Biye cara bow

0 5
Avatar for hsnbijoy
3 years ago

বিয়ে_ছাড়া_বউ

#পর্ব_7_

ইরাঃ - তাহলে ওরা আমাকে ভাবী ডাকলো

কেনো?

আমিঃ - আমি কি জানি?

ইরাঃ- একদম মিথ্যে কথা বলবে না।

আমিঃ - মিথ্যে কথা বলছি নাতো।

ইরাঃ - তাহলে ওরা যে বলল,তুমি বলেছো.......

ইরাকে আঠকিয়ে দিয়ে আমি বললাম,

আমিঃ - আমি কি কি বলছি?

ইরাঃ- আরে তোতলাচ্ছো কেনো?

আমিঃ - কই না তো ওরা কি বলেছে?

ইরাঃ - বলেছে তুমি নাকি বলেছো আমি তোমার

বউ।আমি সস্তির নিশ্বাস নিলাম।

আমিঃ - হ্যা,বলেছি তো।

ইরাঃ- এহ,আমি কি তোমার বউ নাকি যে সবাইকে এটা

বলে বেড়াতে হবে।

আমিঃ - হ্যা বউইতো।

ইরাঃ- উহু তোমার বউ হতে আমার বয়েই

গেছে। ভেংচি কেটে বলে চলে

যাচ্ছিলো। আমি ইরাকে টান মেরে বুকে নিয়ে

এলাম,

আমিঃ-কেনো বউ হলে কোনো সমস্যা?

ইরাঃ- আরে ছাড়োফাইজলামি করো না।

আমিঃ- বউয়ের সাথে ফাইজলামি করবো নাতো

কার সাথে করবো?

ইরাঃ- ছাড়ো, আমার কাজ আছে। ছেড়ে দিলাম।

রাতে আমি বসে বসে ল্যাপটপ এ কাজ করছিলাম

আর ইরা আয়নার সামনে বসে চুল আঁচড়াচ্ছে।

আমিঃ -ইপ্সিতা মেয়েটা খুব সুন্দর তাই না। ইরা

পিছনে আমার দিকে ভ্রু কুচকে থাকালো।

ইরাঃ- ইপ্সিতাকে তুমি কোথায় পেলে?

আমিঃ - আজ কথা হয়েছিলো আর ওও বলল

তোমাকে নাকি কি একটা কথা বলেছিলো

আমাকে বলতে।

ইরাঃ- ক কই কি বলেছিলো?

আমিঃ - তোতলাচ্ছো কেনো? ইপ্সিতা আমাকে

ভালোবাসে ইপ্সিতা তোমাকে বলেছিলো

আমাকে এ কথা টা এসে বলতে। তুমি বললে না

কেনো?

ইরাঃ- অবাক হয়ে আর কিছুটা ভাঙা গলায় বলল,ওও

বলেছিলো মনে হয় খেয়াল করি নি।

আমিঃ- ওও,তবে আজ পার্কে প্রপোজ

করেছিলো। ইরা কান্না স্বরে বলল,

ইরাঃ- তুমি কি বললে?

আমিঃ- এতো সুন্দর মেয়ের প্রপোজাল কি

রিজেক্ট করতে পারি?

ইরাঃ- তার মানে এক্সেপ্ট করে নিয়েছো।

আমিঃ- হ্যা,কেনো তুমি খুশি হওনি?

ইরাঃ- হ্যা,হ্যা হয়েছিতো।

আমিঃ- ওও, তাহলে তো ভালোই। মেয়েটা কি

সুন্দর?

ইরাঃ- শুধু কি ইপ্সিতাই সুন্দর। আমি সুন্দর না।

আমিঃ - আরে এটা তোমাকে কে বলল?

ইরাঃ - তোমার কথায় বোঝা যাচ্ছে। তুমি ইপ্সিতার যা

গুন শুনাচ্ছ।

আমিঃ- তুমি কি জেলাস ফিল করছো। ইরা একটু

স্বাভাবিক হয়ে বলল,

ইরাঃ - উহু,জেলাস হবো কেনো?

আমিঃ - ওও,জেলাস না হওয়াই ভালো। আর ইপ্সিতা যা

সুন্দর জেলাস হয়ারই কথা

ইরা রাগে জ্বলছে। তবে মুখে কিছু বলছে না।

আমিঃ - আর ইপ্সিতা আমাকে ফিল করে ওও তোমার

মতো না।

ইরাঃ - মানে!

আমিঃ - মানে তোমাকে কিস করলে তো আমার

প্রতি তোমার কোনো ফিল হয়না। কিন্তু ইপ্সিতার

আমার প্রতি ফিল হয়। ইরা চোখ বড়ো বড়ো

করে বলল,

ইরাঃ - কি?

আমিঃ - হ্যা।

ইরাঃ- তার মানে তুমি ইপ্সিতাকে কিস করেছো।

আমি লজ্জা পেয়ে বললাম,

আমিঃ- হ্যা।

ইরাঃ- ইউ চিটার। বলে আমাকে বালিশ দিয়ে মারতে

শুরু করলো।

আমিঃ- আরে এখানে চিটারের কি হলো? ইরা মাইর

বন্ধ করে দিয়ে বলল,

ইরাঃ- না কিছু না। তুমি যে আমার সাথে আছো ইপ্সিতা

এতে সন্ধেহ করবে নাতো।

আমিঃ - ওও তোমার মতো না।

ইরাঃ- মানে।

আমিঃ - তুমিতো হলেতো সন্দেশ করতে

কিন্তু ইপ্সিতা খুব ভালো ওও আমাকে বিশ্বাস

করে সন্দেহ করার কোনো প্রশ্নই উঠে না।

ইরাঃ- ভালোই একদিন ইপ্সিতাকে চিনে নিলে।

আমিঃ - হ্যা কোনো কোনো মানুষকে প্রথম

দেখায়ই চেনা যায়। যেমন তোমাকে দেখে

আমি প্রথমেই বুজে নিয়েছিলাম তুমি ঝগড়াটে।

ইরাঃ - কি আমি জগড়াটে।

আমিঃ - হ্যা,ঝগড়াটেই তো।

ইরাঃ - দাড়াও দেখাচ্ছি। অতঃপর দৌড় আরম্ভ। অর্ধেক

দৌড়ে থেমে গেলাম ইপ্সিতা ফোন

দিয়েছে। ইরা আমাকে মারতে শুরু করলো।

আমিঃ - উহ, ইরা এখন ফাইজলামি করো নাতো ইপ্সিতা

ফোন করেছে। ইরা থেমে গেলো

কেঁদে দিবে বোধ হয়। আমি বারান্ধায় চলে

গেলাম।

আমিঃ - হ্যালো,ইপ্সিতা কেমন আছো বাবু?( খুব

জোরে জোরে)। আধ ঘন্টা কথা বলার পর

বারান্ধা থেকে রুমে এসে দেখলাম ইরা মুখ ভার

করে বসে আছে।

ইরাঃ- কথা শেষ।

আমিঃ - হুম। ইপ্সিতা কাল দেখা করতে বলেছে।

ইরাঃ - ওও ভালো।

আমিঃ - তোমাকে আমার সাথে যেতে হবে।

ইরাঃ - আমি গিয়ে কি করবো?

আমিঃ - তোমাকে যেতে হবে ব্যাস।

ইরাঃ- জয়,আমি...... আমি আর কিছু বলতে দিলাম না।

রাতে না খেয়ে ইরা শুয়ে পড়লো।

আমিঃ - ইরা,ইরা,এই ইরা।

ইরাঃ -. .......................................... নিশ্চুপ।

আমিঃ - এই ইরা। ইরা চোখ খুলল। চোখগুলো লাল

আর ফুলে গেছে।

আমিঃ - খেয়ে নাও। আর তোমার শরীর খারাপ

নাকি।

ইরাঃ - না, খাবো না।

আমিঃ - আরে খেয়ে নাও।

ইরাঃ - খাবো না বললাম তো। আমিঃ - খেতে

হবে। আমি জোর করে খাইয়ে দিচ্ছি ইরা আমার

দিকে থাকাচ্ছেই না।

পরেরদিন ইরাকে নিয়ে শপিংয়ে গিয়ে ইপ্সিতার

জন্য শাড়ি কিনলাম আরো অনেক কিছু। ইরা কিছু

বলতে পারছে না। সারাদিন ইপ্সিতার হাত ধরে

ঘুরলাম আর ইরা লুচির মতো ফুলছিলো। একটা রিক্সা

নিয়ে আমি আর ইরা বাসায় ফিরছি।

আমিঃ - আজ ইপ্সিতাকে খুব সুন্দর লাগছিলো তাই না।

( ইপ্সিতাকে সুন্দর লাগছিলো তবে আমার বিয়ে

ছাড়া বউটাকে আরোও সুন্দর লাগছিলো।

অনেকে থাকাচ্ছিলো আমার তখন খুব রাগ

ধরছিলো)

ইরাঃ - হ্যা।

আমিঃ - মন খারাপ নাকি তোমার?

ইরাঃ - নাহ। বাসায় ফিরলাম। ইরা এখন প্রায় রাতে

জেগে থাকে আমি পর্দা সরিয়ে দেখি। কাজ

হচ্ছে মনে হয়। আমি পর্দা সরিয়ে ইরাকে

দেখছিলাম। ইরা আমাকে দেখে নিলো।

ইরাঃ - কি দেখছো? এখন আর ইরা আমার সাথে

ফাইজলামি করে না। সিরিয়াসলি কথা বলে।

আমিঃ - তোমাকে।

ইরাঃ - আমাকে দেখার কি আছে?

আমিঃ - অনেক কিছু আছে তুমি বুঝবে না।

ইরাঃ - ওও কাল কোথায় যাওয়া আছে নাকি?

আমিঃ - হুম। ইপ্সিতাকে নিয়ে নতুন একটা জায়গায়

যাবো?ইরাঃ - ওও তাহলে ঘুমিয়ে পড়ো।

আমিঃ - হুম, গুড নাইট।

ইরাঃ - গুড নাইট। ঘুমিয়ে পড়লয়াম। ইপ্সিতাকে নিয়ে

নদীর পাড়ে গেলাম।

ইপ্সিতাঃ - আর কতোদিন।

আমিঃ - কি?

ইপ্সিতাঃ - এই অভিনয়।

আমিঃ - তুমি কি আমার বন্ধু হয়ে সারা জীবন থাকতে

পারবে না।

ইপ্সিতাঃ - হুম। তবে এই অভিনয় করে তো আমি

তোমার উপর আরোও উইক হয়ে পড়ছি। আমি

আর কিছু বললাম না।

আমিঃ - আচ্ছা,এখন উঠতে হবে চলো।

ইপ্সিতাঃ - হুম। ইপ্সিতাকে বাড়ি পৌছে দিয়ে বাসায়

ফিরলাম। উপরে যাবো এমন সময়,

বাড়িওয়ালাঃ - দাড়াও। আমিতো ভয় পেয়ে গেলাম।

কি অঘটন ঘটালাম কে জানে।

আমিঃ - জি বলুন।

বাড়িওয়ালাঃ - তোমার সাথে একটা মেয়েকে

দেখলাম। কে ঐ মেয়েটা? আমিতো শেষ।

আমিঃ - ক্ককই কোন মেয়ে?

বাড়িওয়ালাঃ - কোন মেয়ে মানে তোমার সাথে

কোন মেয়ে ছিলো আমি বলবো কি করে?

আমিঃ - ক কোথায় দেখেছেন?

বাড়িওয়ালাঃ - ঐ তো নদীর পাড়ে।

আমিঃ - ওওঅঅ ওটাতো আমার বন্ধু ছিলো।

বাড়িওয়ালাঃ - বাড়িতে তোমার বউ থাকতে বাইরের

মেয়ে মানুষের সাথে ঘুরা মোটেও ভালো

না।

আমিঃ - আরে আঙ্কেল ও আমার বন্ধুই।

বাড়িওয়ালাঃ - তোমার বউ থাকতে মেয়ে বন্ধুর কি

প্রয়োজন?

আমিঃ - আসলে আঙ্কেল....... আমি কিছু বলার

আগে উপর থেকে ইরা বলে উঠলো,

ইরাঃ - আঙ্কেল ঐ মেয়েটা জয়ের

কলেজের বন্ধু।

আমিঃ- হ্যা,হ্যা। আঙ্কেল আমার দিকে অগ্নি

দৃষ্টিতে তাকালেন।

আঙ্কেলঃ - তবুও ঘরে বউ থাকতে অন্য

মেয়েকে নিয়ে ঘোরে ঠিক না।

আমিঃ - জি, আঙ্কেল।

আঙ্কেলঃ - হুম।

আমিঃ - আঙ্কেল।

আঙ্কেলঃ - কি?

আমিঃ - আপনি হারবাল চিকিৎসালয়ে যাননি। আঙ্কেল ভ্রু

কুচকে বললেন,

আঙ্কেলঃ - কেনো?

আমিঃ - আপনার টাক সমাধানের জন্য। আঙ্কেল

গর্জন দিয়ে উঠলেন। ইরা আর আন্টি খিল খিল

করে হাসছেন

উপরে চলে এলাম।

আমিঃ - খুব জোর বাঁচালে।

ইরাঃ - হুম।

আমিঃ - তুমি কখন এলে?

ইরাঃ - এইতো কিছু সময় আগে।

আমিঃ - ওও,,সরি তোমাকে নিয়ে আসতে পারিনি।

ইপ্সিতাকে এক জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলাম তো

তাই।

ইরাঃ - ইট'স অকে। রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে

পড়লাম।

আজ ২ মাস হয়ে গেলো আমার আর ইপ্সিতার

প্রেমের অভিনয়। কিন্তু ইরাতো কোনো

রেসপন্স দিচ্ছে না। যে জায়গায় ইরার আমাকে

বলার কথা যে,ও আমাকে ভালোবাসে সে

জায়গায় ইরা কিছুই বলছে না। ইপ্সিতাকে নদীর

পার্কে ডাকলাম,

আমিঃ - ইপ্সিতা।

ইপ্সিতাঃ - হুম,বলো।

আমিঃ - আমি আজই ইরাকে বলে দিবো আমার

মনের কথা।ইপ্সিতা আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকালো,

ইপ্সিতাঃ - ওও। ধন্যবাদ

আমিঃ - কেনো?

ইপ্সিতাঃ - আমাকে অনেক টাইম দেয়ার জন্য সেটা

অভিনয়ই হোক। আমি ইপ্সিতার মনের কথাটা

বুজতে পারলাম।

আমিঃ - এখন যাই। বলে উঠছিলাম ইপ্সিতা আমার হাতটা

ধরে ফেললো,

ইপ্সিতাঃ - গিভ মি হাগ? ইপ্সিতা আমাকে জরিয়ে

ধরলো মেয়েটা খুব কান্না করছে। আমি ইপ্সিতার

মাথায় হাত বুলিয়ে বললাম,

আমিঃ - কেঁদো না ইপ্সিতা।ইপ্সিতাকে রিক্সা করে

বাড়ি পাঠিয়ে দিলাম। আমি রিক্সা নিয়ে ইরাকে নিয়ে

আসতে গেলাম। ইরা অফিসের সামনে দাড়িয়ে

গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলো।

আমিঃ - চলো। ইরা রিক্সায় উঠতে উঠতে বলল,

ইরাঃ - আজ নিতে এলে যে।

আমিঃ - এমনই। মামা নদীর দিকে চলুন।

ইরাঃ - ওখানে গিয়ে কি করবে?

আমিঃ - গেলেই দেখতে পারবে। ইরা আর আমি

নদীর কিনারায় বসে আছি।

আমিঃ - ইরা!!ইপ্সিতা আর আমার মাঝে কোনো

সম্পর্ক নেই।

ইরাঃ - মানে।

আমিঃ - মানে!! তুমি আমাকে ভালোবাস কিন্য সেটা

জানার জন্য আমি ইপ্সিতার সাথে অভিনয় করেছি।

ইরাঃ - আমি কি কখন ও বলেছি তোমাকে

ভালোবাসি।

আমিঃ - জানি না। শুধু জানি আমি তোমাকে ভালোবাসি।

আই লাভ ইউ ইরা। ঠাস। ইরা আমাকে চড় মারলো।

ইরাঃ - তুমি জানো আমি অনাথ। আমাকে এই সমাজ

মেনে নিবে না। আমি তোমাকে ভালোবাসি না।

আমিঃ - ইরা আমার সমস্যা না হলে তোমার কি সমস্যা ?

ইরাঃ - আমি তোমাকে ভালোবাসি না ব্যাস।

আমিঃ - তুমি মিথ্যে বলছো। আমি জানি তুমি আমাকে

ভালোবাস।

ইরাঃ - আমি তোমাকে ভালোবাসি না। আমার কাছে

কাটার ছিলো সেটা হাতে ধরলাম।

আমিঃ - এখন ভালোবাসবে তো।

ইরাঃ - তুমি যদি আমাকে সত্যিকারের

ভালোবেসে থাকো তাহলে তুমি নিজের

কোনো ক্ষতি করবে না। ইরা চলে যাচ্ছে।

আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। কি করবো

ভাবতে পারছি না।

রাত হয়ে গেছে আমি রাস্তায় হাটছি। বাসায় যাবো

কি না ভাবছি। আব্বু আম্মু আর বোনটার কথা মনে

পড়ছে। তখনি,

একটা ছেলেঃ - কি ভাই কেমন আছেন? (ইরাকে

ডিস্টার্ব করা ছেলেগুলো) আমি কিছু না বলে হাটা

ধরলাম। ছেলেটা আবার বলল,

ছেলেটাঃ - ভাইয়া কেমন আছেন? আমি

ছেলেটার দিকে তাকালাম। সজোরে একটা ঘুসি

মারলাম গালে। গাল কিছুটা কেটে গেলো রক্ত

বের হয়ে গেছে।

ছেলেটাঃ - আরে ভাই কি হয়েছে আপনার? আমি

ছেলেটার দিকে এগিয়ে যেতেই মাঠি

থেকে উঠে দিলো দৌড়।

ইরা আমার নিজের ক্ষতি করতে মানা করেছে না

হয়।

বাড়িতে এলাম দারোয়ান চাচা অন্ধকারের মধ্যে ও

আমাকে চিনে ফেললেন। চিৎকার দিয়ে

উঠলেন।

দারোয়ান চাচাঃ - ছোট সাহেব এসেছেন। চিৎকার

শুনে আব্বু,আম্মু,বোনটা,বাড়ির চাকররা সবাই

বেরিয়ে এলো। আব্বু,আম্মু,বোন আমাকে

দেখে জরিয়ে ধরে কেঁদে দিলো। আর

অনেক জিজ্ঞাসাবাদ। আমি কিছু কিছু কথা বললাম।

আজ এক সপ্তাহ হয়ে গেছে বাসায় আসার। আমি

কারো সাথে তেমন কথা বলি না। মাঝ রাতে ইরার

কথা মনে করে কাদি। আর এর মাঝেই সবাই

আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে

লেগেছে। আমি বিষয় টা তাদের উপর ছেড়ে

দিয়েছি। শুনলাম তারা বিয়ে ঠিক করে

ফেলেছে। কনে আমি দেখিনি।

আজ আমার বিয়ে হয়ে গেলো মেহজাবিন

নামে একটা মেয়ের সাথে। রাত ১ঃ৪০ রুমে

ডুকলাম। মেহজাবিন এসে আমাকে সালাম

করলো।

আমিঃ - আমি আপনাকে স্বামী র অধিকার দিতে

পারবো না।আমি অন্য একজন কে ভালোবাসি।

মেহজাবিনঃ - ইউ চিটার। কি বললি তুই। সেদিন না বললি

আমাকে ভালোবাসিস আর এখন বলছিস। আমিতো

অবাক এটাতো ইরা।

আমিঃ - ইরা

ইরাঃ - হুম।

আমিঃ - তুমি এখানে কি করে?

ইরাঃ - কি করে আবার বিয়ে করে?

আমিঃ - বুজিয়ে বলো।

ইরাঃ - তোমার আব্বু মানে আমার শশুর আব্বু আমার

আব্বু বন্ধু,আর শাশুড়ি আম্মু আমার আম্মুর বান্ধবী,

আমাদের বিয়ে আগে থেকেই ঠিক করা সেই

সুবাদে ননদীনির সাথে আমার বন্ধুত্ব। আমি

তোমাকে সেই ছোটবেলা থেকেই

ভালোবাসি আর তুমি বিয়ে করবে না বলে

পালিয়ে গেলে। তাই আমি তোমাকে শাস্তি

দেয়ার জন্য সব নাটক করেছি।

আমিঃ - তাই বলে এরকম কষ্ট দিবে আমাকে।

( কেঁদে কেঁদে)

ইরাঃ - আমিওতো কষ্ট পেয়েছি। আমি আর কিছু না

বলে বারান্ধায় চলে গেলাম। ইরা ও আমার পিছনে

এসে জরিয়ে ধরে বলল,

ইরাঃ - সরি তো। এই কান ধরলাম। আমি কিছু না বলায় ইরা

আমাকে তার দিকে ঘুরিয়ে আমার ঠোটে তার

ঠোট বসিয়ে দিলো।

2 year pass,,,,,,,,,,,,

2 বসর পর তাদের একটা ফুটফুটে মেয়ে হয়েসে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, আপনারা সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন,,,,,,,,,,

The story end,,,,,,,,,,,,,,,,,,

গল্পের মাঝে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে বা আমার কথায় কেউ ব্যাথিত হয়ে থাকেন তাহলে দয়া করে ক্ষমা করে দিবেন,,,,, আর অবশ্যই জানাবেন গল্পটি কেমন হয়েছে,, ধন্যবাদ,,,।।।।।।।।।।।।

1
$ 0.00
Avatar for hsnbijoy
3 years ago

Comments