দ্যা ভিলেন স্টার 💏
পার্টঃ১
💓💓💓
আহা আমি এসে গেছিতো বেবি। এতো তাড়া কিসের,,, বিয়ে করার,,,,,,, বলে বাকা হাসলো ফারহান.....
আর আপনি মেয়ের বাবা হয়ে বিবাহিত মেয়েকে আবার বিয়ে দিচ্ছেন তাউ এতো জাকজমক ভাবে। আমার বউ টাকে আর একজনের সাথে বিয়ে দেওয়ার দূর্শাহস দেখিয়ে আপনি খুব বড় ভুল করেছোন মিঃআনওয়ার..
এদিকে ভয়ে বিয়ে বাড়ির সবার আত্তা উড়ে যাচ্ছে কারন ফারহান খান কে চেনে না এমন কেউ নেই। ফারহান এর মতো মানুষকে দেখতেও সবাই ভয় পায়। ফারহান এদেশের নাম্বার ওয়ান গ্যাঙ্গ এস্টার।।। এক নামে সবাই চেনে কতটা হিংস্র তা সবার জানা। না জানি কি করে বসে.....
এদিকে মেঘার ভয়ে কাজ হয়ে যাচ্ছে। কি করবে বুঝতে পারছে না। ফারহান কি তার বাবাকে মেরে ফেলবে। ভয়ে ঘামতে লাগলো মেঘা।
ফারহান মেঘার দিক তাকিয়ে বললো আরে বেবি তুমি ভয় পাচ্ছো কেনো এখানে শশ্বান বানিয়ে দিলেও তোমার গায়ে ফুলের টোকাও পড়বে না। কথাটা বলে আহান বাকা হাসলো। তার পর একটু একটু করে মেঘার দিক এগোতে লাগলো।
মেঘার কানের কাছে গিয়ে বললো,,,,একবার বিয়ে হয়েগিয়েছে তার পর বিয়ে করার সখ এতো আজ তোমার বিয়ের সখ মেটাবো।।।।
ফারহানের কথা শুনে মেঘা চোখ বড় বড় করে তাকালো।
এই ছেলে তুমি কি সব বলছো,, আমার মেয়ে তোমার মতো ভিলেনের সাথে বিয়ে করেছে।
ফারহান মুচকি হেসে তার পেছনের একজনের কাছ থেকে একটা পেপার নিয়ে মেঘার বাবার সামনে ধরে। তিনি খুব মনোযোগ দিয়েপেপার টা পড়ে দেখতে লাগলেন।
দেখুন ভালো মন করে মন দিয়ে পড়ুন।
হ্যা এটাতে নেঘার সই আছে। মেঘার বাবা মেঘার দিকে তাকালেন। মেঘার মাথা নিচু করে থাকা দেখে মেঘার কাছে গিয়ে ঠাস করে চড় মারতে যাওয়ার সময় ফারহান তার হাত টা ধরে ফেলে।
ভুলেও এ কাজটা করবেন না। শ্বশুর মশাই,,,, তা হলে খুব খারাপ হয়ে যাবে। বলেই মেঘার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে চাইলো।
ছাড়েন যাবো না আমি,,,বলে ফারহানের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়াতে লাগলো,,
মেঘার বাবা বাধা দিতে চাইলে ফারহানের লোক জন তাকে তাকে আটকে দেয়।
আর ফারহান মেঘার হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেলো। মেঘা ফারহান এর হাত অনেক বার ক্ষমছোয় ধরে তবুও কাজ হলো না।
বিয়ে বাড়ি ফারহানের এমন এন্ট্রি দেখে আর ফারহানকে দেখে সবাই ভয়ে কিছু বলেনি কিন্তু ফারহান মেঘাকে নিয়ে যাওয়ার পর কানা ঘুসো অনেক বাজে কথা শোনা যাচ্ছে যা মেঘার বাবার কান এ আসছে।
------------------------------
আমাকে এভাবে তুলে আনার মানে কি।
ফারহান চেয়ারে আরাম করে বসে মেঘার দিক ভালে ভাবে উপর নিচ তাকিয়ে বললো বাহ তোমাকে আজ খুব দারুণ লাগছে মোগা চৌধুরী আপপস সরি মিসেস মোগা চৌধুরী।
এই ১০০ বার নলছি মোগা বলবেন না আমায়। আমার নাম মেঘা।
তুমি যতো দিন আমাকে ভালো না বাসবে ততে দিন মোগা বলেই ডাকবো। ভালোবাসো তার পর ভালোবাসার নামে ডাকবো বুঝলা।
আমি এ বিয়ে মানি না ওটা আপনি জোর করে করিয়েছেন।ঘেন্না করছে আপনাকে আমার।
ও তাই বুঝি,,,, বলে দাতে দাত চেপে বললো,,,,,,, তোমার সাথে ভালো ভাবে কথা বলছি বলে ভেবোনা আমি কে। আর কি করতে পারি।
মেঘা মনে মনে ভয় পেলেও ফারহানের সামনে কঠর থাকার চেষ্টা করছে।
সে আবার ববলো আমি আপনাকে মানি না। থাকবো না আমি। আমার,,,,বলেই থেমে গেলো কারন সে ফারহানের লালচে চোখে স্পষ্ট রাগ দেখতে পাচ্ছে। আর ফারহানের ফরসা নাকটাও লাল হয়ে আছে। তার লালচে চুল গুলো কপালে পড়ে আছে মনে হচ্ছে ওর মুখটাও কাল হয়ে যাবে শুধু পরনের কালো শার্ট আর প্যান্ট এ গুলোওকি লাল হবে। ধ্যাত কি সব আজগবি কথা ভাবছি রাগে কখনও কি কারো পরনের কাপড় লাল হয়। আজ আহানকে ভালো করে দেখছে মেঘা ,,,,,,,,,, সত্যি ছেলেটা দাদরুন দেখতে কিন্তু তাকে মনে ধরে না কেনো মেঘার। কি জানি হয়তো ওর হিংস্রতা।
কি দেখছো অমন করে। তোমার মতো ময়দার দোকান মুখে লাগাইনি যে সুন্দর লাগবে।
ইস এমন কেনো এই লোকটা ধ্যাড্ত আমিও না ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছি। ছি মেঘা এটা ঠিক না।
কি সব ভাবছি এ আমি। হটাৎ বাবার কথা মনে পড়লো।
এই শুনুন আমি বাড়ি যাবো । বাবার কাছে যাবো। আপনার মতো চরিত্রহীন মানুষের সাথে থাকার সখ নাই।
ফারহান এতো সময় নিজেকে সামলে নিয়েছিলো কিন্তু এখন আর পারলো না।
আমার চরিত্র খারাপ তাইতো,,, ওকে ফাইন,, কাম বেবি চলো একটু মজা করি বলে সামনে এগোতে লাগলোআসলে ও মেঘা কে ভয় দিতে চায়। কিন্তু মেঘার কাছে আসতেই তার কেমন একটা ঘোর লাগে।
নিজেকে আর সামলাতে পারে না।
এদিকে মেঘার জান যায় যায় অবস্থা।
কিছু বলতে যাবে তার আগেই ফারহান মেঘার ঠোঁটের ওপর নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।
মেঘা এখন বুঝতে পারছে তার ফারহান কে চেতানো ঠিক হয়নি। শরীলের সবটুকুন শক্তি দিয়ে ওকে সরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে কিন্তু সফল হচ্ছে না। ফারহান নিজের কাজ করে যাচ্ছে। মেঘা না পেরে কিল ঘুসি দিচ্ছে কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।
ফাহানের কাছে নিজেকে সপে দেওয়া চলবে না কিন্তু ওর শক্তির সাথে পেরে ওঠা ওর দারা কখনও হয়ে উঠবে না ভাবতেই মেঘার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো কিন্তু সে দিক ফারহানের কোনো হুস নাই।
মেঘা জানে না কার কি ক্ষতি করেছে যার জন্য ফারহানের মতো মানুষ তার জীবন টা শেষ করে দিতে এলো।
চলবে,,,,,,,,,
নতুন গল্প শুরু করলাম কেমন হলো জানাবেন। ভালো না লাগলে পরের পার্ট আর দিবো না।