#পেয়ে_গেলেই_আত্মহারা_আর_না_পেলেই_হতাশ!!!
আমরা আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাওয়ার পর তা নগদ পেতে চাই। আর সাথে সাথে না পেলে বলি “আল্লাহ কি আমাকে দেখে না?” নাউজুবিল্লাহ।
কিন্তু এ কথা তো কখনো চিন্তা করিনা যে, আমরা প্রতিদিন যে পরিমান গুনাহ করছি তার শাস্তি যদি নগদ দেয়া হতো, তাহলে আমাদের কি অবস্থা হতো! কখনো ভেবে দেখেছেন কি ?
#গুনাহের_কাজের_কারণে
♦চেহারার মধ্যে মলিনতা তৈরি হয়,
♦অন্তরে জুলমত সৃষ্টি হয়,
♦শরীরে অলসতা আসে,
♦রিযিক কমে যায়,
♦আর মানুষের অন্তরে তার (গোনাহগারের) প্রতি একধরনের ঘৃণা সৃষ্টি হয়।
এ কথাগুলো বলেছেন আল্লাহর রাসূলের বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদিআল্লাহু আনহু। [১]
গোনাহের পরকালীন শাস্তি যেমন রয়েছে, দুনিয়াতেও এর কুপ্রভাব আছে। আজকের যুব সমাজের মধ্যে যে এতো হতাশা , ডিপ্রেশন, দুশ্চিন্তা তার অন্যতম কারণ হলো গোনাহ করা তথা আল্লাহর অবাধ্য হওয়া।
অনেকের সম্পদ, সৌন্দর্য, ফেইম থাকার পরও মনের শূন্যতা পূরণ হয়না, এক অজানা হাহাকার তাড়া করে ফেরে সবসময়, নিজের মনের মধ্যে অশান্তির দাবানল জ্বলার কারণও খুঁজে পান না।
এর অশান্তির মূল কারণও হচ্ছে গোনাহ। কেননা যেই দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সৃষ্টি করা হয়েছে আল্লাহর আনুগত্যের জন্য, তা আল্লাহর অবাধ্যতার পথে পরিচালনা করলে তো সমস্যা তৈরি হবেই।
যেই জিনিসের যেই কাজ তা দিয়ে তা না করিয়ে বিপরীত কাজ করালে সমস্যা তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক নয়, বরং খুব স্বাভাবিক।
তবে আল্লাহর অশেষ দয়া ও মেহেরবানীতে জীবিত প্রতিটি মানুষের জন্য অতীতের গোনাহ মোচন করে সুখময় জীবন প্রাপ্তি অত্যন্ত সহজ। আন্তরিক তওবাহ ও ইস্তেগফার মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমা ও ভালোবাসা পাওয়া যায়।
পাহাড়সম গোনাহ হলেও আল্লাহ্ তায়ালা মাফ করে দিবেন, কেবল প্রয়োজন আন্তরিক তওবাহ তথা রবের পথে ফিরে আসা।
আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,
"হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছো তোমরা আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করবেন তিনি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।"[২]
দুনিয়াবি ও পরকালীন কল্যাণ , সুখ, সমৃদ্ধির জন্য গোনাহ ত্যাগের কোন বিকল্প নেই। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যে কোন গোনাহ ত্যাগ করুন ফলাফল আপনি নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। আসুন আমরা গোনাহ ত্যাগ করে সুন্দর জীবন গড়ে তুলি।
[তথ্যসূত্র:১.আল জাওয়াবুল কাফি-১০৬ ২.সূরা জুমার৫৩]
Nice Article