#স্বপ্নদোষ__বন্ধ_করার_১০০%কার্যকরী দোয়া।
স্বপ্নদোষ হলে এর থেকে মুক্ত হওয়ার শরীয়ত সম্মত উপায় কি তা জেনে নিন।
স্বপ্নদোষ সাধারণত শয়তানের পক্ষ থেকে হয় ।বয়ঃসন্ধিকালের পর বা বয়ঃসন্ধিকালে স্বপ্নদোষ হতে পারে । বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে বা মেয়ে যখন বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আগ্রহী হয়,তখন শয়তানের প্ররোচনায় স্বপ্নদোষ হয় । স্বপ্নদোষ হলে গোসল করা ফরজ হয় ।তাই স্বপ্নদোষ হলে ফরজ গোসল করতে হবে ।
#স্বপ্নদোষ_যেন_না_হয়_এর_করণীয়ঃ
১) ঘুমানোর আগে ওযু করে পবিত্র হয়ে ঘুমাতে হবে ।ওযু করলে শয়তান দূরে থাকে । এতে করে স্বপ্নদোষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না ।
২) ঘুমাতে যাওয়ার আগে “আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু আহইয়া অর্থাৎ হে আল্লাহ্! আপনার নামে মৃত্যুবরণ করছি এবং আপনার নামেই পুর্নজীবিত হই । (বুখারী, হা/6312)
৩) দুই হাতের তালু একত্রে করে এর মধ্যে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস তিনবার করে পাঠ করে ফু দিবে.পরে পুরো শরীর মুছে দিবেন, যতদুর সমভব (মাথা ও মুখ মনডল সহ) (বুখারী,হা/5017)
৪) আয়াতুল কুরসী পাঠ করা । (বুখারী,হা/3275) ফজিলত – একজন ফেরেশতা নিয়োগ করে দেন বান্দার উপকারে ।এতে করে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারে না ।
৫) ডান কাতে শুয়ে ও ডান হাত গালের নিচে দিয়ে নিচের দোয়াটি পড়বেন. আল্লাহুম্মা কিনি’ইআযা- বাকা ইয়াওমা তাবআসু ইবাদাকা অর্থাৎ হে আল্লাহ! যেদিন আপনি আপনার বান্দাগণকে পুর্নজীবিত করবেন. সে দিনের (পরকালীন) আযাব হতে আমাকে বাচান ।তিনবার পড়তে হবে । (আবু দাউদ,/5045; তিরমিযী,হা/3398) [বিঃদ্রঃ উপুড় হয়ে ঘুমালে স্বপ্নদোষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।এজন্য কাত হয়ে
ঘুমাতে হবে ।]
৬) সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত (২৮৫ ও ২৮৬) পাঠ করবেন । বুখারী ও মুসলিমে আছে, যে বেক্তি এই দুই আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য এই আয়াত দুটোই যতেষ্ট হবে । মানে বিপদাপদ ও শয়তানের অনিষ্ঠ থেকে রক্ষা পাবে ।
(বুখারী,হা/5009 ও মুসলিম,হা/807)
মনে রাখবেন এতে লজ্জার কনো কিছুই নেই কপি বা শেয়ার করে বন্ধুদের সবাইকে পড়ার সুজুক করেদিন,
#আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন - আমীন।
0
19