয়।
জলজ্যান্ত প্রমাণ....
আল্লাহু আমাদের বেশি বেশি দান-সদকা করা তৌফিক দান করুন। #আমীন,,,,
0
13