গল্পঃ- রোমান্টিক অত্যাচার
_________--পর্ব :-৫--___________
💘-----------------💘--------------------💘
তারপর আপু ফুচকাওয়ালার কাছে পানি চাইলো
ফুচকাওয়ালাঃ পানি নাই ত ম্যডাম।
রিমিঃ হোয়াট কি বলছেন এসব।
একেত ফুচকায় জাল দিতে না করছি তাও
জাল দিছেন তার উপর বলছেন পানি নায়।
ফুচকাওয়ালাঃ ভুলে জাল দিয়ে ফেলেছি।
এদিকে জালে ত আমার ঠোঁট পুরে যাচ্ছে
আমি একদম ই জাল সজ্য করতে পারি না।
তারপর আপু কিছু একটা ভাবলো।
তারপর আমার কাছে এসেই তার ঠোঁটের
সাথে আমার ঠোঁট মিলিয়ে দিলো।
এতো লোকের মাজে রিমি আপু এমন একটা
কাজ করবে আমি ভাবতেও পারি নি।
সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
অনেক লজ্জাও করছে।
পাগলের মতো আমার ঠোঁট চুষতে লাগলো।
মনে হয় অনেকদিনের ক্ষুদার্ত সামনে খাবার
পেলে যেমন করে ঠিক তেমন ভাবেই আপু
ঠোঁট গুল চুষতে লাগলো।
রিমি আপুর মিষ্টি ঠোঁটের ছোয়ায় আস্তে আস্তে জাল গুলা কমে গেলো। অনেকখন পড় রিমি আপু আমার ঠোঁট জোরা মুক্ত করে দিলো।
এখন জাল অনেক টায় কমে গেছে।
আমাকে ছেরে দিয়ে আপু আসে পাসে তাকিয়ে
দেখে সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
আপু মনে হয় ভুলেই গেছিলো এখানে আমরা ছারা
অনেকই আছে। আপু খেয়াল করে সাথে সাথে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে দরলো।
আমিঃ এই যে ভাই ও আপুরা জার জার কাজ করেন এভাবে কি দেখছেন??
তারপর সবাই অন্য দিকে তাকালো।
আমিঃ ছারো এখন ফুচকার বিল দিতে হবে।
রিমিঃ নাহ আমার অনেক লজ্জা করতাছে।
তারপর আমি পকেট থেকে ওয়ালেট বের করে।
ফুচকাওয়ালা মামাকে টাকা দিলাম সাথে
একটা ধন্যবাদ ও দিলাম।
তারপর আমি রিমি আপুকে কোলে নিলাম।
রিমিঃ কি করছিস কি পরে যাবো ত?
আমিঃ বিশ্বাস নায় আমার উপর।
রিমিঃ নিজের চাইতে বেশি তকে বিশ্বাস করি।
আমিঃ তাহলে শক্ত করে গলা দরে রাখো।
তারপর রিমি আপু শক্ত করে দরে আমার বুকে
মুখ লুকালো।
তারপর আমি রিমি আপুকে কোলে নিয়েই রিক্সার কাছে চলে গেলাম।
আমিঃ নামো এখন।
রিমিঃ হুম।
তারপর আপু নেমে রিক্সায় উঠে পড়লো।
আমি উঠার সাথে সাথে আমার হাত দরে
মাথা কাদে রাখলো।
আমিঃ মামা একটা পার্কে চলেন( রিক্সাওয়ালাকে বললাম )
রিক্সা চলা শুরু করলো।
রিমিঃ ওই তুই বজ্জাত ফুচকাওয়ালা কে ধন্যবাদ বললি কেন?
আমিঃ কারণ ওর জন্যই ত মিষ্টি টা পেলাম।।
রিমিঃ যা ফাজিল।
আমিঃ তোমার ই ত।
রিমিঃ হুম আমার পিচ্চি ফাজিল বর।
আমিঃ হুম সিনিয়র বউ আমার।
রিমিঃ মিষ্টি ত আমি সবসময় দেওয়ার জন্য
প্রস্তুুত ই থাকি। যদি তর কিছু হতো।
আমিঃ আরে জাল খেলে কিছু হয় না।
রিমিঃ বলছে তকে।
আমিঃ হুম
আমরা কথা বলতে বলতে পার্কের সামনে চলে
আসলাম। তারপর আমি নেমে রিমি আপুকে
হাত দরে নামালাম।
তারপর পকেট থেকে ওয়ালেট বের করে
রিক্সাওয়ালা মামাকে টাকা দিলাম।
রিক্সাওয়ালাঃ মামা এতো হয় নাই ত।
আমিঃ এগুলা আপনার বকসিস।
রিক্সাওয়ালাঃ ধন্যবাদ৷ মামা।
তারপর আমি আর রিমি আপু পার্কের ভিতরে
ডুকলাম।
রিমি আপু এখানে এসেও আমার হাত দরে আছে।
আমরা হাটতাছি তখনি দেখি সামনে একটা ছেলে
আর একটা মেয়ের কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে।
আমিঃ রিমি ওটা জয় না।
রিমিঃ দেখে ত তাই মনে হচ্ছে।
আমিঃ চলো ত গিয়ে দেখি।
তারপর আরেকটু সামনে গিয়ে দেখি এটা ত জয় ই
সাথে হিয়া।
(হিয়া হচ্ছে আমাদের ক্লাস মেট)
আমিঃ কি হচ্ছে এখানে।
আমার কন্ঠ শুনে জয় চমকে উঠলো এবং
অনেক অবাক ও হয়েছে, এখানে হয়তো
আমাকে আশা করে নি।
জয়ঃ মামা তুই এখানে।
আমিঃ এখানে না আসলে ত তদের প্রেম নীলা টা দেখতে পারতাম না।
জয়ঃ তকে জানাবো ভাবছিলাম তার আগেই জেনে গেলি।
আমিঃ সত্যি কখনো চাপা থাকে মা বৎস।
তা কতদিন দরে? ো
জয়ঃ এইত কিছুদিন।
বস এখানে।
রিমিঃ তোমাদের নতুন প্রেমে আমরা কাবাব মে
হাড্ডি হতে চায় না
আমিঃ হুম ঠিক বলছো চলো আমরা অন্য কোথাও বসি।
রিমিঃ ওকে।
তারপর জয় আর রিমির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা একটু দুরে গিয়ে একটা বেঞ্চে বসে পড়লাম।
রিমিঃ তুই একটুও রোমান্টিক না?
আমিঃ কেন কি করলাম আবার।
রিমিঃ দেখতো জয় মেয়েটার কোলে মাথা দিয়ে
শুয়ে আছে।
এই কথা বলাতেই আমিও রিমি আপুর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লাম। আপু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।
তারপর আমরা গল্প করতে লাগলাম কিছুখন
পড়েই সন্ধা হয়ে গেলো।
আমিঃ চলো এখন বাসায় চলে যায়।
আপুঃ আরেকটু থাকি না।
আমিঃ রাত হয়ে গেছে আম্মু টেনশন করবে।
রিমিঃ তাহলে চল।
তারপর আমি আর রিমি আপু পার্কে থেকে বাহির
হয়ে রাস্তায় চলে আসলাম।
রিমিঃ এখন আর রিক্সা ডাকিস না।
আমিঃ কিভাবে যাবো তাহলে।
রিমিঃ এইটুকু হেটে হেটে যাবো মেইন রাস্তা থেকে
রিক্সা নিবো।
আমিঃ ওকে।
তারপর আমি রিমি আপুর হাতদরে হাঠতে লাগলাম।
রিমিঃ জানিস নীল আমার অনেক দীনের ইচ্ছা আজকে পুরণ হলো।
আমিঃ কি ইচ্ছা।
রিমিঃ এই যে রাতের বেলা প্রিয়া মানুষটির
হাত দরে হাটা।
আমিঃ ওহ।
তারপর আমরা কথা বলতে বলতে মেইন রাস্তায় চলে আসলাম।
তারপর একটা রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় এসে যার যার রুমে চলে গেলাম।
রুমে গিয়ে ফ্রেশ হলাম।
কিছুখন পড়ে খাবার খাওয়ার ডাক আসলো।
তারপর খেয়ে আমি আমার রুমে চলে আসলাম।
রুমে এসে লেপটপ এ গেম খেলতে লাগলাম।
একটু পড়ে দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে
তাকিয়ে দেখি রিমি আপু চুপি চুপি আমার
রুমে আসছে।
আমিঃ এখন আবার রুমে কেন?
রিমিঃ তকে ছারা কিছুই ভালো লাগে না।
চল না আমরা বিয়ে করে ফেলি।
আমিঃ সময় হক তখন করবো।তুমি তোমার রুমে যাও আম্মু এসে পড়বে
রিমিঃ বড় আম্মু গুমিয়ে পড়েছে।
এখন একটা কিস কর তাছারা গুম আসবে না।
তারপর আর কি রিমি আপু কে একটু আদর করে
আপুর রুমে পাঠিয়ে দিলাম।
এভাবেই ভালোবাসা রাগ অভিমানের মাজেই কেটে গেলো দুটো মাস।
তারপরে একদিন কলেজে আমার সাথে যা হলো।
কথায় আছে না বেশি সুখ কপালে সয় না।
# চলবে
বিঃদ্র: আগামী কাল গল্পের শেষ পর্ব দেওয়া হবে
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
♦♦♦ ♦♦♦
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦