আমার বয়ফ্রেন্ডের কু প্রস্তাবে আমি রাজি হয়নি বলে আমাকে তার বন্ধুরা মিলে এসিড আক্রান্ত করে । মুখে হাত দিয়ে চেঁচামেচি করছিলাম আমি । অসহায় ভাবে রাস্তায় পরে ছিলাম । ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পরি । অজ্ঞান অবস্থায় আমাকে কেও হাসপাতালে নিয়ে আসেন । যখন চোখ খুললাম তখন আমি হসপিটালে । পাশে আমার মা বাবা আর এক অচেনা লোক ।আমি সবার দিকে একবার করে তাকালাম । মা মুখে কাপড় দিয়ে কাঁদছে । বাবা অন্য দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে । অচেনা লোকটি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, ,,
-আপনার এখন কেমন লাগছে?
আমি কথা বলতে পারছি না তাই চোখের ইশারায় বুঝলাম "ভালো লাগছে"
কিছুদিন পর, ,
ডাক্তার এসে আমাকে রিলিজ করে দেয়। মা বাবা আর ওই অচেনা লোকটা আমাকে নিয়ে আমার বাড়িতে এলো। বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে। আয়নার সামনে দাঁড়াতেই চেঁচামেচি উঠলাম আমার চেঁচিয়ে উঠা সবাই রুমে চলে আসে মা আমাকে ধরে নেয়।
আয়নায় নিজের মুখ দেখে ভয় লাগছে । আয়নার দিকে তাকিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললাম, ,
-মাআআআআআআআ এএএএএটাআ কি হয়েছে।
-শান্ত হও মা তোর অপরাধীদের শাস্তি দাওয়া হবে ঠিক ।
- এমন করিস না মেহেক শান্ত হও সব ঠিক হয়ে যাবে।
-বাবা এটা আমার কি হলো বলো বাবা ?
-আপনি প্লিজ শান্ত হন বসুন এখানে।
লোকটা মা বাবা ইশারা করে যেতে বলেন ।
-আপনি কে? আর কেন আমাকে এত কেয়ার করছেন?
-আচ্ছা শোনেন সেইদিন রাতে আমি বাড়ি ফিরছিলাম। অনেক রাত হয়ে গিয়েছিলো রাস্তায় কেও ছিলো না তখন দেখি আপনি রাস্তায় পরে ছটফট করছেন । আমি বাইক থেকে নেমে আপনার কাছে আসি দেখি আপনাকে অ্যাসিড আক্রান্ত করা হয়েছে । আমি আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি তারপর খোঁজখবর নিয়ে আপনার বাড়ীতে জানায় । জানতে পারি আপনার মা বাবা ছাড়া আপনার কেও নায়।আচ্ছা আপনাকে কে অ্যাসিড ছুড়তে পারে আপনার কি কাওকে সন্দেহ আছে?
- সন্দেহ না আমি জানি সে কে ।
-কে সে আর কেনই বা এমন করলো আপনার সাথে?
-আমরা একে অপরের ভালবাসতাম সরি আমি ।
ও চাইছিলো আমি ওর সাথে রুম ডেট করি ।কিন্তু আমি রাজি হয়নি । ও আমার সাথে ব্রেকআপ করে নেয় । আমি ও ব্রেকআপ করি । ও হয়তো ভেবেছিলো ব্রেকআপ করার কথা বললে আমি ওর কথা মেনি নেবো । কিন্তু আমি তা করিনি । সেই দিন টিউশন থেকে বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যায় । একটা বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য । মা বাবা কে ফোন করে বলে দিয়েছিলাম দেরী হবে । অনেকটা দেরি হয়ে যায় । আর রাস্তা খুব নির্জন । আমি হাঁটছি আর তখনই বরুন আমার সামনে আসে আর, ,,,,,,,,
আর বলতে পারলাম না কেঁদে ফেললাম ।
-আপনি শান্ত হন। আমি আপনার অপরাধীদের শাস্তি দাওয়া করাবো ।আপনি চিন্তা করবেন না ।
-আপনি আমার জন্য এত কিছু কেনো করছেন?
-এত প্রশ্ন কেনো করেন? আচ্ছা আমি আপনার জন্য খাবার এনেছি খেয়েনিন।
-ওকে ।
-গুড গার্ল আমি বিকালে এসে তোমাকেও ঘুরতে নিয়ে যাবো ।
-ওকে ।
এই ভাবে কয় একমাস কেটে যায় । ও ওনার নামটাই তো বলা হয়নি ওনার নাম নিলয় ।নিলয় প্রতিদিন আমার সাথে দেখা করে আসতো। আমাদের মধ্যে খুব সুন্দর একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো ও কখনো আমাকে একা ছাড়তো না ।নিলয় কে দেখে আমি বুঝেছিলাম যে সব ছেলেরা এক হয় না সব ছেলেরা রুপ দেখে না আর একমাত্র একটা ছেলে পারে একটা মেয়েকে যোগ্য সম্মান দিতে একমাত্র একটা ছেলে পারে একটা মেয়ের ভালো বন্ধু হতে ।
সব ছেলেরা বরুন এর মতো হয় না আবার সব ছেলেরা নিলয় এর মতো হয় না । আমাদের মেয়েদের ধারনা সব ছেলেরা এক না এটা ভুল ধারণা
আর হ্যা আমরা সব মেয়েরায ভালো না কিন্তু কিছু কিছু মেয়ে আছে তারাই ছেলেদের কে খারাপ করে।
সত্যি আমি নিলয় এর মতো একজন বন্ধু পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি ।
#ছেলে_মানেয়_খারাপ?
#অনুগল্প
(জানি না আমি কতটা ঠিক লিখতে পেরেছি । তবে ছোটর মধ্যেই দিয়ে একটা ছেলের সম্পর্কে ধারণা টা দিতে চেয়েছি । সত্যি বলতে আমি জানি না আপনাদের কেমন লাগবে ভালো লাগলে বলবেন )