ভালোবাসার শেষ পরিনিতি💔
#পার্ট-৩য়
মা এটা হসপিটাল কি শুরু করলে তুমি (নাবিল)
তুর বেশি বুঝবার কারনে আইজকা আমরার পুত্ররার মুখ দেখবার ফারুম না এই অপয়া মাইয়ারে আমি আর আমার বাড়িত তুলবার চাই না(শ্বাশুড়ি)....
নোহা অঝোরে কান্না করে যাচ্ছে মুখে কোনো শব্দ নেই সব শব্দ যেনো ফুরিয়ে গেছে তার শব্দের ভান্ডার থেকে।
সেদিনের কথা নোহার খুব মনে পড়ছে যেদিন তারা পালিয়ে বিয়ে করে ছিলো পরিবারের অজান্তে,থাকার কোনো স্থান ছিলো না কারন তখন নাবিল স্টুডেন্ট ছিলো বিয়ে টা করতে হয়েছিলো নোহার জোরাজুরিতে একে অপর কে খুবই ভালোবাসতো দুজন দুজনাকে যে কোনো কিছুর মূল্যে কাছে পেতে চাইতো।
নোহার বাবা-মা মেয়ের বিয়ে নিয়ে চিন্তিত ছিলো SSC দেওয়ার আগেই মেয়েকে বিয়ে দিবে কখন সেটাই বেশি ভাবতো তবে নোহার ইচ্ছে ছিলো ডাক্তার হবে পড়াশোনা করবে যেহেতু মা-বাবার একমাত্র মেয়ে হয়তো তারা মেয়ের ভালো টাই চাইবে। এই বিশ্বাসেই নোহা তার গন্তব্যে পৌছাচ্ছিলো!
হঠাৎ একদিন কলেজ শেষ করে বাসায় ফিরেই দেখে নানান রকমের রান্নাবান্না হচ্ছে, রান্নার কথা নিজের মাকে জিজ্ঞেস করার আগেই
নোহার মা আনোয়ারা বেগম বলে উঠলো তুই এসেছিস মা তোকে আজ ছেলে পক্ষ দেখতে আসবে তারাতাড়ি রেডি হয়ে নে।ছেলে সিঙ্গাপুর থাকে পরিবার সহ বিয়ের পরে তোকেও সেখানে নিয়ে যাবে এটা বলেই আনোয়ারা বেগম আবার রান্না ঘরের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।
নোহা যেনো কথা গুলো শুনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।কি করবে বুঝতে না পেরে নাবিল কে কল করে কান্না জুড়ে দেয়, কান্না করতে করতে হেঁচকি উঠে যায় নোহার, নাবিল ফোনের ওপাশ থেকে বলেই যাচ্ছে কি হয়েছে কিছু তো বলো.....
কোনো রকমে কান্না থামিয়ে নোহা বলতে শুরু করলো কলেজ থেকে ফেরার পরে বাসায় এসে যা যা ঘটলো তার সাথে আজ ছেলে পক্ষ দেখতে আসবে বলে আবার কান্না জুড়ে দিলো!
নাবিল খুব শান্ত গলায় উত্তর দিলো এভাবে কান্না করছো কেনো আমি তো আছি! তোমার বাবাকে বুঝাবো আমরা একে অপর কে ভালোবাসি দুজন দুজনাকে সারাজীবন এর জন্য পেতে চাই।
পরের দিন সকালে নাবিল তার মাকে নিয়ে হাজির হলো নোহার বাড়িতে, বাড়ির ভিতরে ডুকতেই সালাম দিয়েছে নাবিল নোহার মা-বাবাকে কিছুক্ষণ কথা বলার পরেই যখন নোহার মা-বাবা কে নাবিলের আম্মু আমেনা বেগম বিয়ের প্রস্তাব দিলো নোহার বাবা রীতিমত উঠে দাড়িয়ে বলে উঠলেন আপনি ভাবলেন কি করে.........
চলবে....
এখানে কিছু কিছু কথা একজন আপুর জিবনের কাহিনি থেকে নিয়েছি তবে আমি চেষ্টা করবো আমার মত করে শেষ করার।😍🌸
অসাধারণ লেখা। পড়ে খুব ভালো লাগলো।